text
stringlengths 121
187k
|
---|
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি পূর্ণাঙ্গ হলেও রাজপথে নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হচ্ছে না। উল্টো নেতাকর্মীদের মাঝে দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছে। অভিযোগ রয়েছে, দলের দুঃসময়ে যারা রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রম করেছেন সেই ত্যাগী নেতারাই অবমূল্যায়িত হয়েছেন। পাশাপাশি ক্ষমতাসীদের সাথে আতাঁতকারী পদ-পদবী হাকিয়ে নিয়েছেন। তাই নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি'র পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। সভাপতি কাজি মনিরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের পছন্দে বিতর্কিতদের দিয়ে কমিটি গঠন আর যোগ্যদের অবমূল্যায়ণের কারনে দিনকে দিন তৃণমূলের মাঝে ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হচ্ছে। অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি'র পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদনের খবর দিয়েই সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালের বিদেশ উড়াল দেওয়ায় হতাশা তৈরী হয়েছে মহানগর বিএনপি'র নেতাকর্মীদের ভিতরে। সেখানেও ত্যাগীদের মূল্যায়ণ না করে সরকারী দলের সাথে আতাঁতকারীদের পূণর্বাসন করে কমিটি জমা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সভাপতি এড. আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালের বিরুদ্ধে। সূত্রে প্রকাশ, গত ১৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি'র ২০৫ সদস্যের জাম্বু কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটি অনুমোদনের খবর নিশ্চিত করলেও তালিকা প্রকাশ করতে অনীহা জ্ঞাপণ করেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। অবশেষে পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদনের প্রায় এক মাস পরে সেই তালিকা গনমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। নেতাকর্মীরা মনে করেন, তালিকা প্রকাশে লুকোচুরির কারন হলো সভাপতি সেক্রেটারীর পদ বানিজ্য। এ সময়ের মধ্যে তারা নাকি উচ্চ মূল্যে পদ কেনাবেচা করেছেন। তাছাড়া কমিটিতে এড. আজাদ বিশ্বাসসহ একাধিক বিতর্কিত ব্যক্তিকে পদায়নের খবরেও উত্তেজিত হয়ে পরে তৃণমূল। কমিটিতে জেলা যুবদল ও জেলা শ্রমিক দলের নেতাদেরকে মূল্যায়ণ না করে সুস্পষ্ট পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ মনির মামুনের বিরুদ্ধে। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি'র ২০১ সদস্যের কমিটি অনুমোদনের সংবাদ গনমাধ্যমে নিশ্চিত করেন সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল। কিন্তু এ ঘটনার কয়েকদিনের মাথায় আমেরিকার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন কামাল। ফলে এ কমিটি নিয়ে হতাশা তৈরী হয় নেতাকর্মীদের মাঝে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি'র পূর্ণাঙ্গ কমিটি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত সময়ে বিএনপি'র পদ পদবী ব্যবহার করে সরকারী দলের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা নেতাদের বহিস্কারের বদলে পুরস্কিত করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি'র পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে জমা দেওয়ায় ঝুলে গেছে সেই কমিটি। বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের টেবিলে আটকে আছে সেই কমিটির অনুমোদন। কেন্দ্রীয় বিএনপি'র একাধীক সূত্র নিশ্চিত করেছে বিষয়টি। সূত্রে প্রকাশ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি'র ১৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদনের খবর পাওয়া গিয়েছিলো কয়েকদিন আগে। বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল বলেছিলেন, নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদনের খবর পেয়েছি তবে কমিটির কপি এখনো হাতে পাইনি। তবে কেন্দ্রীয় বিএনপি'র একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছিলো, পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আগের কমিটির কিছু রদবদল করা হয়েছে। আংশিক কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খানতে ৩য় সহ সভাপতি করা হয়েছে আর ১ম সহ সভাপতি করা হয়েছে নুরুল ইসলাম সর্দারকে আর ২য় সহ সভাপতি করা হয়েছে আতাউর রহমান মুকুলকে। আর সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে প্রমোশন দিয়ে যুগ্ম সম্পাদক করা হয়েছে শওকত হাশেম শকুকে। এ ধরনের বিতর্কিত কমিটি অনুমোদনের খবরে নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছিলো নেতাকর্মীদের মাঝে। গত কয়েক বছর রাজপথে দুর্বার আন্দোলন সংগ্রাম বারবার জেল খাটা সত্বেও এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের ডিমোশন আর গত নির্বাচনে সরাসরি বিএনপি'র বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে লাঙ্গল প্রতীকের পক্ষে কাজ করা আতাউর রহমান মুকুল আর শওকত হাশেম শকুর প্রমোশনে কমিটির গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। তাছাড়া এভাবে যদি রাপথের পরীক্ষিত নেতাদের অবমূল্যায় করা হতে থাকে তাহলে বিএনপি'র আন্দোলন সংগ্রাম করার মতো আর তৃণমূল কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবেনা বলে শংকা প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি'র সহ সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হাশেম শকু, দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকারসহ একাধীক নেতা পদ পদবীতে বিএনপি ব্যবহার করলেও বিএনপি'র কোন আন্দোলন সংগ্রামে কখনো অংশ নেননি বরং সরকারী দলের এমপিদের সাথে ছিলো তাদের উঠা বসা। এমনকি গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলীয় প্রতীক ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে না থেকে প্রকাশ্যেই অবস্থান নিয়েছিলেন সরকারী দলের প্রার্থীর পক্ষে। দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নেয়া এসব নেতাদের বিরুদ্ধে তাই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী উঠেছিলো তৃলমূলে। দল থেকে এসব নাম সর্বস্ব নেতাদের বহিস্কারের দাবীতে অনঢ় ছিলো নেতাকর্মীরা। আশা করেছিলো কমিটি পূণর্গঠনের সময়ে বাদ দেয়া হবে এসব বেঈমান নেতাদের। সেই সাথে এসব নেতাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়া মহানগর বিএনপি'র সভাপতি এড. আবুল কালামের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ছিলো তৃণমূলের। দীর্ঘদিন যাবত আন্দোলন সংগ্রামে অনুপস্থিত থেকে এড. আবুল কালাম এ পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন বলে অভিমত নেতাকর্মীদের। তাছাড়া কালামের প্রশ্রয়েই মুকুল শকুরা দলের মধ্যে থেকে দলের বিরোধীতা করেছেন বলেও অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তাই মহানগর বিএনপি'র পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি প্রাধান্য পাবে বলে আশা ছিলো মামলা হামলায় জর্জরিত নারায়ণগঞ্জ বিএনপি'র নেতাকর্মীদের।
|
ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে সোমবার বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনে প্রস্তুত দেশের মুসলিমরা। রাজধানী ঢাকা, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ও দিনাজপুরসহ সারাদেশে ঈদের জামাত আয়োজনের জন্য ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হবে ৪০০টিরও উপরে ঈদের জামাত। ঈদের জামাত শেষ হওয়ার পর কুরবানি। তারপর? তারপর কেমন হবে ঢাকার ঈদ? কেমন করে ঈদ কাটায় ঢাকাবাসী?
ঐতিহ্যগতভাবে ঈদের দিনকে আনন্দের দিন বলা হলেও ডেঙ্গু আতঙ্কের কারণে সে আনন্দে খানিকটা ভাটা পড়বে এতে কোন সন্দেহ নেই। তারপরও আনন্দ উদযাপনে কমতি নেই ঢাকাবাসীর। কেননা বাঁধভাঙা হৈ-হুল্লোড়, ঘোরাঘুরি, পাড়া-মহল্লায় আড্ডা, ঢাকার ঈদ আনন্দের সংস্কৃতি বছরের পর বছর অনেকটা এরকমই।
এ বিষয়ে কথা হয় ধানমন্ডির ইউল্যাবের শিক্ষার্থী ফারিয়ার সাথে। তিনি জানান, ঈদের দিন বিকেলে রিকশায় চড়ে ঘুরে বেড়াবেন বান্ধবিদের নিয়ে। ঘোরাঘুরির কোন গন্তব্য থাকবে না। চলতে চলতে যেখানে যেতে মন চায় যাবেন; হুট করে ঢুকে যাবেন কোন রেস্টুরেন্টে। কেবল কফি খাবেন। কারণ বাসায় তখন রান্না হতে থাকবে কুরবানির গোশত। যদি বৃষ্টি নামে? এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, 'এটাই তো চাই। এতে ঈদের আনন্দে নতুন মাত্রা যোগ করবে।'
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ নিভু নিভু গলায় বলেন, 'এবারের ঈদটা হয়তোবা আমার জন্য পানসে হয়ে যাবে। আম্মু-আব্বুর কড়া নির্দেশ বাসা থেকে বের হওয়া যাবে না। ডেঙ্গুর আতঙ্ক দূর না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে। শুধু আমার না, এমন অবস্থা আমার প্রায় সব ক্লাসমেটেরই।'
ঈদের দিনটিতে ঢাকার চিরচেনা যানজটমুখর রাস্তা অনেকটাই থাকবে ফাঁকা। মাঝেমধ্যেই হুঁস করে বেরিয়ে যাবে মোটরসাইকেল আরোহী তরুণের দল। অনেকে বের হবে পিকআপ ভ্যান নিয়েও। মিরপুরে এমন একটি দলের সাথে কথা হয় আমার। তারা বলেন, 'পনেরো-বিশজন বন্ধু মিলে পিকআপ ভ্যান ভাড়া করে ঘুরে বেড়াই প্রতি ঈদেই। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না। সবাই এডিশ মশার প্রোটেক্ট সংগ্রহ করেছি। কোন সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ।'
ভিড় জমবে ঢাকার সিনেমা হলগুলোতে। পরিবারের সবাই একসাথে যাবে সিনেমা দেখতে। বাংলাদেশে চলচ্চিত্রের এখন বেহাল দশা। তবুও ঈদ মৌসুমেই সবচেয়ে বেশি চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। এসব চলচ্চিত্রের দর্শক মূলত নিম্ন আয়ের মানুষ। এদের ঈদ আনন্দ অনেকটা চলচ্চিত্রকেন্দ্রিক। আর বিভিন্ন পার্ক, ধানমন্ডি-গুলশান লেক আর হাতিরঝিল তো আছেই। উচ্চবিত্তদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন বার বা দেশের বাইরের বিভিন্ন স্পট।
বনানীর অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের একটি ফ্ল্যাটে কথা হয় ডাক্তার জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে। তিনি জানান, সবসময় ঢাকাতেই ঈদ করেন তিনি। ঈদের দিনে পরিবার-পরিজনের সাথে বাসাতেই টিভি দেখে সময় কাটান, তেমন একটা বের হন না। এবার তো আরও বের হবেন না। তিনি সিটি মেয়রের উপর কিছুটা ক্ষোভও ঢালেন ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের প্রসঙ্গটি তুলে।
এতসব সমস্যার পরও অবশ্য দেখা যাবে ঢাকার বিভিন্ন মহল্লায় এ প্রজন্মের অনেক তরুণ-তরুণীকে। যারা বৃষ্টিমুখর ঈদের দিনটিতেও ছাতাবিহীন দলবেঁধে হৈচৈ করছে অথবা কাঠফাটা রোদে সানগ্লাস চোখে ঘুরে বেড়াচ্ছে দিগ্বিদিক। এমনটাই মনে করেন কবি জেবুন্নেসা মায়া। তিনি বলেন, 'ঘরে বসে বড়জোর বিশ্রাম করা যায়। আনন্দ পাওয়ার জন্য অথবা আনন্দ প্রকাশের জন্য বাইরে খোলা আকাশের নিচে বের হওয়ার বিকল্প নেই।' এমন মতামতকে সমর্থন প্রদান করেছেন মনোবিদ আলাম নাশরাক।
আবার রয়েছে উল্টো রথও। সে রথের সদস্যরা সময় কাটাবে মুঠোফোন বা মনিটরের স্ক্রিনে। এ সংখ্যা নেহায়েত কম না। অনেকের ধারণা ঢাকার প্রতি একশ জনের মধ্যে ষাট জনই নাকি এভাবে ঈদ কাটাবে। এ ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলাম জব্বর আরমানের কাছে। তিনি বলেন, 'আমরাও ঘোরাঘুরি কিংবা আত্মীয়-বন্ধুদের সাথে দেখা করে সময় কাটাবো। এর পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যবহার করে দূরে থাকা বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করে আরও বাড়িয়ে নেব আমাদের ঈদ আনন্দ।
|
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৩৮৩ জন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭ হাজার ৫২ জন। আর মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০ লাখ ৫৯ হাজার ৫৩৮ জনে।
আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
|
নুন্যতম মজুরী বোর্ডের শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশ গার্মেন্টস টেক্সটাইল শ্রমিক লীগের সভাপতি জেডএম কামরুল আনামের নাম অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার শ্রম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ প্রস্তাবের কথা জানায় শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। তবে শ্রম বিধিকেও অনুসরণ করারও আহ্বান জানান তারা।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মো. মজিবুল হক চুন্নু। এতে প্রায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক নেতা উপস্থিত ছিলেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা যায়। শ্রম প্রতিমন্ত্রী শ্রমিকদের কল্যাণে তার মন্ত্রনালয় কি কি কাজ করেন এসব তথ্যও তুলে ধরেন।
নুন্যতম মজুরী বোর্ডে শ্রমিক প্রতিনিধি মনোনয়ন প্রসঙ্গ এলে তিনি বলেন, শ্রমিকদের অনেক ফেডারেশন। তাই তার পক্ষে এককভাবে শ্রমিক প্রতিনিধি মনোনয়ন করা কঠিন। তবে নূন্যতম মজুরী বোর্ডে শ্রমিকদের প্রতিনিধি নির্বাচনে বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা মেনে তিনি মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে শ্রমিক নেতাদের আশ্বস্থ করেন।
শ্রমিক নেতারা এ সময় শ্রম প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যে সমর্থন জানিয়ে তারা শ্রম বিধি মালা ১২১ মোতাবেক শ্রমিক প্রতিনিধি মনোনয়ের জন্য তাকে পরামর্শ দেন। শ্রমিক নেতারা বলেন, শ্রম বিধান অনুসারে শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি মনোনয়ন করতে হলে তৈরি পোশাক খাতে সর্বাধিক ফেডারেশন প্রতিনিধিত্ব করে এমন ফেডারেশন থেকে প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া। তবে পোশাক খাত থেকে প্রতিনিধি পাওয়া না গেলে, সরকার জাতীয় ফেডারেশন থেকে প্রতিনিধি মনোনয়ন দিতে পারে। তাই ১৬ ফেডারেশনের পক্ষে বেশীরভাগ শ্রমিক নেতারা ইন্ডাস্ট্রি অল বাংলাদেশ (আইবিসি) পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়া যেতে পারে বলে মতামত দেন।
গার্মেন্টস খাতের শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি বোর্ড গঠনের লক্ষ্যে সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিলেও শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি ঠিক করা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। শুরুতে জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদকে শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে প্রস্তাব করা হলেও বেশিরভাগ শ্রমিক সংগঠন আপত্তি দেওয়ায় এ জটিলতা তৈরি হয়। এ কারণে আটকে আছে মজুরি বোর্ড গঠনের ঘোষণা।
এদিকে গার্মেন্টস মালিকপক্ষ ইতিমধ্যে তাদের নামের প্রস্তাবও মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এছাড়া মালিক ও শ্রমিক পক্ষের দুইজন স্থায়ী প্রতিনিধি, সরকারপক্ষের প্রতিনিধি ছাড়াও নিরপেক্ষ প্রতিনিধি রয়েছেন।
সর্বশেষ ২০১৩ সালের জুনে গঠিত মজুরি বোর্ড ওই বছরের ডিসেম্বরে গার্মেন্টস খাতের শ্রমিকদের জন্য ৫ হাজার ৩০০ টাকা সর্বনিম্ন মজুরি ঘোষণা করে। ওই বোর্ডে শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি। দেশে এ খাতের শ্রমিকদের জন্য ১৯৮৪ সালে প্রথম মজুরি ঘোষণা করা হয়। ওই সময় শ্রমিকদের ন্যুনতম মোট মজুরি ছিল ৬৩০ টাকা। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে ৯৩০ টাকা, ২০০৬ সালে ১ হাজার ৬৬২ টাকা, ২০১০ সালে ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়।
|
১৪/০৭/২০২০ইং দুপুরের দিকে বিদ্যালয় মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে প্রধান শিক্ষক শুধাংশু শেখর তালুকদারের কাছে যান। তিনি আব্দার করে বলেন সাইকেল স্ট্যান্ড দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করবেননা। চলাচলের জন্য এখানে স্থানীয়দের অল্প রাস্তা আছে। তাতে কোন রকমে একটি রিক্সা চলাচল করতে পারতো। এখন সাইকেল স্ট্যান্ডের দেওয়ালটি এমনভাবে তৈরি করেন যাতে সম্পূর্ণ রাস্তাটি বন্ধ না হয়ে যায়। অন্তত চলাচলের জন্য অল্প হলেও রাস্তা থাকে। এখানে বসবাসরত পরিবারগুলো ঘরবন্দী না হয়ে পড়ে।
এই প্রস্তাবে প্রধান শিক্ষক উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাকে কুকুর, পশুর বাচ্চা বলেও অশালীন কথা বার্তাও বলেন। এ বিষয়ে কোন কথাই তিনি শুনতে চাননা বলে জানান। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির আবারও কথা বলতে চাইলে সহকারী প্রধান শিক্ষক নূরে আলম সিদ্দিকী মামুন আব্দুল কাদিরকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। আব্দুল কাদির এতে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে ধরাধরি করে বাড়ি নিয়ে যান। প্রাথমিক সেবা শশ্রæষা করলে তিনি সুস্থ হন।
তাই এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং এই ঘটনার সাথে জড়িত প্রধান শিক্ষক এবং সহযোগীদের শাস্তির দাবী জানাই।
|
Home/জানা অজানা/দুবেলা রুটির জন্য ছটফট করা পরিবারের মেয়ে আজ পুলিশ অফিসার। এটি কিভাবে সম্ভব হল, জানুন বিস্তারিত.....
আপনি নিশ্চয় এমন অনেক গল্পই শুনেছেন, যেখানে মানুষ প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে থেকেও তাদের স্বপ্ন পূরণ করেছেন। তবে এটাও সত্য, যারা এই কঠিন পরিস্থিতিকে পিছনে ফেলে তাদের লক্ষ্যে অবিচল থাকে, তাদের কাছে কি সংস্থান, কি অর্থ এবং কি আরাম, সবকিছুই সমান হয়ে যায়। আজকে আমরা আপনাদের যে মেয়েটির কথা বলতে যাচ্ছি, তারও এই একই আবেগ ছিল।
ভেবে দেখুন, যে বাড়িতে সকালের খাবারের পরে সন্ধ্যের রুটির কোনো গ্যারান্টি নেই, সেই বাড়ির মেয়ে কি লক্ষ্য নির্ধারণ করবে? এই পরিস্থিতিতেও তিনি পুলিশ অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং তা পূরণও করেছিলেন। এখানে যে মেয়েটির কথা বলা হচ্ছে, তার নাম হলো তেজল আহের। যিনি মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার বাসিন্দা।
তেজলের সাফল্য হল যে, তিনি মহারাষ্ট্র সরকার কর্তৃক পরিচালিত পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সফল ভাবে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তেজল বলেছেন যে, তিনি নিজেই নাসিক জেলায় গিয়ে এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। তার বাড়ির আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ থাকার কারণে, তিনি কোনো কোচিং সেন্টারে যোগদান করেনি। তিনি নিজেই স্ব-অধ্যায়ন শুরু করেছিলেন।
তার ফলস্বরূপ, তিনি আজ 'মহারাষ্ট্র পাবলিক সার্ভিস কমিশন' পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে অফিসার হয়েছিলেন। তেজল বলেছেন যে, তার মা শৈশব থেকেই তাকে অফিসার করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার মা শৈশবে প্রায়ই বলতেন যে, একদিন তার মেয়ে অবশ্যই পুলিশ অফিসার হবে। তেজল তার মায়ের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছিল। তেজল তার প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার 15 মাস পরে, যখন বাড়ি ফিরে এলেন তখন তার শরীরে পুলিশ ইউনিফর্ম এবং তার কাঁধের তারাটি দেখে পুরো পরিবার আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়েছিল।
তার বাবার গর্বে বুক ভরে গিয়েছিল। তেজলের শৈশবকাল এতটাই খারাপ ছিল যে, তার পরিবার একবেলার রুটি জোগাড় করতে পারলেও, আর দুবেলার খাবার জোগাড় করতে পারতেন না। এই পরিস্থিতিতে তেজলের পুলিশ অফিসার হওয়া সত্যিই সমাজের জন্য এক অন্যতম উদাহরণ। তেজল সমস্ত দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, পরিস্থিতির ভয়ে কখনোই তাদের নিজের লক্ষ্যের থেকে পিছিয়ে আসা উচিত নয়। আশা করা যায় যে, তিনি এই পদটির দায়িত্ব সম্পূর্ণ সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করবে।।
|
নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গামাটি, ১৪ অক্টোবর ॥ মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ আরাকান আর্মির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা বহুল আলোচিত ডাঃ রেনিন সুয়েকে অবশেষে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে অভিযান পরিচালনা করে রাত সাড়ে তিনটার দিকে রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার ইসলামপুরের একটি নির্মাণাধীন মসজিদ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, নেদারল্যান্ডসের একটি পাসপোর্ট, সে দেশের একটি সনদ, ইসলামী ব্যাংকের একটি এটিএম কার্ড এবং ভারতীয় ও বাংলাদেশী মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে। আটকের পর তাকে রাজস্থলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইন ও বিদেশী অনুপ্রবেশ আইনে দুটি মামলা রয়েছে। ধরা পড়ার পর বিদেশী মুদ্রা রাখার দায়ে তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
রাজস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অহিদ উল্লাহ সরকার জানান, তাকে গ্রেফতারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে সোর্স লাগিয়ে রাখা হয়েছিল। সোর্সের খবরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে, গ্রেফতারের পর রেনিন সুয়ে প্রাথমিকভাবে পুলিশকে জানিয়েছে, ঘটনার পর তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যান। গত ১২ অক্টোবর তিনি দিল্লী থেকে আসেন। তার স্ত্রী ও দু'সন্তান কোথায় আছে এখনও জানা যায়নি। পুলিশ জানায়, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া করা এই আরাকান আর্মির শীর্ষ নেতা অত্যন্ত সুচতুর। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানায়। গ্রেফতারকৃত ডাঃ রেনিন আরাকান আর্মির সেকেন্ড ইন কমান্ড বলেও পুলিশের একটি সূত্রে জানানো হয়েছে।
|
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়। এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।
|
গত ৭ মে চিত্রনায়িকা সাহারা তার বিবাহিত জীবনের তিন বছর পূর্ণ করেছেন। বিয়ের পর স্বামী, সংসার নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন তিনি। এবার নিজেকে গুছিয়ে অভিনয়ে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ২০১৫ সালের ৭ মে মনির সঙ্গে বিয়ের পর স্বামী, সংসার আর নিজেকে নিয়ে এতটাই ব্যস্ত সময় পার করেছিলেন যে অভিনয়ে ফেরার কোনো সুযোগ ছিল না। তাই দেখতে দেখতে অভিনয়ের আঙ্গিনা থেকে দূরে থেকে তিন বছরই কেটে গেল। এখন সবকিছুই গুছিয়ে এনেছেন তিনি। অভিনয়ে ফেরার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতও তিনি।
সাহারা বলেন, 'বিগত তিনটি বছর আমি সংসার জীবনেই সময় দিয়েছি। মেয়েদের জীবনের পরিপূর্ণতার জায়গা হচ্ছে স্বামী আর সংসার। তাই নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। এখন ভাবছি ভালো গল্প পেলে চলচ্চিত্রে অভিনয় করব। সেভাবেই এখন নিজেকে প্রস্তুত করছি। আশা করছি শিগগিরই অভিনয়ে ফিরতে পারব। আমার বিশ্বাস আমার মনের মতো চরিত্র পেলে আবার নিজেকে সেই আগের মতোই চলচ্চিত্রে উপস্থাপন করতে পারব।'
শুধু চলচ্চিত্রেই নয় সাহারার ইচ্ছে আছে ভালো কোনো প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপনে কাজ করার। এ দিকে সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকলে বিগত কয়েক বছর সাহারা তার 'সাহারা ফ্যাশন হাউজ' নিয়েও বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছেন। রাজধানীর পুলিশ প্লাজা ও বনানীতে তার দু'টি শোরুমও রয়েছে। এই দু'টি শোরুমের জন্যও তাকে বেশ সময় দিতে হয়। সবমিলিয়ে সংসার জীবন আর ফ্যাশন হাউজ নিয়ে সাহারা পুরোদস্তুর ব্যস্ত। তবে অভিনয়ে ফিরতে চান তিনি হৃদয়ের টানে। যে চলচ্চিত্র তাকে পরিণত করেছে একজন পূর্ণাঙ্গ নায়িকায় সেই চলচ্চিত্রে তিনি নিজেকে আবারো ব্যস্ত রাখতে চান। অবশ্য এ জন্য তিনি তার মনের মতো গল্প আর চরিত্র পেলেই ফিরবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। ২০০৪ সালে শাহাদাৎ হোসেন লিটনের নির্দেশনায় 'রুখে দাঁড়াও' চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে নায়িকা হিসেবে সাহারার অভিষেক হয়। ২০০৮ সালে বদিউল আলম খোকন পরিচালিত শাকিব খানেরই বিপরীতে 'প্রিয়া আমার প্রিয়া' চলচ্চিত্রের ব্যাপক সাফল্যে আলোচনায় আসেন সাহারা। এটি ২০০৮ সালের সবচেয়ে ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র হিসেবে বিবেচিত হয়।
শুরু হয় সাহারার নায়িকা জীবনের নতুন অধ্যায়। যে অধ্যায়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেক নির্মাতা, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন চন্দন চৌধুরী, শাহ মোঃ সংগ্রাম, শাহীন সুমন ও এম বি মানিক, কাজী হায়াৎ, আহমেদ নাসির, রয়েল বাবু, স্বপন চৌধুর, কমল সরকার, শেখ নজরুল ইসলাম, গাজী মাহবুবসহ আরো অনেকে। সাহারা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র রাজু চৌধুরী পরিচালিত 'তোকে ভালো বাসতেই হবে'। এরপর তাকে আর নতুন কোনো চলচ্চিত্রে অভিনয়ে দেখা যায়নি। খুব ছোটবেলা থেকেই সাহারা নাচ শিখেছেন নৃত্য পরিচালক আজিজ রেজার কাছে। সাহারা প্রায় চল্লিশটিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
|
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবার আগে চট্টগ্রাম ৭ আসনের সংসদ সদস্য ড. হাছান তার নিজ উপজেলা রাঙ্গুনিয়ায় শিল্পকলা একাডেমির সাংস্কৃতিক উৎসব উদ্বোধন কালে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে নিজেদেশের ঐতিহ্য সংরক্ষণের শ্রেষ্ঠচর্চা হিসেবে বর্ণনা করেন এবং বলেন, শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা জঙ্গি ও উগ্রবাদী ধারণা থেকে মানুষকে মুক্ত রাখতে বড় ভূমিকা রাখে।
শরাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন বড়ুয়ার সভাপতিত্বে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
উইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক (১৩ জুলাই): সবচাইতে কম দামে তৈরি পোশাক পাওয়া যাওয়ার কারণে এখনো বিদেশি ক্রেতাদের বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহের কোন ঘাটতি দেখা দেয়নি। (খবরঃ রয়টার্স)
খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র গত মাসে দেশটিতে বাংলাদেশের অগ্রাধিকারমূলক বাজার-সুবিধা (জিএসপি) স্থগিত করলেও বিদেশি ক্রেতাদের বাংলাদেশের পোশাকের প্রতিই সবচেয়ে বেশি আগ্রহ।
সস্তা শ্রমের কারণে বাংলাদেশে তৈরি পোষাকের দাম সবচাইতে কম উল্লেখ করে খবরে আরো বলা হয়, সবচেয়ে সস্তায় পোশাক পাওয়া যায় বলে এ মুহূর্তে ক্রেতাদের মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার আশঙ্কা নেই।
সম্প্রতি রানা প্লাজা ধসে এক হাজার ১৩২ জন ও তাজরীন ফ্যাশনের অগ্নিকান্ডে ১১২ জন শ্রমিক নিহত হলে আন্তর্জাতিক মহলের অনেকেই আশঙ্কা করেছিলো যে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক থেকে অনেক নামীদামি ব্র্যান্ড মুখ ফিরিয়ে নিবে। কিন্তু বাস্তবতায় আন্তর্জাতিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠনগুলো বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বর্জনের বদলে এই খাতকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছে।
রয়টার্স ভারত, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলো বলে উল্লেখ করে খবরে বলে প্রতিষ্ঠানগুলো স্বীকার করেছে তাদের কাছে এখনো আন্তর্জাতিক ক্রেতারা তেমন যায় না। প্রতিষ্ঠানগুলো আরো জানায় এখনো তৈরি পোষাক খাতে বাংলাদেশই সেরা।
|
বিমান বিধ্বংসী মিসাইল তৈরি করছে বাংলাদেশ!
প্রচ্ছদ » দেশ » বিমান বিধ্বংসী মিসাইল তৈরি করছে বাংলাদেশ!
