n_id
stringlengths
5
10
doc_id
stringlengths
64
67
lang
stringclasses
1 value
text
stringlengths
200
88.7k
pib-298810
5c6a2d94ec9863270a55d1c644cfd1234b27f09123e77b20d123a6b51ec72795
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর প্রধানমন্ত্রী দোশরা অক্টোবর বৈভব সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন নয়াদিল্লী, ১ অক্টোবর, ২০২০ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী দোশরা অক্টোবর সন্ধ্যে ৬.৩০ মিনিটে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈশ্বিক ভারতীয় বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। বৈশ্বিক সম্মেলন দোশরা অক্টোবর থেকে ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। বিদেশে বসবাসরত ভারতীয় গবেষণা এবং শিক্ষাবিদরা অনলাইনের মাধ্যমে এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভারতীয় বংশোদ্ভুত যেসমস্ত বিশেষজ্ঞরা নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থায় যুক্ত আছেন, তাঁরা আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নয়নের জন্য ভারতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কেন্দ্র গড়ে তোলা এবং এ বিষয়ে সহযোগিতামূলক একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার জন্য আলাপ-আলোচনা চালাবেন। উদ্বোধনের পর অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন অধিবেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সারা মাস ধরে ওয়েবিনার, ভিডিও কনফারেন্স ইত্যাদির মাধ্যমে বিদেশে যেসব বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন, তাঁরা ভারতে বসবাসরত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বিভিন্ন স্তরে মতবিনিময় করবেন। ৫৫টি দেশ থেকে ৩ হাজারের বেশি ভারতীয় বংশোদ্ভুত শিক্ষাবিদ এবং বৈজ্ঞানিকরা ও ভারতে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষাবিদ এবং বৈজ্ঞানিক এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। পুরো অক্টোবর মাস জুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টার নেতৃত্বে ২০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর আলাপ-আলোচনা চালাবে। ৪০টি দেশ থেকে ১৫০০র বেশি আলোচনাকারী, ভারতের শীর্ষ স্থানীয় ২০০টি গবেষণা ও উন্নয়ন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভার্চুয়ালি ১৮টি ক্ষেত্রের ওপর আলোচনা চালাবে। ২০০র বেশি অধিবেশনে ৮০টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। সর্দার প্যাটেল জন্মদিন- ৩১শে অক্টোবর সমাপ্তি অধিবেশনের আয়োজন করা হয়েছে। (CG/CB/NS
pib-298812
05526e75d9f05a7019a685cf370ec2549306c1cee99ae4b9e59579debd09b70e_3
ben
স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক কোভিড–১৯ মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করলেন ডাঃ হর্ষবর্ধন নতুনদিল্লি, ১০ এপ্রিল, ২০২০ কোভিড–১৯ এর মোকাবিলা করতে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে পর্যালোচনার জন্য ডাঃ হর্ষবর্ধন আজ নতুন দিল্লিতে ভিডিও কনফারেন্সিংএর মাধ্যমে একটি বৈঠক করেন। এই বৈঠকে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব / স্বাস্থ্য সচিবরা যোগ দেন। বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবেও উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী, কোভিড–১৯ এর মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সকল রাজ্যের প্রতিনিধিদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অভিনন্দন জানান। মহারাষ্ট্র, দিল্লী, রাজস্থান, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, কর্ণাটক, পঞ্জাব, বিহার, তেলেঙ্গানা, হরিয়ানা, ওডিশা, অসম, চন্ডীগড়, ঝাড়খন্ড, আন্দামান ও নিকোবর, ছত্তিশগড়, মণিপুর, অরুণাচলপ্রদেশ, গোয়া, মিজেরাম, ত্রিপুরা, সিকিম, নাগাল্যান্ড, তামিলনাডু, মেঘালয় এবং দাদরা ও নগরহাভেলী-র প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ডাঃ হর্ষবর্ধন বলেন, ৩ মাসের বেশি সময় ধরে এই মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে ।প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও রাজ্যগুলির সঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থাপনার কারণে এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সক্রিয় উদ্যোগে যথাসময়ে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে বলে তিনি জানান। আগামী কয়েক সপ্তাহ, এই সংক্রমণের শৃঙ্খলা ভাঙ্গার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন। কোভিড – ১৯ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে, তিনি সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ জানান এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে বলেন। গর্ভবতী মহিলা, কিডনী সমস্যার রোগী এবং থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের জন্য মন্ত্রী, রাজ্যগুলিকে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেন ।এই প্রসঙ্গে ডাঃ হর্ষবর্ধন, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার পরামর্শ দেন। বৈঠকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম , এন৯৫ মাস্ক, টেস্টিং কিট, ঔষুধ এবং ভেন্টিলেটরের চাহিদার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সঙ্কটের এই সময়ে এই সামগ্রীগুলি যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। তিনি, আরোগ্য সেতু অ্যাপটি ডাউনলোড করার জন্য সকলের কাছে অনুরোধ জানান। স্মার্টফোনে এটি ইনস্টল করা হলে জনসাধারণ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির বিষয়ে মূল্যায়ন করতে পারবেন। বৈঠকেস্বাস্থ্য সচিব শ্রীমতি প্রীতি সুদান, বিশেষ সচিব শ্রী সঞ্জীব কুমার,স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পদস্থ আধিকারিকরা এবং আইসিএমআর-এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। (CG/CB
pib-298814
040c10a410963c5cfbfc85419672362b20a255549605d60e2fa6c867bea3aee1
ben