সামরিক দিক থেকে দিন দিন ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। দেশের সমরাস্ত্র কারখানায় অত্যাধুনিক বিমান বিধ্বংসী মিসাইল তৈরি করতে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আর এজন্যে আর্মস ফ্যাক্টরিতে নিরলস কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, অত্যাধুনিক বিমান বিধ্বংসী মিসাইল এফএন-১৬ (FN-16) খুব দ্রুত প্রকাশ্যে আনা হবে। এই মিসাইল তৈরির ফলে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী একটি নতুন মাত্রা অর্জন করবে যা বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে নতুন পরিচিতি এনে দেবে বলে ইতিমধ্যে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন আগে চীন থেকে দুটি সাবমেরিন কিনেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। শুধু তাই নয়, রাশিয়া থেকেও একাধিক সমরাস্ত্র কেনার কথা রয়েছে সরকারের।নিজেদের সামরিক শক্তি ক্রমশ বাড়িয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।
|
পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন অফ উখিয়া (পুশাউ) এর উদ্যোগে উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক সেমিনার এবং গেট টুগেদার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ( ২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩ টায় উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উখিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী,প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসাইন সিরাজী এবং সিনিয়র শিক্ষক হাবিবুর রহমান।বিশেষ বক্তা হিসেবে ছিলেন উখিয়া স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর সভাপতি এবং পুশাউ এর প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ রাসেল,ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন অফ উখিয়া(ডুসাট) এর সভাপতি নুরুল আজিম মুন্না এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহেদুল ইসলাম জাহিদ প্রমুখ ব্যক্তিত্ব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন,রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে আমরা উখিয়াবাসি একটি সংকটময় মুহূর্ত পার করছি। ক্যাম্প প্রতিষ্ঠার পর থেকে উখিয়ার ছেলেমেয়েদের মধ্যে অল্প শিক্ষা নিয়ে চাকুরীর প্রবণতা দেখা দিয়েছে।ক্ষেত্রবিশেষে একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা পর্যন্ত ক্লাস বাদ দিয়ে ক্যাম্পে চাকুরী করছে।আমি অত্র সংগঠনের মাধ্যমে উখিয়ার এই পরিস্থিতিকে পরিবর্তনের আহবান করছি।সর্বোপরি কে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সেটা মূখ্য বিষয় নয়,যোগ্যতার ভিত্তিতে সংগঠনের নেতৃত্ব আসুক সেই প্রত্যাশা করছি।
প্রধান বক্তা আবুল হোসাইন সিরাজী বলেন,রোহিঙ্গা কবলিত এলাকা হওয়ার কারণে উখিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থা কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বের হয়ে,আমাদেরকে মানসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।আর ছাড় দেয়ার প্রবনতা মাথায় রেখে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
|
মুক্তমন রিপোর্ট, ঢাকা : রাজধানীর মিরপুরের পাড়া মহল্লায় চলছে জমজমাট জুয়ার আসর। তিন তাস, কাইট, হাজারী ও কেরামসহ বিভিন্ন আইটেমের জুয়ার আসরে লাখ লাখ টাকার কারবার চলছে। ক্লাব, রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠনের অফিস, সমিতির অফিস, মার্কেট ও দোকান ঘরে এসব আসরে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, এলাকার মাস্তান, পেশাদার ছিনতাইকারী, ছিঁচকে চোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এমনকি দিনমজুরও অংশগ্রহণ করছে। কোনো কোনো এলাকায় জুয়ার আসরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একাধিক মাদকের স্পট। চলছে নির্বিঘ্নে মাদক বেচাকেনা। উঠতি বয়সিরা জুয়া ও নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। এ নিয়ে অবিভাবকরা উদ্বিগ্ন। আবার জুয়ার আসরকে ঘিরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের আনাগোনাও বেড়ে যায়। গত সোমবার দিবাগত রাত ৯ টার দিকে কাফরুল থানার এস.আই পুলকের নেতৃত্বে মিরপুর-১৩ নম্বরস্থ ইমান নগর এলাকার চিহ্নিত কয়েকটি জুয়া ও মাদকের আসরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ছয় জনকে গ্রেফার করেছে।
|
১৮ অক্টোবর ২০১৯ - ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলিতে এক ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী নিহত হয়েছেন সে দেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে রাজশাহী জেলা বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেনেন্ট কর্নেল ফেরদৌস মাহমুদ বিবিসিকে জানিয়েছেন, বিএসএফের সৈন্য নিহত হবার কোন তথ্য প্রমাণ পায়নি বিজিবি।
ছবির কপিরাইট NurPhoto Image caption দুই দেশের সীমান্তে মাছ ধরাও বিরোধপূর্ণ হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এই ঘটনাকে 'অনাকাঙ্খিত এক দুর্ঘটনা' বলে বর্ণনা করেছেনএবং জানিয়েছেন যে এই ঘটনার পর দুই বাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের মধ্যে যোগাযোগ চলছে।
|
আশাশুনি উপজেলার বৃহত্তর মোকাম বুধহাটা বাজারের তরকারি বাজার হতে সুবর্ণ বণিক পাড়া সড়কের বেহাল দশা ও ড্রেনের দুর্গতিতে এলাকার মানুষ বিপদাপন্ন হয়ে পড়েছে।
সুবর্ণ বণিক পাড়ার বকুল তলা মোড় হতে তরকারি বাজার এবং একই স্থান হতে কাছাড়ি বাড়ি সড়ক পর্যন্ত সড়কটি এলাকার মানুষের যাতয়াতের একমাত্র পথ। এছাড়া এই পথে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার মানুষ বাজারে যাতয়াত, কাছারি তথা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যাতয়াত, বুধহাটা পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতয়াত করে থাকে। সড়কটি দীর্ঘকাল সংস্কার বা পুনঃ নির্মান করা হয়নি। ইটের সোলিংকৃত সড়কটি দিনে দিনে ভাংতে ভাংতে এমন অবস্থায় দাড়িয়েছে যে স্বাভাবিক ভাবে যানবাহন চলাচল ও পথব্রজে যাতয়াত সম্ভব হয়না। সড়কের করুন অবস্থাকে আরও দুর্বিসহ করে তুলেছে সড়কের ড্রেনেজ ব্যবস্থা। ড্রেন নষ্ট হওয়ার পর কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। কারণ সড়কটিতে প্রতিদিন চাল ও মালামাল নিয়ে ট্রলি যাতয়াত করে থাকে। ট্রলির যথেচ্ছা চলাচলে ট্রলির চাকার আঘাতে ড্রেনের স্লাব বারবার নষ্ট হয়ে যায়। পয়ঃ নিস্কাশন না হওয়ার ফলে পানি ও ময়লা আবর্জনার স্তুপে ড্রেন ভরে থাকে। বিশেষ করে ডাঃ রেজাউল করিম, নারান বিশ^াস, মন্টু ঘোষ, বিজন দেবনাথ এর দোকানের পাশের অবস্থা খুবই শোচনীয়। বৃষ্টি শুরু হলে এ সড়ক ড্রেনের পানিতে তলিয়ে যায়। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক সড়ক ও ড্রেনের উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিবৃন্দের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।
আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিডি কার্ডের চাউল বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে চাউল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ইউনিয়নের অসহায় কার্ডধারী ৩৯৬ টি পরিবারের মাঝে প্রত্যেককে ৩০ কেজি করে চাউল প্রদান করা হয়। বিতরণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন, বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ আ ব ম মোছাদ্দেক। এসময় ট্যাগ অফিসার উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রেজওয়ানুল কবির চৌধুরী, ইউপি সচিব প্রভাস কুমার মন্ডল, ইউপি সদস্য হাজী শফিউল আলম, রেজওয়ান আলি, রবিউল ইসলাম, শীষ মোহাম্মদ জেরি, হাফেজ রবিউল ইসলাম, আলতাফ হোসেন, মহিলা মেম্বার রাফেজা খাতুন, এনজিও মুক্তি প্রতিনিধি দীপা বসাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কেন্দ্রীয় নেতা ডাঃ শহিদুল আলম দুজন দলীয় নেতা ও পীর কেবলার কবর জিয়ারত করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি আশাশুনি ও কালিগঞ্জে সফর করে জিয়ারত ও পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন।
বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ শহিদুল আলম আশাশুনি গমন করে প্রথমে উপজেলা বিএনপি'র সাবেক সভাপতি ও কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রয়াত এস এম রফিকুল ইসলামের বাড়িতে যান। সেখানে মরহুমের কবর জিয়ারত শেষে পরিবারের সদস্যদের সাথে কুশল ও মতবিনিময় করেন। পরে তিনি আশাশুনি সদরের হাড়ীভাঙ্গা গ্রামের প্রয়াত বিএনপি নেতা ইঞ্জিঃ রেজাউল ইসলামের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সদস্যদের সাথে কুশল ও মতবিনিময় করেন। সবশেষে তিনি কালিগঞ্জ উপজেলার নলতায় পীর কেবলা খানবাহাদুর আহছান উল্লাহ (রহঃ) এর মাজার জিয়ারত করেন। এসময় উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল আহসান, সুপ্রীম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবি এড. শিমুল, কুল্যা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন, সাবেক মেম্বার লুৎফর রহমানসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আশাশুনি উপজেলার আরার (কাদাকাটি) গ্রামের আযম প্রেমে মজে ধর্মান্তরিত প্রেমিকাকে নিয়ে উধাও হওয়ার পর বিয়ে করেও শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, আশাশুনি উপজেলার আরার দাশপাড়া গ্রামের বিশ্বজিৎ ও লক্ষ্মী রাণীর মেয়ে লাবণী এবং একই গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে গোলাম আযম দীর্ঘদিন প্রেমের খেলায় মেতেছিল। কলেজের পড়ালেখার সহপাঠি হওয়ায় তাদের সম্পর্কটা বেশ কাছাকাছি ছিল। প্রেমের সম্পর্ককে বিবাহ বন্ধনে আ'বদ্ধ করতে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিয়ে করে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে। এরপর কুমারখালীতে আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যায় তারা। কিন্তু এর পরিণামে তাদের পড়তে হয়েছে আইনি জটিলতায়। বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউপির সোন্দাহ বাগানপাড়ার একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রে'ফতার করা হয়।
আশাশুনিতে করোনা ভাইরাস ও অ্যাজমা প্রতিরোধ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সম্পর্কিত মূল আলোচনা উপস্থাপন করেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুদেষ্ণা সরকার। অনুষ্ঠানে ডাঃ সৌদ বিন খাইরুল আনাম ও ডাঃ শহীদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল গাছের চারা ও দর্শণীয় বাগান তৈরীর কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় চারা রোপন করা হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষ্যে কমপ্লেক্স ভবনের সামনে ফুলের চারা রোপন করেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুদেষ্ণা সরকার। এসময় আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ দীপন বিশ্বাস, প্রধান সহকারী রোকনুজ্জামান মিলন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা বাজারে দিন দুপুরে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাজারের মেইন সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুল সড়কে জামে মসজিদের সামনে মিম ডিজিটাল স্টুডিও অবস্থিত। স্টুডিও মালিক আমিনুর রশিদ দুপুর সোয়া ১ টায় জোহরের নামাজের জন্য দোকানের ড্রয়ারে তালা লাগিয়ে মসজিদে যান। এসুযোগে সংঘবদ্ধ চোরেরা ড্রয়ারের তালা ভেঙ্গে ১টি মোবাইল ফোন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ন্যাশনাল আইডি কার্ড ও নগদ ১০০০ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। ইতিপূর্বে একই ভাবে আলভি স্টোরে চুরিসহ মাঝে মধ্যে বিভিন্ন দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে। এব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
|
প্রেসিডেন্ড ট্রাম্প চীনের সাথে চুক্তি নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করলেও, কিছু কর্মকর্তা এ ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তবে আজ ব্রেক্সিট ইউরোকে প্রভাবিত করতে পারে।পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট সম্পর্কে কোন ধরণের সমঝোতা হলে। এর প্রভাব পাউন্ডের উপর যেমন পড়বে, ঠিক তেমনি ইউরোকেও কিছুটা প্রভাবিত করবে। ব্রেক্সিট ছাড়া ইউরোর প্রাইস বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে আজ তেমন কোন ইভেন্ট নেই।
যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কিছু ইভেন্ট রয়েছে। ইভেন্টগুলো ভাল আসলে ডলারের প্রাইস বাড়তে পারে এবং অপরদিকে ইউরোর প্রাইস কমতে পারে। ইভেন্টগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্রের মাসিক Home Sales রিপোর্ট। আজ রাত ০৮ঃ০০ রিপোর্টটি প্রকাশ হতে পারে। গতবার এ সেক্টর থেকে ৫.৪৯ পয়েন্ট এসেছিল। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, এবার ৫.৪৫ পয়েন্ট আসবে। প্রত্যাশিত লেভেলের নিচে আসলে ইউরো/ডলার পেয়ারটির প্রাইস বাড়তে পারে এবং প্রত্যাশিত লেভেলের উপরে আসলে পেয়ারটির প্রাইস কমতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোজোনের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট এবং টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের সমন্বয়ে ইউরো/ডলারের জন্য কিছু রেজিস্ট্যান্স এবং সাপোর্ট লেভেল নির্ধারণ করা হয়েছে। ইউরো/ডলার পেয়ারটি বর্তমানে ১.১১৪৫ প্রাইসের কাছাকাছি ট্রেডিং করছে। তবে পেয়ারটির প্রাইস বেড়ে ১.১১৭০ প্রাইসের উপরে উঠলে পেয়ারটির আপট্রেন্ড পুনরায় শক্তিশালী হতে পারে।
সেক্ষেত্রে পেয়ারটি ১.১১৯০ রেজিস্ট্যান্স লেভেলে আসতে পারে। ১.১১৯০ রেজিস্ট্যান্স লেভেল অতিক্রম করার পরবর্তীতে পেয়ারটির যথাক্রমে ১.১২৩০ এবং ১.১২৫০ সাপোর্ট লেভেলে আসতে পারে।
অপরদিকে পেয়ারটি ১.১১৩৮ প্রাইসের নিচে নামলে ডাউনট্রেন্ড শক্তিশালী হতে পারে। সেক্ষেত্রে বেশ কিছু সাপোর্ট লেভেল নির্ধারণ করা হয়েছে। ইউরো/ডলার পেয়ারটি ১.১১৩৮ প্রাইসকে অতিক্রম করলে পরবর্তীতে ১.১১১৫ সাপোর্ট লেভেলে আসতে পারে। পেয়ারটি ১.১১৫ প্রাইসকে অতিক্রম করার পরবর্তী সাপোর্ট লেভেল হতে পারে ১.১০।
|
বার্তাকক্ষ : বছর ছয়েক আগে রাজশাহী মহানগরীর একটি হোটেল কক্ষ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে দুই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছিলেন চিকিৎসক। এর ভিত্তিতে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলেও আদালত ঘটনার অধিকতর তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দেয়।
পিবিআইর দেড় বছরের তদন্তে বেরিয়ে আসে, আত্মহত্যা নয়, সেটা ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
রাজশাহীর বরেন্দ্র কলেজের ছাত্র আহসান হাবিব ওরফে রনি, রাজশাহী কলেজের ছাত্র বোরহান কবির উৎস ও আল আমিন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাহাত মাহমুদকে গ্রেপ্তার করাহয়। রনি ও উৎস আদালতে জবানবন্দি দিয়ে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন।
পিবিআই বলেছে, 'ত্রিভুজ প্রেমের' কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। হত্যার আগে তারা ওই ছাত্রীকে ধর্ষণও করেছিল, পরে তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রটিকে মাথায় আঘাত এবং ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।
গত কয়েক বছরে বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পিবিআই অন্তত ২৪টি মামলা পেয়েছে, যেগুলোর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনের ভিন্নতা পাওয়া গেছে।
দেশের মর্গ ব্যবস্থাপনার দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে নির্ভুল ময়নাতদন্তের স্বার্থে পিবিআই কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে ১১টি সুপারিশ করেছে।
পুলিশের বিশেষায়িত শাখাটির প্রধান, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার জানান, সুপারিশমালা বর্তমানে পুলিশ সদরদপ্তরে রয়েছে, সেখান থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
৭২ পৃষ্ঠার এ সুপারিশমালা ও প্রতিবেদনে পিবিআই'র পক্ষ থেকে ১২টি হত্যাকাণ্ডের বিবরণ উল্লেখ করেছে, যেগুলোর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে চিকিৎসক 'আত্মহত্যা' বলে মতামত দিয়েছিল। যার ওপর ভিত্তি করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামলাগুলোর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিল। কিন্তু আদালতের নির্দেশে পুনঃতদন্ত করতে গিয়ে পিবিআই প্রমাণ পেয়েছে সেগুলো ছিল হত্যাকাণ্ড।
বনজ মজুমদার বলেন, "আদালতের নির্দেশে বেশকিছু মামলার অধিকতর তদন্ত করতে গিয়ে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে ত্রুটির প্রমাণ পেয়েছি এবং যেগুলোতে চিকিৎসক আত্মহত্যা বললেও তদন্তে হত্যার প্রমাণ মিলেছে। তাই ময়নাতদন্তের বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেক দিন ধরে বলে আসছি। এবার অফিসিয়ালি মতামত দিয়েছি।"
দেশের বর্তমান ময়নাতদন্ত কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, সুরতহাল, ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব আছে।
মর্গগুলোতে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ, আলোর ব্যবস্থা, আধুনিক অবকাঠামো ও বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির অভাব আছে। বর্তমানে অনেক জেলায় দিনের বেলায়ও মোমবাতি জ্বালিয়ে ময়নাতদন্ত করতে হয়। মর্গে পর্যাপ্ত দক্ষ জনবলের অভাব ও ময়নাতদন্ত বিষয়ে মর্গ সহকারী বা ডোমদের কোনো মৌলিক প্রশিক্ষণ নেই। এছাড়াও ঢাকাসহ ব্যস্ত মর্গগুলোতে ডোম স্বল্পতাও অত্যন্ত প্রকট।
লাশ সংরক্ষণে পরিবেশ ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার অভাব আছে।
মৃতদেহের বিভিন্ন নমুনা বা ভিসেরা সংরক্ষণে মর্গগুলোতে আলাদা কোনো জায়গা নেই। এগুলো সংরক্ষণের জন্য কন্টেইনার বা প্রিজারভেটিভ বা রাসায়নিক সরবরাহ অপ্রতুল, ফলে আলামত নষ্ট হওয়ার প্রবণতা বেশি।
সংগৃহীত নমুনা বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। এসব ল্যাবরেটরি থেকে রিপোর্ট আসতেও বিলম্ব হয়। যেখানে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার অভাবের কথাও বলছে পিবিআই।
সুপারিশে এও বলা হয়, বিদেশি নাগরিকদের মৃতদেহ প্রচলিত নিয়মে হিমঘরে সংরক্ষণ করার প্রয়োজন পড়ে। অল্প সংখ্যক মর্গে ফ্রিজিং বা মর্চুয়ারি কুলার সিস্টেম থাকলেও সেগুলো প্রায়ই নষ্ট থাকে, যার কারণে গরমে লাশ দ্রুত পচন ধরে। এ প্রক্রিয়াগুলো রক্ষণাবেক্ষণের কোনো ব্যবস্থাপনা বা তাগাদা নেই।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর সম্ভাব্য সময় উল্লেখ থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে গত বছরের জুন মাসে ঢাকায় নিজ বাসায় চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপি খুনের ঘটনাও উল্লেখ করা হয়।
ওই মামলায় খুনের ধরন স্পষ্ট হলেও খুনের সম্ভাব্য সময় জানার জন্য পিবিআই থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে ময়নাতদন্ত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি স্পষ্টকরণে অপারগতা প্রকাশ করেছিল বলেও উল্লেখ করা হয় এ প্রতিবেদনে।
মেডিকেল কলেজগুলোতে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসকদের কাজ করার আগ্রহ কম এবং অধিকাংশ স্থানে 'জোড়াতালি' দিয়ে ময়নাতদন্ত করা হয়; যে কারণে চিকিৎসা শিক্ষায় এ শাখাটি অত্যন্ত অবহেলিত বলেও পিবিআই তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
পিবিআই তাদের এ সুপারিশমালায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন 'প্রশ্নবিদ্ধ' হওয়ার নয়টি সম্ভাব্য কারণও উল্লেখ করেছে।
এগুলোর মধ্যে আছে- ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের একটি বৃহৎ অংশের ফরেনসিক বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ না থাকা। ব্যস্ত মর্গগুলোতে লাশের সংখ্যার আধিক্যের কারণে পর্যাপ্ত সময় না দিয়ে তাড়াহুড়ো করে ময়নাতদন্ত কাজ সম্পাদন করা।
ময়নাতদন্ত সম্পাদনের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি ও হিমাগারসহ স্থাপনা/অবকাঠামো না থাকা, ময়নাতদন্ত কাজে সহায়তাকারী ডোম স্বল্পতা ও তাদের সুনির্দিষ্ট নিয়োগবিধি না থাকা। ডোমদের মৌলিক প্রশিক্ষণের অভাব ও তাদের ওপর ময়নাতদন্তকারী কর্মকর্তাদের অতিমাত্রায় নির্ভরশীলতা।
চাঞ্চল্যকর ও জটিল মৃতদেহের ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে বোর্ড গঠন করে ময়নাতদন্ত না করা, ভিসেরা পরীক্ষার জন্য সংগৃহীত আলামত যথাযথ সংরক্ষণের সুবিধা না থাকাকেও দুর্বল ময়নাতদন্তের কারণ হিসেবে দেখছে পিবিআই।
এছাড়া আদালতে সাক্ষী হওয়ার অনীহায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের ময়নাতদন্ত কাজে অংশ না নেয়া এবং ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দিতে অস্বাভাবিক বিলম্ব করার কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
পিবিআই বলছে, একটি হত্যাকাণ্ডের প্রাথমিক তদন্ত থেকে শুরু করে বিচারকাজ চলা পর্যন্ত ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একসময় লাশের ময়নাতদন্ত দিনের আলোয় করার বাধ্যবাধকতা ছিল, এখন বৈদ্যুতিক আলোতে তা করা হয়। কিন্তু কার্যক্রমের দিক থেকে বছরের পর বছর লাশকাটা 'অন্ধকারে' রয়ে গেছে।
পিবিআই বলছে, ময়নাতদন্তের জন্য নির্ধারিত চিকিৎসকদের কোনো বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। যেসব জেলা শহরে মেডিকেল কলেজ নেই, সেসব শহরে আরএমও বা মেডিকেল অফিসাররা ময়নাতদন্ত করে থাকেন; যাদের প্রায় সবার এ বিষয়ে পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকে না।
পিবিআই'র সুপারিশ- জেলা হাসপাতালগুলোতে ময়নাতদন্তের কাজ করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বা অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় আলাদা পদ তৈরি বা সমন্বয় করে আগ্রহী চিকিৎসকদের বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ দিয়ে ওই পদের বিপরীতে পদায়ন করা যেতে পারে; যারা ময়নাতদন্তের বাইরে হাসপাতালের স্বাভাবিক সেবায় নিয়োজিত থাকবেন এবং সাধারণ নিয়মে পদোন্নতি পাবেন।
ময়নাদন্তের চিকিৎসকরা অধিকাংশ সময়ে ডোমদের সহায়তা নিয়ে থাকেন। এ ডোমদের দায়িত্ব মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য প্রস্তুত করে ডাক্তারের কাছে উপস্থাপন করা এবং পুনরায় নির্ধারিত স্থানে মৃতদেহ সংরক্ষণ করা। কিন্তু এ ডোমদের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ নেই। অভিজ্ঞতা দিয়ে তারা কাজ শেখেন।
সরকারি হাসপাতালে ময়নাতদন্তে চিকিৎসকদের সহায়তা করার জন্য দুইটি করে ডোমের পদ আছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে একজন অনুপস্থিত বা ডেপুটেশনে অন্য বিভাগে কর্মরত থাকেন।
পিবিআই বলছে, দেশের মর্গগুলোতে নারী মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করার জন্য নারী মর্গ সহকারী নেই। সব ক্ষেত্রেই পুরুষ মর্গ সহকারীদের মাধ্যমে ময়নাতদন্ত হয়, যা নৈতিকতার দৃষ্টিতে আপত্তিকর।
ময়নাতদন্ত স্বচ্ছরূপে সম্পাদন ও মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য প্রতিটি হাসপাতালে একজন মর্গ ইনচার্জের নেতৃত্বে নারীসহ পর্যপ্ত মর্গসহকারী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পদ থাকা প্রয়োজন বলে সুপারিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনা পানিতে ডুবে, সাপে কামড়ানো হত্যাদি মৃত্যু ছাড়া ফাঁসি, বিষ প্রয়োগ, আগুনে দগ্ধ ইত্যাদি সন্দেহজনক মৃত্যুর কারণ নির্ধারণে ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে একাধিক বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে বোর্ড গঠন করে ময়নাতদন্ত করারও সুপারিশ করা হয়।
যেসব ক্ষেত্রে বাদীর অভিযোগ বা প্রাথমিক তদন্তের ফলাফলের সাথে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বা রাসায়নিক পরীক্ষকের মতামত ভিন্নরূপ হয়, সে ক্ষেত্রে বিশেষ বোর্ড স্থাপন করে চূড়ান্ত মতামত দেয়ারও সুপারিশ করা হয়।
এদিকে সুরতহাল প্রতিবেদনে কোন বিষয়গুলো প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ, কোনগুলো অপ্রাসঙ্গিক সেগুলোর বিষয়ে সুরতহাল প্রস্তুতকারী পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক করণীয়, প্রতিবেদনে ব্যবহৃত শব্দ ও শব্দগুচ্ছের ব্যাখ্যা ইত্যাদি সম্পর্কে মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ বা সেমিনার আয়োজনের সুযোগ সৃষ্টি করার কথাও বলা হয়।
এছাড়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্টের ক্ষেত্রে অভিন্ন নীতিমালা ও কবর থেকে লাশ উত্তোলনের জন্য নীতিমালা প্রণয়ণের সুপারিশ করা হয়।
|
Home বিনোদন খুব খুশি, তবে এখনই ফাঁস করবেন না শিল্পা!
ভারতের জনপ্রিয় টিভি রিয়েলিটি শো বিগ বসের ১১তম মৌসুম বিজয়ী শিল্পা শিন্ধে বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন। কেননা, এবার বলিউডে অভিষেক হতে যাচ্ছে ছোটপর্দার জনপ্রিয় এ অভিনেত্রীর। আর এ অভিষেকের নেপথ্যের নায়ক বিগ বস সঞ্চালক, সুপারস্টার সালমান খান।
সালমান খানের কথিত রোমানীয় প্রেমিকা ইউলিয়া ভানটুরেরও বলিউডে অভিষেক হচ্ছে। পরিচালক প্রেম আর সোনির আসন্ন 'রাধা কিঁয়ু গৌরী ম্যায় কিঁয়ু কালা' ছবিতে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করবেন ইউলিয়া।
অনেক দিন ধরেই সালমান খানের সঙ্গে ইউলিয়ার প্রেমের গুঞ্জন চলছে। বিভিন্ন স্থানে তাঁদের একসঙ্গে দেখা যায়। সালমানের পরিবারের সঙ্গেও ভালো সখ্য রোমানিয়ার মডেলের। তবে প্রেমের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে দুজনকেই কিছু বলতে শোনা যায়নি।
যা হোক, ছবির পোস্টারে ইউলিয়াকে ভগবান কৃষ্ণর শিষ্যরূপে দেখা যায়। হলুদ শাড়ি পরিহিত ইউলিয়া আকাশের দিকে মুখ করে কৃষ্ণপ্রেমের আরাধনা করছেন।
'রাধা কিঁয়ু গৌরী ম্যায় কিঁয়ু কালা' ছবি দিয়ে বলিউডে অভিষেক হচ্ছে শিল্পা শিন্ধের। কোন চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে, জিজ্ঞেস করা হলেও এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি। বিনোদন সংবাদমাধ্যম বলিউড লাইফকে শিল্পা বলেন, 'সত্যি বলছি, খুব উত্তেজিত আমি; কিন্তু এত তাড়াতাড়ি কোনো তথ্য ফাঁস করতে চাই না।'
লাখো ভক্তর হৃদয় জয় করার পর বেশ কয়েকটি প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পা শিন্ধে। আর এর ভেতর বলিউডে অভিষেকের খবর নিশ্চয়ই উত্তেজনার!
যৌন নিগ্রহের শিকার এক নারীর লড়াই নিয়ে 'রাধা কিঁয়ু গৌরী ম্যায় কিঁয়ু কালা' ছবির চিত্রনাট্য। এ ছবির ট্যাগলাইন 'নেম শেম দ্য রেপিস্টস'।
মজার ব্যাপার হলো, এ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ইউলিয়াকেও পরামর্শ দিয়েছিলেন সালমান। সঠিক চিত্রনাট্যটি বাছাইয়ে সালমানের জানাশোনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ইউলিয়া বলেছেন, সালমানের ওপর তাঁর গভীর আস্থা আছে।
রোমানিয়ার এ টিভি তারকা আরো বলেন, 'ত্রিশ বছর ধরে সালমান ইন্ডাস্ট্রিতে আছে। তাঁর পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা পেয়ে কৃতজ্ঞ আমি। আসলে সিনেমা করার ব্যাপারে যারা আমাকে সাহস জুগিয়েছে, সালমান তাদের একজন।'
|
খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি ও তাইন্দং এলাকাস্থ শুকনাছড়ি, ইসলামপুর, লাইফুপারা ও পংবাড়ী এলাকায় গত রবিবার ও সোমবার স্থানীয় বাঙালিদের ওপর ইউপিডিএফ (প্রসিত) দলের সন্ত্রাসীরা নৃশংস হামলা করেছে। মঙ্গলবার স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। বাঙালিদের আশঙ্কা সেখানে সেনাক্যাম্প পুনর্বহাল না করা হলে যে কোনো মুহূর্তে আবারও হামলা হতে পারে।
এরপর গত সোমবার সন্ত্রাসীরা সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে আবার বাঙালি গ্রামে প্রবেশ করে বাঙালিদের বেধড়ক মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়। একই দিনে রাত ৯ টার দিকে আবারও বাঙালি গ্রামে ৫০ থেকে ৬০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী হানা দেয় এবং বাঙালিদের মারধর ও ঘরবাড়ি হতে বের করে দেয়। পরে খবরটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে মুসলিমপাড়া, ইসলামপুর, শুকনাছড়িসহ আশে পাশের গ্রাম থেকে বাঙালিরা একত্রিত হয় তাইন্দং বাজারে এবং তারা ধাওয়া দিলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় মুসলিমপাড়ার পংবাড়ী এলাকার বাঙালি মফিজ মিয়ার দখলীকৃত সেগুন বাগানের তিন শতাধিক সেগুন গাছ কেটে দেয়। এরপর নিরীহ আনু মিয়ার চায়ের দোকান রাত সাড়ে ১২ টার সময় পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে তবলছড়ি পুলিশ ফাঁড়ি।
স্থানীয় বাঙ্গালিরা মনে করেন, সেনাক্যাম্প প্রত্যাহারের ফলে পাহাড়ে এই সন্ত্রাসী দলের হামলা বেড়েছে। পাহাড়ে বর্তমানে নিরাপত্তা সংকট তৈরি হয়েছে। এর ফলে সন্ত্রাসীরা নির্বিঘ্নে বাঙালিদের ওপর হামলা করার সাহস পাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ২৪০টি সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার করে নেয়। জানা যায়, সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল ও পেট্রোলিং কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। আজ স্থানীয় সংসদ সদস্য, রিজিয়ন কমান্ডার, জোন কমান্ডার ও জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
|
অনন্য এক মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন বাংলাদেশের টি-২০ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দেশের জার্সিতে প্রথম এবং বিশ্বের অষ্টম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টি-২০ ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় তিনি। এরই মধ্যে টি-২০ ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত দেশের সফল অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
২৪ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ১২টিতেই জয় পেয়েছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে এই অলরাউন্ডার পেছনে ফেলেছেন ১০ ম্যাচে জয় পাওয়া সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে।কিউইদের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে খেলতে নামলে এটা হবে রিয়াদের শততম ম্যাচ।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, আসলে আলাদা কোনো পরিকল্পনা নেই। সবসময় যেটা করার চেষ্টা করি দলের জন্য খেলা, দলের জন্য ভালো খেলা। নিজের ১০০তম ম্যাচেও সেই চেষ্টা করব।৯৯ ম্যাচে ৯১ ইনিংস ব্যাট করে ২৩.৯৭ গড়ে ১ হাজার ৭০২ রান করেছেন রিয়াদ। এই ফরম্যাটে তিনি অর্ধশত রানের ইনিংস খেলেছেন ৫টি।
তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস অপরাজিত ৬৪।৮৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম। টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ৮৬টি ম্যাচ খেলে আছেন তৃতীয় অবস্থানে।
|
জয়পুরহাটের পুরানাপৈল রেলগেটে ট্রেনের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আহতদের সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
শনিবার সকালে জয়পুরহাট থেকে একটি ট্রেন দিনাজপুরের হিলি যাচ্ছিলো। ভোড় সাড়ে ৬টায় পুরানাপৈল এলাকায় একটি বাসকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই ১২ জন নিহত হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক শরিফুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত ১২টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ছয়জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) নাসির উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়। অন্য সদস্যরা হলেন- পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আব্দুর রহিম, পাকশী বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) আশিষ কুমার মণ্ডল, পাকশী বিভাগীয় মেডিক্যাল অফিসার শাকিল আহমেদ।
|
সারা বিশ্বের সংবাদকর্মী ও বিশ্ব বিবেক প্রখ্যাত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি নিখোঁজ বা হত্যাকান্ড নিয়ে আলোড়িত ও সোচ্ছার সমালোচনায় মূখর । সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের কড়া সমালোচক খাসোগি গ্রেফতার বা নির্যাতনের ভয়ে এক বছর পূর্বে সৌদি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে সেচ্ছানির্বাসনে ছিলেন । তিঁনি ওয়াশিংটন পোস্টে নিয়মিত কলাম লিখতেন ।
প্রখ্যাত এ সাংবাদিক নিখোঁজ ইস্যুতে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সন্মেলন বর্জন করার কথা ভাবছে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র । ইতিমধ্যে এ সন্মেলন থেকে নাম প্রত্যাহারের সিদ্বান্ত নিয়েছে বেশ কতগুলি আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও ব্যাবসায়ী গ্রুপ । উক্ত সন্মেলনের আয়োজক সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ।
জামাল খাসোগি গত ২ অক্টোবর ২০১৮ ইং তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ঢোকেন তার বিয়ের কাগজ পত্র সংগ্রহের জন্য । এর ১ সপ্তাহ পূর্বে বিয়ের কাগজ পত্র কনস্যুলেটে জমা দেওয়ার সময় খাসোগিকে কনস্যুলেট থেকে জানানো হয়েছিল ১ সপ্তাত পর কাগজ পত্র সংগ্রহের জন্য ।
নিউইয়র্ক টাইমস এর খবরে বলা হয়েছে , সৌদি ক্রাউন্স প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান জামাল খাসোগিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও অপহরনের অনুমোদন দেন । সিএনএন এর খবরেও এ রকম দাবী করা হয়েছে । তবে সৌদি সরকার এ নিয়ে কোন মন্তব্য করেনি ।
বিভিন্ন খবরে বলা হয়েছে , ঘটনার দিন সৌদি থেকে দু'টি ব্যক্তিগত বিমানে আসা ১৫ সদস্যের একটি স্কোয়াড কনস্যুলেট ভবনের ভিতরে জামাল খাসোগি হত্যায় অংশ নেয় । প্রথমে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও নির্যাতন করা হয় । হত্যা কান্ডের পর দলটি দ্রুত তুরস্ক ত্যাগ করে ।
অবাগ কান্ড হল , ডিজিটালের কৃপায় এ হত্যা কান্ডের সব আলামত রেকর্ড হয়েছে অ্যাপলের আইক্লাউডে । আতংকিত জামাল খাসোগি যখন কনস্যুলেটে প্রবেশ করছিলেন , তখন তার হাতে থাকা আই ফোনের " অ্যাপেল ওয়াচ " এর রেকর্ডার চালু করে রাখায় এটি সম্ভব হয়েছে ।
সিএনএন , ইন্ডিপেনডেন্ট ও নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়েছে , নিখোঁজ সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে বন্দী , নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা নিজেই রেকর্ড করে সাংবাদিক জগতে অনন্য ইতিহাস সৃষ্টি করে গেছেন । পরে এ রেকর্ড তাঁর ব্যবহৃত আইফোন ও তথ্য সংগ্রহের অন লাইন ষ্টোরেজ আই ক্লাউডে জমা হয় । এ ডায়নামিক সাংবাদিক জামাল খাসোগি কনস্যুলেট ভবনে প্রবেশের সময় তাঁর মোবাইল বাইরে অবস্তান রত তাঁর নতুন বাগদত্তার কাছে রেখে যান ।
হত্যাকান্ডের ব্যাপারে ইতিমধ্যে জোড় তদন্ত আরাম্ভ করেছে তুরস্ক সরকার - সহযোগিতা করছে বৃটেন ও যুক্তরাষ্ট্র । এ হত্যাকান্ডের প্রকৃত হুকুমদাতা ও খুনিরা বেরিয়ে আসবে এ আশা করছি ।
এদিকে ওয়াশিংটন পোস্টের কলামনিস্ট খাশুগজি গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনসুলেটে নিজের বিয়ে উপলক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। বাগদত্তা তুরস্কের নাগরিক হাতিস চেঙ্গিসকে বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তিনি কনসুলেট ভবনে প্রবেশের পর আর বেরিয়ে আসেননি।
তুরস্ক সরকার শুরু থেকেই খাশুগজি নিখোঁজ কাণ্ডে সৌদি আরবের হাত আছে বলে দাবি করে এসেছে। তারা বলেছিল, খাশুগজিকে সৌদি কনসুলেটের ভেতর নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে এবং এর প্রমাণ তাদের হাতে আছে।
সৌদি আরব শুরুতে খাশুগজি কিছুক্ষণ পর কনসুলেট থেকে বেরিয়ে গেছেন বলে দাবি করলেও এক পর্যায়ে তাকে কনসুলেট ভবনের ভেতর হত্যার কথা স্বীকার করে। তারা প্রথমে ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে বলে, কনসুলেটের ভেতর ধস্তাধস্তিতে খাশুগজি খুন হন।
সৌদি আরবের এ ব্যাখ্যায় আন্তর্জাতিক মহল সন্তুষ্ট না হওয়ায় সৌদি আরব এরপর আরো কয়েকবার খুনের ঘটনাটি নিয়ে তাদের বিবৃতি পাল্টেছে। শেষমেশ খাশুগজিকে ভুল করে মেরে ফেলা হয়েছে এবং ক্রাউন প্রিন্স সালমান কিছুই জানতেন না বলে দাবি করেছে তারা।
সভাপতি, ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া ফোরাম - ( IMF ) কুয়েত ।
মঙ্গলবার (বিকাল ৪ঃ২১)
আরব আমিরাতের 'ভূতের গ্রাম'
'দেশের খেলা রেখে আইপিএলে গেলে বেতন কেটে নাও'
|
ওয়াশিংটন, ৮ সেপ্টেম্বর (পিটিআই): তালিবান ও আফগানিস্তানের সরকারের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত 'গোপন' বৈঠক ভেস্তে গেল। গত বৃহস্পতিবার কাবুলে আত্মঘাতী গাড়িবোমা বিস্ফোরণে এক মার্কিন সেনা সহ ১১ জনের মৃত্যু হওয়ার পরদিনই সেই ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় তালিবান। এরপরই শনিবার ধারাবাহিক ট্যুইটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়ে দেন, সন্ত্রাসের আবহে শান্তি আলোচনা কোনও মতেই সম্ভব নয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, রবিবার ক্যাম্প ডেভিড রিট্রিটে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি ও তালিবান শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে বসার কথা ছিল। কিন্তু, বৃহস্পতিবার কাবুলের হামলার দায় তালিবান স্বীকার করে নেওয়ার পর তিনি ওই বৈঠক বাতিল করে দিয়েছেন। ট্যুইটারে ট্রাম্প লেখেন, 'আপনারা সকলেই জানেন, রবিবার তালিবানের শীর্ষস্তরের নেতা এবং পৃথকভাবে আফগান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ক্যাম্প ডেভিডে আমার বৈঠকে বসার কথা ছিল। দুর্ভাগ্যবশত ওরা কাবুলের আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে। ওই হামলায় আমাদের এক জওয়ান সহ ১১ জনের মৃত্যু হয়। এই পরিস্থিতিতে আমি অবিলম্বে বৈঠকটি বাতিল করেছি এবং শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া পিছিয়ে দিয়েছি।' তাঁর মতে, নিজেদের দর কষাকষির জায়গা পোক্ত করতেই এত খুনোখনি করছে তালিবান। ট্রাম্পের পরামর্শ, 'এতে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে।' এখানেই শেষ নয়। তালিবানকে একহাত নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও লেখেন, 'শান্তি আলোচনা চলাকালীন যদি ওরা যুদ্ধবিরতি চুক্তি মানতে না পারে এবং ১২ জন নিরপরাধ মানুষকে খুন করে, তাহলে আমি মনে করি, ওদের অর্থপূর্ণ কোনও চুক্তি করার ক্ষমতাই নেই।' আর কতগুলো দশক তালিবান যুদ্ধ চালাতে চালিয়েছে, ট্যুইটে সেই প্রশ্নও করেছেন ট্রাম্প।
সম্প্রতি কাতারের দোহায় আমেরিকা ও তালিবান প্রতিনিধিদের মধ্যে ন'টি পর্যায়ে শান্তি আলোচনা চলেছিল। এদিকে, এই বিষয়ে ট্রাম্প নিযুক্ত মধ্যস্থতাকারী জালমায় খলিলজাদ ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, তালিবানের সঙ্গে 'নীতিগত' শান্তি চুক্তি চায় আমেরিকা। ওই প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী, ২০ সপ্তাহের মধ্যে আফগানিস্তানের মাটি থেকে আমেরিকা তাদের ৫৪০০ সেনা সরিয়ে নেবে। যদিও, এই মর্মে চূড়ান্ত ছাড়পত্র মার্কিন প্রেসিডেন্টই দেবেন বলে জানান খলিলজাদ। বর্তমানে আফগানিস্তানে ১৪ হাজার মার্কিন সেনার মোতায়েন রয়েছে। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে সেদেশের মাটিতে তালিবান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে আমেরিকা।
|
তাছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে 'বঙ্গবন্ধু শতবর্ষী বন্ড' চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে। এটিও বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক সংস্থার কাছে বিক্রি করে টাকা তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এসব টাকায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন খাতে অর্থায়নের জন্য ব্যবহার করা হবে। করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা থাকায় আন্তর্জাতিক বাজারে এখন সুদের হার অনেক কম। এজন্য আন্তর্জাতিক বাজার থেকেও এসব বন্ড ছেড়ে অর্থ সংগ্রহ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
|
লাস্টনিউজবিডি, ১০ অক্টোবরঃ অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টনকে হলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী। বর্তমানে ছবির কাজ নিয়ে তুমুল ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। বেশ কয়েকটি বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ছবি রয়েছে তার হাতে।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ৫০ বছর বয়সী অ্যানিস্টন জানান, ছবি নিয়ে ব্যস্ত অ্যানিস্টন সম্পর্কে ব্যস্ত হতে চান না। তিনি একাই নিজের জীবন উপভোগ করছেন। ২০০০ সালে অভিনেতা ব্র্যাড পিটের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। কিন্তু সে বিয়ে টিকেছিলো পাঁচ বছর। এরপর ২০১৫ সালে দ্বিতীয় বিয়ে হয় অ্যানিস্টনের।
পাত্র ছিলেন জাস্টিন থেরক্স। কিন্তু সে বিয়েও টিকেছে মোটে দুই বছর। গত তিন বছর ধরে সিঙ্গেলই রয়েছেন অ্যানিস্টন। এদিকে নিজের সাক্ষাৎকারে লিভ টুগেদার নিয়ে একটি মন্তব্য করে বেশ আলোচনায় চলে এসেছেন তিনি। নিজের অ্যানিস্টন বলেন, আমি এখন একা থাকতে বেশি পছন্দ করি। কিন্তু একটা গোপন কথা ফাঁস করি আজ। একটা সময় আমি লিভ টুগেদারে অভ্যস্ত ছিলাম। একই সময়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে লিভ টুগেদারের অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার।
এটা বলতে দ্বিধাবোধ করি না। কারণ আমার জীবনটা একটা খোলা চিঠি হিসেবেই আমি রাখতে চাই। সেদিক থেকে আমি সত্য বলতে ভয় পাই না। তবে এখন আমি একা থাকাটাই বেশি পছন্দ করি।
জেনিফার হলিউডের বিভিন্ন চলচ্চিত্রে গুরুত্বপূর্ণ অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত বেশিরভাগ চলচ্চিত্রই হাস্য-রসাত্মক বা কমেডি চলচ্চিত্র। তার এ সকল চলচ্চিত্রের মধ্যে আছে- ব্রুস অলমাইটি, অফিস স্পেস, রিউমার হ্যাজ ইট। এছাড়া রোমান্টিক-কমেডি চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- অ্যালং কেম পলি এবং দ্যা ব্রেক-আপ। কমেডি-হরর চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- লেপ্রিকন এবং অপরাধ-থ্রিলার ডিরেইল্ড।
|
পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ: পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদ সৈয়দ বশির আহম্মেদের ওপরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার ইফতারের পরপরই সন্ত্রাসীরা কাউখালী প্রেসক্লাবের ভিতরে প্রবেশ করে তার ওপর হামলা চালায় বলে জানান কাউখালী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল আহম্মেদ সুমন। গুরুতর আহতবস্থায় বশির কে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বশির দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার কাউখালী উপজেলা প্রতিনিধি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বশির জানান, আজ ইফতারির পরপরই প্রায় ১০/১২ জন সন্ত্রাসী হঠাৎ করে প্রেসক্লাবে প্রবেশ করে এবং তার উপরে হামলা চালায় । এ সময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার পায়ে আঘাত করে এবং দেশিয় বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। পরে তার ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাকে গুরুতর অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
বশির আরও জানান, কাউখালী প্রেসক্লাবের আয়োজনে ইফতার মাহফিলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক আলী খান পান্নাকে দাওয়াত না দেয়ায় তার কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়েই তার ওপর হামলা চালিয়েছে বলে তিনি ধারনা করছেন।
|
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির.সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার,বাগেরহাটঃ সুপার সাইক্লোন ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে পূর্ব সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ ৬৭ হাজার আটশ' টাকা। এর মধ্যে বনের গাছের ক্ষতি সাত লাখ ৬০ হাজার একশ' টাকা। অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে এক কোটি ৬০ লাখ ৬৭ হাজার আটশ' টাকা। তবে, বন্যপ্রাণীর কোনো ক্ষতি করতে পারেনি ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের দুই সহকারী বন সংরক্ষকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির দাখিলকৃত রিপোর্টে এ ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। রিপোর্টটি গতকাল সোমবার সকালে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
|
আমাদের অবাধ্য কৈশোরে গদ্য আর পদ্যের নানা জাল যখন ঘিরে ধরার চেষ্টা করছিল চারপাশ, তখন হঠাৎই চমকে দিয়েছিল একটা কবিতার লাইন - 'বাংলা ভাষা উচ্চারিত হলে নিকান উঠানে ঝরে রোদ/ বারানদায় লাগে জ্যোৎস্নার চন্দন...।' তখন চিনতাম না এ-কবিতার কবিকে। তাঁর অন্য কোনো লেখারও স্পর্শ পাইনি আগে। তবু আমাদের সেই মফস্বল শহরে মাঠ পেরিয়ে সকালবেলায় স্কুলে যাওয়ার পথে আশপাশের মাটির বাড়ি আর তাদের লতায় আচ্ছন্ন চালা ছুঁয়ে যেন স্পন্দন পেতাম সেই কবির। বড়রা বলতেন, বাংলাদেশ খুব দূরে নয় এখান থেকে। দূরের প্রকান্ড বটগাছের পেছনে, আরো আরো একটু দূরে যেখানটা আর দেখা যায় না, কল্পনা করে নিয়েছিলাম - ওই বোধহয় বাংলাদেশের আকাশ। এ কবির দেখা জগৎ তাহলে আমাদের খুব কাছাকাছি! মনের গোপনে তৈরি করে নিয়েছিলাম এক নতুন দিগন্ত।
ও বয়সে যেমন হয়, ভালোলাগাটা কিছুকাল থেকে ফের বাঁক নেয় অন্য অনুষঙ্গে। তাই হলো। শুধু ওই লাইনগুলো মনের রাস্তায় যেন দাঁড়িয়ে রইল একই জায়গায়। পরে কখনো প্রয়োজনে, কখনো স্রেফ ভালোবেসে যখন শামসুর রাহমানের লেখার সঙ্গে পরিচিত হয়েছি, তখন তাঁর লেখার ভেতর চলাচলটা ধরার চেষ্টা করেও ফিরতে চেয়েছি ওই কৈশোরে। মাটি, রোদ, অন্তহীন ভালোবাসা আর স্বদেশ, স্বভাষাই চিনিয়ে দিয়েছে তাঁর লেখা। সেই কৈশোরে কল্পনার যে-মানুষটিকে বুকের ভেতর বানিয়ে তুলেছিলাম, তার থেকে বাস্তবের শামসুর যে কত আলাদা, জেনেছি পরে। দেখেছি কত কষ্ট আর যন্ত্রণায় পুড়তে পুড়তে এগোতে হয়েছে তাঁকে। সাতাত্তর বছর ধরে কী অমোঘ, অনিবার্য দহন সামলে যেতে হয়েছে এই কবিকে।
অনন্যসাধারণ কবি শামসুর আর মানুষ শামসুরকে ফিরে দেখার সুযোগ এলো রিয়া চক্রবর্তীর শামসুর রাহমান : কবিতার মানচিত্র বইটি পড়ে। আশ্চর্য দক্ষতায় রিয়া এ-বইয়ে এক পূর্ণাঙ্গ শামসুরকে উপস্থিত করেছেন। শিল্প - সে কবিতা হোক বা অন্য কলা, একার্থে আত্মজৈবনিক। নিজেকেই ভেঙে ভেঙে শিল্পী গড়ে নেন তাঁর নির্মাণপথ। ভয়ংকর দহনে পুড়তে-পুড়তে জন্ম দেন এক একটি সৃষ্টির। এ-বইয়ে লেখক শামসুরের জীবনের সঙ্গে তাঁর সৃষ্টিকে মিলিয়ে দেখার আয়োজন করেছেন। শামসুরের পাঠক মাত্রই জানেন, মাতৃভাষা আর স্বদেশ তাঁর কবিতায় তৈরি করে দেয় আশ্চর্য দ্যোতনা। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ এবং '৭১-পরবর্তী বাংলাদেশকেও ছুঁয়েছেন, দেখেছেন শামসুর। রিয়া লিখেছেন - 'এই সময়, কালপ্রবাহেরই সন্তান হলেন শামসুর। তাই শহরের বুকে কৃষ্ণচূড়ার মাতম তাঁকে মনে করিয়ে দেয় চাপ চাপ রক্তের স্মৃতি। নীরবে মনের প্রান্তে এসে দাঁড়ায় সালাম, বরকতেরা। কবি দেখতে পান বাঙালির চেতনাজুড়ে জেগে থাকে ভাষা আন্দোলনে সেইসব বন্ধুর পথগুলোর ছবি, সেদিনের বিরূপ সময়কে অতিক্রম করার প্রয়াসে এগিয়ে চলা একদল অভিযাত্রীর প্রতিবিম্ব।' (পৃ ২৯)
কবিরা তো রক্ত-মাংসের মানুষও। এ বই জানিয়ে দেয় চতুর্থ সন্তান প্রিয়তম পুত্র মতিনের অকালমৃত্যু, সাংবাদিক জীবনের ক্লান্তি কীভাবে ভাষা পায় তাঁর লেখায়। আটটি অধ্যায়ে জীবন থেকে কবিতায় শামসুরকে ধরতে চেয়েছেন লেখক। পাশাপাশি নটি অধ্যায়ে কবির নটি উল্লেখযোগ্য কবিতার নিবিড়-বিশ্লেষণী পাঠ জায়গা করে নিয়েছে, যা পাঠককে নতুন করে ভাববার সুযোগ করে দেয়।
'শামসুরের শব্দের মধ্যে ধরা আছে এক কবির আত্মকথা, তাঁর মনন, তাঁর সমকাল, স্বদেশ, ঈশ্বর, প্রিয় মানুষের ছায়াগুলি। যে সময় গঠন করেছে শামসুরকে, তারই খন্ড খন্ড দিনলিপি ধরা আছে তাঁর কবিতার শব্দ, পঙ্ক্তি ও নীরব দূরত্বগুলোর মধ্যে।' (পৃ ৭৫) সেই আদ্যন্ত শামসুরকে পাওয়া গেল এ-বইয়ে। ঝরঝরে গদ্য আর তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণে।
|
রিজার্ভ বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়ছে মসজিদ কলোনীর শতাধিক ঘর!
রাঙ্গামাটি শহরের মসজিদ কলোনী এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে দুই শতাধিক পরিবার নিঃস্ব। রবিবার ১৩ জানুয়ারী সকালে রিজার্ভ বাজারের মসজিদ কলোনী এলাকায় আকস্মিক অগ্নিকান্ডে দুই শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে সকাল ৮টার সময় এই অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয়। রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট, সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টার সত্ত্বেও আগুন এখনো নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়নি। প্রশাসনিক সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে ইতিমধ্যেই কাপ্তাই ও রাউজান ফায়ার সার্ভিসের সাহায্য চাওয়া হয়েছে এবং তারা রাঙামাটির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক, সেনাবাহিনী ও পুলিশবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে ঠিক কি কারণে বা কোথা থেকে এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত তা এখনো জানা যায়নি।
|
আলোকিত মানুষরা অনেক গুণ ও পরিচয়ের অধিকারী হয়ে থাকেন। বহুমাত্রিক প্রতিভায় নানা ক্ষেত্রে তারা স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে ওঠেন; যুগ যুগ পেরিয়ে শতাব্দীকালও তারা অনুপ্রেরণার বাতিঘর হিসেবে মহীয়ান থাকেন। তেমনি আলোকিত মানুষদেরই একজন ওবায়েদ উল হক।
একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চলচ্চিত্রকার ও নাট্যকার ওবায়েদ উল হকের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৭ সালের ১৩ই অক্টোবর তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। ওবায়েদ উল হক পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় সাংবাদিকতা পেশায় সম্পৃক্ত ছিলেন।
তার মত এমন সৎ, বিচক্ষণ ও নিষ্ঠাবান সাংবাদিক এবং চলচ্চিত্রকার কালে কালে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। খ্যাতিমান সাংবাদিক হিসেবে আদর্শ, সততা, দেশপ্রেম, সচেতন প্রত্যয় এবং পর্বত প্রমাণ ব্যক্তিত্বের এক উজ্জ্বল জীবনচিত্র তার। একইভাবে তিনি সাহিত্য ও চলচ্চিত্রে রেখেছেন অসামান্য অবদান।
ওবায়েদ উল হক ছিলেন আমাদের দেশের সাংবাদিকতার পথিকৃৎ। একাধারে তিনি একজন লেখক, কবি, ঔপন্যাসিক, চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, সুরকার, গীতিকার। তিনি দীর্ঘকাল ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ অবজারভার-এর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯১১ সালে ফেনীর এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ওবায়েদ উল হক জন্মগ্রহণ করেন। পিতা বজলুল হক খান ছিলেন ফেনীর আইনজীবী ও বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইনসভার সদস্য। তার মায়ের নাম আঞ্জুমান নেসা। ছোটবেলা থেকেই শিল্প-সাহিত্যের প্রতি তার ঝোঁক ছিল প্রবল। বিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালেই তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। তখন তিনি সাহিত্যে প্রচুর বই পড়তেন। প্রথম কবিতা সওগাত পত্রিকায় ছাপা হয় মাত্র ১০ বছর বয়স। এরপর বিভিন্ন ম্যাগাজিন এবং লিটল ম্যাগে নিয়মিত তার কবিতা ছাপা হতে থাকে।
১৯৩৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি দর্শন ও মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৩৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন কোর্স সম্পন্ন করেন। বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিয়ে ওবায়েদ উল হক সার্কেল অফিসার হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। পরে তিনি কুমিল্লায় ঋণ সালিশি বোর্ড-এর সেটেলমেন্ট অফিসার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তার বিরোধ হওয়ায় তিনি ১৯৪৪ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়ে লেখালেখিতে মনোযোগী হন।
গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, রম্যরচনা সহ তার অন্যান্য সাহিত্যকর্ম নিয়মিত সওগাত (১৯১৮) মোহাম্মদী (১৯১০) বুলবুল, ছায়াবীথি পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিদ্বৎসমাজে তিনি পরিচিতি লাভ করেন। সাহিত্য ছাড়াও চলচ্চিত্রের প্রতি তার প্রবল স্বাভাবিক আগ্রহ ছিল।
১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ তার মনোভাবনাকে চরমভাবে নাড়া দেয়। যার ফলে মননশীলতার বিদগ্ধ অনুভবে তিনি লিখলেন জীবনের সর্বপ্রথম গল্পগাথার এক করুণ আলেখ্য 'দুঃখে যাদের জীবন গড়া'। কোনো বাঙালি মুসলমান কর্তৃক রচিত তার প্রথম ছবি হিসেবে 'দুঃখে যাদের জীবন গড়া' ১৯৪৬ সালে বাংলা, বিহার, আসাম এবং বার্মায় মুক্তি পায়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ ও মহাযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই ছবিটির বাণিজ্যিক সাফল্যের জন্য ওবায়েদ উল হক 'হিমাদ্রি চৌধুরী' নাম গ্রহণ করেন।
১৯৪৭ সালে তিনি কলকাতা ছেড়ে ফেনীতে চলে আসেন। ১৯৪৯ সালে দি পাকিস্তান অবজারভার প্রকাশিত হয় এবং ওবায়েদ-উল হক পত্রিকাটিতে নিয়মিত কলাম লেখেন। ১৯৫১ সালে তিনি এ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক নিযুক্ত হন। সাংবাদিকতার এ পর্যায়ে এ পত্রিকার তিনি উপসম্পাদক (১৯৫৮-১৯৬২), যুগ্ম-সম্পাদক (১৯৬২-১৯৭১) এবং স্বাধীনতাত্তোর পর্বে এ পত্রিকার সম্পাদক হন।
১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর থেকে প্রথমে এ পত্রিকার নামকরণ হয় 'দি অবজারভার', পরে হয় 'দি বাংলাদেশ অবজারভার'। ১৯৮৪ সালে এ পত্রিকার নাম পরিবর্তন বিষয়ে বিতর্কের সূচনা হলে ওবায়েদ উল হক পদত্যাগ করেন এবং ১৯৮৬ সালে ডেইলি নিউজ-এর সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৭ সালে এ পত্রিকার সম্পাদনা ছেড়ে দিয়ে তিনি দৈনিক বাংলা ও বাংলাদেশ টাইমস (১৯৭৪)-এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পঞ্চাশের দশকে তিনটি একাঙ্কিকা নাটক নিয়ে 'দিগ্বিজয়ে চোরাবাজার' নামে তার প্রথম বই প্রকাশিত হয়। এরপর একই ধারাবাহিকতায় প্রকাশিত হয় আরেকটি বই 'এই পার্কে'। দুটি বইই পাঠকমহলে বেশ প্রশংসিত হয়। এছাড়াও তার রচিত নাটকগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- 'ব্যতিক্রম', 'রুগ্না পৃথিবী' (১৯৬৮), 'যুগসন্ধি' ও 'সমাচার এই'।
কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- 'দ্বিধার ফসল', 'সায়াহ্নের সংলাপ', 'গরীব হতে চাই' ও 'পথের পদাবলী'। ওবায়েদ উল হক রচিত উপন্যাস হচ্ছে- 'সংগ্রাম', 'দ্বৈত সঙ্গীত' ও 'ঢল' প্রভৃতি। তার এই সংগ্রাম উপন্যাস অবলম্বনে পাকিস্তান আমলে ঢাকায় ফজলুল হকের পরিচালনায় 'আজান' নামে একটি ছবি নির্মিত হয়। তার ইংরেজি গ্রন্থ 'Voice of Thunder' শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে রচিত। পরে এটি 'A Leader with a Difference' নামে লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়।
আজন্ম তিনি সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করেছেন। বাংলাদেশ সরকার যখন দেশে একটি প্রেস ইন্সটিটিউট করার চিন্তা করলো, তার আহ্বায়ক করা হয় ওবায়েদ উল হককে। তিনি পিআইবির (প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ) প্রথম চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।
তিনি একাধারে ছিলেন এডিটরস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান, নজরুল ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। অর্ধশতাব্দির বেশি সময় ধরে তিনি জড়িয়ে রয়েছেন সাংবাদিকতায়।
আজন্ম সৃজনকর্মে নিবেদিত থাকার স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৮১ সালে একুশে পদক, ১৯৮৩ সালে ইউনিসেফ স্বর্ণপদক, আব্দুস সালাম স্বর্ণ পদক, জহুর হোসেন চৌধুরী স্বর্ণ পদক, অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণ পদক, ১৯৬৫ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংক সম্মাননাসহ বহু পুরস্কার-সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
|
আগামীকাল শেষ হতে যাচ্ছে রিট পিটিশনের স্টে অর্ডারের মামলা। বহুল প্রতীক্ষিত গনবিজ্ঞপ্তি এই স্টে অর্ডারের পিটিশন শেষ হলেই দিতে পারবে বলে মনে করছে এনটিআরসিএ এর একাধিক কর্মকর্তা। এনটিআরসিএ এর নিয়োগ প্রক্রিয়া ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছিল এই রিটকারী ও পিটিশনারদের জন্য। ১-১২ তমরা একক নিয়োগের আশায় হাইকোর্ট থেকে ২৫০০ জনের চার সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের রায় এনেছিলেন কিন্তু এনটিআরসিএ আপিল বিভাগে তাদের একক নিয়োগের বিষয়টি চ্যালেন্জ করলে এই রিট পিটিশন দায়ের করা হয়।এর আগে রিট পিটিশনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আপিল করলেও তা আলাদা আলাদা ভাবে করা হয়নি বলেই এই সময়ক্ষেপণ হচ্ছে।
এদিকে গনবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারীরা তাদের সাথে প্রতারনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।কারন তাদের সকল যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কেন তাদের নিয়োগ আটকে আছে তা তারা জানে না। অনেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পাগলপ্রায় অবস্থা হয়েছে।
গনবিজ্ঞপ্তি তে আবেদনকারী ফোরাম আজকেও আপিল বিভাগে মামলার খোঁজখবর নেওয়ার জন্য অনেকেই এসেছিলেন।শান্ত,সুমন,রাজ সহ আরো অসংখ্য নিবন্ধন ধারীরা বার বার এনটিআরসিএ এর অফিসে গিয়ে গনবিজ্ঞপ্তির রেজাল্ট প্রকাশের অনুরোধ করলেও তাতে কোন কর্তৃপক্ষের কাছে সদুত্তর পাওয়া যায় নি।
|
[email protected] : admin :
জামালপুরে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের সংবাদ সম্মেলন।
জামালপুরে নির্যাতনের অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে! জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ড. হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় এক সাংবাদিককে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে!