স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক ‘লক্ষ্য’ কর্মসূচি নয়াদিল্লি, ১২ জুলাই, ২০১৯ জনস্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রগুলিতে প্রসব কক্ষ এবং মাতৃত্বকালীন অস্ত্রপচার কক্ষ বা অপারেশন থিয়েটারগুলির মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ‘লক্ষ্য’ কর্মসূচি শুরু করেছে। বহুমুখী এই কর্মসূচিতে মাতৃত্বকালীন ও নবজাতক মৃত্যু হার কমানো, প্রসব কক্ষগুলিতে শিশুর জন্মকালীন উপযুক্ত পরিষেবা, মাতৃত্বকালীন অপারেশন থিয়েটার এবং মাতৃত্বকালীন পরিচর্যায় যথাযথ গুরুত্ব আরোপের মতো বিষয়গুলিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এই কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল বা সমগোত্রীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সর্বজনীন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। লোকসভায় এক লিখিত জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে। এক পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি আরও জানান, এখনও পর্যন্ত সারা দেশে ২ হাজার ৪২৭টি জনস্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রকে ‘লক্ষ্য’ কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। কর্মসূচির আওতায় চিহ্নিত পশ্চিমবঙ্গের ১৩টি মেডিকেল কলেজ, ২১টি জেলা হাসপাতাল, ৩৪টি মহকুমা হাসপাতাল, ২০টি সর্বজনীন স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ২২টি অন্যান্য স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। CG/BD/SB (Visitor Counter : 84
pib-298816
26d4a29f43764c72ee3bf5e4d6902ff4fbcb0ecd28cd2347417f523603f86aba
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর ইকনোমিক টাইমসে গ্লোবাল বিজনেস সামিট-এ ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লি, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ইকনোমিক টাইমস গ্লোবাল বিজনেস সামিট-এ ভাষণ দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৩-১৪-য় যখন মুদ্রাস্ফীতি, আর্থিক ঘাটতি এবং পলিসি প্যারালিসিস-এর মতো সমস্যায় জর্জরিত ছিল দেশ, তখন থেকে এখন পর্যন্ত পরিবর্তন স্বচ্ছভাবে দৃশ্যমান। দ্বিধার পরিবর্তে এসেছে আশা এবং বাধা-বিপত্তিকে সরিয়ে এসেছে আশাবাদ, বলেন শ্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সাল থেকে ভারত সব ধরণের আন্তর্জাতিক রেটিং এবং সূচকে গুরুত্বপূর্ণভাবে এগিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘গ্লোবাল ইনোভেনশ’ সূচকের ক্ষেত্রে ভারত ২০১৪-র ৭৬ থেকে এগিয়ে এসে ২০১৮-য় ৫৭-তে পৌঁছেছে। এই প্রেক্ষিতে ২০১৪-র আগে এবং বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরণের প্রতিযোগিতার মধ্যে যে পার্থক্য প্রকট ছিল সে বিষয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন বিকাশ নিয়ে যেমন প্রতিযোগিতা হয় তেমনি প্রতিযোগিতা হয় সম্পূর্ণ অনাময়, বা বৈদ্যুতিকীকরণ বা লগ্নি বৃদ্ধির মতো কাঙ্খিত লক্ষ্যগুলি অর্জন নিয়েও। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন অসম্ভব সম্ভব হয়েছে। তিনি এও বলেন, বর্তমানে ভারতকে দুর্নীতিমুক্ত করার কাজে প্রগতি এসেছে এবং নীতি-নির্মাণে বিধি বর্হিভূত কাজে লিপ্ত হওয়ার প্রবণতাকে বর্জন করা গেছে। ২০১৪-১৯-এই সময়টির উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, দেশে গড় বৃদ্ধির হার ৭.৪-এ পৌঁছেছে এবং মুদ্রাস্হীতির হারও কমে গিয়ে হয়েছে ৪.৫ শতাংশেরও কম। বিগত চার বছরে প্রত্যক্ষ্য বিদেশী বিনিয়োগের যে পরিমাণ লক্ষ্য করা গেছে তা ২০১৪-র আগে ৭ বছরে যা হয়েছিল তার সমান। এরজন্য প্রয়োজন ছিল সংস্কারগুলির রূপান্তর। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেওলিয়া আইন, জিএসটি, রিয়্যাল এস্টেট আইনের মাধ্যমে বৃদ্ধি বাড়ানোর ভিত গড়া গিয়েছে। শ্রী মোদী আরও বলেন, ভারত ১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশ এবং এক্ষেত্রে বিকাশ এবং প্রগতির জন্য কোনও একটি স্বপ্ন নেই। আমাদের নতুন ভারতের স্বপ্ন এরকমই যেখানে সমাজের প্রত্যেক সম্প্রদায়ের মানুষের চাহিদা চরিতার্থ করার কাজ করা হবে বলে শ্রী মোদী ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আমরা যে নতুন ভারত গড়ার স্বপ্ন দেখছি তার মধ্যে রয়েছে আগামী দিনগুলির সমস্যা নিরসন করা এবং একইসঙ্গে অতীতের সমস্যাগুলিরও যথাযথ সমাধানের ব্যবস্হা করা। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি উদাহরণ দেন। সেগুলি হল- - ভারত যখন দ্রুততম ট্রেন এসে গিয়েছে তখন দেশে সমস্ত প্রহরী-বিহীন রেল ক্রসিং-ও তুলে দেওয়া হয়েছে। - ভারত যখন দ্রুত গতিতে আইআইটি এবং এইমস গড়ে তুলছে তখন সারা দেশে সমস্ত বিদ্যালয়ে শৌচালয় গড়ে তোলা হচ্ছে। - যখন ভারত সারা দেশে ১০০টি স্মার্ট সিটি গড়ে তুলছে তখন ১০০টি উন্নয়নকামী জেলায়ও দ্রুত গতিতে প্রগতি এসেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ১২ কোটি ছোট এবং প্রান্তিক চাষির কাছে পৌঁছে গিয়েছে যাদের তাঁদের প্রত্যেক বছর ৬০০০ টাকা করে দেওয়া যায়। এরফলে, আমাদের কৃষকদের কাছে আগামী ১০ বছরে ৭.৫ লক্ষ কোটি টাকা পৌঁছে যাবে। শ্রী মোদী বলেন, ডিজিটাল ইন্ডিয়া, স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া, মেক ইন ইন্ডিয়া এবং ইনোভেট ইন্ডিয়ার মতো প্রকল্প বা উদ্যোগের ফলে বর্তমানে সুফল পাওয়া যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন সরকার ভারতকে ১০ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। একইসঙ্গে বিদ্যুৎ চালিত যানবাহন এবং বিদ্যুৎ সংরক্ষণ নির্মাণের ক্ষেত্রে বিশ্বের প্রথম স্হান দখল করতে চায় ভারত। SSS/NS (Visitor Counter : 112
pib-298819
fdee58ae5a572147406ef31ed9756c2e23022fd13e95a14424de9392d2fd4473
ben