দৈনিক ঢাকা প্রতিদিন পত্রিকার সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম রোববার (৩০ অক্টোবর ) দুপুরে জামালপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক আশরাফুল অভিযোগ করে বলেন, পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে গত ২৭ অক্টোবর বিকালে একদল সন্ত্রাসী তার উপর হামলা করে। এ ঘটনায় তিনি ১৪ জনকে আসামী করে সরিষাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তেজগাঁও সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ ও সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ড. হারুন অর রশীদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদদে এই ঘটনা ঘটে।
তিনি জীবনের নিরাপত্তা ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এ সময় তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সন্তান বলেও অভিযোগ করেন।
আশরাফুল আরো অভিযোগ করেন, তেজগাঁও সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ড. হারুন অর রশীদের বাবা ও বড় ভাই রাজাকার ছিলেন। তিনি এ সময় রাজাকারের একটি তালিকাও দেখান।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ড. হারুন অর রশীদ বলেন, সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনা নিন্দনীয়। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং হামলাকারীদের শাস্তি দাবি করেন।
এসব বিষয়ে তেজগাঁও সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ বলেন-"আমার পরিবার আওয়ামী লীগের পরিবার। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আমি যাতে মনোনয়ন না পাই তার জন্য একটি পক্ষ এসব অপপ্রচার করছেন।
|
সয়াবিন তেল নিয়ে অনেকটাই বিব্রত সরকার। আমদানিনির্ভর পণ্যটির দাম আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভরশীল। ফলে দেশীয় বাজারে এর দাম নিয়ে সারা বছরই অস্বস্তিতে থাকতে হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা ২০ লাখ টন। এর মধ্যে দেশে উৎপাদিত হয় ২ লাখ টন। এর মধ্যে সরিষা, তিল, তিশি উল্লেখযোগ্য। আমদানির মধ্যে সয়াবিন ও পামই বেশি। এর মধ্যে আবার বেশি আমদানি হয় পাম তেল। যদিও এর সঙ্গে একমত নন অপরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানিকারকরা। তাদের ভাষ্য, চাহিদার ১৮ লাখ টন ভোজ্যতেলের মধ্যে ১৩ থেকে ১৪ লাখ টন সয়াবিন তেল আমদানি হয় ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র ও আর্জেন্টিনা থেকে।
বর্তমানে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়। এ দাম আরও বাড়াতে সরকারের সঙ্গে দেনদরবার চলছে আমদানিকারকদের। ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে কোম্পানিগুলো ইতোমধ্যে নিজেদের মতো প্রতি লিটারে ৫ টাকা বাড়িয়েছে।
এসব কারণেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাধ্যমে সয়াবিন উৎপাদনে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, সয়াবিন বিশ্বের অন্যতম প্রধান তেলবীজ ফসল। বর্তমানে বাংলাদেশে যা সয়াবিন উৎপাদিত হয় তা চাহিদার তুলনায় নগণ্য। তাই বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা উন্নত জাত উদ্ভাবনের চেষ্টার অংশ হিসেবে সয়াবিনের একটি উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছেন। জাতের নাম 'বিনা সয়াবিন-২'। বাণিজ্যিকভাবে সারা বছর চাষাবাদের জন্য এটাকে ছাড়পত্র দিয়েছে জাতীয় বীজ বোর্ড।
এ জাতের প্রধান বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এর প্রধান উদ্ভাবক উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, 'গাছটির উচ্চতা রবি মৌসুমে ২৭-৪০ সেন্টিমিটার এবং খরিফ-২ মৌসুমে ৩৫-৪২ সেন্টিমিটার হয়। প্রাথমিক শাখার সংখ্যা ৩-৫টি। প্রতি গাছে ফলের সংখ্যা ৪০-৫০টি। বীজ মাঝারি আকারের হয়। ১০০ বীজের ওজন ১৩ গ্রামের মতো হয়। বীজে আমিষ, তেল এবং শর্করার পরিমাণ যথাক্রমে ৪৩, ১৯ এবং ২৬ শতাংশ।'
তিনি আরও জানান, 'রবি এবং খরিফ-২ মৌসুমে এ জাতের জীবনকাল ১১৫ এবং ১১৭ দিন। এ দুই মৌসুমে প্রতি হেক্টরে যথাক্রমে ২.৫-২.৮ এবং ২.৭-৩.৩ টন ফলন পাওয়া যায়।'
এদিকে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) নোয়াখালী অঞ্চলের সরেজমিন গবেষণা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশের অন্তত ৩৩ জেলার ৭২টি উপজেলায় তিন থেকে চার লাখ হেক্টর জমিতে সয়াবিনের চাষ হচ্ছে। এখান থেকে বছরে ১০ লাখ মেট্রিক টন সয়াবিন উৎপাদন হয়। যার শতকরা ৬০ ভাগই হয় লক্ষ্মীপুরে।
|
রাতে উত্তর মালের বান্দোস প্রবাল দ্বীপ থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে মালদ্বীপের রাজধানী মালেকে দেখতে ঠিক শান্ত এক ছবির মত মনে হয়। ক্ষুদ্র শহরটি মাত্র ৫.৮ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত - কাঠমান্ডু শহরের তুলনায় ৬৮ গুণ ছোট। মধ্যাহ্নে এর এর কঙ্কালসার রাস্তাগুলি মানুষ আর স্কুটারে আকীর্ণ থাকে, কিন্তু কারো তেমন তাড়া আছে বলে মনে হয় না। স্থানীয় মাছ বাজারের স্টলগুলোয় টোনা, সার্ডাইন এবং অক্টোপাস উচু স্তূপ রাখা। তাদের সুগন্ধি দীর্ঘ দিন পর যেন সুস্বাদু মাছের তরকারির সুভাস নিয়ে আসছে।
কিন্তু এই শান্ত অবস্থা ভেতরের অশান্তিকে যেন ঢেকে রেখেছে। দক্ষিণ এশীয় ৪ লাখ মানুষের দেশটির সাম্প্রতিক ঘটনাবলী মাছ বাজারের সুভাসকে যেন ছাড়িয়ে গেছে।
দ্বীপমালার এই দেশটি ছয় দশক পর সবেমাত্র ফৌজদারি অপরাধের শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ড পুনর্বহাল করেছে। হয়তবা এটি করা হয়েছে কারাগারের উপছে পড়া ভীড় কমাতে। এরপর, জুলাইয়ের শেষদিকে, স্পিকারের অভিসংশন ঠেকাতে সরকার মালেতে জাতীয় সংসদ অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুমের আশঙ্কা, বিরোধীদলকে ৮৫ জন সংসদ সদস্যের ৪৫ জনই সমর্থন করবে, যা আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তার জন্য বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে। সরকারকে রক্ষার জন্য তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে সঙ্কুচিত করেছেন আর র্যাডিক্যাল ইসলামপন্থীদের কাছে টেনেছেন।
প্রায় দশ লাখ পর্যটক প্রতিবছর এই স্বর্গের দ্বীপদেশ ভ্রমণ করে। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সংঘাতের পরও এই প্রবণতা ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে। চীনই এসব পর্যটকের প্রধান উৎস দেশ। ২০১২ সালে মালদ্বীপে আসা প্রায় ১২ লাখ পর্যটকের এক তৃতীয়াংশ এসেছে চীন থেকে। তবে এই দিনে মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুধু পর্যটকই আসে না।
সপ্তম শতাব্দীর চীনা লেখক হিউয়েন-সাংঙের ভাষায় নাও-লো-কি-লো-চৌ ("নারকেল দ্বীপ") বা বর্তমান মালদ্বীপের প্রায় সব প্রধান অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চীন করছে। চীনারা বিভিন্ন দ্বীপ কিনছে, রাস্তা আর অবকাঠামো নির্মাণ (চমকপ্রদ নতুন জাতীয় যাদুঘর সহ) করছে। এর সাথে দ্বীপে একটি চীনা নৌ ঘাটি গঠনের কথাও শোনা যাচ্ছে।
ঠিক নেপালের মতো মালদ্বীপের সরকারও ভারত থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চীনের নিকটবর্তী হয়ে ওঠার মধ্যেই দেশটির সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষিত বলে বিশ্বাস স্থাপন শুরু করছে। ইয়ামিন ভয় করেন যে, প্রধান বিরোধীদল মোহাম্মদ নাশিদ তার পতন ঘটানোর তৎপরতায় নেতৃত্ব দিচ্ছে আর তাতে মদত রয়েছে ভারতের । বর্তমান প্রেসিডেন্টের সৎ ভাই ও ৩০ বছর ধরে মালদ্বীপের নেতৃত্ব দেয়া মামুন আবদুল গাইয়ুমও এখন বিরোধীদলীয় ক্যাম্পে জোরালোভাবে থেকে ইয়ামিনের পতনের জন্য কাজ করছেন। প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনের সন্দেহ, মামুন ১৯৮৮ সালে তার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান দমন করতে রাজীব গান্ধী সাহায্য করার পর সর্বদা ভারতের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন।
কিন্তু এটা মনে করা ভুল হবে যে কেবলমাত্র মালদ্বীপের সরকারই ঘনিষ্ঠ বন্ধু মনে করে চীনকে। দ্বীপ দেশটির রিসোর্টগুলিই মালদ্বীপের জন্য কর্মসংস্থানের প্রধান উৎস। আর এখানকার অধিকাংশ লোকই চীনা পর্যটকদের উপর নির্ভর করে, চীনের প্রতি জনসাধারণেরও রয়েছে সুসম্পর্ক । মালের একজন টোর গাইড বললেন, "চীনারা আমাদের প্রকৃত বন্ধু"। "তারা আমাদের সকল গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণ করে দিয়েছে এবং তারাই পর্যটনের বেশিরভাগ ডলার পাঠায়"।
ভারত চীনের এই প্রভাবের বিরুদ্ধে একটি কা্রযকর প্রতিরক্ষা দেয়াল বানাতে ব্যর্থ হয়েছে; আর ইয়ামিন চীনা অর্থ প্রবাহের প্রতি ক্রমেই ঝুঁকে পড়ছেন।
২০১৫ সালে যখন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ মালদ্বীপের গণতান্ত্রিক অধিকারকে শ্রদ্ধা করার জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনকে বলেন, তখন ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে তার নিজের ব্যবসার কথা স্মরণ রেখে অনিশ্চিত কোন শর্তের কথা না বলার কথাই জানানো হয়। মালের সাম্প্রতিক ঘটনার ব্যাপারে ভারত সরকার একেবারেই নীরবতা বজায় রেখেছে। ভয় এই যে, তার কোনও ভুল পদক্ষেপ অবিশ্বাস্যভাবে চীনা শিবিরে মালদ্বীপকে ঠেলে দিতে পারে।
মালদ্বীপের ভারত-চীন ডিনামিক্স নেপালের গতিপথ থেকে খানিকটা ভিন্ন। প্রথমত, মালদ্বীপের জন্য ভারত থেকে ২০০০ কিলোমিটার দূরে এক নিরাপদ দূরত্বে থেকে চীনের সাথে যোগাযোগ অনেকখানি সহ্জ । নেপালের মতো মালদ্বীপের ক্ষেত্রে লেগে থাকার সুযোগটি দিল্লির জন্য অনেকটাই সংকীর্ণ।
আর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও অনেকটা ফিক্সড বলেই মনে হয়।
অন্তর্নিহিত কারণগুলি ভিন্ন হলেও মালদ্বীপ ও নেপালের সাথে ভারতীয় এস্টাবলিমমেন্টের দ্বন্ধের ধরণ কিন্তু একই রকম। উদাহরণস্বরূপ, মালের বিরোধি দলগুলিকে অব্যাহতভাবে মদত দেয়া হচ্ছে যার কারণে ইয়ামিন ক্রমবর্ধমানভাবে কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠছেন। আর একইসাথে চীনের প্রতি তার সম্পৃক্ততাও বাড়ছে। এর মাধ্যমে কি নাশিদ এবং বিরোধী দল ও গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার ফিরিয়ে আনাকে সমর্থন করা হচ্ছে?
নেপালের মতো একইভাবে নতুন দিল্লির নতুন ভয় হচ্ছে যে, যদি মাধেসিদের জাতিগত চাহিদাগুলিকে বেশি করে সমর্থন দেয়া হয় তবে নেপালি এস্টাবলিশমেন্ট চীনের প্রতি আরও বেশি সক্রিয় হতে পারে। আর মাধেশী দলগুলোর সাথে একাত্ব হতে গিয়ে ভারতের নেপালে একটি শক্ত সমর্থন ভিত্তি হারিয়ে ফেলার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে।
তবে দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশিদের দীর্ঘর্মেয়াদি বিষয়গুলো ডিল করার ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গি ছিল সংকীর্ণ এবং অস্থায়ী ধরনের। নরেন্দ্র মোদীর দক্ষিণ এশীয় সম্পর্কে তালগোল পাকানোর বিষয়টি সম্ভবত ভারতীয় সাংবাদিক উইনোদ দুয়া-এর দি ওয়্যার এ প্রকাশিত সাম্প্রতিক 'জনগণ মান কি বাত্' শীর্ষক এক লেখায় স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। এতে তিনি বলেছেন, মোদি প্রতিবেশি দেশগুলোতে নিজ স্বার্থকে এক অস্থির অবস্থায় রেখে তুর্কমেনিস্তান ও তাজিকিস্তানের মতো দূরবর্তী ও অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলিতে ভ্রমণ করে কি অর্জন করতে চাইছেন? তার কাছে এর একটি যুক্তিই আছে। সেটি হলো মোদির আসলে এমন কোনও বৈদেশিক নীতি-কৌশল আছে বলে মনে হয় না, যা পাকিস্তান ও চীনকে ছাড়িয়ে বাইরে যায়।
ভারত একের পর এক দক্ষিণ এশীয় বন্ধুদের হারিয়েছে। নেপালের ভারত-বিরোধি অনুভূতি কখনো এতো উচ্চতর হয় নি আর মালদ্বীপে চীনা উপস্থিতি কখনো এত গভীর ছিল না। ২০১৬ সালের উরির হামলার পর পাকিস্তানের সাথে ভারত সম্পর্ককে শীতল করেছে; শ্রীলংকা আবার চীনা বলয়ের ভেতরে ফিরে আসছে; এবং ডোকলামের পরিণতির কথা কখনও ভাবা হয়নি, এমনকি ভুটানও ভারতের সাথে তার নিরবচ্ছিন্ন সম্পর্ক নিয়ে কথা বলছে।
মালদ্বীপের সাম্প্রতিক সময়ে সফর করলে কেউ বিস্মিত হতে পারেন যে ভারতীয়দের সত্যিই সূক্ষ্ম কূটনৈতিক কোন অনুশীলন আছে কিনা। তাদের চূড়ান্ত অভিপ্রায় যাই থাকুক না কেন চীনারা নীরবে সময়কে তাদের সাথে বেধে রাখার শিল্প আয়ত্ত করেছেন। এটি সত্য, তাদের চেকবই কূটনীতির একটি সীমা আছে, কিন্তু তাদের সরকারী চ্যানেলকে অগ্রাধিকার দেয়ার পছন্দ একটি সুস্পষ্ট স্বচ্ছতা আনার কাজ করে। এর বিপরীতে, কোন নির্দিষ্ট ম্যাপ ছাড়া ভারতীয় কূটনীতির জলোচ্ছ্বাসের শিখরে আরোহন করে ১২০০ দ্বীপের দেশটিকে নেভিগেট করা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দৃশ্যমান হচ্ছে দিল্লির জন্য।
|
বৈশাখী নিউজ ডেস্কঃ সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সিটি কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খানের অনুসারী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক কামরুল আই রাসেল গ্রুপের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগের কাশ্মীর গ্রুপের পীযুষ বলয়ের ছাত্রলীগের কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে নগরীর জেলরোড এলাকায় এই হামলায় দুজন আহত হন। এসময় জিন্দাবাজারে একটি দোকানেও ভাংচুর করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা।
আহতরা হলেন- কামরুল আই রাসেল গ্রুপের কর্মী আসগর ও লিটন। তাদেরকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরীর জেলরোড এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কামরুল আই রাসেল গ্রুপের নেতাকর্মী ও ছাত্রলীগের কাশ্মীর গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই জের ধরে শুক্রবার রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে জিন্দাবাজার পয়েন্টে তারু মিয়ার ভুসিমালের দকানে রাসেলকে খোঁজতে এসে তাঁকে না পেয়ে দোকানের মালামাল ভাংচুর করে তারা।
এদিকে দোকানের ম্যানেজার সুজন মিয়া বলেন, হঠাৎ করে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ কামরুল আই রাসেলের খোঁজ করেন। পরে তাঁকে না পেয়ে দোকানে ভাংচুর করে আবার শ্লোগান সহকারে চলে যায়।
তবে দোকান মালিক সামসুজ্জামান শওকত বলেন, হামলার সময় দোকানের ফ্রিজসহ বিভিন্ন মালামাল ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের দপ্তর সম্পাদক কামরুল আই রাসেল বলেন, 'আমরা নেতাকর্মীদের নিয়ে জেলরোড এলাকায় ছিলাম। এমন সময় আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা হয়। এতে আমাদের দুজন কর্মী আহত হয়েছেন।'
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম মিয়া বলেন, 'ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুজন আহত হয়েছেন। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া একটি পক্ষ জিন্দাবাজারে একটি দোকান ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে। তবে কোন কিছু নিয়ে যায়নি।'
|
অনলাইন ডেস্কঃ বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে হামলার ঘটনায় করা মামলার আসামি ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর শেখ সাইয়েদ আহমেদ মান্নাকে প্রশাসনের লোক পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে ঢাকার মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ এলাকা থেকে দুটি মাইক্রোবাসে একদল সাদা পোশাকধারী তাকে তুলে নিয়ে যায় বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন মান্নার বোন কানিজ ফাতেমা বনা।
মান্না বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। নগরীর গোরস্থান রোডের বাসিন্দা সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মৃত শেখ কুতুব উদ্দিনের ছোট ছেলে। কাউন্সিলর মান্না ইউএনওর বাসায় হামলার ঘটনায় এসআই শাহ জালাল মল্লিকের দায়েরকৃত মামলার দুই নম্বর আসামি।
কানিজ ফাতেমা বনা অভিযোগ করেন, রাতে একদল লোক এসে তার ঢাকার বাসায় ঢুকে প্রশাসনের লোক পরিচয়ে তার ভাইকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের পরিচয় জানতে চাইলে বিস্তারিত কিছু না বলে বরিশাল কোতোয়ালি থানায় যোগাযোগ করতে বলেন।
তবে মান্না আটকের ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি জানান, মান্না বুধবার রাতের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারনামীয় আসামি। তবে গ্রেপ্তার কিংবা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে তার কিছুই জানা নেই। তিনি এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে জানান।
এর আগে গত বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবৈধ বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন উচ্ছেদ করতে অভিযান চালায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাদের অভিযান বন্ধ করে সকালে অভিযান চালাতে বলেন।
কিন্তু সেটি না মেনে ইউএনওর সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন সিটি করপোরেশনের কর্মী এবং আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে তারা ইউএনওর বাসভবনে হামলা চালান। এ সময় ইউএনওর নিরাপত্তায় আনসার সদস্যরা গুলি চালালে বেশ কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গেলে পুলিশের সঙ্গেও হামলাকারীদের সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হন।
|
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগ ব্রান্ডিং বিষয়ক এবং সরকারের সাফল্য অর্জন ও উন্নয়ন ভাবনা বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত। রবিবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে প্রেস ব্রিফিং করেন কুড়িগ্রাম জেলা তথ্য অফিসার মোঃ শাহজাহান আলী। বক্তব্য রাখেন সহকারী তথ্য অফিসার এইচ এম. শাহজাহান মিয়া (দূর্জয়), চিলমারী প্রেস ক্লাব উপদেষ্ঠা সভাপতি নাজমুল হুদা পারভেজ, সদস্য সচিব আমজাদ হোসেন, ক্লাবের সাধারন সম্পাদক জিয়াউর রহমান, সাপ্তাহিক জনপ্রাণ সম্পাদক শ্যামল কুমার বম্মর্ন, যুগের খবর সম্পাদক এস এম নুরুল আমিন সরকার, ভাওয়াইয়া এক্সপ্রেস সম্পাদক রিয়াদুল ইসলাম, চিলমারী সাংবাদিক ফোরাম সভাপতি সাওরাত হোসেন সোহেল, প্রেস ক্লাব চিলমারী সভাপতি গোলাম মাহবুব, চিলমারী অনলাইন সাংবাদিক ফোরাম সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল্লাহ সুজন প্রমুখ। সভায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, আশ্রয়ন প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ শিক্ষা সহায়ক কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী, বিনেয়াগ বিকাশ ও পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এসময় বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
|
এতদিন ফিজিও বায়েজেদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে অনুশীলন করলেও এখন নতুন ফিজিও ডিন কনওয়ের তত্ত্বাবধানে বোলিং করছেন। আর প্রথম দিনেই প্রত্যাশার চেয়ে বেশি দেওয়ায় মুস্তাফিজের ওপর খুশি ছিলেন জাতীয় দলের নতুন এই ফিজিও।
এ প্রসঙ্গে ডিন কনওয়ে বলেন, আমার মনে হয় অস্ট্রেলিয়া রওনা হওয়ার আগেও যদি সে পুরো শক্তিতে বোলিং করতে পারে, তার পরও ম্যাচ খেলার মতো ফিট হতে তার আরো তিন-চার সপ্তাহ লাগবে। ডিন কনওয়ের কথা অনুযায়ী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে মুস্তাফিজের খেলা এক প্রকার অনিশ্চিতই।
ডিসেম্বরের মধ্যে মুস্তাফিজের অনিশ্চয়তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন ডিন কনওয়ে, বুধবার মুস্তাফিজ ২৪টি বল করেছে। আমার মনে হয় আগেভাগে মাঠে নামলে বোলিংয়ের চেয়েও ঝুঁকিটা বেশি ফিল্ডিংয়ের সময় ডাইভ দেওয়া বা অন্য কোনও কারণে পড়ে গেলে। ম্যাচ খেলার মতো পূর্ণাঙ্গ ফিটনেস না অর্জন করে মাঠে নামা উচিত হবে না।
|
মন্ত্রী বুধবার সকালে ঢাকার আশকোনা হজ ক্যাম্পে আসন্ন হজে গমনেচ্ছুক হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতকালে এসব কথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, ২০১৮ সালের হজ ব্যবস্থাপনাকে আরো উন্নত করার লক্ষ্যে এ বছরের শুরুতেই একটি হজ ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করা হয়েছে। সে আলোকে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় করণীয়সমূহ পর্যায়ক্রমে সুন্দরভাবে সম্পাদন করছে। মন্ত্রী বলেন, এবছর বাংলাদেশ হতে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জন হজযাত্রী হজ করবেন। ইতিমধ্যে সকল হজযাত্রীর হজের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় বাড়ি ভাড়া সম্পন্ন হয়েছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বাড়ি ভাড়া চলছে। ভিসার লজমেন্টের কাজ শুরু হয়েছে। বিমান শিডিউলও পাওয়া গেছে। অনেক এজেন্সি ইতিমধ্যে বিমানের টিকেটের জন্য বুকিং দিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ অন্যান্য বছরের তুলনায় সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় এগিয়ে রয়েছে।
|
কাতারে ন্যাশনাল এড্রেস রেজিষ্ট্রেশনের সময়সীমা পার হবে ২৬শে জুলাই ২০২০ তারিখে। শেষ সময়ে এসে কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় (দাখিলিয়া) আবারও সকল নাগরিক ও কাতারে অবস্থানকারী প্রবাসীদেরকে এই সময়ের মধ্যে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করার তাগিদ প্রদান করেছে।
গত সোমবার মন্ত্রনালয়ের এক টুইট বার্তায় বলা হয়ঃ আমরা কাতারের নাগরিক, প্রবাসী এবং আইনজীবিদের (in accordance with the National Address Law) Metrash2 অথবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ন্যাশনাল এড্রেস রেজিষ্ট্রেশনের গুরুত্বের কথা স্মরণ করে দিচ্ছি।
সকল কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে তাদের এড্রেস ও তথ্য মন্ত্রনালয়ের কাছে নিবন্ধন করতে হবে। সরকারের বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তি ও নোটিশ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে যথা সময়ে পৌছানোর লক্ষে এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত জরুরী এবং এই সেবা প্রদানের জন্যই এই প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার যাতে মানুষের কাছে সহজে পৌছতে পারে এবং এম্বুলেন্স সেবা সহ সকল ধরণের সেবা যাতে জনগনের কাছে দ্রুত পৌছানো যায় এ উদ্দেশ্যে এই নিবন্ধন সহায়তা করবে।
নিবন্ধনের জন্য ব্যক্তিকে তার প্রয়োজনীয় তথ্য একটি নির্দিষ্ট ফরমে প্রদান করতে হবে। সেই ফরেম নিজের নাম আইডি নম্বর প্রদানের সাথে সাথে নিজ ঠিকানা তথা Zone, Street, Building নম্বর, পোষ্ট বক্স নম্বর, ইলেক্ট্রিসিটি নম্বর, টেলিফোন নম্বর, মোবাইল নম্বর, ই-মেইল এড্রেস, নিয়োগকর্তার ঠিকানা, দেশের ঠিকানা ইত্যাদি প্রদান করতে হবে। ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের রেজিষ্ট্রেশন তার অভিভাবকের রেজিষ্ট্রেশনের সাথে অটোমেটিক হয়ে যাবে। তবে ১৮ বছরের বেশী বয়সের সন্তান বা স্ত্রীর জন্য পৃথক ভাবে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে।
ন্যাশনাল রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হলে সরকারী কিছু সেবার মান দ্রুত গতিতে বেড়ে যাবে। তার মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা ও জরুরী সেবা। যেমনঃ আলফাজা, ট্রাফিক বিভাগ, সিভিল ডিফেন্স, এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ইত্যাদি। তা ছাড়া এই রেজিষ্ট্রেশনের ফলে বাসিন্দারা অনলাইন ক্রয় ও অনলাইন ডেলিভারী সুবিধা গ্রহণ করবেন।
যারা রেজিষ্ট্রেশন করতে ব্যর্থ হবেন, তাদেরকে কমপক্ষে ১০ হাজার রিয়াল জরিমানা প্রদান করতে হবে।
যদি কেউ রেজিষ্ট্রেশনের পর তার ঠিকানা পরিবর্তন করে ফেলেন, তাহলে তা আপডেট করার সুযোগ থাকবে। Metrash2 এ্যাপ্লিক্যাশনে সেই সুবিধা রয়েছে।
|
যেখানে আয়কর বিভাগ AJLএর সমস্ত সম্পত্তির মূল্যায়ন করেছেন প্রায় ৩০০ কোটি টাকা, যা নিয়ে আদালতে অভিযোগও জানানো হয়েছে, কিন্তু মিথ্যা প্রচারের দৌড় এতটাই যে সম্পত্তির কাল্পনিক ও মিথ্যা মূল্যায়ন যে ২০০০ কোটি টাকা দেখানো হচ্ছে, সেটিই মানুষের স্মৃতিতে অপরিবর্তিত ভাবে থেকে যাবে।
সরকার, মিডিয়ার একাংশ ও বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল হেরাল্ড, প্রকাশনা সংস্থা দ্য এসোসিএটেড জার্নাল ও হোল্ডিং কোম্পানি ইয়ং ইন্ডিয়ান এর উপর ক্রমান্বয়ে অভিযোগ করে চলেছেন। আর, এই অভিযোগগুলি যেভাবে নির্লজ্জভাবে প্রায়শই বিজেপির মুখপাত্রদের দিয়ে বারবার রীতিমতো আত্মবিশ্বাসের সাথে টিভি চ্যানেল গুলিতে পরিবেশিত ও প্রচার করা হচ্ছে, তাতে করে মনে হতে পারে কোনো তথ্যানুসন্ধান কি আদৌ জরুরি ?