প্রতিরক্ষামন্ত্রক এনসিসি ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করছে নয়াদিল্লী, ২১ নভেম্বর, ২০২০ জাতীয় সমর শিক্ষার্থী বাহিনী বিশ্বের বৃহত্তম উর্দিধারি যুব সংগঠন। এই সংগঠন ২২শে নভেম্বর ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করবে। আজ জাতীয় যুদ্ধ স্মারকে যেসব বীর সেনানীরা দেশের জন্য আত্মবলিদান করেছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এই অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। প্রতিরক্ষা সচিব ডঃ অজয় কুমার এবং এনসিসি-র মহানির্দেশক লেফ্টেন্যান্ট জেনারেল রাজীব চোপরা এনসিসি সংগঠনের পক্ষ থেকে স্মারকে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেছেন। প্রতিরক্ষা সচিব বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে এনসিসি ক্যাডেটরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছেন। করোনা যোদ্ধা হিসেবে প্রাক্তন এনসিসি সদস্যরাও যোগ দিয়েছেন। এছাড়াও এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত, আত্মনির্ভর ভারত, ফিট ইন্ডিয়া, স্বচ্ছ অভিযান, মেগা পলিউশন পাখওয়ারা, ডিজিটাল লিটারেসি, আন্তর্জাতিক যোগ দিবস, বৃক্ষরোপন, টিকাকরণ ইত্যাদি বিভিন্ন কর্মসূচিকে এনসিসি সদস্যরা বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১৫ই আগস্ট দেশের সীমান্তবর্তী ও উপকূলবর্তী অঞ্চলে এনসিসি কর্মসূচির প্রসার ঘটানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীতে আরও ১ লক্ষ ক্যাডেটকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা সচিব ডঃ অজয় কুমার জানিয়েছেন আমাদের সীমান্ত ও উপকূলবর্তী জেলায় এনসিসি-র প্রসার ঘটলে ওই অঞ্চলের যুব সম্প্রদায় সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিতে উৎসাহিত হবে। এনসিসি-র বহুপাক্ষিক কর্মতৎপরতা রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে যুব সম্প্রদায় স্বাবলম্বী হয়ে ওঠে। খেলাখুলা ও অভিযানমূলক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অনেক ক্যাডেটের নজরকারা সাফল্যে দেশ ও সংগঠন গর্বিত হয়। এনসিসি আজকের যুব সম্প্রদায়কে আগামী দিনের দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে। প্রতিষ্ঠা দিবসে দেশজুড়ে রক্তদান শিবির ও বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
pib-298822
c29e2504f7b69674f497ef2d54a4c37052f0aab309b547dbdabe0d77a0ec9a11_1
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর প্রধানমন্ত্রী ১৫ ই ডিসেম্বর কচ্ছ সফর করবেন এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন নতুন দিল্লি, ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২০ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১৫ই ডিসেম্বর কচ্ছের ধোরদো সফর করবেন এবং রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে : জলকে লবন মুক্ত করার প্রকল্প, মিশ্র পুনর্নবীকরণয়োগ্য জ্বালানী পার্ক, সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ ও প্যাকেজিং প্ল্যান্ট। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। তিনি হোয়াইট রণ ঘুরে দেখবেন এবং একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। গুজরাটের বিস্তীর্ণ উপকূলবর্তী অঞ্চল রয়েছে। এখানে সমুদ্রের জলকে পানীয় জলে পরিণত করার জন্য লবণ মুক্ত করণ একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের অঙ্গ হিসেবে কচ্ছের মান্ডভিতে এই প্ল্যান্ট গড়ে উঠবে। এই লবণ মুক্ত করার প্ল্যান্টে প্রতিদিন ১০ কোটি লিটার জল পরিশোধিত হবে। এর ফলে নর্মদা গ্রিড, সৌনি নেটওয়ার্ক এবং বর্জ্য জলের পুর্নব্যবহারের পরিকাঠামোয় সুবিধে হবে। দেশে স্থিতিশীল ও স্বল্প মূল্যের জল সম্পদের ক্ষেত্রে এটি একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। মুন্দ্রা, লাখপত, আবদাসা ও নাখাত্রানা তালুকে প্রায় ৮ কোটি মানুষ এখান থেকে লবণ মুক্ত জল পাবেন। এর ফলে উজানের ভাচাউ, রাপার ও গান্ধীধাম জেলায় অতিরিক্ত জল পাঠানো যাবে। দাহেজ , দ্বারকা , ঘোঘা ভাবনগর এবং গির সোমনাথ লবণ মুক্ত করার প্ল্যান্টগুলির সঙ্গে এই প্ল্যান্টটিও পানীয় জল সরবরাহ করবে। গুজরাটের কচ্ছ জেলার ভিঘাকোট গ্রামে মিশ্র পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানী পার্কটি দেশের বৃহত্তম পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হতে চলেছে। এখান থেকে ৩০ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। ৭২,৬০০ হেক্টর জমিতে তৈরি হওয়া এই পার্কে সৌরশক্তি ও বায়ুশক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। কচ্ছের আন্জারে সরহদ ডেয়ারীতে প্রধানমন্ত্রী একটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ ও প্যাকেজিং প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এই প্ল্যান্টটি ১২১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মীত হবে। এখানে দৈনিক ২ লক্ষ লিটার দুধ প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা থাকবে।
pib-298823
18b81d6bb4f2304ad69a8e1d3c5befccfd5d77de501a3236647179d8a61a6513
ben
স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের বর্ষশেষ পর্যালোচনা- ২০১৮ নয়াদিল্লি, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ কেন্দ্রীয় স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হল, সুস্বাস্হ্য কেন্দ্র স্হাপন ও প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার রূপায়ণ। ২০২২-এর মধ্যে দেশের প্রায় দেড় লক্ষ প্রাথমিক স্বাস্হ্যকেন্দ্র ও উপকেন্দ্রকে সুস্বাস্হ্য কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হবে। এরফলে সবরকম স্বাস্হ্য পরিষেবা সকলের আয়ত্তের মধ্যে থাকবে। এখনও পর্যন্ত সারা দেশে ৪ হাজার ৫০৩টি সুস্বাস্হ্য কেন্দ্র চালু হয়েছে। এছাড়া, আয়ুষ্মান ভারতের সুস্বাস্হ্য কেন্দ্রগুলিতে স্বাস্হ্য পরিষেবা বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করা হবে। এই বিশেষজ্ঞরা, যাঁদের মধ্যস্তরীয় স্বাস্হ্য পরিষেবা প্রদানকারী বলা হয়ে থাকে। সেবিকা অথবা আয়ুর্বেদ চিকিৎসকও হতে পারেন। প্রাথমিক স্বাস্হ্য সেবা ও জনস্বাস্হ্যের বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তাঁরা স্বাস্হ্যকর্মী ও আশাকর্মীদের দলকে নেতৃত্বদান করবেন। স্বাস্হ্যকর্মীরা স্কুলগুলিতে গিয়ে শিশুদের স্বাস্হ্যসম্মত অভ্যাস গঠনের শিক্ষা দেবেন। স্বাস্হ্যক্ষেত্রে সুষ্ঠুভাবে পরিষেবা প্রদানের জন্য সর্বস্তরের স্বাস্হ্যকর্মীদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ, চিকিৎসা পরিকাঠামোর উন্নয়ন ও উন্নতমানের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্হা রূপায়ণের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া, দেশীয় চিকিৎসা পদ্ধতি ও যোগচর্চাকেও প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। গর্ভধারণ ও প্রসবকালী স্বাস্হ্যসেবা ; সদ্যজাত ও শিশু ; বাল্যকালীন ও বয়সন্ধীকালীন স্বাস্হ্যসেবা ; পরিবার পরিকল্পনা, গর্ভনিরোধক ও অন্যান্য প্রজনন সংক্রান্ত চিকিৎসা পরিষেবা ; জাতীয় স্তরের স্বাস্হ্য কর্মসূচিগুলি রূপায়ণ সহ সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ ; সাধারণ সংক্রামক ও অ-সংক্রামক রোগের জন্য বর্হিবিভাগে চিকিৎসা ; অ-সংক্রামক রোগ চিহ্নিত করা, প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ; চক্ষু ও ইএনটি চিকিৎসা ; ওরাল স্বাস্হ্যসেবা ; বয়স্কদের স্বাস্হ্যসেবা ; বিপদকালীন স্বাস্হ্যসেবা এবং মানসিক রোগের চিকিৎসা আয়ুষ্মান ভারতের এই সুস্বাস্হ্য প্রকল্পের অন্তর্গত। এছাড়া, সুস্বাস্হ্য কেন্দ্রগুলিতে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্হা, জটিলতা ঘটলে ফোনে চিকিৎসা আধিকারকের পরামর্শ গ্রহণ, প্রয়োজনে রেফারাল লিঙ্কে যুক্ত থাকা চিকিৎসাকেন্দ্র পরবর্তী পর্যায়ে চিকিৎসা চালানো, প্রত্যেকে নিজস্ব স্বাস্হ্য পরিচয়পত্র, যোগচর্চা ও অন্যান্য পরম্পরাগত সুস্বাস্হ্য পরিষেবা প্রদানের মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় দেশের ১০ কোটি দরিদ্র্য ও অসহায় পরিবারের প্রত্যেক সদস্য যাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে চিকিৎসা চালাতে পারেন, তারজন্য পরিবার পিছু বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা করে চিকিৎসা বিমার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮-তে প্রকল্পটি এই লক্ষ নিয়ে চালু করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় স্বাস্হ্য বিমা যোজনা এবং বয়োঃজেষ্ঠ্য নাগরিক স্বাস্হ্য বিমা যোজনা এবং পিএমজেএওয়াই-এর আওতায় আনা হয়েছে। এরফলে পূর্বতন প্রকল্পের সুবিধাভোগীরাও এই নতুন প্রকল্পের আওতায় এসেছেন। সামাজিক ও অর্থনৈতিক জাতি গণনা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভাবগ্রস্হ ও রোজগারহীন পরিবারগুলিকে এই বিমা প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮তে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৬ হাজার ১১২টি হাসপাতালকে প্রকল্পের প্যানেলে রাখা হয়েছে। ৬ লক্ষ ৮১ হাজার ৮২৫ জন সুবিধাভোগী রয়েছেন। ৩৯ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪৯৬ জনকে ই-কার্ড দেওয়া হয়েছে। রাজ্যগুলিকে পিএমজেএওয়াই রূপায়ণে নিজস্ব পন্হা পদ্ধতিতে কাজ করার স্বাধীনতাও দেওয়া হয়েছে। কোনও বিমা সংস্হা বা প্রত্যক্ষ্যভাবে কোনও ট্রাস্টের মাধ্যমে অথবা দু-ভাবেই প্রকল্প রূপায়ণ করা যাবে। ২০১৮-র মে মাস থেকে জাতীয় স্বাস্হ্য সংস্হা সারা দেশে এই প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, বিহার, ঝাড়খন্ড, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ সহ ৩১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে জাতীয় স্বাস্হ্য সংস্হা প্রকল্প রূপায়ণের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তারমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, বিহার, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ সহ ২৫টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পিএমজেএওয়াই চালু হয়ে গেছে। প্রকল্পের নীতি-নির্ধারণের জন্য আয়ুষ্মান ভারত জাতীয় স্বাস্হ্য সুরক্ষা মিশন পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। স্বাস্হ্য পরিষেবার মহানির্দেশকের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ কমিটি ১ হাজার ৩৫০টি স্বাস্হ্য প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হয়েছে। নীতি আয়োগ এ বিষয়ে পর্যালোচনা করছে। মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক সংক্রান্ত কমিটি ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮তে আশাকর্মীদের জন্য একটি সুবিধামূলক প্যাকেজ চালুর বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছেন। ১০ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬৭০জন আশাকর্মীকে প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা ও ৯৫ লক্ষ ৭৩ হাজার ৩২জনকে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমান যোজনায় সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি জাতীয় স্বাস্হ্য বিমা মিশনে ১০ লক্ষ ২২ হাজার ২৬৫জন আশাকর্মীর ভাতা বাড়িয়ে মাসিক ২০০০ টাকা করা হয়েছে। এই প্রকল্প রূপায়ণে ২০১৮ থেকে ২০২০ অবধি আনুমানিক ১৯০৫ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে। এই তহবিলের ১২২৪ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা কেন্দ্র যোগাবে। জাতীয় স্বাস্হ্য নীতি ২০১৭তে বলা হয়েছে যে ২০২৫এর মধ্যে স্বাস্হ্যের খাতে ব্যয়কে গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ২-৫ শতাংশ’তে নিয়ে যাওয়া হবে। সব বয়সের মানুষের জন্য প্রতিরোধমূলক স্বাস্হ্য সেবা সহ স্বাস্হ্য পরিষেবাকে সকলের নাগালের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার ওপর নীতিগতভাবে গুরুত্ব আরোপ করা হবে। প্রাথমিক স্বাস্হ্যকেন্দ্রগুলির পরিষেবাকে স্বাস্হ্য কার্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করা, স্বাস্হ্য পরিষেবা সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানির জন্য পৃথক আদালত চালু, ডিজিটাল মাধ্যমের প্রয়োগ সহ সরকারি স্বাস্হ্য পরিষেবার সার্বিক মানোন্নয়ন, পুষ্টির ক্ষুদ্র পদার্থগুলির অভাব দূর করা এবং বেসরকারি সংস্হাগুলিকে স্বাস্হ্য ক্ষেত্রে কাজে লাগানোর মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। স্বাস্হ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে পেশাদারি শিক্ষার নির্দিষ্ট মান নির্ণয় ও বজায় রাখার জন্য ২২ নভেম্বর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা ২০১৮ সালে অ্যালায়েড অ্যান্ড হেল্থ কেয়ার প্রফেশন্স বিলের বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে। এরফলে, আয়ুষ্মান ভারতের মূল ভাবনাচিন্তার সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে চিকিৎসক কেন্দ্রিক ব্যবস্হা থেকে সরে স্বাস্হ্য পরিষেবায় সেবা ও দলগতভাবে চিকিৎসার ব্যবস্হার দিকে এগোনো যাবে। এছাড়া চিকিৎসার যন্ত্রপাতিগুলি নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক মেডিক্যাল ডিভাইসেস নিয়ম, ২০১৭র বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। কয়েকটি ওষুধের উৎপাদন, বিক্রয় ও ব্যবহারের জন্য বন্টন ব্যবস্হায়ও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মন্ত্রক। মন্ত্রিসভা ২০১৭র ডিসেম্বরে জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন বিলে সায় জানিয়েছে, যারফলে ডাক্তারি শিক্ষার ক্ষেত্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে আসন বৃদ্ধি হচ্ছে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে আয়ুষ ব্যবস্হার সঙ্গে আরও ভালোভাবে সমন্বয় সাধন হবে। আর্থিক অবস্হা নির্বিশেষে প্রতিভাবান ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রত্যেকটি মেডিক্যাল কলেজে ৪০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। অপুষ্টির সমস্যা দূর করতে স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক এবং মহিলা ও শিশু বিকাশ মন্ত্রক যৌথ প্রয়াসে জাতীয় পুষ্টি অভিযান চালু করেছে। মন্ত্রিসভা কিছুদিন আগেই এই অভিযানে সায় জানিয়েছে। মানসিক রোগগ্রস্হ সাধারণ মানুষদের সুচিকিৎসার লক্ষ্যে মানসিক স্বাস্হ্য সেবা আইন, ২০১৭ বলবৎ করা হয়েছে। ২০১৭’র এইচআইভি ও এইডস আইন, প্রয়োগের মাধ্যমে ২০১৭-র ২০৩০এর মধ্যে এই মহামারীর অবসান ঘটানো ও নিশ্চিত করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে যাতে এইডস আক্রান্ত রোগীরা অমানবিক আচরনের শিকার না হন। ভারতের সর্বজনীন টিকাকরণ কর্মসূচিকে বিশ্বের বৃহত্তম জনস্বাস্হ্য কর্মসূচিগুলির মধ্যে গণ্য করা হয়। প্রতিবছর ৩ কোটি গর্ভবতী মহিলা ও ২ কোটি ৭০ লক্ষ সদ্যজাত শিশুর টিকাকরণের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা থাকে। ২০১৪ সালে মিশন ইন্দ্রধনুষ চালুর পর থেকে ২০১৭-র অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং আরও জোরদারভাবে প্রকল্প রূপায়ণের আহ্বান জানান। মিশন ইন্দ্রধনুষের ষষ্ঠ পর্বে, ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৭৫টি জেলায় টিকাকরণ কর্মসূচি রূপায়িত হয়েছে। ভারত পোলিওমুক্ত ঘোষিত হয়েছে। তবুও এই সাফল্য ধরে রাখতে পোলিও টিকা দূরীকরণের চালু করা হয়েছে। ২০১৮র আগস্ট অবধি মোট ৬.৪ কোটি শিশুকে এই পোলিওর টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় ভেক্টরজাত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে অসম, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের ৩১টি জেলাকে জাপানীজ এনসেফেলাইটিজ প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। উল্লিখিত ৩১টি জেলায় ১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সী ৩ কোটি ২৯ লক্ষ মানুষকে জাপানীজ এনসেফেলাইটিজ টিকা দেওয়া হয়েছে। ২০১৮র সেপ্টেম্বর মাস অবধি ওড়িশা, অসম ও ত্রিপুরা সহ ৯টি রাজ্যের মোট ২.৬ কোটি মানুষকে রোটা ভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে। ২০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মিসলস-রুবেলা টিকাকরণের কর্মসূচি সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে আরও ৮টি রাজ্যে এই টিকাকরণের কর্মসূচি চলছে। সেপ্টেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত প্রায় ৫৯.৪৮ কোটি শিশুকে এই টিকা দেওয়া হয়েছে। ২৮ জুলাই ২০১৮তে বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসে স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের চালু করা জাতীয় ভাইরাল হেপাটাইটিস কর্মসূচির লক্ষ্য ২০৩০এর মধ্যে এই রোগের কবল থেকে অসুখ ও মৃত্যুর হার কমানো। লেবার রুম বা প্রসবাগার ও মাতৃত্বকালীন অপারেশন থিয়েটারগুলিতে গর্ভবতী মায়েদের উন্নতমানের পরিচর্যা দিতে মন্ত্রক ‘লক্ষ্য’ নামক একটি উদ্যোগও চালু করেছে। এছাড়া দেশে প্রত্যেকজন গর্ভবতী মা-কে বিনামূল্যে প্রসব পরবর্তী পরিচর্যা দিতে প্রত্যেকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষিত মাতৃত্ব অভিযান রূপায়ণ করা হচ্ছে। ডাইরিয়া থেকে শিশুমৃত্যুর ঘটনা সম্পূর্ণভাবে রোধ করতে ২০১৪ থেকে ডাইরিয়া নিয়ন্ত্রণ পক্ষকাল পালন করা হচ্ছে। এছাড়া, রাষ্ট্রীয় বাল্য স্বাস্হ্য কর্মসূচির আওতায় এখনও পর্যন্ত ৮২ কোটি ৫০ লক্ষ শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা ও ১.৯৬ কোটি শিশুর চিকিৎসা হয়েছে। জাতীয় কৃমি-দূরীকরণ দিবস, রাষ্ট্রীয় কিশোর স্বাস্হ্য কর্মসূচি, বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্হ্য ক্লিনিক, প্রতি সপ্তাহে আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট খাওয়ানো, রজঃস্রাব সংক্রান্ত স্বাস্হ্যবিধি কর্মসূচি ও সঙ্গীর কাছ থেকে স্বাস্হ্য সংক্রান্ত শিক্ষাগ্রহণ কর্মসূচি-মন্ত্রকের শিশু, কিশোরী ও মহিলাদের সুস্বাস্হ্য নিশ্চিত করা সংক্রান্ত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির তালিকায় রয়েছে। দেশে ৪৪৫টি জেলায় জাতীয় মিশনের আওতায় জাতীয় ডায়লিসিস কর্মসূচি রূপায়নের মাধ্যমে দরিদ্র নাগরিকদের বিনামূল্যে ডায়লিসিস পরিষেবা দেওয়া হয়। বিনা খরচে ড্রাগ ও রোগ চিহ্নিতকরণের পরিষেবা প্রদানের উদ্যোগ ও বায়োমেডিক্যাল যন্ত্রপাতি নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষনাবেক্ষনের কর্মসূচিও মন্ত্রকের দুটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি হিসেবে ধরা হয়। ক্যান্সার, ডায়বেটিস, কার্ডিও-ভাসকুলার রোগ ও স্ট্রোক রোগ ও নিয়ন্ত্রণের জাতীয় কর্মসূচিতে সেপ্টম্বর ২০১৮ পর্যন্ত ৩ কোটি ৩২ লক্ষ মানুষের ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। এছাড়া, ডায়বেটিস, হাইপারটেনশন এবং ওরাল, ব্রেস্ট ও সার্ভিক্যাল ক্যান্সারের জনসংখ্যা-ভিত্তিক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও চিহ্নিতকরণের উদ্যোগ সাম্প্রতিককালে গ্রহণ করা হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায়, পয়লা অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২১৫টি জেলায় ৯৬ লক্ষ ৬০ হাজার ৮৭০ জনের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ও ক্রনিক কিডনি রোগের প্রতিরোধ ব্যবস্হা এবং অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধও জাতীয় কর্মসূচি হিসেবে বাস্তবায়িত হয়েছে। ২০২৫এর মধ্যে ভারতকে যক্ষ্মামুক্ত করতে মন্ত্রক জাতীয় স্তরে কৌশলগত পরিকল্পনা ২০১৭-২৫ গ্রহণ করেছে। রোগমুক্ত হতে সাশ্রয়ীমূল্যে ওষুধ ও নির্ভরযোগ্য ইমপ্লান্ট প্রদানের জন্য ২৩টি রাজ্যে প্রকল্প রূপায়ণের মাধ্যমে ১৪৬টি ফার্মেসি চালু করা হয়েছে। এই ফার্মেসিগুলিতে ৫ হাজার ২০০টিরও বেশি ওষুধ অর্ধেক দামে পাওয়া যায়। গত এপ্রিল মাসে নিক্ষয় পোষন যোজনা চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের জন্য প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। পয়লা