অবশ্যই ভারত সরকারের কাছে এসোসিএটেড জার্নাল এবং ইয়ং ইন্ডিয়ানের সমস্ত নথি, আয়কর জমার তথ্য ও অর্থনৈতিক লেনদেনের নথি আছে। লেনদেনের সমস্ত নথি তাঁরা স্বচ্ছন্দে পরীক্ষা করে দেখতেই পারেন। কিন্তু, এই ধরনের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কারো বিরুদ্ধে কোনো FIR করা হয় নি - এসোসিএটেড জার্নালের বিরুদ্ধে নয়, ইয়ং ইন্ডিয়ানের বিরুদ্ধে নয়, সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে নয়, এমনকি রাহুল গান্ধী বা অন্য কোন শেয়ারহোল্ডার বা ALJ কিংবা ইয়ং ইন্ডিয়ানের ডাইরেক্টর দের বিরুদ্ধেও নয়।
কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা বা মিডিয়ার একাংশ পরিকল্পনা করে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও নেতা রাহুল গান্ধীকে ক্ষতিকারক ভাবে অপদস্থ করার জন্য তিনটি ভিত্তিহীন বিষয় নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছেন। যেখানে রাহুল গান্ধী কে ED ডেকে পাঠিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য, তবুও বিজেপির মুখপাত্ররা ও বন্ধু মিডিয়ার লোকজন দিনরাত এক করে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি প্রমান করার উদায়স্ত পরিশ্রম করছেন :
১) ইয়ং ইন্ডিয়ান, একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান, যেভাবেই হোক ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এসোসিএটেড জার্নাল নামক সংস্থাটির সমস্ত সম্পত্তি অধিগ্রহণ করেছে।
২) সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী যাঁরা এখন ইয়ং ইন্ডিয়ানের শেয়ারহোল্ডার (যদিও আরো অনেকেই আছেন), তাঁরা নাকি এসোসিএটেড জার্নালের মালিক।
৩) AJL এর কাছ থেকে ইয়ং ইন্ডিয়ানের কাছে যেভাবে টাকার অবৈধ লেনদেন ও অর্থপাচার করা হয়েছে ED তা' নিয়েই অনুসন্ধান করছেন। এছাড়াও, বিজেপি সরকার ২০১৫ সালে আয়কর আইন সংক্রান্ত যে সকল সংশোধনী এনেছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে ইয়ং ইন্ডিয়ান ২০১৬ সালে আয়কর ছাড় সংক্রান্ত যে সকল নথি সরকারের কাছে জমা করেছিল, তা' নিয়েও অনেক বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। ইয়ং ইন্ডিয়ান সেই সকল নিবন্ধনগুলি জমা করে দিয়েছিল এই কারণে যে তাদের কাছে দানধ্যান করার মত উদবৃত্ত অর্থই ছিল না।
দিল্লিতে এই যে বৃহত্তম সুরক্ষাবলয় তৈরি করা, কংগ্রেসী নেতৃত্ব কে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিল করতে না দেওয়া, কংগ্রেসী নেতাদের আটকে রাখা বা তাদের গ্রেপ্তার করা, তাদের উপর অমানবিক নির্যাতন করা, বুধবারে কংগ্রেস সদর দপ্তরে ঝড়ের বেগে পুলিশের অনুপ্রবেশ - এ সবই হল এই বিতর্কটিকে আরো উস্কানি দেওয়ার নির্মম ষড়যন্ত্র।
তাই, এটি অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে জানিয়ে দেওয়া বাঞ্ছনীয় যে :
১) এসোসিএটেড জার্নাল আজও সমস্ত সম্পত্তি তাদের নিজেদের অধিকারেই রেখেছে। ইয়ং ইন্ডিয়ান, AJLএর কোনো সম্পত্তি অধিগ্রহণও করে নি, বা নিয়ন্ত্রণও করে না।
২) বিজেপি যেভাবে মিথ্যা তথ্য পরিবেশিত করে বলছে যে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও ইয়ং ইন্ডিয়ানের একজন শেয়ারহোল্ডার বা ডাইরেক্টর, তাও সর্বৈব মিথ্যা। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মোটেই ইয়ং ইন্ডিয়ান বা এসোসিএটেড জার্নালের শেয়ারহোল্ডার বা ডাইরেক্টর নন।
৩) কোনো শেয়ারহোল্ডার বা ডাইরেক্টর ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া থেকে আজ পর্যন্ত AJL বা ইয়ং ইন্ডিয়ান থেকে বেতন, ভাতা, কোনোপ্রকার খরচ, ভাড়া, অনুদান, ডিভিডেন্ড, অস্থাবর সম্পত্তির হস্তান্তর বা অন্য কোন উপায়ে কোনো প্রকারের অর্থকরী লেনদেন করেন নি।
৪) ইয়ং ইন্ডিয়ান যেহেতু ধারা-২৫ অনুযায়ী একটি দাতব্য ও অলাভজনক সংস্থা, সেহেতু বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও বা গুটিয়ে ফেললেও অন্য আর একটি কোন ধারা-২৫ এর অন্তর্ভুক্ত দাতব্য ও অলাভজনক সংস্থা ছাড়া কাউকেই তাদের স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারবে না।
যেহেতু AJLও এসোসিএটেড জার্নালের মধ্যে কোনো অর্থনৈতিক লেনদেন হয় নি বা যেহেতু কোনো শেয়ারহোল্ডার বা ডাইরেক্টর কাউকেই কোনো ডিভিডেন্ড বা অন্য কোন ধরনের অর্থকরী সুবিধা দেওয়া হয় নি, তাই অর্থপাচারের অভিযোগও ধোপে টেকে না।
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শ্রী পি চিদাম্বরম যেমন বর্ণনা করেছেন, "অর্থপাচার করতে গেলে অর্থ থাকাটা অত্যন্ত আবশ্যক। তাই সোনিয়া গান্ধী বা রাহুল গান্ধী "২০০০ কোটি টাকার অর্থনৈতিক প্রতারণা করেছেন", তা' সর্বৈব মিথ্যা, বুনিয়াদহীন ও মানহানিকর।
এটা সত্যি, যে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ২০০১-০২ থেকে ২০১০-১১ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে চেকের মাধ্যমে AJL কে ৯০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল।
যার দুই তৃতীয়াংশ খরচ করা হয়েছিল যেসকল সাংবাদিক ও অন্যান্য কর্মচারীরা দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছিলেন তাদের বেতন, অবসরকালীন ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি ও স্বেচ্ছাবসরের টাকা মেটাতে।
এছাড়াও সেই ঋণ থেকে আয়কর ও অন্যান্য কর জমা দেওয়া, বিদ্যুতের বিল ও অন্যান্য যা যা দেয় ছিল, যা ঋণের বোঝা বাড়ার কারণে AJLকে সাময়িক ভাবে প্রকাশনা বন্ধ করতে বাধ্য করেছিল এবং ২০০৮ সাল পর্যন্ত মেটাতে অসমর্থ ছিল, তা' মেটানো হয়েছিল।
কংগ্রেস এই ঋণ দিয়েছিল কারণ AJL নামক এই সংস্থাটি স্বাধীনতার পূর্বে কংগ্রেস মহারথী ও স্বাধীনতা সংগ্রামী পন্ডিত জওহরলাল নেহরু, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, কৈলাসনাথ কাটজু, রফি আহমেদ কিদোয়াই, আচার্য নরেন্দ্র দেব, পুরুষোত্তম দাস ট্যান্ডন প্রমুখদের মাধ্যমে স্থাপনা করা হয় - আর তা' পরবর্তীকালে অত্যন্ত অর্থনৈতিক দুরাবস্থায় পড়েছিল যার কারণে কর্মচারী ও সাংবাদিকদের বেতন দিতেও পারছিল না এবং এই ঋণ টি না পেলে যার ঝাঁপ ফেলা অবশ্যম্ভাবী ছিল।
এটাও সত্যি, ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠার সময় AJLএর তরফ থেকে যে স্মারকলিপি (memorandum of associatiom) জমা দেওয়া হয়েছিল তাতে পরিষ্কার উল্লেখ করা ছিল যে ম্যাগাজিন, পত্রিকা বা পাক্ষিক যাই প্রকাশিত হোক না কেন, তা' ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের বিচারধারা ও নীতির সাথে সাযুজ্য রেখেই করা হবে।
বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা শ্রী মতিলাল ভোরা ২০০১-০২ সালে AJL এর সভাপতি হন। ২০০৮ সালে এটির প্রকাশনা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় এটাও পরিষ্কার ছিল যে সমস্ত দেনা মিটিয়ে দেওয়ার পর AJL এর কাছে আর কিছু অবশিষ্ট নেই যা দিয়ে তারা কংগ্রেসের ঋণ শোধ করে।
২০০০ সালের শুরুর দিকেই AJL এর পুনরুদ্ধার ও একে কিভাবে বাঁচানো সম্ভব তা' নিয়ে প্রচেষ্টা শুরু হয়েছিল।
তাই, AJL এর শেয়ারহোল্ডারগন ২০১১ সালের জানুয়ারিতে নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেন যে ধারা-২৫ নিয়ন্ত্রিত অলাভজনক সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ানের নামে সমস্ত শেয়ার পরিবর্তিত করা হবে। AJL এর অতিরিক্ত বার্ষিক সাধারণ সভায় সমস্ত শেয়ারহোল্ডাররা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেটাই বিজেপি ও সংঘ পরিবারের বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ পরিবেশনের মুখ্য প্রতিপাদ্য।
AJLএর সমস্ত শেয়ার ইয়ং ইন্ডিয়ানের নামে নির্দেশিত হওয়ার পর সেই ৯০ কোটি টাকার ঋণ ইকুইটিতে পরিবর্তিত করা হয় এবং AJL এর উপর থেকে সমস্ত ঋণ মকুব করা হয়।
সংস্থার এই নির্ধারিত পুনর্গঠনের ফলে অনেকগুলো উদ্দেশ্য সাধিত হয়। এসোসিএটেড জার্নাল লাল ফিতের বাঁধন থেকে বেরিয়ে আসতে সমর্থ হয় ও আরো সংবাদপত্র ও ডিজিটাল প্লাটফর্মের সূচনার পটভূমিকা প্রস্তুত হয়। ঋণ ইকুইটিতে রূপান্তরিত হওয়াতে বহু বছরে এই প্রথমবার AJL এর একটি ভদ্রস্থ ব্যালান্স শিট তৈরি করা সম্ভব হয়। আর দাতব্য, অলাভজনক সংস্থা এটিও নির্দিষ্ট করে যাতে AJLবা ইয়ং ইন্ডিয়ানের কোনো শেয়ারহোল্ডার বা ডাইরেক্টর যেন আর্থিক ভাবে লাভবান না হন।
এতে প্রকাশনা সংস্থাটিকে পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব হয় আর আজ নিউ দিল্লি, পাঁচকুল্লা ও মুম্বাই থেকে AJL হিন্দি ও ইংরাজি দুটি পৃথক ভাষায় সাতটি পর্বের দুটি আলাদা সাপ্তাহিক সংবাদপত্র প্রকাশ করে যার ২০০০০ এর ওপর গ্রাহক। এছাড়াও হিন্দি, ইংরাজি ও উর্দু এই তিনটি ভাষায় ওয়েবসাইটও চালানো হয়। যেটি বার্ষিক অন্তত ১ কোটি ৮০ লাখ লোক দর্শন করে আর বার্ষিক প্রায় ৮ কোটি লোক এই ওয়েবসাইটগুলির প্রতিটি পাতার দর্শক।
AJL আজও সমস্ত সম্পত্তিরই মালিক। বিজেপি সরকারের আয়কর বিভাগ এর মূল্যায়ন করেছে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার, ডঃ সুব্রামানিয়াম স্বামী ২০০০ কোটি টাকা বলে যেটিকে চালাতে চেয়েছিলেন। যা আজ AJL আয় করে তা' পুরোটাই তাদের হিসেবের খাতায় তোলা আছে এবং পুরো টাকাটাই তাদের প্রকাশনা ও ডিজিটাল মিডিয়ার ব্যবসায় ব্যবহৃত হয়। বার্ষিক সাধারণ সভায় সমস্ত খরচের হিসেব পেশ করা হয় ও অনুমোদন দেওয়া হয় আর তা' স্বাধীন অডিটর দ্বারা অডিট করা হয় ও তারপর আয়কর বিভাগে দাখিলও করা হয়। আজও AJL এর সমস্ত স্মারকলিপি বা পরিচালনসমিতির নিয়মাবলী অনুযায়ী, কাউকে কোনো ডিভিডেন্ড বা লভ্যাংশ দেওয়া হয় না আর AJL তাই একটি জনস্বার্থে ব্যবহৃত অলাভজনক সংস্থা।
১৯৩৭ সালে শুরু হওয়ার পর থেকেই ন্যাশনাল হেরাল্ড ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ও স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এর সম্পাদক হয়েছেন কে রামা রাও, চলপতি রাও এবং খুশবন্ত সিংহের মত নামী ব্যক্তিত্ব যারা অনেক প্রথিতযশা সাংবাদিককে তৈরিও করেছেন।
ন্যাশনাল হেরাল্ডই ভারতের প্রথম সংবাদপত্র যার সম্পাদকীয় অংশটি ফাঁকা রাখা হত। যখন সংবাদপত্রের শিরোনামগুলি সেন্সর করা শুরু হয়, তখন তারা শিরোনাম ছাড়াই সংবাদপত্র প্রকাশ করত। কিছুদিন তো এমনও হয়েছিল যে কর্মচারীরা নিজেরাই কমিউনিটি রান্নাঘর তৈরি করে, অফিসে থেকে, ঐচ্ছিক বেতন কাটিয়েও এই সংবাদপত্র প্রকাশ করেছেন।
জওহারলাল নেহরু একবার নিজের পৈতৃক নিবাস এলাহাবাদের ইন্দিরা ভবন বেচেও ন্যাশনাল হেরাল্ডের বন্ধ হয়ে যাওয়া কে রুখতে চেয়েছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে এই সংবাদপত্রের ভূমিকা ও নেহরু তথা আরো অনেক প্রথিতযশা কংগ্রেসী নেতৃত্বের আবেগের কথা মাথায় রেখে, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস বরাবর এই সংস্থাকে সহায়তা প্রদান করে এসেছে।
|
তার প্রথম অ্যালবামটিতে লিন্ডা পেরি, ডেভ গ্রহল এবং চারোর সহযোগিতা রয়েছে।
ক্যাট ভন ডি কয়েকটি উত্তেজনাপূর্ণ নতুন ঘোষণা করার সময় একটি ব্যবসায় উদ্যোগ থেকে সরে এসে 2020 এ যাত্রা শুরু করছে।
বৃহস্পতিবার সকালে, উলকি শিল্পী-উদ্যোক্তা নিশ্চিত করেছেন যে তিনি অন্যান্য সুযোগগুলিতে মনোনিবেশ করতে ক্যাট ভন ডি বিউটি থেকে সরে এসেছেন। 'এটা আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে আমি সর্বাধিক ক্ষমতায় সবকিছু করতে পারি না,' তিনি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন। 'এটি স্বীকার করা শক্ত, কারণ আমি সবসময় বলেছি' আপনি সবকিছু এবং যে কোনও কিছু করতে পারেন। ' তবে আমি মনে করি না যে নিজের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করা খারাপ জিনিস "
তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন যে তিনি ব্র্যান্ডের তার শেয়ারগুলি কেন্দোর কাছে বিক্রি করেছিলেন, যে সংস্থাটি প্রথম অংশে ক্যাট ভন ডি সৌন্দর্য তৈরি করতে অংশীদারি করেছিলেন। 'এটি কোনও সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না, তবে সাবধানতার সাথে বিবেচনা করার পরে, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমি চাই যে মেকআপ লাইনটি ক্রমবর্ধমান এবং বাড়তে থাকবে, এবং আমি বিশ্বাস করি কেন্দো ঠিক তা-ই করবে is'
ব্র্যান্ডটির নাম শেষ পর্যন্ত কেভিডি ভেগান বিউটির নামকরণ করা হবে।
এই ঘোষণা দেওয়ার পরে, ভন ডি কীভাবে তাঁর 'সাম্রাজ্যকে প্রসারিত করছে' তার বিশদ একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল - তার জুতার লাইন, একটি প্রথম অ্যালবাম এবং আন্তর্জাতিক সফরের সফল লঞ্চের ঘোষণা দিয়ে।
লিন্ডা পেরির সাথে তিনি যে অ্যালবামটি লিখেছিলেন, তাতে ডেভ গ্রহল, লেডিহোকে, বাউহসের পিটার মারফি, নাইন ইঞ্চ নখের ড্যানি লোহনার এবং একমাত্র চারোর সাথে একটি স্প্যানিশ যুগল মিলিত হবে। 'আসন্ন মাসগুলিতে' ট্যুর তথ্য ভাগ করে নেওয়ার সাথে এটি এই বছরের শেষের দিকে নামবে।
|
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশে মারা গেছেন ২১ জন। আর এই সময় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৬০২ জন। এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ৮৭০ জন। আর মারা গেছেন ৩৪৯ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন ২১২ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৮৫ জন।
আজ সোমবার (১৮ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
|
এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি চিকিৎসা ব্যয় কতটা হবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সেই অংকটা মোটেও ছোট নয়। যা আজম খানের পরিবারের পক্ষে বহন করা অসম্ভব বলে জানানো হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক সহায়তা কামনা করেছেন তিনি।
|
সিবিসি নিউজ ডেস্কঃ সাংবাদিকদের বৃহৎ সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ২০২১-এর কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) রিপোর্টার মোরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন দৈনিক সমকালের রিপোর্টার মশিউর রহমান।
সোমবার আজ (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। এর আগে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে। নির্বাচনে ১৬৯৩ জন ভোটারের মধ্যে ১৩৮১ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
|
চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী হত্যা ও ধর্ষণসহ ২৭ মামলার আসামি কাজী মশিউর রহমানকে (৬০) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭। এ সময় তার কাছ থেকে ৫টি বিদেশী অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। গত রোববার রাত ৯টায় উপজেলার সলিমপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মশিউর খুলনা জেলার ফুলতলা থানার পায়গ্রামের মৃত কাজী গোলাম হাসানের ছেলে। তিনি বর্তমানে সীতাকুণ্ডের ছিন্নমূল (জঙ্গল সলিমপুর) জাফরাবাদ এলাকায় বসবাস করেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নিয়াজ মোহাম্মদ চপল বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীতাকুণ্ডের সলিমপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মশিউর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ১টি ওয়ান শুটারগান, ২টি এলজি, ১টি দুইনলা বন্দুক, ১টি ম্যাগাজিন এবং ১৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় খুন, ধর্ষণ, অপহরণ ও জবর দখলসহ ২৭টিরও বেশি মামলা রয়েছে।
এর আগে, গত ২০২৭ সালের ২৩ অক্টোবর ১৬টি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ সলিমপুর এলাকা থেকে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন মশিউর। পরে ওই মামলায় দীর্ঘদিন জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান।
|
বিভিন্ন জাতীয় জরিপে দেখা যাচ্ছে, জো বাইডেন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রগুলোতে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন। প্রেসিডেন্ট অযৌক্তিক আচরণ করছেন এবং তিনি তাঁর প্রশাসনের সদস্যদের ও ডিপার্টমেন্টগুলোকে আগামী মাসের নির্বাচনকে প্রভাবিত করার কাজে ব্যবহার করছেন। গত কয়েক মাসের বেশির ভাগ সময় তিনি জাতীয় নিরাপত্তাকাঠামোর মূল বিভাগগুলোকে রাজনৈতিক ও সশস্ত্র করার চেষ্টা করেছেন। তিনি বিচার মন্ত্রণালয়কে ম্যানিপুলেট করেছেন; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্সের পরিচালকের দপ্তর এবং সিআইএকেও অভূতপূর্ব উপায়ে ম্যানিপুলেট করেছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার ও বিচার মন্ত্রণালয় যথাক্রমে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত অ্যাটর্নি ও পারসোনাল ল ফার্ম হয়ে উঠেছে। বিচার মন্ত্রণালয় এফবিআইয়ের কমান্ড সেন্টারকে ফোর্স ম্যানেজ করার কাজে লাগিয়েছে। এটা ঘটেছে জুনের প্রথম তারিখে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের লাফিয়েট স্কয়ার থেকে হটিয়ে দেওয়ার জন্য, যাতে ট্রাম্পের ফটো অপরচুনিটিকে কাজে লাগানো যায়। উইলিয়াম বার নিউ ইয়র্ক সিটি, পোর্টল্যান্ড ও সিয়াটল শহরকে এবং এগুলোর ডেমোক্র্যাট মেয়রদের 'এনার্কিস্ট জুরিসডিকশন'-এর কারণে শাস্তির হুমকি দিয়েছেন; এমনকি অর্থ প্রদান বন্ধ করে দেওয়ার কথাও বলেছেন। অথচ তিনি তাঁর অবস্থান থেকে এ কথা বলতে পারেন না।
উইলিয়াম বার বিচার বিভাগের কাছে ট্রাম্পের সর্বশেষ দাবির বিষয়টি অবজ্ঞা করেছেন। দাবিটা ছিল বিচার বিভাগ যেন তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অগ্রসর হয়। এই প্রথম ট্রাম্পের রেডলাইন অতিক্রম করতে দ্বিধা করলেন বার। উপরন্তু বার বলেছেন, ওবামা ও বাইডেন তদন্তাধীন নন। তিনি এ-ও বলেছেন, বিচার বিভাগ বিষয়ক ট্রাম্পের টুইট তাঁর কাজকে অসম্ভব করে তুলেছে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী চ্যাড উলফ তাঁর ডিপার্টমেন্টকে ব্যবহার করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত মিলিশিয়া বাহিনী হিসেবে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি পোর্টল্যান্ড ও সিয়াটলে বিক্ষোভ দমনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছে।
ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্সের পরিচালক জন র্যাটক্লিফ ট্রাম্পের সরকারকে সশস্ত্র করার কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করেছেন। তিনি সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহামের জুডিশিয়ারি কমিটিকে প্রচুর প্রমাণহীন গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেছেন, যাতে হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর প্রক্রিয়াকে যুক্তিযুক্ত করা যায়। তথাকথিত এই গোয়েন্দা তথ্যকে ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা প্রত্যাখ্যান করেছেন; রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেট ইনটেলিজেন্স কমিটিও সেটা প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেছে, র্যাটক্লিফের তথাকথিত গোয়েন্দা তথ্য আসলে রুশ অপতথ্য। র্যাটক্লিফ শেষ পর্যন্ত স্বীকার করেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের নির্দেশনা মেনে এসব তথ্য ছাড় করেছেন।
সিআইএর পরিচালক গিনা হাসপেল নিশ্চিত করছেন যে ট্রাম্প তাঁর ওভাল অফিসের রিসোলিউট ডেস্কে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত গোয়েন্দা তথ্য গ্রহণ করেন না। নজিরবিহীন এক পদক্ষেপে হাসপেল ইনটেলিজেন্স অ্যানালিস্টদের আদেশ দিলেন রাশিয়ার হস্তক্ষেপের ব্যাপারে গোয়েন্দা কার্যক্রমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য। এ জন্য তিনি সিআইএর জেনারেল কাউন্সেল কোর্টনি এলউডকে বলেন। এলউড একসময় সিআইএ হুইসেল-ব্লোয়ারদের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনকলের ব্যাপারে প্রমাণপত্র (অ্যাফিডেভিট) দিয়েছেন; বিচার মন্ত্রণালয়কে তিনি সেটা দেননি। বিভিন্ন বিধিতে তাঁকে এমনটা করতেই বলা হয়েছে। ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্সের পরিচালকের ইন্সপেক্টর জেনারেল সেই অ্যাফিডেভিট আইনানুগভাবে সিনেট ইনটেলিজেন্স কমিটিকে দিলেন। এরপর ট্রাম্প তাঁকে বরখাস্ত করলেন।
জুনে সেইন্ট জন এপিস্কোপাল চার্চে ট্রাম্পের ফটো অপরচুনিটির ব্যাপারে পেন্টাগনের অবদান হলো সারা দেশ থেকে সিটিজেন সোলজারদের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিমানে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য ন্যাশনাল গার্ড কমান্ডারদের অনুরোধ জানানো, যাতে তারা লাফিয়েট স্কয়ার থেকে বিক্ষোভকারীদের সরাতে পারে। নাইন-ইলেভেনের পরিপ্রেক্ষিতে একটা অস্পষ্ট আইন গভর্নরদের অনুমোদন দিয়েছিল রাজ্যের সীমা বরাবর গার্ডসমেন মোতায়েন করার, তবে শুধু কাউন্টার টেররিজমের মিশনের জন্য। জুনে প্রায় তিন হাজার ৮০০ সেনা ওয়াশিংটনে আসে বিভিন্ন রাজ্য থেকে তাদের রিপাবলিকান গভর্নরদের সঙ্গে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার ন্যাশনাল গার্ডের অধিকারে থাকা শহরগুলোকে ব্যাটেল স্পেস উল্লেখ করেছিলেন। কার্যত ১৮৭৮ সালের পসি কমিটেটাস অ্যাক্টে যুক্তরাষ্ট্রে মার্কিন স্থলসেনাদের কংগ্রেসের আইন বা রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের সম্মতি ছাড়া মোতায়েনে নিষেধাজ্ঞা আছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে হোম সার্ভারের মাধ্যমে পাঠানো হিলারির সব ই-মেইল সরবরাহ করার প্রেসিডেনশিয়াল আদেশ কার্যকর করেছিলেন। ট্রাম্প বলেছিলেন, মাইক যেভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামলাচ্ছেন তাতে তিনি সন্তুষ্ট নন। পম্পেও তাত্ক্ষণিকভাবে বলেছিলেন, তিনি ট্রাম্প নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট যেমন চান, তেমন করবেন।
ন্যাশনাল সিকিউরিটি টিম যদি সব কাজ ট্রাম্পের নির্দেশনায় ও আদেশে করে, তাহলে এর চেয়ে উদ্বেগের বিষয় আর নেই। উঠপাখি বালুতে মাথা গুঁজে; কারণ তার বিশ্বাস সে যেহেতু কিছু দেখে না, অতএব আর কেউই দেখে না। ট্রাম্প বাস্তবতার সঙ্গে সম্পর্কচ্যুত হয়েছেন; কিন্তু তাঁর প্রশাসন ও দলের কেউ সেটা দেখতে পাচ্ছে না।
|
গাজীপুর প্রতিদিন ডেস্ক : দেশের বিনিয়োগে চলছে স্থবিরতা। কমেছে ঋণের প্রবৃদ্ধি। এ জন্য ঋণের উচ্চ সুদহারকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ী, বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্টরা। তাই অর্থনীতির গতিধারা ঠিক রাখতে সুদহার এক অঙ্কে নামানোর নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কঠোর হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী। কিন্তু কারও নির্দেশনাই আমলে নিচ্ছে না ব্যাংকগুলো।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একদিকে চলছে ব্যাংকের আর্থিক সঙ্কট। দিনদিন ঋণের চাহিদাও বেড়ে চলেছে। এ ছাড়া খেলাপি বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে নগদ টাকার সঙ্কটে রয়েছে ব্যাংকগুলো। সুদহার কমাতে সরকারি উদ্যোগ ও ব্যাংকারদের নানামুখী তৎপরতায়ও কাজে আসছে না হু হু করে বেড়েই চলছে সুদহার। এটি বিনিয়োগের জন্য শুভকর নয়। এ প্রবণতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বিনিয়োগে।
গত ১৪ জুন ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ব্যাংকের যে সমস্যাটা, আমরা সবসময় চেষ্টা করেছি যেন সিঙ্গেল ডিজিটে থাকে। আর এ সিঙ্গেল ডিজিটে রাখার জন্য আমরা কতকগুলো সুবিধাও দিলাম। কিন্তু অনেক বেসরকারি ব্যাংক সেটা মানেনি। এবারের বাজেটে সেটা বলাই আছে, নির্দেশনাও আছে। এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদের এ নিয়মটা মেনে চলতে হবে যেন ঋণটা সিঙ্গেল ডিজিটে হয়। কোনোমতেই যেন ডাবল ডিজিটে না যায়।
এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমানত সঙ্কটের কারণে সুদহার কাঙিক্ষত পর্যায়ে নামানো যাচ্ছে না।'
সরকার প্রধানের নির্দেশনা সত্ত্বেও সুদহার না কমে উল্টো বাড়বে এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সিঙ্গেল ডিজিটে সুদহার নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। অনেক ক্ষেত্রে কমানোও হয়েছে। তবে বাস্তবিক কারণে পুরোপুরি কমানো যায়নি। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে আমানতের সঙ্কট। এছাড়া খেলাপি ঋণ বাড়ায় প্রভিশন রাখতে গিয়ে অর্থ সঙ্কটে পড়ছে। সব মিলিয়ে সুদহার কমাতে সমস্যা হচ্ছে। তবে চেষ্টা চলছে তারল্য সঙ্কট কমলে সুদহার কমে যাবে।
|
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেছেন, 'যাদের সাহিত্য জ্ঞান নেই, যাদের সাংস্কৃতিক জ্ঞান নেই, যাদের মানবতা জ্ঞান নেই, তারাই হয়ে ওঠে আজকের সমাজের এক একজন জঙ্গি, এক একজন নিবরাস ইসলাম। যারা অন্যের হননের মধ্য দিয়ে জীবনের অর্থ খুঁজে পাওয়ার প্রয়াস পায়। সুতরাং সংস্কৃতিকে যদি মানুষের জীবনাচারণ থেকে বিছিন্ন করে কেড়ে নেওয়া হয়, তাহলে তারা হবে বিকলাঙ্গ এবং মানসিকভাবে পঙ্গু।'
রবিবার বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যায়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ইবি প্রভোস্ট কাউন্সিল আয়োজিত আন্তঃহল সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হারুন উর রশিদ আসকারী আরও বলেন, 'সংস্কৃতি বিহীন জ্ঞান পরিপূর্ণ জ্ঞান নয়। শুধুই লেখাপড়া আর একাডেমিক সাফল্য একজন মানুষকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে নির্মাণ করতে পারে না। সংস্কৃতি জ্ঞান তার অপরিহার্য। তাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেমন উৎকর্ষ দেখাতে চায় লেখাপড়া গবেষনায়, একই ভাবে উৎকর্ষ দেখাতে চায় শিল্প এবং সংস্কৃতি চর্চায়।'
বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন অনুর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ও শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, সাদ্দাম হোসেন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আশরাফুল আলম, লালন শাহ হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আহসানুল হক আম্বিয়া, বঙ্গবন্ধু হল প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহদাৎ হোসেন আজাদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।
আন্তঃহল সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০১৭ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করবে।
|
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামানের মানবিকতার বহিঃপ্রকাশ ক্রমেই বেড় চলছে। করোনার ভয়বহতম দিনগুলোতে দিনের পর দিন অসহায়, দুস্থ্য, না খেয়ে থাকা মানুষের পাশে খাবার নিয়ে হাজির হওয়াসহ চিকিৎসা বঞ্চিতদের জন্য বিনামুল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান করে জেলার সর্বত্র একজন মানবিক পুলিশ সুপার হিসাবে আলোচিত হন আহমার উজ্জামান। করোনার ভয়াবহতা কমতে থাকলেও এই মানবিক পুলিশ সুপার থেমে নেই। বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রীজমোড়ে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকার খবর পেয়ে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাকে উদ্ধার করে পুলিশ ভ্যানে করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তার নাম বাবুল (৪৫)। বাড়ি নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, দুপুরে পাটগুদাম ব্রীজ মোড়ে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মুহুর্তে পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামানের কাছে খবর পৌছে যায়। পুলিশ সুপার দ্রুত কোতোয়ালী পুলিশকে ঘটনাস্থলে পৌছে তাকে উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় পদপে নিতে নির্দেশ দেন। খবর পেয়ে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের ওসি ফিরোজ তালুকদার, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুশফিকুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্ট) উজ্জল কান্তি সরকার, এসআই মিনহাজ উদ্দিনকে নিয়ে দ্রুত পাটগুদাম ব্রীজমোড়ে পৌছেন। কোতোয়ালী পুলিশ ব্রীজমোড়ে গিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারেন,
অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকা ঐ ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত রোগী তাই কেউ তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসছেনা। এ অবস্থায় কোতোয়ালী পুলিশ তাকে উদ্ধার করে পানি ও ফলের রস খাইয়ে চেতন ফিরিয়ে আনেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ ঐ ব্যক্তির নাম ঠিকানা সংগ্রহ করতে পারেন। তবে কোথা থেকে কিভাবে ময়মনসিংহ এসেছেন তান ঐ মুহুর্তে জানতে পারেনি। পরে তাকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল করেজ হাসপাতালের ১৪ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। উদ্ধারকৃত বাবুল মোহনগঞ্জ উপজেলার বড়বাড়িখোলা গ্রামের মৃত কালাচানের ছেলে বলে পুলিশ জানায়।
|
কক্সবাজারের রামুর সাংবাদিক খালেদ হোসেন টাপুর শ্বশুর চাকমারকুল শ্রীমুরা গ্রামের বাসিন্দা সমাজসেবক হাজী শের আলি আর আমাদের মাঝে নেই। ইন্না লিল্লাহি ওন ইল্লাহি রাজিউন।
শুক্রবার ২৭ শে নভেম্বর বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটের সময় তিনি কক্সবাজার ডিজিটাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ছেলে-মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার রোগে ভুগছিলেন। তিনি দীর্ঘ দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।
এই মানুষটি সমাজ সেবার পাশাপাশি মানুষের সাথে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সদ্য পূর্ণ সম্পর্ক রেখেছিলেন এবং পরোপকারী ও উদার মানুষ ছিলেন। সবার কাছে শের আলী কোম্পানি নামে অতি পরিচিত ছিলেন তিনি । তাঁর মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
এদিকে রামুর সাংবাদিক খালেদ হোসেন টাপু শ্বশুর হাজী শের আলীর মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল, রামুর প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা রশিদ আহমদ বিএ, কক্সবাজার পৌরসভার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল প্রমূখ। বিবৃতিদাতারা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
|
বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্য দিয়ে সাবেক মন্ত্রী ও নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার সুরভী এবং মাহবুব আলী খাঁন ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যেগে ভার্চুয়াল স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মরহুমের জামাতা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মরহুমের কনিষ্ঠ কন্যা ডা. জুবাইদা রহমানের উপস্থিতিতে দোয়া ও স্মরণসভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, সততা, সাহস ও দেশপ্রেম এই তিন গুণের অধিকারী ছিলেন মাহবুব আলী খান। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে তালপট্টি দ্বীপ ও জাতিসংগের মাধ্যমে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা পেতে তৎকালীন নৌবাহিনীর প্রধান হিসেবে এম এ খানের সাহসী ভূমিকা জাতি চিরকাল স্মরণে রাখবে। পারিবারিক ঐতিহ্য, শিক্ষা ও রাজনীতির ক্ষেত্রে তাদের গোটা পরিবার অনেক উচ্চ আসনে আসীন ছিলেন। মাহবুব আলী খানের কর্মজীবনেও এর প্রতিফলন ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, আজকে জাতির সংকট হলো, সৎ মানুষের অভাব, সৎ রাজনীতিবিদের অভাব। মিথ্যাচার এখন সত্যাচারে পরিণত হয়েছে। মিথ্যাচারের সংস্কৃতি বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রকট আকার ধারণ করেছে।
বাংলাদেশে আজ সততা ও দেশপ্রেমের অভাবের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন প্রতিবাদ করার শক্তি যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি। শত প্রতিকূলতা স্বত্তেও অন্যায় অবিচারের বিরুদ্বে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্বভাবে আন্দোলনের জন্য তৈরী থাকতে হবে।
দলের অন্যতম এই নীতিনির্ধারক বলেন, ক্ষমতাসীনরা রাজনীতিতে পারস্পরিক সম্মান ও সহনশীলতাকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী উল্লেখ করে তিনি বলেন রাজনৌতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলায় তাঁকে সাজা দেয়া হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে এতো হয়রানির করার পরেও তিনি মানসিকভাবে শক্ত রয়েছেন। তবে তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল। তাঁর উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। সারা দেশের মানুষ খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে, কখন গণতন্ত্র, আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরে আসবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, মরহুম এম এ খান বার বার সাহস ও দেশপ্রেমের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ একজন বীর সেনাপতি ছিলেন। মুক্তিযুদ্বে শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে রণাঙ্গনের এই যোদ্ধা বলেন, আজকে যারা দেশ শাসন করছেন, যারা বাহিনী পরিচালনা করছেন কলিজায় সেই সাহস আছে কিনা আমরা সবাই জানি।
তিনি বলেন, মাহবুব আলী খানের গোটা পরিবারটি নিভৃতচারী ও প্রচার বিমুখ। এম এ খানের সুযোগ্য সহধর্মিনী চ্যারিটেবল সংগঠন সুরভী'র মাধ্যমে দেশের অসংখ্য হতদরিদ্র শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করছেন । হতদরিদ্র ও বস্তিতে বসবাসকারী মানুষদের কল্যানে তাদের নিজস্ব সম্পদ দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এই পরিবারের একটিই মূলমন্ত্র তাহলো দেশের জন্য কাজ করা। তিনি বলেন এই পরিবারটি আড়ালে কাজ করে আনন্দ অনুভব করলেও জাতির স্বার্থে উনাদের পাদপ্রদীপে আনতে হবে।
স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে সাবেক বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসাইন চৌধুরীসহ অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা কাউন্সিলের সদস্য খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম এ মালিক, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এ সালাম ও মদন মোহন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আতাউর রহমান পীর। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং দোয়া পরিচালনা করেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ আবু সায়ীদ আনসারী।
|
গাজীপুরে বৃহস্পতিবার দুুপুরে আমেরিকাপ্রবাসী পদার্থ বিজ্ঞানী ড. জাহিদ হাসান তাপসকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
গাজীপুরঃ গাজীপুরে বৃহস্পতিবার দুুপুরে আমেরিকাপ্রবাসী পদার্থ বিজ্ঞানী ড. জাহিদ হাসান তাপসকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
শ্রীপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নাগরিক সংবর্ধনা কমিটি দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ড. জাহিদ হাসান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোয়ান্টাম মেথডের ওপর কাজ করছেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ।
তিনি বোস্টনের উদাহরণ টেনে বলেন, 'জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সারাদেশের ১৮শ কলেজ নিয়ন্ত্রণ করে। আমেরিকার বোস্টনে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ গাজীপুরেও বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তাই, গাজীপুর হলো বোস্টন অব বাংলাদেশ।'
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল মান্নান আকন্দ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এ মতিন, সংবর্ধিত আমেরিকার প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানী সহযোগী অধ্যাপক ড. জাহিদ হাসান তাপস, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট জামিল হাসান দুর্জয় এবং তাপসের স্ত্রী সারাহ আহমেদ।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড. জাহিদ তাপসের বাবা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট রহমত আলী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার আব্দুল মালেক সরকার, শ্রীপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্য নূরুন্নবী আকন্দ, নাগরিক সংবর্ধনা কমিটির সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বুলবুল প্রমুখ।
সংবর্ধনার জবাবে বিজ্ঞানী জাহিদ হাসান তাপস বলেন, 'মোগল আমলে উপমহাদেশে ভারতীয়রা যখন তাজমহল তৈরিতে ব্যস্ত, ঠিক তখন আমেরিকানরা ওই দেশে হার্ভার্ড, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে। এসব প্রতিষ্ঠান নির্মাণে তাদের ল্য ছিল রাষ্ট্রের নেতৃত্ব ও মেধার ভিত তৈরি করা। এ নেতৃত্ব তৈরি শুধু রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নয়, তা ছিল গবেষক, শিক, বিজ্ঞানীসহ গুণীজন তৈরির নেতৃত্ব; যারা সমাজে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবেন।'
আমেরিকার শিা ব্যবস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের শিা ব্যবস্থার তুলনা করতে গিয়ে ড. জাহিদ তাপস বলেন, 'সেখানে কে কী নিয়ে লেখাপড়া করবে, কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর কতজন শিার্থী বের হচ্ছে এবং তারা কোথায়/কোন প্রতিষ্ঠানে রয়েছেন, সামাজিকভাবে তারা কী অবদান রাখছেন তার সবকিছুই পরিমাপ করা হচ্ছে। তারা কী শিখবে, এগুলো তাদের শিা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সময় ওই দেশের শিকেরা নির্ধারণ করে দেন। কিন্তু, বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে এমন ব্যবস্থা অনুপস্থিত।'
পদার্থবিজ্ঞানী ড. জাহিদ হাসান তাপস বার্কলি ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে গবেষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ১৯৯০ সালে স্নাতক শ্রেণীতে কৃতিত্বের জন্য তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। এছাড়া তিনি কোয়ান্টাম মেথডের ওপর ২০০৮ সালে ক্রিয়েটিভিটি এক্সটেনশন অ্যাওয়ার্ড, ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন সম্মানেও ভূষিত হন। অনুষ্ঠানে গাজীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
|
কারখানার দূষিত বর্জ্যে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন দশ-বারোটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। গ্রামবাসী জানান, মার লিমিটেড নামক কারখানার বর্জ্য এক্তিয়ারপুর খালে নিক্ষিপ্ত করা হয়। চরম দুর্গন্ধ ও দূষণে গ্রামের লোকজনের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে। কয়েক বছর ধরে চলে আসা বর্জ্য নিক্ষেপ কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না!