নভেম্বর অবধি এই প্রকল্পের আওতায় ৪ লক্ষ ৬৯ হাজার জন সুবিধাভোগীকে প্রত্যক্ষ নগদ হস্তান্তরের মাধ্যমে মোট ৪৯ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্হ্য ক্ষেত্রে বিকাশের জন্য মন্ত্রক একাধিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্হা চালু করেছে। অ্যালায়েড ও স্বাস্হ্যসেবা পেশাদারদের তথ্য ভান্ডার পোর্টালে ৩ হাজারেরও বেশি পেশাদার নাম লিখিয়েছেন। স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের বাজেট ড্যাসবোর্ড, সুসংহত স্বাস্হ্য তথ্য প্ল্যাটফর্ম, জাতীয় স্বাস্হ্য পোর্টাল, হাসপাতাল, ইনফরমেশন সিস্টেম, ই-সিজিএইচএস কার্ড প্রদান, কেন্দ্রীয় ড্রাগস মান নিয়ন্ত্রণ সংস্হার ‘সুগম’ নামক অনলাইন পোর্টাল, ড্রাগস অ্যান্ড ভ্যাকসিন ডিসট্রিবিউশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, প্রত্যেকটি লাইসেন্স প্রাপ্ত ব্লাড ব্যাঙ্কের জন্য ই-রক্তকোষ পোর্টাল, মা ও শিশুর ট্র্যাকিং ব্যবস্হা, গর্ভধারণ ও প্রসবকালীন পরিচর্যা সংক্রান্ত তথ্য জানানোর জন্য কিলকরি অ্যাপ কয়েকটি এ ধনেরই উদ্যোগ। টেলিমেডিসিন ব্যবস্হার বিকাশের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। CG/SC/NS (Visitor Counter : 658
pib-298825
1b68068f75a8ea2f3f87447c8a5099c3626fc5eeadcb56a24f154b6ae07ddda9_3
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর প্রধানমন্ত্রী অঞ্জারে এলএনজি টার্মিনাল এবং পাইপলাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন নয়াদিল্লি, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের অঞ্জারে মুন্দ্রা এলএনজি টার্মিনাল, আঞ্জার-মুন্দ্রা পাইপ লাইন প্রকল্প এবং পালানপুর-পালি-বাড়মের পাইপলাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। এই উপলক্ষে, প্রধানমন্ত্রী বলেন, কচ্ছ-এ তিনি যে ভালোবাসা পেয়েছেন, তা অতুলনীয়। কচ্ছ অঞ্চলে বিগত দু-দশকে যে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম হয়েছে, তিনি তার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আজকের কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল রান্নার গ্যাস টার্মিনালের সূচনা, “একসঙ্গে তিনটি এ ধরনের টার্মিনাল উদ্বোধন করতে পেরে, আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি”। শ্রী মোদী বলেন, গুজরাটে যখন প্রথম টার্মিনাল গড়ে উঠেছিল, রাজ্যের মানুষ বিস্মিত হয়েছিলেন। এখন এই রাজ্যে রান্নার গ্যাসের চতুর্থ টার্মিনালটি গড়ে উঠতে চলেছে। গুজরাট ভারতের এলএনজি হাব হয়ে উঠছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই উদ্যোগ প্রত্যেক গুজরাটবাসীকে গর্বিত করবে। যে কোনও দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য এক শক্তিশালী বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা যদি গরিব মানুষের জন্য বিদ্যুতের সংস্হান করতে না পারি, তাহলে আমরা দারিদ্র দুরীকরণও করতে পারব না”। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারা চিরাচরিত পরিকাঠামোর পাশাপাশি আই-ওয়েজ, গ্যাস গ্রীড, ওয়াটার গ্রীড এবং অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের মতো ব্যবস্হাও চাইছেন। পর্যটন ক্ষেত্রে বিপুল সম্ভাবনার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমগ্র বিশ্ব ভারতে আসার জন্য আগ্রহী। কচ্ছে আমরা দেখেছি, শ্বেতশুভ্র কচ্ছের রণ কিভাবে সমগ্র বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। অসামরিক বিমান পরিবহন ক্ষেত্রকে আরও সুলভ করে তোলার পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্হার উন্নতিতে কেন্দ্রীয় সরকার যে সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সে কথাও উল্লেখ করেন। সমস্ত গ্রাম ও জনপদে বিদ্যুৎ সংযোগ সুনিশ্চিত করতে যে সকল প্রয়াস নেওয়া হয়েছে, তার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে। শ্রী মোদী বলেন, “দেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় আমরা গুণগতমানের পরিবর্তন নিয়ে আসতে চাই”। CG/BD/NS/… (Visitor Counter : 137
pib-298826
79a6f9d233592dbcccfa1af7ad5864e69d36106623d2a908f62afeefb7ea7aa5_1
ben
কৃষিমন্ত্রক বিশ্বে বাজরা হাব হিসেবে ভারতকে পরিণত করতে কৃষক উৎপাদক সংগঠনগুলির বড় ভূমিকা রয়েছে নতুন দিল্লি, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুবাই এক্সপো ২০২০-তে ভারতীয় প্যাভিলিয়নে খাদ্য, কৃষি ও জীবন-জীবিকা সম্পর্কিত যে পাক্ষিক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে, তার অঙ্গ হিসেবে ভারতে বাজরা উৎপাদন এবং মূল্য শৃঙ্খল ব্যবস্থায় মানোন্নয়ন সম্পর্কে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এই সেমিনারে সরকারি আধিকারিক ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা বাজরা উৎপাদন ও তার প্রক্রিয়াকরণে ভারতীয় শিল্প সংস্থাগুলির কাছে যে সুযোগ-সুবিধা তৈরি হচ্ছে, সে সম্পর্কে আলোচনা করেন। সেমিনারে বাজরা রপ্তানির সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা হয়। কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব ডঃ অভিলক্ষ লিখি বলেন, আমরা স্টার্ট আপ এবং কৃষক উৎপাদক সংগঠনগুলিকে বাজরার মূল্য শৃঙ্খলে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য আহ্বান জানানোর পাশাপাশি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে একটি উপযুক্ত কাঠামো গঠনের আহ্বান জানায়, যাতে উৎপাদকদের সঙ্গে আরও নিবিড় যোগাযোগ গড়ে তোলা যায়। উল্লেখ করা যেতে পারে, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ভারত সহ ৭০টি দেশের একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, যেখানে ২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী বছর আন্তর্জাতিক স্তরে বাজরা বর্ষ উদযাপনের উদ্দেশ্যই হল মোটা জাতীয় এই দানাশস্যের স্বাস্থ্যগত ক্ষেত্রে উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং জলবায়ুর পরিবর্তিত পরিস্থিতি অনুযায়ী উপযুক্ত কৃষিকাজ পদ্ধতি গ্রহণ। মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব শ্রীমতী শুভা ঠাকুর বলেন, আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষ উপলক্ষে আমরা মোটা জাতীয় দানাশস্য বাজরার পৌষ্টিক উপকারিতা ও মূল্য শৃঙ্খল সম্পর্কে একটি অভিযান গ্রহণের লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছি। সেমিনারে নিউট্রিহাব সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক ডঃ বি দয়াকর রাও বাজরার পৌষ্টিক উপকারিতা সম্পর্কে বলেন, মোটা জাতীয় এই দানাশস্যটির স্বাস্থ্যগত দিক থেকে একাধিক উপকারিতা রয়েছে এবং এই দানাশস্য স্থূলতা ও অপুষ্টি দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর। বাজরায় ভিটামিন, খনিজ ও অন্যান্য পৌষ্টিক উপাদান রয়েছে, যা মলদ্বারে ক্যান্সার এবং বিভিন্ন ধরণের হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প মন্ত্রকের আর্থিক উপদেষ্টা শ্রী কুন্তল সেনশর্মা এই ক্ষেত্রে নীতিগত কর্ম পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক এবছর বাজেটে এই ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে এবং অনুকূল নীতি গ্রহণের দিক থেকে দুটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। এর একটি হল মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ বা ছোট শিল্প সংস্থা গঠন এবং অন্যটি হল এধরণের শিল্প সংস্থাগুলির জন্য উৎপাদন সংযুক্ত উৎসাহভাতা বা পিএলআই কর্মসূচি শুরু করা। এই সেমিনারে একাধিক স্টার্ট আপ ও কৃষক উৎপাদক সংগঠন যোগ দিয়ে কৃষি প্রযুক্তি সম্পর্কে তাদের বিভিন্ন উদ্ভাবনমূলক কৌশল প্রদর্শন করে। সেইসঙ্গে বাজরা ভিত্তিক বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্যকর খাবার প্রদর্শিত হয়। দুবাই এক্সপো ২০২০-তে ভারতীয় প্যাভিলিয়নে খাদ্য, কৃষি ও জীবন-জীবিকা সম্পর্কিত যে পাক্ষিক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে, তা আগামী দোসরা মার্চ শেষ হবে। CG/BD/AS/ (Visitor Counter : 107
pib-298827
31028e5f55f217c4a2740cc26087682a79589b8a21f83aff45d9d479256f986a_3
ben
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক প্রাকৃতিক বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামো বিষয়ে আন্তর্জাতিক কর্মশালা, ২০১৯ সাফল্যের সঙ্গে আয়োজিত হয়েছে নয়াদিল্লি, ২০ মার্চ, ২০১৯ প্রাকৃতিক বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামো বিষয়ে দু’দিনের আন্তর্জাতিক কর্মশালা আজ শেষ হয়েছে। উন্নয়ন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি, বহুপাক্ষিক উন্নয়নমূলক ব্যাঙ্ক, রাষ্ট্রসঙ্ঘ, বেসরকারি ক্ষেত্র, শিক্ষাক্ষেত্র, নীতি সংক্রান্ত চিন্তন গোষ্ঠী থেকে বিশ্বের ৩৩টি দেশের বিশেষজ্ঞরা এই কর্মশালায় অংশ নেন। ভারতের পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান শ্রী এন কে সিং এই কর্মশালায় বলেন, বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামো নির্মাণের জন্য সমবেত উদ্যোগের প্রয়োজন। নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান ডঃ রাজীব কুমার বলেন যে, আগামীদিনগুলিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ যেহেতু গ্রাম থেকে শহরে গিয়ে বসবাস করবেন, তাই সুষম উন্নয়নের অন্যতম প্রধান বিষয় হচ্ছে পুর ক্ষেত্রে বিপর্যয় প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারগুলিকে এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর অতিরিক্ত প্রধান সচিব ডঃ পি কে মিশ্র এই ক্ষেত্রে সমতা আনার জন্য সমাজের দরিদ্র এবং দুর্বলতর শ্রেণীর প্রতি নজর দেওয়া, যে কোন ধরণের উন্নয়নমূলক কাজের ক্ষেত্রে একটি অন্তর্ভুক্ত দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা এবং পরিবেশ প্রতিরোধী পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যত্র কি ধরণের কাজ হচ্ছে সে বিষয়ে খোঁজখবর রাখার ওপর জোর দেন। এই আন্তর্জাতিক কর্মশালায় পরিবহণ, শক্তি, টেলি-যোগাযোগ এবং জল সরবরাহের মতো প্রধান পরিকাঠামো ক্ষেত্রের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি পরিচালনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো কাজটিকে চিহ্নিত করার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে প্রকৃতি-ভিত্তিক উদ্ভাবন এবং নতুন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে পরিকাঠামো নির্মাণ বিষয়েও কর্মশালায় আলোচনা হয়। পরিকাঠামো নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়সম্পদের ব্যবস্থা করা এবং বিমার সংস্থান বিষয়েও বিশেষজ্ঞরা কর্মশালায় আলোচনা করেন। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি প্রস্তাবিত জোট বিষয়েও মতবিনিময় হয়। ২০১৬ সালে নতুন দিল্লিতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ে যে এশীয় মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন হয়েছিল, সেখানে ভারতের পক্ষ থেকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামো সংক্রান্ত জোটের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এবারের প্রাকৃতিক বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামো নির্মাণ সংক্রান্ত এই আন্তর্জাতিক কর্মশালাটি বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় জাতীয় প্রাকৃতিক বিপর্যয় পরিচালন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়। CG/PB/DM (Visitor Counter : 88
pib-298830
b98f60c4f0bd288d65975f11e16c5028bc9805365a20f6dfd1562df979fc4350_1
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর প্রধানমন্ত্রী ২০ জুলাই আগামী কমনওয়েলথ গেমস্-এ অংশগ্রহণকারী ভারতীয় দলের খেলোয়াড় ও কোচদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন নয়াদিল্লি, ১৮ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০ জুলাই সকাল ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২০২২-এর কমনওয়েলথ গেমস্-এ অংশগ্রহণকারী ভারতীয় দলের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। খেলোয়াড় ও কোচ – প্রত্যেকের সঙ্গেই শ্রী মোদী কথা বলবেন। বৃহৎ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আগে খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী সর্বদাই সচেষ্ট থাকেন। গত বছর তিনি ২০২০-র টোকিও অলিম্পিক্স এবং প্যারালিম্পিক গেমস্-এ অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। প্রতিযোগিতা চলাকালীন শ্রী মোদী খেলোয়াড়দের সাফল্যের বিষয়ে খোঁজখবর রাখেন। খেলোয়াড়দের সাফল্য ও একনিষ্ঠ উদ্যোগকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি সরাসরি তাঁদের ফোন করেন এবং উৎসাহিত করেন। এছাড়াও, প্রতিযোগিতা শেষে খেলোয়াড়রা দেশে ফিরে আসার পরপ্রধানমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ২০২২-এর কমনওয়েলথ গেমস্ বার্মিংহামে ২৮ জুলাই থেকে ৮ অগাস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এই ক্রীড়ানুষ্ঠান ১৯ রকম খেলায় ভারত থেকে ২১৫ জন প্রতিযোগী ১৪১টি ইভেন্টে অংশ নেবেন। PG/CB/SB (