অপরিশোধিত বর্জ্য খাল , কৃষিজমিতে নিক্ষেপের ফলে হাঁস-মুরগি গবাদি পশু মারা যাচ্ছে। মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন চর্মরোগ, শ্বাসকষ্টসহ নানান ধরনের পানিবাহিত জটিল রোগে ।কৃষি কাজের সেচ ব্যবস্থা পড়েছে হুমকির মুখে। মারা যাচ্ছে মাছসহ জলজ প্রাণী।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন(বাপা)২০১৫ সালে গ্রামবাসীদের নিয়ে আন্দোলনের নামে। ওই সময় জেলা প্রশাসন হবিগঞ্জ বাপা'র আহবানে পরিবেশ বিষয়ক বৈঠকের আহ্বান করেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক এর উপস্থিতিতে "উৎসে বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা" (ই টি পি) না থাকায় এবং কারখানার বর্জ্য উন্মুক্ত স্থানে নিক্ষেপ করে পরিবেশ-প্রতিবেশ নষ্ট করার দায়ে মার লিমিটেড নামক কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ কারখানা চালু রাখার ফলে এলাকাবাসীর সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।পরবর্তীতে সামাজিক আন্দোলন এবং প্রশাসনের বেশ কিছু নির্দেশনাসহ উপজেলা প্রশাসনের বৈঠকে মার লিমিটেড মালিকপক্ষ উৎসে বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা নিশ্চিত করে কারখানা চালু করবে অঙ্গীকার করেন এবং কিছুদিন কারখানা বন্ধ রেখে প্রথমে রাতের আঁধারে এবং পরবর্তীতে সার্বক্ষণিক কারখানা চালু রেখেছেন!
পরিবেশ-প্রতিবেশ ধ্বংসসহ হাজার হাজার মানুষের জীবন-জীবিকার হুমকি যে কোম্পানি, সেটি এখন পর্যন্ত কিভাবে চালু থাকতে পারে???
বাপার একটি প্রতিনিধিদল ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ এক্তিয়ারপুর খালসহ তৎসংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখেন এবং গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেন।
|
কুল্যায় স্ত্রীকে তাড়িয়ে শ^শুর বাড়িতে গিয়ে হুমকী !
আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় স্ত্রীকে বাড়ি থেতে তাড়িয়ে দিয়েও খায়েশ না মেটায় শ^শুরবাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে ছিনিয়ে আনার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় নদী পার হলে মজা দেখে নেওয়ার হুমকীর ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সকালে কুল্যার বাহাদুরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বাহাদুরপুর গ্রামের আবু হাসান, তার কন্যা নলিুফা লিখিত ভাবে জানান, আবু হাসানের কন্যা নিলুফার সাথে ১২/১৩ বছর পূর্বে বিয়ে হয়েছির বুধহাটা গ্রামের খবির সরদারের পুত্র মিনারুলের। বিয়ের পর তাদের ঔরশে দু'টি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। অর্থ পিপাসু মিনারুল শ^শুরের দেওয়া অর্থে সন্তুষ্ট না হয়ে বারবার যৌতুক দাবী করতে থাকে। না পেয়ে নিলুফার উপর নির্যাতন শুরু হয়।
৩ বছর আগে নিলুফা স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে স্বামীর ঘরে যেতে চায়নি। তখন কৌশলে মিনারুল একটি সাদা স্ট্যাম্পে শ^শুরের স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে পরবর্তীতে নিলুফা আবারও স্বামীর ঘরে গিয়ে ওঠে। কিন্তু স্বামীর অত্যাচার কমেনি, বরং বাড়তে থাকে। ঈদের পরদিন নিলুফা পিত্রালয়ে আসে, স্বামীর আসার কথা থাকলেও আসেনি। খাওয়া দাওয়া শেষে সে স্বামীর জন্য খাদ্য খাবার নিয়ে বাড়িতে যায়। খাবার পছন্দ না হওয়ায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাছ ও মারপিট করে মঙ্গলবার রাত্র ৯ টার দিকে নিলুফাকে স্বামী বাড়ি থেকে বের করে গেটের তালা আটকে দেয়।
মেয়ের কান্নাকাটির এক পর্যায়ে গভীর রাতে নিলুফার জা তাদেরকে ভিতরে নিয়ে বারান্দায় থাকতে দেয়। পরদিন (বুধবার) সকালে বাধ্য হয়ে নিলুফা সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। বৃহস্পতিবার নিলুফার ভাই শাহিন বুধহাটা বাজারে টিন ক্রয়ের জন্য গেলে তাকে তাদের কলার আড়তে আটকে রেখে কাছে থাকা ২০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। সারাদিন আটকে রাখার পর কুল্যা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম জানতে পেরে মোবাইল যোগাযোগ করে তাকে ছাড়িয়ে নেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার দিকে মিনারুল শ^শুর বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের চিৎকারে স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামসহ গ্রামের বহু মানুষ হাজির হলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে সকলকে উদ্দেশ্য করে বলে, নিলুফার গর্ভে জন্ম নেওয়া সন্তান আমার নয় এমন অশালীন উক্তি করে, যারা আমার কাজে বাধা দিয়েছে তাদেরকে বুধহাটায় পেলে মজা দেখিয়ে দেব।
ফলে প্রতিবেশীরা তার হুংকারে জানমালের ক্ষতির আশংকা নিয়ে ভীত হয়ে পড়েছে। এব্যাপারে ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, আমি তাকে ধৈর্যের সাথে কথা বলতে বলি, মান সম্মান সবার আছে, কারো এভাবে অসম্মানিত করোনা। কিন্তু সে সকলকে অশালীন সম্বোধন করে, নদী পার হলে দেখে নেবে বলে হুমকী দিয়ে চলে যায়। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার তোড়জোড় চলছিল।
|
অস্ট্রেলিয়া এখন তাঁর 'মায়াঘর'
একদিকে নিজের অভিনয় দিয়ে যেমন জনপ্রিয় অন্যদিকে নিজের প্রযোজনা ও পরিচালনায় উপহার দিচ্ছেন অসংখ্য খণ্ড নাটক, টেলিছবি ও ধারাবাহিক নাটক। বড় পর্দার জন্য বড় কিছু তৈরি করেছেন কয়েক বছর আগে। 'জিরো ডিগ্রি' ছবি প্রযোজনা ও অভিনয় করে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী, পরিচালক ও প্রযোজক মাহফুজ আহমেদ। সম্প্রতি প্রাণচঞ্চল এই তারকার সঙ্গে কথা হয় অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। অভিনয়, 'জিরো ডিগ্রি'র অর্জন, অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের সম্ভাবনা এবং ভবিষ্যতের খানিকটা ভাবনা নিয়ে বললেন তিনি। সেই কথন থাকছে এখানে।
অচেনা এক মাহফুজ আহমেদ থেকে মানুষের উষ্ণ ভালোবাসা পেয়ে অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ হয়েছি। তাই এই পরিচয়ে বেশি ভালো থাকি। তবে হ্যাঁ, পরিচালকের ভূমিকাও বেশ উপভোগ করি। কোনো গল্পকে নিজের মতো করে সাজিয়ে কিছু একটা সৃষ্টি করার আনন্দই অন্যরকম।
'জিরো ডিগ্রি'
'জিরো ডিগ্রি' ছবিকে আমার কাছে শ্রেষ্ঠ সম্পদ বলে মনে হয়। এ সিনেমার শুরুর দিককার কথা ভাবলে খুব আন্দোলিত হই। অনিমেষ আইচের চমৎকার নির্মাণশৈলী এখনো আমাকে মুগ্ধ করে। এ ছাড়া যাদের সঙ্গে কাজ করেছি, তারা প্রত্যেকেই অসাধারণ। তবে ছবিটির কাজ চলার সময় এবং মুক্তি পাওয়ার আগেও ভাবিনি এত দূর এগোতে পারব। 'জিরো ডিগ্রি' ছবিতে অভিনয়ের জন্য আমি আর জয়া আহসান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। এ ছাড়া শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক আর শ্রেষ্ঠ শব্দ গ্রাহকের জন্যও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে 'জিরো ডিগ্রি'। এর আগে সিডনিতে ছবিটি মুক্তি পায়। এখানেও ভালোবাসা পেয়েছে 'জিরো ডিগ্রি'।
প্রথম প্রথম অস্ট্রেলিয়ায় আসার পর বিরক্ত হতাম। এখন অবাক লাগে, সেই আমি এই অস্ট্রেলিয়ার কী অদ্ভুত মায়ায় পড়ে গেছি! বিয়ের পর আমার স্ত্রী মিমি অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসে। এখন আমার মেয়ে আরাধ্য আর ছেলে অরিত্র তার মায়ের সঙ্গে সিডনিতে স্থায়ীভাবে আছে। পরিবার যখন একটা দেশের আলো বাতাসের সঙ্গে মিশে যায়, তখন সে বাতাস কেন জানি নিজের হয়ে যায়, জায়গাটার জন্য মায়া মায়া লাগে। তাই অস্ট্রেলিয়াকে একটা দেশ না বলে 'মায়াঘর' বলি। এ দেশের চাকচিক্য আমাকে মুগ্ধ করেনি কখনো। প্রথম সিডনির বিখ্যাত 'অপেরা হাউজ' দেখে আমি দুটি শব্দ বলেছিলাম, 'খারাপ না'। আর এখন মায়াজালে বন্দী। আমার ছেলেমেয়ে, স্ত্রী আমাকে খুব বলে এখানে থেকে যেতে। কিন্তু দেশের মায়া ছাড়তে পারি না। তাই আসা-যাওয়ার মধ্যে আছি।
অস্ট্রেলিয়ায় আর এর আশপাশে কয়েকটি দ্বীপে প্রচুর শরণার্থী আছেন। তাদের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছি। সময় হলে এই শরণার্থীদের জীবন নিয়ে একটা ধারাবাহিক নাটক বানাব।
চলচ্চিত্র নিয়ে অনেক কিছু শেখার ইচ্ছে থেকে 'জিরো ডিগ্রি' নিয়ে কাজ করা। এখন প্রস্তুতি নিচ্ছি আবারও চলচ্চিত্র তৈরি করব। ভালো গল্পের জন্য অপেক্ষা করছি। অনবদ্য সৃষ্টি না হোক, অন্তত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন মনে রাখে এমন কিছু কাজ রেখে যেতে চাই।
অস্ট্রলিয়ার বাঙালিদের বিচরণ গর্ব করার মতো। এ দেশের বড় বড় হাসপাতালে বাংলাদেশি ডাক্তার আছেন, নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আমার দেশের শিক্ষক আছেন, এসব আমাকে খুব গর্বিত করে, মুগ্ধ করে। আবার এখানে বাঙালিদের কাছে আমি সেই একই ভালোবাসা পাই, যেমনটা পাই দেশে।
অস্ট্রেলিয়ানরা ভোজনরসিকও বটে। এখানে এত স্বাদের খাবার পাওয়া যায়, যা অন্য কোথাও দেখি না। আমার মনে হয় বিশ্বের সেরা খাবার পাওয়া যায় অস্ট্রেলিয়ায়। এসব খাবার যেমন তাজা, তেমনি খুব স্বাদের।
অস্ট্রেলিয়ানরা রঙিন সংস্কৃতি খুব পছন্দ করে, যেটা বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে আছে। আবার এ দেশ অপেরার দেশ। বাংলাদেশের মঞ্চ নাটকের খুব কদর পাওয়া যাবে এখানে। অস্ট্রেলিয়ানরা মঞ্চ নাটক ভালোবাসে। তাই আধুনিক কলাকৌশল ব্যবহার করে বিশাল আয়োজনে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের মঞ্চ নাটকের উপস্থাপন করা যেতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ায় পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। আর বাংলাদেশে রয়েছে পাটের ভান্ডার। তাই শুধু পাট যদি অস্ট্রেলিয়ার বাজার ধরতে পারে, তাহলে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা পাবে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় নার্স পেশা খুবই সম্মানজনক, আর এই পেশার যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। ইংরেজি শিখে এ কাজের সুযোগ নেওয়া যেতে পারে। তবে তার জন্য দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
|
কুষ্টিয়া, ১৬ এপ্রিল, ২০১৭ইং (বাংলা-নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম): আজ রোববার কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের রজত জয়ন্তী ও পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে যোগদেয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ অভিযোগ করে বলেছেন, বিএনপি নেতারা গণতন্ত্রের সংজ্ঞা জানেন না।
হানিফ বলেন, রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছিলো। এটার নাম কি গণতন্ত্র ছিল। ক্ষমতার বাইরে থেকেও তারা ৯০ দিন পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছিলো। এটার নাম গণতন্ত্র হতে পারে না।
'আওয়ামী লীগ আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার জন্য বাইরের শক্তির সমর্থন পাকাপোক্ত করার ব্যবস্থা করেছে' বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ধরেই নিয়েছেন আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরবর্তী আরো পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবে। যেহেতু তারা এটা ধরেই নিয়েছেন সেহেতু নির্বাচনের জয় পরাজয়ের নতুন করে হিসাব নিকাশের দরকার নেই।
এ সময় শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খান, সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. আনোয়ারুল করিম, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তিনি ১কোটি টাকা ব্যয়ে আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত অডিটোড়িয়াম ভবনের উদ্ধোধন করেন। বিকেলে তিনি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে এক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।
এ সময় কলেজের অধ্যক্ষ প্রফের বদরুদ্দোজা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলীসহ কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
|
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকার মানহানির দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করতে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (৩১ মে) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
জাতীয় পতাকা অবমাননা ও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালনের অভিযোগে করা এ দুই মামলায় জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন নথিভুক্ত করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এর পরেই তারা হাইকোর্টে জামিন চান।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২৯ মে) এই বেঞ্চে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। এবিষয়ে আদেশের জন্য আজকের বৃহস্পতিবার (৩১ মে) দিন ধার্য করেন আদালত।
খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষ শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ হোসেন। ওইদিন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম উপস্থিত থাকার প্রসঙ্গে আদালত বলেন, চাইলে তিনি বৃহস্পতিবার (৩১ মে) এ বিষয়ে তার বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারবেন।
|
আমরা অন্য একটি সাথে চালিয়ে যান বিশ্বের সাধারণ পোশাক। সেই সাধারণ পোশাকগুলি সাধারণত অতীতের সময়ের কথা স্মরণ করে যেখানে সভ্যতাগুলি তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি গঠন করেছিল এবং বর্তমানের মতো বিশ্বব্যাপী কোনও সংস্কৃতি ছিল না। এই বিশ্বায়নের কারণে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে পোশাকের বিবরণ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে, এক্ষেত্রে জার্মানি থেকে।
জার্মানি একটি দুর্দান্ত সংস্কৃতি আছে এবং ইতালির মতো আমরা এমন পোশাকগুলিও পাই যা মধ্যযুগীয় সময়গুলির মতো অতীত সময়ের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়। জার্মানির ক্ষেত্রে, সাধারণ পোশাকগুলি গ্রামীণ নান্দনিকতার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়, যেখানে সর্বাধিক খাঁটি পোশাক দেওয়া হয়।
El জার্মানিতে মহিলাদের জন্য সাধারণ পোশাকটিকে ডারেন্ডল বলা হয়, একটি পোশাক যা উনিশ শতকে গ্রামীণ অঞ্চলে উত্থিত হয়েছিল। এই জামাকাপড়গুলি আরও বেসিক ছিল তবে 1870 থেকে বুর্জোয়া শ্রেণিগুলি তাদের ব্যবহার শুরু করে, তাই তারা জনপ্রিয় পোশাকে পরিণত হয়েছিল এবং এমনকি এখানে হাট পোশাকের পোশাকও ছিল। শীর্ষে একটি বডিস এবং একটি কর্সেট বৈশিষ্ট্যযুক্ত। সাধারণত আমরা সাদা টোনগুলিতে ব্লাউজটি দেখতে পাই, যদিও সেই সময়ে পোশাকগুলি প্রাকৃতিক বর্ণের সাথেও রঞ্জিত হত, যা গ্রীষ্মে নরম সুরকে জন্ম দেয় এবং শীতে গা dark়, বেসিক টোনগুলি দিয়ে। অন্যদিকে, এটির উত্সের দীর্ঘ স্কার্ট রয়েছে। হাঁটুর নীচে স্কার্ট থেকে শুরু করে অনেক খাটো পর্যন্ত ব্যক্তি কীভাবে এটি পরতে চায় তার উপর নির্ভর করে আজ আমরা এই স্কার্টটি বিভিন্ন শর্টস সহ দেখতে পাচ্ছি। যদিও আমরা সাধারণত একটি স্যুট বানাতে চাই তবে এই স্কার্টটি গোড়ালি পর্যন্ত দীর্ঘ হতে হবে।
এই মহিলাদের স্যুট তারা একটি এপ্রোন পরেন, যা বিভিন্ন জায়গায় গিঁট করা যেতে পারে। মনে রাখবেন যে traditionতিহ্যগতভাবে গিঁটের কিছু অর্থ রয়েছে। যদি এটি কেন্দ্রে বহন করা হয় তবে এর অর্থ হ'ল মহিলাটি কুমারী, যদি এটি পিছনে বহন করা হয় তবে এটি বিধবা the ডানদিকে এটি একটি সম্পর্কের সাথে এবং বাম দিকে এটি বোঝায় যে সে অবিবাহিত ।
আপনি মোজা এবং পরতে পারেন জুতা ফিতে সঙ্গে একটি প্রশস্ত হিল আছে। যদিও তাদের অনেকে কালো পোশাক পরেন, তবে সত্যটি হ'ল তারা সাধারণত স্যুটটির সুরটি মিলেন wear এই শহিদুল সাধারণত লিনেন বা তুলা দিয়ে তৈরি, এটি সর্বাধিক খাঁটি, যদিও আজ তারা পলিয়েস্টার দিয়েও তৈরি। মহিলাদের জন্য একটি পার্স, পাশাপাশি কানের দুল বা নেকলেস বহন করা সাধারণ।
এক লোকটির সাধারণ পোশাকগুলি লেদারহসেন নামে পরিচিত। এই শব্দের অর্থ চামড়ার প্যান্ট, যা XNUMX ম শতাব্দীর প্রথমদিকে কাজের জন্য ব্যবহৃত হত এবং ক্ষেত্রের অন্যান্য পোশাকগুলির মতো সেগুলি ছিল যা সময়ের সাথে সাথে traditionalতিহ্যবাহী পোশাকে পরিণত হয়েছিল। প্যান্ট কেনার সময় তিনটি সম্ভাব্য দৈর্ঘ্য রয়েছে। হাঁটুর উপরে, হাঁটুতে এবং গোড়ালি পর্যন্ত। ট্রাউজারগুলির ডান পাশে একটি সাধারণ পকেট থাকতে পারে এবং স্ট্র্যাপগুলি থাকতে পারে যা কখনও কখনও সূচিকর্ম হয়। এগুলি সাদা বা প্লেড শার্ট এবং প্লেইন টোনগুলির সাথে পরিধান করা হয়। এছাড়াও, এই স্যুটটিতে স্ট্রম্পশোসেন নামে মোটা বোনা হাঁটু-উচ্চ মোজা রয়েছে। ট্রানটেকুট হ'ল costতিহ্যবাহী টুপি যা এই পোশাকের সাথে রয়েছে, এটি অনুভূতি দিয়ে তৈরি এবং একটি ফিতা এবং চুলের একটি বড় লক রয়েছে যেন এটি ব্রাশ।
পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্যই সাধারণ পোশাকের সেট সম্পর্কে কথা বলার জন্য এটিই নাম। এই সাধারণ পোশাক বাভারিয়া অঞ্চল থেকে প্রস্থান করুনএটি হ'ল যেখানে এই ধরণের মামলা স্যুট করার উদ্যোগ পুনরায় শুরু হয়েছিল।
শিশুরাও এর সংস্করণ পরে প্রবীণদের সাধারণ পোশাক। এগুলি সাধারণত আরও রঙিন হয় এবং পরা উপভোগ করার জন্য বিভিন্ন ধরণের অফার দেয়। যেহেতু এই পোশাকগুলি আবার পরা হয়, সেখানে অনেকগুলি পার্টি রয়েছে যার মধ্যে এগুলি ছোট পরিবার থেকে শুরু করে যুবক এবং প্রাপ্তবয়স্কদের পুরো পরিবার পরিধান করতে ব্যবহৃত হয়।
এই সাধারণ পোশাকগুলি আবার বিশ্ব বিখ্যাত হয়ে উঠেছে Oktoberfest পার্টিকে ধন্যবাদ। এই পার্টিটি মিউনিখে অনুষ্ঠিত হয় এবং এটি এমন একটি ইভেন্ট যা হাজার হাজার মানুষকে একটি বিশাল ভেন্যুতে একত্রিত করে যেখানে নৈপুণ্য বিয়ারের নায়ক হয়। এই উত্সবেই সাধারণ জার্মান পোশাকগুলির সর্বাধিক বিস্তার দেখা যায়। প্রাকৃতিক কাপড় এবং খুব সফল সমাপ্তি সহ উচ্চ-মানের স্যুটগুলি দেখতে সাধারণ, তবে সস্তারতম সংস্করণগুলি আজ পলিয়েস্টার এবং সাধারণ উপকরণগুলির সাথেও বিক্রি হয়। তরুণরাও প্রায়শই মহিলা এবং পুরুষ উভয়ই এই স্যুটগুলির সংক্ষিপ্ত সংস্করণ পরিধান করে। রঙগুলির জন্য, তারা অঞ্চলগুলির জন্য সাধারণত, তবে ওক্টোবারফেস্টে যাওয়ার সময় সমস্ত ধরণের টোন এবং মিশ্রণগুলি দেখা সম্ভব।
|
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) রিবেট (পরিশোধিত বিলের ওপর এক শতাংশ ছাড়) নিতে গিয়ে গ্রাহকরা নানা ভোগান্তি ও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। মাত্র একটি বুথের সামনে সারিবদ্ধ হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে শত শত গ্রাহককে। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা বুথের কর্মচারীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায়ও জড়িয়ে পড়ছেন।
এদিকে ওজোপাডিকোর রিবেট নিতে গ্রাহকদের ভোগান্তি রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন প্রি-পেইড মিটারের দুর্নীতি প্রতিরোধে সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ। গত শুক্রবার রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংগঠনের এক জরুরি সভায় এ দাবি জানানো হয়।
ওজোপাডিকো সূত্র জানায়, বর্তমান বিদ্যুত্ বিলের পাশাপাশি বিগত দেড় বছরের রিবেট পাচ্ছেন ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বিদ্যুত্ গ্রাহকরা। সেই রিবেট নিতে এসেই তারা পড়েছেন নানা ভোগান্তি ও বিড়ম্বনায়। বিদ্যুত্ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১, ২, ৩ ও ৪ এর দফতরে গত ১৯ জুন থেকে এ রিবেট দেওয়া হচ্ছে। গ্রাহকরা প্রি-পেইড মিটারের কার্ড নিয়ে বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১, ২, ৩ ও ৪ এর দফতরে গেলে সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে একটি টোকেন দেওয়া হচ্ছে। যে টোকেনে প্রি-পেইড মিটার বসানো থেকে শুরু করে চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ব্যবহূত বিদ্যুত্ মূল্যের ১ শতাংশ রিবেট অনুযায়ী হিসাব করে সম্পূর্ণ টাকা উল্লেখ রয়েছে। গ্রাহক ওই টোকেন নিয়ে তার প্রি-পেইড মিটারে ব্যবহার করতে পারছেন।
বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এ রিবেট নিতে আসা গ্রাহক আব্দুস সালাম বলেন, মুখ চিনে পরিচিতদের আগে টোকেন দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের নেতা এমনকি তাদের গাড়ির চালকও পরে এসে আগে নিয়ে যাচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে তা দেখছে।
অনুরূপভাবে শায়লা নামের এক গ্রাহক বলেন, নারী-পুরুষ সব একই লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। এতে নারীদের বিব্রত হতে হচ্ছে। পুরুষরা ধাক্কাধাক্কি করে সামনে আগাতে পারলেও নারীরা পারছে না।
প্রি-পেইড মিটারে বিদ্যমান দুর্নীতি প্রতিরোধে সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব মহেন্দ্রনাথ সেন বলেন, গ্রাহকদের রিবেটের টাকা ফেরত দেওয়া তাদের আন্দোলনের ফসল। কিন্তু তা পেতে যে ভোগান্তি হচ্ছে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। গ্রাহকরা যাতে না আসে সেজন্য এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটা বন্ধ করে বুথ বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।
ওজোপাডিকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুল হক বলেন, একটু কষ্ট করে গ্রাহকদের রিবেট নিতে হবে। জনবল কম দাবি করে তিনি বলেন, নারী-পুরুষ একই বুথ থেকে নিতে হবে। এর বাইরে আমাদের কিছু করার নেই।
|
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশকে হত্যার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেওয়ার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালনের সময় ইরাকে সামরিক অভিযান পরিচালনা করার প্রতিশোধ হিসেবে সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে এফবিআই।
সন্দেহভাজন ওই ষড়যন্ত্রকারী ইরাকি নাগরিক এবং যুক্তরাষ্ট্রে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী। মার্কিন বিচার বিভাগের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
ওই ষড়যন্ত্রকারী এখন এফবিআইয়ের হেফাজতে রয়েছে। মঙ্গলবার ওহিওর একটি ফেডারেল আদালতে তাকে তোলা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও অঙ্গরাজ্যের রাজধানী কলম্বাসের ফেডারেল আদালতে দাখিল করা এফবিআইয়ের হলফনামায় বলা হয়েছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা অভিযুক্ত ওই ইরাকি নাগরিকের নাম শিহাব আহমেদ শিহাব। ৫২ বছর বয়সী এই ব্যক্তি নিজের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অন্য ইরাকিদেরও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করাতে চেয়েছিলেন।
|
অনলাইন ডেস্কঃ পদ্মা সেতুতে যুক্ত হলো আরো একটি স্প্যান। আজ শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে জাজিরা প্রান্তে ৩৪ ও ৩৫ নম্বর খুঁটির ওপর ধূসর রঙের '৬ডি' নম্বর এই স্প্যানটি বসিয়ে দেয়া হয়। এই নিয়ে জাজিরা অংশে সেতুটি দৃশ্যমান হলো ১২০০ মিটার। এছাড়া মাওয়া প্রান্তে আরো দৃশ্যমান রয়েছে ১৫০ মিটার। দুই প্রান্তমিলে পদ্মা সেতুর ১৩৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে।১৫০ মিটারের একটি একটি করে ৯টি স্প্যান বসে ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে পদ্মা সেতু। এর মধ্যেই পদ্মা সেতুর অগ্রগতি আরেকধাপ এগিয়ে গেলো।
দায়িত্বরতরা জানান, এখানে বুধবারের ঝড়ের কারণে বিশাল জাহাজ 'তিয়ান ই'র এ্যাংকরের একটি তার ছিড়ে যায়। পরবর্তীতে তাৎক্ষণিক আবার জাহাজটি যথাযথভাবে নোঙ্গর করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। তবে নানা কারণে নতুনভাবে নোঙ্গরে সময় বেশি লেগে যায়। তাই সিডিউল পরিবর্তন করে শুক্রবার সকালে নবম স্প্যানটি বসানো হয়।
সেতু সূত্রে জানা গেছে, সেতুর মোট পিলার ৪২টি, এর মধ্যে ২১টির কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে।
৪১টি স্প্যানের মধ্যে ইতোমধ্যেই বসানো হয়েছে জাজিরা প্রান্তে ৮টি এবং মাওয়া প্রান্তে একটি স্প্যান। যদিও মাওয়া প্রান্তের স্প্যানটি বসানো রয়েছে ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটিতে। এটি পরবর্তীতে সরিয়ে নেয়া হবে ৬ ও ৭ নম্বর খুঁটিতে।
|
হাঙ্গেরিতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে তিন বাংলাদেশি। তারা হলেন- অদ্বিতীয় নাগ, মাধব বৈদ্যান শঙ্করণ, রাফসান রহমান রায়ান। এবছর বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন চার জন। এদের মধ্যে আহনাফ তাহমিদুর রহমান কোন পদক অর্জন করতে পারেননি।
আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়া এ চার জনের দলনেতা ছিলেন জুরি সদস্য, বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহীদুর রশিদ ভূঁইয়া ও সহকারী কোচ প্রভাষক সামিউল আলম রাজিব।
জানা যায়, গতবছর প্রথমবারের মতো একটি ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছিল বাংলাদেশের অদ্বিতীয় নাগ। দ্বিতীয়বারের মতো অংশ নিয়ে এবারও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেন এসএফএক্স গ্রিন হেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের এই শিক্ষার্থী। এছাড়া অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাধব বৈদ্যান শঙ্করণ এবং আগা খান স্কুলের শিক্ষার্থী রাফসান রহমান রায়ানও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেন।
'হাঙ্গেরিতে গর্জে ওঠো আরেকবার' স্লোগানে এবার প্রচারণা শুরু হয় স্কুল-কলেজসহ দেশজুড়ে। ১০ স্থানে আঞ্চলিক অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অঞ্চল অনুযায়ী তিন ক্যাটাগরিতে অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। অঞ্চল পর্যায়ে বিজয়ীদের নিয়ে হয় জাতীয় উৎসব।
ঢাকায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি, বিজ্ঞানবিষয়ক আলোচনা এবং প্রশ্নোত্তর পর্বের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া জাতীয় উৎসবে লিখিত পরীক্ষায় তিন ক্যাটাগরিতে ৩০ জন বিজয়ী নিয়ে ঢাকায় বায়োক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজিতে ক্যাম্প এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগে প্রতিযোগীদের ব্যবহারিক ও তাত্ত্বিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ক্যাম্প প্রশিক্ষণ শেষে জুরিবোর্ড যাচাই-বাছাই করে সেরা চারজন নির্বাচিত করেন। দেশ ছাড়ার আগ পর্যন্ত চলে তাদের নিবিড় প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।
|
অভিনেতা আফজাল শরীফকে চিকিৎসার জন্য ২০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এই অভিনেতার কাছে চেক হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী।
দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা আফজাল শরীফ। মেরুদণ্ড, কোমর ও হাড়ের ব্যথার কারণে মাঝে মধ্যে অভিনয় থেকে দূরে থাকতে হয়। থেরাপি নিয়ে কিছুদিন ভালো থাকেন আবার কিছুদিন পরপর শারীরিক অবনতি ঘটে। আর্থিক সংকটের কারণে তিনি উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না।
আফজাল শরীফ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'প্রায় চার বছর থেকে মেরুদণ্ড, কোমর ও পায়ের ব্যথায় ভুগছি। থেরাপি নিলে কিছুদিন ভালো থাকি। আবার অসুস্থ হয়ে পড়ি। আগের মতো প্রাণ খুলে শুটিংও করতে পারি না। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারি না পা ফুলে যায়। অনেকেই পরামর্শ দিচ্ছেন দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে। কিন্তু সেই অর্থও নেই আমার কাছে।'
তিনি বলেন, 'আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক শিল্পীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমি আশা করছি আমার পাশেও থাকবেন। আমি আবার আগের মতো অভিনয় করতে চাই। ভালো থাকতে চাই।'
|