pib-298836
f1099de911d3364c39cbb1bddc51c04cc674e5b75893bb743aa49acf95e23800_3
ben
রেলমন্ত্রক এক স্টেশন এক পণ্য নতুন দিল্লি, ৩০ মার্চ, ২০২২ ‘এক স্টেশন এক পণ্য’ ভাবনার মাধ্যমে দেশীয় পণ্য ও কারুশিল্পকে উৎসাহিত করার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় দেশজুড়ে রেল স্টেশনগুলিতে দেশীয় পণ্য ও কারুশিল্প সামগ্রী প্রদর্শন ও বিক্রয় করা হবে। যে স্থান, যে পণ্যের জন্য বিখ্যাত সেখানে সেই সামগ্রীর প্রদর্শন ও বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে। এর মধ্যে আদিবাসীদের তৈরি শিল্প সামগ্রী, স্থানীয় তাঁত শিল্পীদের তৈরি তাঁতবস্ত্র, কাঠের খোদাই, কাপড়ের উপর চিকনকারী এবং জরি-জারদোসির কাজ, মশলা চা, কফি এবং স্থানীয় এলাকায় জন্মানো প্রক্রিয়াজাত/ আধা প্রক্রিয়াজাত খাদ্যবস্তু থাকতে পারে। ভারতীয় রেল, নির্দিষ্ট রেল স্টেশনগুলিতে স্থানীয় উৎপাদকদের তৈরি এইসব পণ্যের প্রদর্শন ও প্রচার করবে এবং বিক্রির জন্য স্টল/ কিয়স্ক/ বিক্রয় কেন্দ্রের ব্যবস্থা করবে। এতে স্থানীয় শিল্পীদের জীবিকার সংস্থান হবে, দক্ষতা বাড়বে। বর্তমানে এসংক্রান্ত একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প রূপায়ণ করা হচ্ছে। পুরো প্রকল্পটির বাস্তবায়নে কত টাকা লাগবে, তা এখনও হিসেব করা হয়নি। রেলের প্রতিটি অঞ্চলে একটি করে পরীক্ষামূলক প্রকল্প চলতি বছরের ২৫শে মার্চ থেকে চালু হয়েছে। ওই অঞ্চলের স্থানীয় একটি পণ্যকে বেছে নিয়ে সেই পণ্যের প্রদর্শন ও বিক্রয়ের জন্য স্টেশনে স্থান বরাদ্দ করার উদ্যোগ নেওয়া রয়েছে। পরীক্ষামূলক প্রকল্পে যেসব স্টেশন চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের রাজ্যভিত্তিক বিশদ বিবরণ : | | চিহ্নিত স্টেশন | | চিহ্নিত পণ্য | | রাজ্য | | অঞ্চল | | ডিভিশন | | পাটনা জংশন | | মধুবনী পেইন্টিং ও এসংক্রান্ত পণ্য | | বিহার | | পূর্ব মধ্য রেল | | দানাপুর | | বিশাখাপত্তনম | | একিকোপ্পাকা খেলনা | | অন্ধ্রপ্রদেশ | | পূর্ব উপকূল রেল | | ওয়াল্টেয়ার | | হাওড়া | | তাঁতের শাড়ি + তাঁতবস্ত্র | | পশ্চিমবঙ্গ | | পূর্ব রেল | | হাওড়া | | গুয়াহাটি | | অসমের গামছা | | অসম | | উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল | | লাংডিং | | বেঙ্গালুরু | | চন্নাপাটনা কাঠের খেলনা | | কর্ণাটক | | দক্ষিণ পশ্চিম রেল | | বেঙ্গালোর | | চেন্নাই সেন্ট্রাল | | কাঞ্চিপুরম শাড়ি | | তামিলনাড়ু | | দক্ষিণ রেল | | চেন্নাই | | তিরুপতি | | কমলকারি শাড়ি এবং বস্ত্র | | অন্ধ্রপ্রদেশ | | দক্ষিণ মধ্য রেল | | গুন্টাকাল | | বালাসোর | | নারকেলের ছোবড়ার পণ্য | | ওড়িশা | | দক্ষিণ পূর্ব রেল | | খড়গপুর | | জলেশ্বর | | রুপো ও পাথরের গয়না | | ওড়িশা | | দক্ষইণ পূর্ব রেল | | খড়গপুর | | নাগপুর | | বাঁশের হস্তশিল্প | | মহারাষ্ট্র | | মধ্য রেল | | নাগপুর | | রাজকোট | | টেরাকোটা/ সেরামিকের পণ্য | | গুজরাট | | পশ্চিম রেল | | রাজকোট | | কোটা | | কোটা দরিয়া শাড়ি | | রাজস্থান | | পশ্চিম মধ্য রেল | | কোটা | | বিলাসপুর | | ডোকরার হস্তশিল্প | | ছত্তিশগড় | | দক্ষিণ পূর্ব মধ্য রেল | | বিলাসপুর | | গোরখপুর | | টেরাকোটা হস্তশিল্প | | উত্তর প্রদেশ | | উত্তর পূর্ব রেল | | লক্ষ্ণৌ | | বেনারস | | আজমগড় কালো মৃত্তিকার সামগ্রী | | উত্তর প্রদেশ | | উত্তর পূর্ব রেল | | বেনারস | | বারাণসী ক্যান্টনমেন্ট | | কাঠের খেলনা | | উত্তর প্রদেশ | | উত্তর রেল | | লক্ষ্ণৌ | | পানিপথ | | তাঁত ও আচার | | হরিয়ানা | | উত্তর রেল | | দিল্লি | | জয়পুর | | সঙ্গনেরী প্রিন্ট সামগ্রী ও জয়পুরি রাজাই | | রাজস্থান | | উত্তর পশ্চিম রেল | | জয়পুর | | আগ্রা ক্যান্টনমেন্ট | | মার্বেলের হস্তশিল্প | | উত্তর প্রদেশ | | উত্তর মধ্য রেল | | আগ্রা লোকসভায় আজ এক প্রশ্নের লিশিত উত্তরে রেল, যোগাযোগ এবং বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ এই তথ্য জানিয়েছেন। CG/SD/SKD/ (Visitor Counter : 211
pib-298844
a12e31f699d3af966eb99dbcc6dead126394e6359f421c684abc385f5d5e419d_1
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর ফরাসি রাষ্ট্রপতির কূটনৈতিক উপদেষ্টা ইমানুয়েল বন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন নয়াদিল্লি, ৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ফরাসি রাষ্ট্রপতি মাননীয় শ্রী ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ-র কূটনৈতিক উপদেষ্টা শ্রী ইমানুয়েল বন আজ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় কৌশলগত অংশীদারিত্ব সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভারত-ফ্রান্স ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ওপর আলোকপাত করেন। ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বের ক্ষেত্রে ফ্রান্সের সমর্থনকে প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানিয়েছেন। শ্রী বন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে রাষ্ট্রপতি শ্রী ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ-র পক্ষ থেকে বন্ধুত্বের বার্তা জানান এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শ্রী অজিত দোভালের সঙ্গে আজ তাঁর কৌশলগত বিষয়ে বার্তালাপের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করেন। শক্তি, সংস্কৃতি সহ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়েও তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। বালি-তে সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রঁ-র সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কথা প্রধানমন্ত্রী তাঁকে জানান এবং রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রঁ-কে ভারত সফরের আমন্ত্রণও তিনি জানান। শ্রী বন বলেন, রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রঁ যত শীঘ্র সম্ভব ভারত সফরের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। PG/AB/DM (