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোটের তারিখ পরিবর্তন করায় অনশনে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা অনশন ভেঙেছেন।
সরস্বতী পূজার দিন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তারিখ হওয়ায় ভোটের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে আমরণ অনশনে ছিলেন তারা।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে ইসি নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনস্থলে অনশনকারীদের অনশন ভাঙান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শিক্ষার্থীরা সিটি নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন হওয়ায় আমরণ অনশন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। অনশনে নেতৃত্বে থাকা জগন্নাথ হল সংসদের ভিপি উৎপল বিশ্বাস এ ঘোষণা দিয়েছেন।
এরআগে এস্থানে টানা তিনদিন আমরণ অনশন পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। তার আগে মঙ্গলবার, বুধবারও একই দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছিলো ঢাবি'র শিক্ষার্থীরা।
|
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি, শাহ্ আলম, ২২ জুলাই, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : চাঁপাইনবাবগঞ্জের সুন্দরপুরে মাদক বিরোধী অভিযানের সময় বন্দুকযুদ্ধে ১ মাদক কারবারী নিহত হয়েছ। এ সময় সেখান থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করেছ র্যাব-৫।
চাঁপাই নবাবগঞ্জ র্যাব-৫ক্যাম্প সুত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চর-ইসলামপুর গ্রামের মৃত আঃ বাসেদের ছেলে মোঃ খাইরুল ইসলাম @ ডাইল খাইরুল (৪২)। র্যাব আরও জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের মোল্লান মাথা এলাকার একটি আমবাগানে র্যাবের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে সেখানে মাদক চোরাকারবারিদের মাদক লেনদেন হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায়।
এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক চোরাকারবারিদের সাথে র্যাবের গুলি বিনিময় হলে একজন চোরাকারবারি গুরুতর আহত হয় এবং এসময় চোরাকারবারিদের ৫-৬ জনের একটি দল দ্রত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে র্যাব সদস্যরা গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারি কে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করলে সেখানে সে মারা যায়।
এ ঘটনায় র্যাবের চার সদস্য আহত হয়েছে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়। চাঁপাইনবাবগঞ র্যাব ক্যাম্প আরো জানায়, অভিযানের সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল একটি ম্যাগজিন এবং চার রাউন্ড গুলি সহ প্রায় শতাধিক ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাাব ক্যাম্প কমান্ডার সাঈদ আবদুল্লাহ আল মুরাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি র্যাবের অভিযানের সময় বন্ধুকযুদ্ধে একজন নিহত হবার কথা স্বীকার করেন তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম পরিচয় জানাতে পারেননি।
|
বিয়ের পরিচালক হরেন নন্দী জানান, আমি পোগোজ স্কুলের কমিটিতে অভিভাবক হিসাবে আছি। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার স্কুলের গভার্নিং বডির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়েই সব করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীনকে একাধিকবার ফোন করার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পোগোজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মনির হোসেন বলেন, আসলে আমরা তো ভাড়া দেই না। আমাদের গভর্নিং বডির একজন সদস্যের ভাতিজার বিয়ে। আমাদের মাননীয় ট্রেজারার স্যারের অনুমতি নিয়ে সব করা হচ্ছে এবং ট্রেজারার স্যার নিজেও এ অনুষ্ঠানে আসবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.মোস্তফা কামাল বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছুই জানিনা। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কোন প্রকার অনুষ্ঠান হবার কোন নিয়ম নেই।
সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২০ জুন আরও ৭৬৫ জন সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন। এখন পর্যন্ত বাসায় ফিরেছেন ৩৪২২৪ জন।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সর্বশেষ তথ্যমতে, সিঙ্গাপুরে নতুন করে ২১৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪১৮৩৩ জন।
শনিবার আক্রান্তদের মধ্যে কোনো সিঙ্গাপুরিয়ান বা পার্মানেন্ট রেসিডেন্স নেই। ২ জন ওয়ার্কপাশ হোল্ডার (যারা ডরমেটরির বাইরে বাস করেন)। বাকি ২১৬ জন ওয়ার্কপাশ হোল্ডার যারা ডরমেটরিতে বাস করেন।
|
অজামিল চন্দ্র নাথ, গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোলাপগঞ্জে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার দায়ে মামলার প্রধান আসামী ঘাতক স্বামী এনাম উদ্দিন (৪৫) সহ আরও এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ কানাইঘাট রাজাগঞ্জ বন্ধুর বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী এনাম উদ্দিন (৪৫) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের উত্তর বাঘা মাঝের মহল্লা মৃত হারিছ আলীর ছেলে।
অপরদিকে শুক্রবার ভোর রাতে একই গ্রামের মক্তাই মিয়ার স্ত্রী মামলার ৪নং আসামী আজিরুন নেছা (৪০) কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য সোমবার (১১ মে) বিকালে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী ভিকটিম শিল্পী বেগমকে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এঘটনায় শিল্পী বেগমের ছোট ভাই আব্দুছ ছামাদ বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
|
এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান গারীব বলেছেন। আমরা এই হাদীসটি শুধু আব্বাদ ইবনু লাইসের সূত্রেই জেনেছি। একাধিক হাদীস বিশারদ তার নিকট হতে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
১২১৭। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওজন ও পরিমাপকারীদের উদ্দেশ্যে বলেছেনঃ তোমাদের উপর (ওজন ও পরিমাপ করার) এমন দু'টি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে যাতে (ত্রুটি করার অপরাধে) তোমাদের আগেকার অনেক জাতি ধ্বংস হয়েছে।
আবূ ঈসা বলেন, আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র হুসাইন ইবনু কাইসের সূত্রেই মারফু হিসাবে জেনেছি। হুসাইনকে হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ হাদীসটি সহীহ সনদে ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মাওকৃফ হিসেবেও বর্ণিত আছে।
|
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যলয় প্রতিনিধি :
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যলয়ে (কুবি) মান উন্নয়ন পরীক্ষা ফি কমানো, ক্লাস ও পরীক্ষায় অনুপস্থিতির জরিমানা মওকুফসহ কয়েটি দাবিতে ক্লাস বর্জন ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রোববার সকাল থেকে ক্লাস বর্জন করা হয়।
একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, পাঁচ বছর ধরে মান উন্নয়ন পরীক্ষার ফি দুইশ' টাকা দিয়ে আসলেও এ মাসে বিনা নোটিশে কর্তৃপক্ষ পাঁচশ' টাকা নির্ধারণ করেছে। এছাড়া মিডটার্ম পরীক্ষার ক্লাস টেস্টের অনুপস্থিতির জন্য তিনশ' টাকা ও ক্লাসে অনুপস্থিতির জন্য এক হাজার পাঁচশ' টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। এসব জরিমানা বিভাগীয় শিক্ষকদের ব্যক্তিগত খরচে ব্যয় হয় বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে ।
তারা আরো জানান, দীর্ঘ আন্দোলনের পরেও এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে কোনো সাইনবোর্ড টাঙানো হয়নি। পাশাপাশি হোস্টেলসহ নানা সমস্যা রয়েছে। এসব কারণেই সকাল থেকেই ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচী নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানা হলে মানববন্ধনসহ কঠোর কর্মসূচীর হুশিয়ারী দিয়েছে তারা।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আমির হোসেন জানান, শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া দীর্ঘদিনের। এ ব্যাপারে উচ্চ পর্যায়ে চিঠি দিয়েছি। যতটুকু সম্ভব তাদের দাবি পুরণের চেষ্টা করছি।
|
অতএব মানুষ গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখে নিক যে 'ইসলাম'-এর চেয়ে আর বড় নে'মত বা মান সম্মানের কোন বস্তু জগতে নেই। আমি পূর্বে উল্ল্যেখ করেছি যে- যুগের চাহিদার প্রেক্ষিতে 'খলীফা' বানানোটা খোদা তাআলার প্রতিশ্রুতি; আর 'সেই খলীফা' দলীল প্রমাণ দ্বারা নয়, জনগণের ভোটের নির্বাচন দ্বারাও নয় বরং খোদা তাআলারই সাহায্য সমর্থন ও পরাক্রমশালী শক্তি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হোন। এখন এ যুগের সর্বোচ্চ কল্যাণ দানকারীর প্রতি লক্ষ্য করে ভেবে দেখো! কেউ কি বলতে পারে যে সে ব্যক্তি ধান্দাবাজ ও (মুশরেক) আল্লাহ্'র প্রতি অংশীবাদিতা আরোপকারি আর ইবাদত বন্দেগীতে দূর্বল। কেউ হয়ত বলতে পারে যে ইবাদতকারী এক খোদার গুণগ্রাহী রূপে দৃশ্যমান এ ব্যক্তিটি সম্ভবতঃ ভান করছে মাত্র! কিন্তু আল্লাহ্ তাআলা সেই ব্যক্তির পবিত্র আকাঙক্ষা ও সত্যনিষ্ঠাকে নিজের সাহায্য ও সমর্থন যুগিয়ে তার দাবীর স্বপক্ষে সাক্ষ্য দান করে চলছেন। তবে এরূপ ধারণা হতে পারে যে সে বুঝি কেবল ভয় ভীতির সময়েই এক খোদার গোলামীতে রত থাকে, না! কক্ষণও নয়!! ভয়-ভীতির অবস্থা যখন শান্তি ও নিরাপত্তাপূর্ণ অবস্থায় পরিবর্তিত হয়ে যায়, তখনও সে, সেই পরম সত্যেরই দাসত্বে নিমগ্ন থাকে।
প্রকৃতপক্ষে ঈমান বৃদ্ধির জন্য খোদা তাআলা প্রদত্ত অনুগ্রহরাজির প্রতি দৃষ্টি দিয়ে চিন্তা ভাবনা করার চেয়ে উত্তম কিছু নেই। ঈমান, আক্বীদা, আমল, পারস্পরিক লেনদেন ও নানা বিষয়ের দিকনির্দেশনাপূর্ণ অতুলনীয় এক নে'মত হলো- 'ইসলাম'। আবার মুসলমানদের মধ্য থেকে সেই 'ফিরকা' যারা আল্লাহ্ তাআলার খলীফাগণের পরম্পরাকে মান্য করে চলে তাদের থেকে অগ্রগামী কেউ নেই, কেননা তারা জানে যে আল্লাহ্ তাআলার প্রতিশ্রুতিপ্রাপ্ত তাঁর (যুগ খলীফার) চেয়ে বড় আর কেউই নেই। (খুতবাতে নূর থেকেঃ পৃষ্ঠা ১২)
এটাও আল্লাহ্ তাআলার এক অমোঘ নিয়ম। আদিকাল থেকে চলে আসছে যে-খলীফাগণকে ধিক্কার দিয়ে ভৎসনা করা হয়। আদম (আঃ)-এর প্রতি ধিক্কারকারী অপবিত্র আত্মার বংশধরেরা আজও বিদ্যমান। সাহাবাগণের (রেজুআনাল্লাহু আলাইহিম) প্রতি বড় বড় সব আপত্তি উত্থাপনকারীরা আজও আছে, তবে আল্লাহ্ তাআলাই নিজ অনুগ্রহ ও দয়ায় তাদের শক্তি ও শাসনাধিকার দান করেন আর ভয়-ভীতি ও শঙ্কাকে শান্তি-স্বস্তি ও নিরাপত্তায় বদলিয়ে দেন। আল্লাহ্ তাআলার প্রকৃত গুণগ্রাহী ও নিষ্ঠাবান ইবাদতগুযার হও। খোদা মুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করো। এক্ষেত্রেও আল্লাহ্ তাআলা 'রাযীতু লাকুমুল ইসলামা দ্বীনা' (আল মায়েদাঃ ৪) বলেছেন। 'ইসলাম'-ইসলাম শব্দটির দাবী এই যে, 'কিছু করে দেখাও'। বর্তমান সময়ে আমরা (আমরা বলতে ওই লোকেরা যারা ইমামের হাতে তওবা করেছি) সাধারণ মুসলমানদের থেকে অগ্রগামী হওয়ায় পার্থক্য সুস্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
আমাদের মধ্যে ইলহামপ্রাপ্ত ব্যক্তি রয়েছেন। আমাদের মধ্যে 'হাদী ও ইমাম' আছেন। আমাদের মধ্যে তিনি আছেন, যাকে খোদা সাহায্য সমর্থন দিয়ে চলছেন। যার সাথে খোদার বড় বড় প্রতিশ্রুতি আছে। তাঁকে ন্যায় বিচারক মীমাংসাকারী খোদা-ই পাঠিয়েছেন। কিন্তু তোমরা নিজেদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে দেখো! সাহায্য সহযোগিতা ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে যতটা সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা তোমাদের জন্য আবশ্যকীয় ছিল- ততটা করেছো কী?
খোদা তাআলা নিজেই যেমন বলেন যে, আমার শাসন ব্যবস্থা এসব লোকেরা খামখেয়ালীপনার সাথে তাচ্ছিল্যভাবে মেনে থাকে। খোদার রাজ্যে মানুষের হাল অবস্থাই যখন এমন, তাহলে নবীগণের শাসনকাল যখন চলে লোকেরা তখন আরও আপত্তিসমূহ অন্বেষণ করতে থাকে আর বলে 'লাও লা নুযযিলা হাযাল কুরআনু আ'লা রাজুলিম্ মিনাল ক্বারইয়াতাইনি আ'যীম' (আল যুখরুফঃ ৩২) অর্থাৎ ওহী লাভের উপযুক্ত হলেন ওমুক সম্ভ্রান্ত বংশীয় ব্যক্তি বা ওমুক বিজ্ঞ আলেম। এ থেকে প্রকাশ পায় যে মানুষ রসূলের আবির্ভাব হওয়া বিষয়ে নিজেরা মনগড়া কিছু কার্যকারণ ও বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে নেয় যার সাথে ঐশী পরিকল্পনা মোটেই খাপ খায় না-এমনটাই হয়ে থাকে। আর রসূলের খলীফার শাসন ব্যবস্থা যখন চলতে থাকে তখন তো হাসি-তামাশা, ঠাট্টা-বিদ্র্বপ আর ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়িয়ে 'হায় হায়' রব তোলা হয়। এজন্যই আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন, 'আ হুম ইয়াক্বসিমুনা রাহমাতা রাব্বিকা নাহনু ক্বাসামনা বাইনাহুম মাঈ' শাতাহুম' (আল যুখরুফঃ ৩৩) অর্থাৎ -কী! এই লোকেরা ঐশী অনুগ্রহরাজি নিজেরাই বিতরণ করছে? যখন কী'না দেখছে যে জীবনোপকরণের ক্ষেত্রে আমরা তাদের স্ব-নির্ভর রাখিনি আর আমরা নিজেরাই সেসব বন্টন করছি। অতএব, তারা যখন জানেই যে খোদার পরিকল্পনায় সবকিছু ঘটছে তাহলে নবী রসূল এবং তাদের খলীফাগণের নির্বাচন তো তারই ইচ্ছানুযায়ী হওয়াই আবশ্যকীয়।
সূরা হুযুরাতে আল্লাহ্ তাআলা আরও বলেন, 'আন্না ফিকুম রসূলুল্লাহে লাও ইউতিউ'কুম ফি কাছিরিম্ মিনাল আম্রি লাআনিত্তুম' (আল হুযুরাতঃ ৮) অর্থাৎ-তোমাদের মধ্যে মুহাম্মদ (সাঃ) খোদার রসূল। তোমরা যদি নিজেদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলো তবে তোমরা দুঃখ কষ্ট ও বিপদাবলীর সম্মুখীন হবে। এটা খোদারই নির্ধারণ যে তাঁর নিজ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। ইমাম বানানো, খলীফা বানানো, - এটা তাঁরই কাজ। তোমাদের জ্ঞান-বুদ্ধি সেখানে কোন কাজে আসবে না। 'রমুযে সালতানাত খাবেয়েশে খুসরওঁয়া দানদ্'- সম্রাট খসরূর স্বজনেরা সাম্রাজ্য পরিচালনার রহস্যাবলী ভালভাবেই জানতেন। আমাদের বলাতেই আল্লাহ্ তাআলা যদি এক ব্যক্তিকে মামুর (প্রত্যাদিষ্ট মহাপুরুষ) বানিয়ে দেন আর তার স্বভাব চরিত্র অপবিত্র নৈতিকতাপূর্ণ অকেজো বলে সাব্যস্ত হয়, অত্যাচারী, স্বেচ্ছাচারী, বিদ্বেষপরায়ণ পরিলক্ষিত হয়, তবে দেখো! কত বড় বিপদ!! এ কারণেই মানুষদের গড়া সংগঠনের ও সমাজের নির্বাচিত প্রেসিডেন্টদেরকে অপসারণ করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে অথবা তার (প্রেসিডেন্টের) নিজেকেই পদত্যাগ করে চলে যেতে হয়। সৃষ্টির শুরু থেকেই মানুষ নিজেদের দেহকে কেঁটে ছিঁড়ে পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছে আর পৃথিবীর প্রতিটি প্রতিবন্ধকতা দূর করে চলছে শুধু এজন্য যে তার জীবন ধারণের যোগান আসবে। কিন্তু লক্ষ্য করে দেখো! কোন কিছুই অযথা আগাম আসেনি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অল্প দিনেই প্রভূত উন্নতি সাধন করেছে। প্রতিটি রোগের আক্রান্তকারীর জীবাণু সম্পর্কে জানা হয়েছে কিন্তু তবুও রোগব্যাধি হচ্ছেই-অহরহ মৃত্যুও ঘটছে। বিশেষজ্ঞরা তিন লাখ বছর পূর্বের অবস্থা পর্যন্ত জানাতে সক্ষম হচ্ছেন যে সে যুগে এমনটা বিরাজ করছিল, তবে আগামীকাল কী ঘটবে বা কয়েক মুহূর্ত পর কী ঘটতে যাচ্ছে? এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান নেই। তাহলে এটা কেমন নির্বুদ্ধিতা যে এমন 'মহামর্যাদাপূর্ণ নির্বাচন' কর্মটি মানুষ নিজ দায়িত্বে নিয়ে নেয় আর বলে যে নবী আর প্রত্যাদিষ্ট মহাপুরুষ আমাদেরই ইচ্ছানুযায়ী হোক। (খুতবাতে নূর থেকে, পৃষ্ঠাঃ ১৭০)
|
৫ বছর ধরে যে খবরটার অপেক্ষা করছিলেন, অবশেষে সেটা পেয়ে গেলেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক আশরাফুল। বিপিএলের প্লেয়ার ড্রাফ্টে সপ্তম কলে তাকে কিনে নেয়ার ঘোষণা দেয় চিটাগাং ভাইকিংস ।
এ খবর শুনে কথা বললেন নিজের চাওয়া-পাওয়া এবং আবেগ-অনুভূতি নিয়ে। শুরুতেই জানালেন, 'এই দিনটার অপেক্ষাতেই ছিলাম। খুব খুশি আমি। সিলেটের সঙ্গেই নাকি কথা হচ্ছিল আশরাফুলের। তবে, ড্রাফট যেহেতু একটা ভাগ্যের বিষয়। লটারিতে যার নাম আগে আসে, যে কল করার সুযোগ আগে পায়, তারাই খেলোয়াড় পছন্দমতো বাছাই করার সুযোগ পায়। সে কারণে আশরাফুলকে কিনে নিয়েছে চট্টগ্রাম।
আশরাফুল নিজে এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, 'আমি অপেক্ষায় ছিলাম কখন খবর আসে, আমাকে কোন দল নেয়। যেহেতু প্লেয়ার ড্রাফটে ইচ্ছে করলেই কাউকে নেয়া যায় না, লটারিতে কার সিরিয়াল বা কার কল করার সুযোগ আগে আসে তার ওপর নির্ভর করে অনেক কিছু। তারপরও সিলেটের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তারা আমার ব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়েছিলি; কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাকে নিয়েছে চট্টগ্রা্ম।'
বিপিএলে ডাক পেয়ে আশরাফুল খুব খুশি। আবার তিনি তারকা সমৃদ্ধ কোনো দলেও খেলতে চাননি। আশরাফুল বলেন, 'আমি খুব খুশি একটা বিশেষ কারণে। আমি ইচ্ছে করেই এমন দলে খেলতে চেয়েছি, যে দলে বিদেশি ও স্থানীয় তারকা তুলনামূলক কম। রংপুর ঢাকা কুমিল্লা ও খুলনার চেয়ে চট্টগ্রামে নামি তারকার সংখ্যা কম। কাজেই আমার বিশ্বাস, আমি খেলার সুযোগ পাবো এবং নিজেকে মেলে ধরার জায়গাও বেশি থাকবে।'
|
শিশুর বিদ্বেষপূর্ণ সাপ নির্দোষ বা প্রাপ্তবয়স্কদের বৈদেশিক মুদ্রার মার্জিন এবং লিভারেজ তুলনায় কম বিষাক্ত . ওপেন অবস্থানের রিয়েল টাইম তথ্য স্ট্রিমিং।
সর্বোত্তম কচ্ছপ ট্রেডিং ইনডিকেটর একটি মেটাট্রেডার হয় 4 (এমটি 4) সূচক এবং ফরেক্স সূচক সারাংশ জমা ইতিহাস তথ্য রূপান্তরিত হয়. উদ্ভাবন নকশা নীতির এক। সফল নকশা উদ্ভাবনের মধ্যে মিথ্যা। নকশা প্রক্রিয়া পুনঃপ্রবর্তন উদ্ভাবনের প্রক্রিয়া। রান্নাঘর ফার্নিচার, নতুন ধারার ধারণা, নতুন উপকরণ, নতুন কাঠামো এবং নতুন প্রযুক্তির নতুন ফাংশনগুলির সম্প্রসারণ হল এমন সব প্রক্রিয়া যা ডিজাইনার উদ্ভাবনী চিন্তা ও উদ্ভাবনী কৌশলগুলির মাধ্যমে প্রয়োগ করে।।
বিক্রয় পরিকল্পনায় পরিবর্তন করার পদ্ধতি এবং পদ্ধতির পরিকল্পনা, যার ভিত্তিতে পরিকল্পনাগুলি তৈরি করা হয়, পরিকল্পনা পরিবর্তন করার পরিকল্পনা (পরিকল্পনা ব্যবস্থার নমনীয়তা) এর সূচকগুলি পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
মহিলা নেতাদের সঙ্গে কাজ করার কর্মক্ষমতা শ্রম প্রতিরক্ষা জন্য এই গ্রুপটি অত্যন্ত ব্যাপক এবং প্ররোচিত হতে পারে এবং মাঝে মাঝে, যদি যথেষ্ট অংশীদার একটি নির্দিষ্ট ধারণা সমর্থন করে, অথবা এমন কিছু আধিকারিক অবদানকারীর দ্বারা তা বোঝা যায় তবে আপনি কালোকে আসলেই সাদা এবং আপ ডাউন বলে বিশ্বাস করতে পারেন। যদি কেউ মতামত জোয়ার বিরুদ্ধে সাঁতার কাটানোর চেষ্টা, এমনকি যদি তারা অধিকার, তারা উদ্বেগের একটি ভলি সঙ্গে পূরণ করা যেতে পারে, বিশেষ করে যদি তারা বিতর্কের জন্য নতুন হয়।
1) তারা গড় বৈদেশিক মুদ্রার মার্জিন এবং লিভারেজ ব্যক্তির তুলনায় অনেক বেশি দক্ষ। 150 এর গড় আইক চিন্তাই। অযৌক্তিক অর্থ, বিভিন্ন ধরনের সিকিউরিটিজ নির্মানের কথা বলার কারণে, এই কার্যকলাপের অধীনে তাদের আংশিক বা সম্পূর্ণ জালিয়াতি বোঝা উচিত। আধুনিক কম্পিউটার প্রযুক্তির সাহায্যে, বিশেষ ক্লিচগুলি সহ এই পদ্ধতিটি নিজে নিজে চালানো যেতে পারে। কারপাস ডেলিক্টি (রাশিয়ান ফেডারেশনের ফৌজদারী কোডের অনুচ্ছেদ 186) জালিয়াতি করা হলে এটি একটি অপরাধী বা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় কমপক্ষে একটি অনুলিপি দ্বারা তৈরি করা হয় বলে মনে করা হয়। এবং অপরাধী তাদের বাস্তবায়ন পরিচালিত কিনা তা কোন ব্যাপার না।
আরডি এক্সট্রাক্স রিক্রুংয়ের ডিপোজিট একটি টুইন পণ্য যা স্বাভাবিক আরডি স্কিমের সমস্ত সুবিধা এবং আকর্ষণীয় ঋণ অফার উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে টেলিফোনে আড়ি পাতা বৈধ। টেলিযোগাযোগ আইনের ৯৭(ক) ধারায় বলা হয়েছে, 'রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে টেলিযোগাযোগ সেবা ব্যবহারকারীর পাঠানো বার্তা ও কথোপকথন প্রতিহত, ধারণ বা এ-সম্পর্কিত তথ্যাদি সংগ্রহে সরকার সময় সময় নির্ধারিত সময়ের জন্য গোয়েন্দা সংস্থা, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা, তদন্তকারী সংস্থা বা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থাকে কোনো ক্ষমতা দিতে পারবে।'
সঠিক উত্তর 1-একটি, 2-সি, 3-বি, 4-ডি, 5-জি। ইণ্টাৰনেটত প্ৰয়োগ কৰা চিহ্নবোৰৰ ৰূপান্তৰ সাধনকাৰী ই এক যন্ত্ৰ। উল্লেখযোগ্য যে কম্পিউটাৰে কেৱল ডিজিটেল চিহ্ন বা সংখ্যাৰ চিহ্ন গ্ৰহণ আৰু প্ৰেৰণ কৰিব পাৰে আৰু আনহাতে টেলিফোন লাইনে কেৱল এনালগ চিহ্ন বা বৈদেশিক মুদ্রার মার্জিন এবং লিভারেজ ঢৌৰ চিহ্নহে গ্ৰহণ আৰু প্ৰেৰণ কৰিব পাৰে। কিন্তু এই মডেম নামৰ যন্ত্ৰটোৱে এই দুইবিধ চিহ্নৰ ৰূপান্তৰকাৰীৰ ভূমিকা গ্ৰহণ কৰে। সেইবাবে মডেমৰ সহায়েৰে কম্পিউটাৰে প্ৰেৰণ কৰা এনালগ চিহ্নবোৰক কম্পিউটাৰৰ বাবে ডিজিটেল চিহ্নলৈ ৰূপান্তৰ কৰি তুলিব পাৰে।
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানে একটি মন্দিরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকশত মুসলমান ওই হিন্দু মন্দিরে হামলা ভাংচুর চালিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন। বুধবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা পেশোয়ার থেকে ১০০ কিলোমিটারের দূরের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরা।
জেলা পুলিশ প্রধান ইরফানুল্লাহ খান বলেছেন, স্থানীয় মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের উসকানিতে সর্বোচ্চ ১২০০ মানুষ হিন্দু মন্দিরটি ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এএফপির খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বিরুদ্ধে বৈষম্য ও সন্ত্রাস নৈমিত্তিক ঘটনা প্রায়। দেশটিতে মুসলমান জনসংখ্যা ৯৭ শতাংশ এবং হিন্দুর সংখ্যা মাত্র ২ ভাগ।
চলতি মাসের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে ধর্মীয় দিক থেকে 'বিশেষ উদ্বেগের দেশ' হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। ইরফানুল্লাহ খান বলেন, মন্দিরটিতে নিয়মিত পূজা অর্চনা করা হয় না। তবে এটি কয়েক বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। বিশেষ সাম্প্রতিক সংস্কার কাজের সময়েও এটির দিকে নজর দেয়া হয়নি। ঘটনার পর পুলিশ ২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে।
খাইবার পাখতুনের প্রাদেশিক তথ্যমন্ত্রী কামরা বানগাস বলেছেন, 'যা ঘটেছে তা সত্য। আমরা এটাকে জঘন্য ধরনের সন্ত্রাস বলে বিবেচনা করি।' স্থানীয় একজন বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী সালমান খাটাক বলেছেন, মুসলিম নেতাদের নির্দেশের পর একদল মুসলমান হঠাৎ করে মন্দিরটির দিকে এগিয়ে গিয়ে হামলা চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে তারা আগে থেকেই পরিকল্পনা করে এই ধ্বংসকার্য চালিয়েছে।
|
বয়সঃ ২৩.০২.২০১৫ তারিখে আবেদনকারীর বয়স ১৮-৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদনকারীদের বয়স ওই তারিখে ৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে।
যোগ্যতাঃ এইচএসসি অথবা সমমান। শারীরিকভাবে সুঠাম দেহের অধিকারী এবং কম্পিউটার হার্ডওয়্যার মেইনটেন্যান্স এবং ডেটা এন্ট্রি কাজে অভিজ্ঞতা।
আবেদনের ঠিকানাঃ আবেদনকারীকে খামের ওপর পদের নাম, নিজ জেলা উল্লেখপূর্বক পরিচালক, বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ১ সোনারগাঁও রোড (পলাশী-নীলক্ষেত), ঢাকা-১২০৫ ঠিকানায় অফিস চলাকালে ডাকযোগে আবেদন পাঠাতে হবে। প্রর্থীকে পরীক্ষার ফি বাবদ পরিচালক, বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) অনুকূলে ১-২৫৭৯-০০০০-২০৩১ কোড নম্বরে ১০০ টাকা জমাদানপূর্বক ট্রেজারি চালানের মূল কপি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। কোনো প্রকার পোস্টাল অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট গ্রহণযোগ্য হবে না।
|
বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ২৬৪ রানে অলআউট টিম বাংলাদেশ। ভারতের দেয়া ৩৬০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৯৫ রানে পরাজয় টাইগারদের।মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের কার্ডিফে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৩৫৯ রানের পাহাড় গড়ে ভারত। টার্গেট তাড়া করতে ৪৯.৩ ভারে ২৬৪ রানে অলআউট হয়ে হেরে গেল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
পাহাড়সম রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনাই করেছিল টিম বাংলাদেশ।উদ্বোধনীতে ৪৯ রান করার পর দুই বলের ব্যবধানে সৌম্য সরকার ও সাকিব আল হাসানের পতন। ২৯ বলে ২৫ রান করেন সৌম্য। কিছু বুঝে ওঠার আগেই যজশপ্রীতি বুমরাহর বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাকিব। ৪৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়া বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেটে তারা ১১০ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিতে জোড়া ফিফটি গড়েন লিটন ও মুশফিক।ওপেনিংয়ে নেমে শুরু থেকেই অসাধারণ ব্যাটিং করেন লিটন। ফিফটির পর সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন এ ওপেনার। কিন্তু যুজবেন্দ্র চাহালের লেগ স্পিনে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন লিটন। তার আগে ৯০ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৭৩ রান করেন।
লিটন আউট হওয়ার পর উইকেটের পরিস্থিতি বুঝে ওঠার আগেই বিপদে পড়েন মোহাম্মদ মিঠুন। ঠিক পরের বলেই এলবিডব্লিউ হন এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। যুজবেন্দ্র চাহালের কারণে রানের খাতা খোলা হয়নি মিঠুনের। এরপর ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। কুলদীপ যাদবের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন রিয়াদ।৫ উইকেটে ২১৬ রান করা বাংলাদেশ এরপর শূন্য রানের ব্যবধানে হারায় ৩ ব্যাটসম্যানকে। দুর্ভাগ্যই বলতে হয়। ইনিংসের শুরু থেকে অসাধারণ ব্যাটিং করেও সেঞ্চুরি মিস করেন মুশফিকুর রহিম। মাত্র ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। কুলদীপ যাদবের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মুশফিক। সাজঘরে ফেরার আগে ৯৪ বলে ৮টি চার ও দুটি ছক্কায় ৯০ রান করেন মুশফিক।
মুশফিক আউটের পর দ্রুত বিদায় নেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও সাব্বির হোসেন রুম্মন। ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গেয়ে আউট হন সৈকত। রবিন্দ্র জাদেজার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাব্বির।ইনিংসের শেষ দিকে ২৫ বলে ১৮ রান করে আউট হন সাইফউদ্দিন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রান আউট হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের বিদায়ের মধ্য দিয়ে ২৬৪ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের জয়রথ।
লোকেশ রাহুল ও মহেন্দ্র সিং ধোনির জোড়া সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছে ভারত। মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৫৯ রানের পাহাড় গড়ে ভারত। দলের পক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকান লোকেশ রাহুল (১০৮) ও মহেন্দ্র সিং ধোনি (১১৩)। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ভারতীয় দলকে শুরুতেই চেপে ধরেন মোস্তাফিজুর রহমান। দলীয় মাত্র ৫ রানেই ভারতীয় উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন কাটার মাস্টার।
পরে বিরাট কোহলিকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন অন্য ওপেনার রোহিত শর্মা। রোহিত ও বিরাট কোহলির মধ্যকার জুটি ভাঙা খুবই প্রয়োজন ছিল। ধীরে ধীরে উইকেটে সেট হয়ে আক্রমণাত্মক হচ্ছিলেন তারা। আর সেই মুহূর্তে রোহিত শর্মাকে বোল্ড করার মধ্য দিয়ে জুটির বিচ্ছেদ ঘটান রুবেল হোসেন। বাংলাদেশ জাতীয় দলের তারকা পেসার রুবেল ১৪তম ওভারে বোলিংয়ে এসেই নিজের দ্বিতীয় বলে রোহিতের স্ট্যাম্প ভেঙে দেন। সাজঘরে ফেরার আগে ৪২ বলে মাত্র ১৯ রান করার সুযোগ পান ভারতের বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ওপেনার রোহিত। দলীয় ৫০ রানে দুই উইকেট হারায় ভারত।
শুধু ভারতই নয়, বর্তমান সময়ের বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। ভারতের এই অধিনায়ককে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ফিফটির পথেই ছিলেন কোহলি। ৪৬ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৪৬ রান করা কোহলি বিভ্রান্ত হন সাইফউদ্দিনের বলে। কোহলির বিদায়ের মধ্য দিয়ে ৮৩ রানে ৩ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারায় ভারত।রুবেলের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হয়ে সাজঘরে ফেরেন বিজয় শঙ্কর। রুবেলের বলে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন বিজয়। ১০২ রানে ৪ উইকেট পতনের পর ভারতের ইনিংস মেরামত করেন লোকেশ রাহুল ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। পঞ্চম উইকেটে তারা ১৬৪ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিতে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রাহুল। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি করা রাহুলকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান সাব্বির রহমান রুম্মন। তার আগে ৯৯ বলে ১২টি চার ও ৯টি ছক্কায় ১০৮ রান করেন রাহুল।ইনিংসের শেষ দিকে সাত নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান হার্দিক পান্ডিয়া। ১১ বলে ২১ রান করা পান্ডিয়াকে সাব্বিরের ক্যাচে পরিনত করেন সাকিব আল হাসান।
পান্ডিয়ার বিদায় হলেও ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। আবু জায়েদ রাহীকে ছক্কা হাঁকানোর মধ্য দিয়ে ৭৩ বলে শতরানের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান ধোনি। ইনিংস শেষ হওয়ার চার বল আগে সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ধোনি। তার আগে ৭৮ বলে ৮টি চার ও ৭টি ছক্কায় ১১৩ রান করেন ধোনি।
|
ক্রেডিট সুইস অ্যানালাইসিস্টদের মতে, ২০০ দিনের মুভিং অ্যাভারেজ অনুযায়ী ১.০৮৭৬ প্রাইসের নিচে আসলে EURCHF পেয়ারের ডাউনট্রেন্ড শক্তিশালী হতে পারে। পেয়ারটি ১.০৮৭৬ প্রাইস অতিক্রমে সক্ষম হলে ১.০৮২৯ প্রাইসে আসতে পারে।
অপরদিকে পেয়ারের প্রাইস বৃদ্ধি পেলে ১.০৯২৫ রেজিস্ট্যান্স লেভেলে আসতে পারে। পরবর্তী রেজিস্ট্যান্স হতে পারে ১.০৯৫১। ৫৫ দিনের মুভিং অ্যাভারেজ অনুযায়ী পরবর্তী রেজিস্ট্যান্স হতে পারে ১.০৯৯১।
|
মহান মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার-ইন-চিফ, বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর জন্মশতবার্ষিকী'১৮ উপলক্ষে নবীগঞ্জে দিনব্যাপি হৃদরোগ চিকিৎসাসহ এক ফ্রি-মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার দিনব্যাপী হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলাধীন শিবগঞ্জ বাজারস্থ 'অধ্যাপক ডা. এম এ খালিক স্মৃতি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে' এসব চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
ওসমানীর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে ৬ মাসব্যাপি কর্মসূচির অংশ হিসেবে 'বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানী জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদ'-এর উদ্যোগে এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেট ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিমিটেড-এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত মেডিকেল ক্যাম্পে স্থানীয়ভাবে সহযোগিতা প্রদান করে নবীগঞ্জ কল্যাণ সমিতি সিলেট।
নবীগঞ্জ উপজেলায় বৃহৎ পরিসরে অনুষ্ঠিত এ ফ্রি-মেডিকেল ক্যাম্পে দেশের খ্যাতিমান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞসহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যান্য বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দ দিনব্যাপি সমাজের সুবিধাবঞ্চিত প্রায় ৭শ' রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। নবীগঞ্জ উপজেলা ছাড়াও পার্শ¦বর্তী বানিয়াচং ও বাহুবল উপজেলা থেকেও দরিদ্র রোগীরা এ ফ্রি-মেডিকেল ক্যাম্প থেকে চিকিৎসা সেবা লাভ করেন। এ ছাড়াও শুক্রবারের এ মেডিকেল ক্যাম্পে প্রায় চুনারুঘাট সমিতি সিলেট ও মহানগর হাসপাতাল সিলেট এর ম্যানেজার মাসুদ আহমদের নেতৃত্বে একটি টিম ৩ শতাধিক লোকের বিনা ফ্রি-তে ব্লাড গ্রুপিং করা হয়।
এ উপলক্ষে 'অধ্যাপক ডা. এম এ খালিক স্মৃতি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে' এর সভাকক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। 'বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানী জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদ'-এর চিকিৎসা বিষয়ক সাব-কমিটির আহবায়ক ও দেশের বিশিষ্ট কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক ডা. খালেদ মোহসিন-এর সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, 'বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানী জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদ'-এর কেন্দ্রীয় সদস্য-সচিব ও প্রধান সমন্বয়ক, দৈনিক সিলেট সংলাপ সম্পাদক মুহাম্মদ ফয়জুর রহমান।
'বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানী জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদ'-এর যুগ্ম সদস্য-সচিব সাংবাদিক আবু তালেব মুরাদ এর সঞ্চালনায় সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, নবীগঞ্জ কল্যাণ সমিতি সিলেট এর সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. আবুল ফজল।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ন্যাশনাল হার্টফাউন্ডেশন হাসপাতাল সিলেট এর যুক্তরাজ্য সাপোর্ট কমিটির সাধারণ সম্পাদক , মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মিসবাহ জামাল, নবীগঞ্জ কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি ছালেহ আহমদ চৌধুরী, সিলেট হার্ট ফাউন্ডেশনের এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার জামিল ইউ গণি ওসমানী, 'বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানী জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদ'-এর যুগ্ম সদস্য- সচিব এডভোকেট চৌধুরী আজাদুর রহমান আজাদ, প্রতিযোগিতা উপ-পরিষদের আহবায়ক ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সিলেট এর অবসরপ্রাপ্ত জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মাহবুবুজ্জামান চৌধুরী,উদযাপন পরিষদের সদস্য ইসমত ইবনে ইসহাক, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার শেখ মশিউর রহমান, ইনসেপ্টা কোম্পানীর সিলেটের এরিয়া ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম. বয়েত উল্লাহ, আবু ইউসুফ,এ আর চৌধুরী সেলিম, সাংবাদিক এম ইজাজুল হক ইজাজ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার-ইন-চিফ তথা সশস্ত্র যুদ্ধের প্রাণপুরুষ জেনারেল ওসমানী আমাদের অনেক কিছইু দিয়েছেন। দেশ ও জাতি তাঁর কাছে অপরিশোধ্য ঋণে আবদ্ধ। জাতির এ সূর্যসন্তানকে যথার্থ সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাতে পারলে আমরা নিজেরাই সম্মানিত হবো। সেই সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের নতুন প্রজন্মের মাঝে সঞ্চারিত হবে।
সভার শেষে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল মরহুম এমএজি ওসমানী এবং উপমহাদেশের প্রখ্যাত চিকিৎসক মরহুম অধ্যাপক ডা.এম এ খালেক-এর রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা শফিউল ইসলাম চৌধুরী। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
|
Sunscreens favorably চামড়া প্রভাবিত, তারা প্রাকৃতিক উপাদান ভিত্তিতে তৈরি করা হয়, তাই প্রতিযোগিতার ব্যবসায়ী Binomo $ 1000 বেশী পুরস্কার তারা নতুন কোষ নিউক্লিয়ার প্রক্রিয়া অবদান এবং জ্বর থেকে কোড রক্ষা। এই সূর্য সুরক্ষা এছাড়াও ময়শ্চারাইজ, nourishes এবং ভিটামিন ই সঙ্গে nourishes, যা চামড়া বৃদ্ধির বাধা দেয়।
নিউজ, নতুন ঘটনাসমূহ ও প্রকাশ খায়রুল আহসান বলেছেনঃ সেক্ষেত্রে একই ধরণের বাক্যে অব্যয়পদ 'কিন্তু' হবে কি? অামার বুঝার ভুলও হতে পারে (আখেনাটেন এর ৬১ নং মন্তব্য) -- 'কিন্তু' এর জায়গায় 'তবে' দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
তার পরে, আপনার মুখ পূর্ব এবং ক্রস চালু। এই অনুষ্ঠানের পর, ক্রেতারা একের পর এক হ্রাস পাবে, এবং পণ্য দ্রুত বিক্রি হবে। প্রতিযোগিতার ব্যবসায়ী Binomo $ 1000 বেশী পুরস্কার গুরুত্বপূর্ণঃ ফুলের ফুলের নিবন্ধনের জন্য, মুছে ফেলা টায়ার ভাল উপযুক্ত, তাদের উপর পেইন্ট প্রয়োগ করা সহজ।
ব্রাউজার যেখানে আপনি Satoshi করতে লোড মেশিন যোগ, যতদিন আপনার কম্পিউটারের ক্ষমতা ও প্রতিযোগিতার ব্যবসায়ী Binomo $ 1000 বেশী পুরস্কার ইন্টারনেটের গতি অনুমতি দেবে পরিকল্পনা করা হয় খোলা হচ্ছে। কভার লেটার যোগ করার জন্য নির্দেশাবলী নিম্নরূপ।
তিনি বলেন, 'ভোটারদের সঙ্গে আলাপকালে জানতে পেরেছি তারাও পরিবর্তন চায়। নেতৃত্বে নতুন মুখ চায়। আশা করছি আমি ভোটের মাধ্যমে পরিচালক নির্বাচিত হতে পারবে। নির্বাচিত হলে বাজার গতিশীলতায় কাজ করাই হবে আমার লক্ষ্য।'
দীর্ঘায়িত descents এবং ascents অতিক্রম যখন সতর্কতা।
"কোনও সমস্যা নেই" -মেল, "আমি এটি একটি হেজ হিসেবে দেখেছি, কিন্তু অর্থ বাজার তহবিলের বিকল্প হিসাবেও এখন আমি বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে এটি ব্যবহার করতে পারি - প্রাইভেট ইকুইটি এবং রিয়েল এস্টেটটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। এই ধারণার গড় শতাংশ 7% -10% মোট সম্পদ। এবং আমি যথোপযুক্তভাবে আরও বেশি কিনতে আশা করি। আবার ধন্যবাদ। " প্রথম পদক্ষেপ - একটি উপযুক্ত দালাল খোঁজার। কল্পনা করুন যে আপনার জীবনের জন্য আপনার সাথির চয়ন। এটা কি হওয়া উচিত? ব্রোকার, অবশ্যই, রাশিয়ান বা বিদেশী ব্যাংক তার আচরণ কেন্দ্র কথা বলতে পারেন। যখন একটি ব্রোকার নির্বাচন, বিশেষজ্ঞ পরামর্শের জন্য দেখুন। নির্বাচন কারণের মধ্যে রয়েছে।
অনেক কোম্পানির পরিষেবার মান প্রশংসা করা ছাড়াও এটা ইউএসডি 15 একটি বিনামূল্যে বোনাস গেছে।
না, বেশিরভাগ শহরে, ব্র্যান্ডেড গ্যাস স্টেশনগুলি যথেষ্ট পরিমাণে পেট্রল সরবরাহ করে যাতে এই সমস্যাটির বিষয়ে চিন্তা না করে। ইঞ্জিন মেরামত সম্পর্কিত আপনার কোন সমস্যা থাকলে, সম্ভবত তারা সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন কারণে উত্থিত হয়। একটি ব্যাংক স্টেটমেন্ট - অন্তত € 150,000,000 (একশত পঁচিশ মিলিয়ন ইউরো [এখন আমার উপলব্ধ একটি নির্দিষ্ট আর্থিক প্রোগ্রামগুলির মধ্যে] এর জন্য উপলব্ধ নগদ ব্যালেন্স দেখানোর জন্য 5 ব্যাঙ্কিং দিনের চেয়ে দুই অনুমোদিত ব্যাংক কর্মকর্তা এবং কোনও OLDER দ্বারা স্বাক্ষরিত একটি ব্যাংক স্টেটমেন্ট - বিনামূল্যে এবং প্রতিযোগিতার ব্যবসায়ী Binomo $ 1000 বেশী পুরস্কার পরিষ্কার এবং ইতিমধ্যে অবরুদ্ধ না। তহবিল ইতিমধ্যে ব্লক করা হয়, তারা যোগ্যতা অর্জন না। আপনার জমা দেওয়ার আগে, আপনার ব্যাঙ্কটি প্রথমে তহবিলগুলি অবরোধ মুক্ত করুন এবং তারপর POF সরবরাহ করুন।
কম্পিউটার ভাইরাস হয় ম্যালওয়্যারযে নকল করার ক্ষমতা আছে। তারা আমাদের কম্পিউটারে ঘন ঘন এবং uninvited অতিথি। তাদের সব স্বাধীনভাবে সনাক্ত করা এবং মুছে ফেলা যাবে না। তাদের মধ্যে কয়েকটি খুব ভালভাবে উন্নত হয় যে বহু বছর ধরে তারা সাধারণ অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামগুলি দ্বারা অবহেলিত হতে পারে। 'নাম্বারটা কি ট্র্যাকে দিব?' জানতে চাইল জনি।
তিনটি শুল্ক পদ্ধতির জন্যঃ প্যারামিটারগুলির মোট হিসাবঃ "দিন", "রাত্রি", "শীর্ষ ঘন্টা", "মন্দার সময়"।
এই প্রান্তে, বিভিন্ন জটিল বিচারের জন্য সত্য টেবিলগুলি সাধারণত কীভাবে তৈরি করা যায় তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নরূপ এই কাজ করা হয়।
শুধুমাত্র অপূর্ণতা - এটা কাজে অনুলিপি জন্য সব স্বাভাবিক পিএএমএম অ্যাকাউন্ট এবং পরিষেবার অনুপস্থিতি। তবে, ওয়াটসন এর সাদা শার্টের ভেতরে প্রতিযোগিতার ব্যবসায়ী Binomo $ 1000 বেশী পুরস্কার আরেকটি "ট্রাম্প কার্ড" লুকানো ছিল। জাপান পার্ল হারবার আক্রমণের দুই বছর আগে, তিনি তার ফার্মের তহবিল থেকে 500,000 মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছিলেন, একটি সাহসী উদ্যোগে একটি যৌথ হার্ভার্ড গণিতবিদ হাওয়ার্ড আইকেনের ধারণা। তার ডক্টরেট গবেষণায় কাজ করার সময় অবিরাম গণনা ক্লান্ত, আইকেন একটি সার্বজনীন প্রোগ্রামযোগ্য কম্পিউটার তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
|
স্টাফ রিপোর্টার ॥ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন বহুল প্রতিক্ষীত দশ হাজার থ্রিজি বিটিএস স্থাপনের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। দেশজুড়ে অবস্থিত এসব বিটিএস দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে থ্রিজির আওতায় নিয়ে এসেছে। রবিবার বিকেলে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে দশ হাজারতম বিটিএসটি (মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক টাওয়ার) চালু করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
এক হাজারতম বিটিএস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাজীব শেঠি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দেশের ৯০ ভাগ মানুষকে থ্রিজির আওতায় নিয়ে আসায় গ্রামীণফোনকে অভিনন্দন জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, এতে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেশ আরও একধাপ এগিয়ে গেল। এই অর্জন শুধু গ্রামীণফোনের না। এটা সারাদেশের মানুষের অর্জন। মানুষ এর সুবিধা ভোগ করবেন। টেলিযোগাযোগ খাতকে আমরা উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে এই খাতে অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো যথাসময়ে বাস্তবায়ন হলে ভিশন ২০২১ বাস্তবায়ন তখন আর কোন স্বপ্ন থাকবে না। এই কাজগুলো আমরা যথা সময়ে শেষ করব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলে জনসংখ্যার বিচারে এটি অন্যতম দ্রুত এবং বৃহৎ থ্রিজি নেটওয়ার্ক বিস্তার। ফলে শুধু দেশের প্রায় সব মানুষ থ্রিজির আওতায় আসবে না, সরকার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোও পক্ষে আরও বেশি মানুষের কাছে কার্যকরভাবে ডিজিটাল সেবা নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, গ্রামীণফোনকে থ্রিজি বিস্তারের সময় যে উদ্দীপনার সঙ্গে তার কাজ করেছে এর মান বজায় রাখতেও একই উদ্দীপনা প্রদর্শনের আহ্বান জানান। গ্রামীণফোনের সিটিও মেদহাত এলহোসাইনী ১০ হাজার বিটিএসকে থ্রিজিতে রূপান্তরিত করার অভিযাত্রা একটি উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরেন। এই বিশাল কাজটি সম্পন্ন করতে ১৪ লাখ ১৪ হাজার ৮৭৭ মানব ঘণ্টা শ্রম দিতে হয়েছে। তারা ভ্রমণ করেছে ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪০ কিলোমিটার এবং তাদের চড়তে হয়েছে ৬ লাখ ৮০ হাজার মিটার যা ৮০টি এভারেস্ট শৃঙ্গের সমান। উদ্বোধনের পর ১০ হাজারতম বিটিএসে কর্মরত গ্রামীণফোন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলেন গ্রামীণফোনের সিইও।
গ্রামীণফোন দ্রুত দেশজুড়ে থ্রিজি বিস্তারের পরিকল্পনা গ্রহণ করে মাত্র ৬ মাসে দেশের ৬৪ জেলা শহরকে থ্রিজি সেবার আওতায় নিয়ে আসে। লাইসেন্স চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ৩৬ মাসে হবার কথা ছিল। নতুন এলাকায় থ্রিজি সেবাদান কিংবা ২জি সাইট থ্রিজিতে রূপান্তরের মধ্যেই গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ বিস্তৃত ছিল না। বিদ্যমান টুজি সাইট উন্নতিকরণ ও সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে টুজি সেবা বিস্তৃতিতেও কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
গ্রামীণফোন সিউও বলেন, পাঁচ মাস আগে আমরা অতি দ্রুতগতিতে থ্রিজি নেটওয়ার্ক বিস্তারের চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম।
|
যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মালবাহী ট্রাকের মুখোমুখী সংঘর্ষে ছয়জন হতাহত হয়েছেন। নিহত সিএনজিচালক কাউসার ও যাত্রী ফুল ইসলামের মরদেহ পাঠানো হয় মর্গে এবং আহত চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা এলাকার।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা এলাকায় ঘটে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। নিহত সিএনজাচালক কাউসার আলম (৩৫) কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর গ্রামের ছাদে আলীর পুত্র ও যাত্রী ফুল ইসলাম (৫০) কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামের মঙ্গল আলীর পুত্র।আহতেরা হলেন কিশোরগঞ্জ জেলার সোহাগ মিয়া, শরীফ উদ্দিন, ও তায়েব আলী। খবর পেয়ে নিহত যাত্রী ফুল ইসলামের ছেলে হাফেজ আল আমিন মাদরাসা থেকে ঘটনাস্থলে এসে তার বাবার লাশ সনাক্ত করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল আনুমান সাড়ে সাতটার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের খাড়েরা বাসষ্ট্যান্ডের কয়েকশ' গজ দুরত্বে কুমিল্লা অভিমুখী পণ্যবাহী একটি ট্রাক (নং ঢাকা মেট্রো-ট-২২-৩০২৭) প্রথমে এলাকার হালচাষে ব্যবহৃত একটি ট্রাক্টরকে ধাক্কা দিলে ট্রাক্টরটি চালকসহ উল্টে যায়। পরক্ষনেই ট্রাক্টরের পেছনে থাকা সিএনজিটিকে চাপা দিয়ে উভয়টিই উল্টে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ঘটে এই হতাহতের ঘটনা। পরে আহতেদর উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ, কসবা থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন মৃতদেহ উদ্ধার করেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তায়েব মিয়া জানান, আমরা পাঁচজন কোম্পানীগঞ্জ থেকে সিএনজি নিয়ে ভৈরব যাচ্ছিলাম। কুটিচৌমুহনী এলাকা অতিক্রম করার পর কুমিল্লা অভিমুখী পণ্যবাহী একটি ট্রাকের সাথে তাদের বহনকারী সিএনজিটির মুখোমুখী সংঘর্ষ হলে সিএসজিটি পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. শাহজালাল আলম জানান, নিহতদের মরেদহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতদেরকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।'
|
হোয়াইট হাউসে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে 'বাংলাদেশি সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছে - এই মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (২১ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালতে প্রথম মামলাটি দায়ের করেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। আর বিচারক আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালতে অন্য মামলাটি দায়ের করেন ঢাকা কার্যকারী পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মো. ইব্রাহিম খলিল।
আদালত উভয় বাদীর জবানবন্দি নেন এবং নথি পর্যালোচনা শেষে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান। ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাওন আহমেদ, জুয়েল শিকদারসহ আরও অনেকে শুনানি করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই হোয়াইট হাউসে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করে প্রিয়া সাহা বলেন, 'স্যার, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছে ও দেশে থাকতে পারছে না।' তিনি আরও অভিযোগ করেন, তার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, জমি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি আইনি সুরক্ষা পাননি। নিপীড়ন থেকে বাঁচতে ট্রাম্পের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
|
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০১৭ তে কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক কাপ শিক্ষিকা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন শারমীন ফাতেমা।তিনি মুরাদনগর উপজেলার দিলালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে কমর্রত রয়েছেন।
২০০৭ সালে শারমীন ফাতেমা এই চাকরিতে যোগদান করেন। দীর্ঘদিন উপজেলার ইউছুফনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৫ সালে তিনি দিলালপুর আসেন। প্রাথমিক শিক্ষাকে সার্বজনীন ও আনন্দদায়ক করার জন্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ স্কাউটের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তার নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও পরিবেশের উন্নয়ন হয়েছে।
শারমীন ফাতেমা মুরাদনগর উপজেলার ডিআর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, মুরাদনগর প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা ,দৈনিক তেপান্ত পত্রিকার সাংবাদিক ধনীরামপুর গ্রামের প্রয়াত মোঃ বদির উদ্দিন আহম্মেদের কন্যা।
|
আজ ১১ রমজান। পবিত্র মাহে রমজানের মাগফিরাত অংশ আজ থেকে শুরু হলো। মাগফিরাত অর্থ ক্ষমা। রমজানের প্রথমভাগ ১০ দিন দয়াময় আল্লাহর রহমতের বারিধারায় বান্দা নিজের জীবনকে সুশোভিত করে মধ্যভাগের ১০ দিন মাগফিরাতের অংশে আল্লাহর ক্ষমাশীলতা কামনা করবে। নিজের জীবনের যাবতীয় পাপরাশির ক্ষমা চাইবে। আল্লাহ জাল্লাশানুহু যে বান্দার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেবেন এবং ক্ষমা করে দেবেন, তার তো খোশ নসিব। ইহকাল এবং পরকালে তো তার কোনো চিন্তা নেই। তাই আমরা এই রমজানে বেশি বেশি করে ইবাদতের পাশাপাশি তাওবা ইস্তেগফারও পাঠ করবো। খালেছভাবে আল্লাহর কাছে তাওবা করবো।
হাদিসে নববীতে ইরশাদ হয়েছে, নবী করিম (দঃ) বলেন, যে ব্যক্তি পরিপূর্ণ ঈমানের সাথে ও সাওয়াবের আশায় রমজান মাসের রোজা রাখবে, মহান আল্লাহ্ ওই বান্দার পেছনের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। সুবহানাল্লাহ! আল্লাহ্ তাঁর বান্দার প্রতি কত দয়াবান। আল্লাহ্ জানেন যে, তাঁর ঈমানদার বান্দারা দুনিয়ার জিন্দেগীতে শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে ইচ্ছা অনিচ্ছায় অনেক গুনাহ করবে, কিন্তু আল্লাহ্র প্রতি তাদের অগাধ বিশ্বাস ও ভরসা থাকবে পাহাড়সম। সেজন্যে আল্লাহ্ ওই ঈমানদার গুনাহগার বান্দাদের গুনাহ মাফের জন্যে নানা উপলক্ষ দিয়ে দিয়েছেন। তন্মধ্যে মাহে রমজান অন্যতম। আল্লাহর এই অফুরন্ত রহমত, বরকত, ক্ষমা ও দয়াসহ সকল নেয়ামত প্রাপ্তি আমাদের প্রিয় নবী (দঃ)-এর উসিলায়। উম্মতে মোহাম্মদীর জন্যেই আল্লাহ দয়ার সাগর।
|
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় চুরির মামলায় গ্রেপ্তার দুই শিশুর মধ্যে এক শিশুকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার কোলা বাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বদলগাছী উপজেলার হলুদবিহার গ্রামের মোহসীন আলী ছেলে সাব্বির হোসেন (১৩) ও একই উপজেলার কয়া ভবানীপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে তানভিন হোসেন (৮)। জানা গেছে, শিশু তানভির হোসেন সোনারপাড়া ব্র্যাক স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ও সাব্বির হোসেন গয়ড়া মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
এ বিষয়ে বদলগাছী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম জানান, গত ১৯ মার্চ কোলা বাজার ইউনুছ আলী তেলের মিল থেকে ওজন মাপার ডিজিটাল মেশিনসহ কয়েকটি যন্ত্রাংশ চুরি হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে কোলা বাজারে সন্দেহজনকভাবে চলাফেরা করার সময় দায়িত্বরত নৈশপ্রহরিরা সাটার কাটার যন্ত্রসহ সাব্বির হোসেনকে আটক করে। তারা গতকাল শুক্রবার সকালে তানভিন হোসেন নামে আরেক শিশুকে আটক করে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ দুজনকে আটক করে থানা নিয়ে আসে।
তিনি আরো জানান, ইউনুছ আলীর মিলের চুরি যাওয়া যন্ত্রাংশগুলো শিশু দুটির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ইউনুছ আলী বাদী হয়ে থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেন। তবে এ ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে শিশু তানভিরকে তার বাবা ও ভাইয়ের জিম্মায় থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অপর শিশু সাব্বির হোসেনকে আজ শনিবার সকালে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম খান বলেন, চুরির মামলায় দুই শিশুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। অন্যজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
|
নিউজ ডেস্কঃ: ভালোবাসার জন্য মানুষ কত কিছুই না করে। পৃথিবীর শুরু থেকে এখন অবধি অসংখ্য বাস্তবতার গল্প রয়েছে প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে। শোনা যায় ভালোবাসার জন্য মানুষ সাত-সমুদ্র তের নদীও পাড়ি দিতে পারে। এবার ভালোবাসার টানে সুদূর চীন থেকে নেত্রকোনার করমাকান্দায় এসেছেন চীনা নাগরিক।
নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার গুতুরা বাজারে গত রবিবার (৯ জুন) এক বিবাহোত্তর বৌভাতের আয়োজন করা হয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম আজাদের বাড়িতে। সাম্প্রতিক সময়ে ছেলে জসিম উদ্দিনের সাথে চীনা নাগরিক ইবনাত মরিয়ম ফাইজার বিয়ে হয় দুবাইতে।
ফাইজা চীনের হিলংজিয়া প্রদেশের মুদনঞ্জিয়া শহরের ওয়াং হুয়ানঝং ও পাং ইয়ুলিং দম্পতির সন্তান। চাকুরিসূত্রে ফাইজা ও জসিমের পরিচয় দুবাইয়ের একটি শপিং মলে। ধীরে ধীরে তাদের পরিচয় রূপ নেয় ভালোবাসার সম্পর্কে।
মাঝে তিন বছর চাকরির প্রয়োজনেই দুজন দুই দেশে চলে যান। হৃদয়ের টান তাদের আলাদা করতে পারেনি। এক পর্যায়ে আবারও দুজন দুবাইয়ে দেখা করে গাটছাড়া বাঁধেন। ফাইজা আগে খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী থাকলেও বিয়ের পূর্বে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
বর জসিম উদ্দিন জানান, তাকে ভালোবাসার পর ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী বিয়ে করেছি। আমরা সুখে শান্তিতে থাকতে সকলের দোয়া চাই।
|
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা একদিনে দেশে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে করোনায় দেশে মোট ১৪ হাজার ১৭২ জনের মৃত্যু হলো।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
|
জাপানে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই সংকটে ভুগছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফাস্টফুড চেইনশপ ম্যাকডোনাল্ড'স। এর পেছনে তাদের খাবারের মেন্যুতে ব্যবহৃত বিশেষ আলুর স্বল্পতাকে দায়ী করছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় চলমান সংকটের কারণে তৈরি হয়েছে এমন পরিস্থিতি। এ কারণেই কাস্টমারদের শুধু ছোট আকারের ফ্রেঞ্চ ফ্রাই সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ম্যাকডোনাল্ড'স। আপাতত ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুসরণ করা হবে এ নীতি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সাধারণত কানাডার ভ্যাঙ্কুয়েভার বন্দরের কাছাকাছি একটি স্থান থেকে আলু সংগ্রহ করে ম্যাকডোনাল্ড'স। তবে বন্যা ও করোনা মহামারির নতুন ঢেউয়ের প্রভাবে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ ব্যবস্থায় তৈরি হয়েছে জটিলতা। জাহাজ চলাচল বাধাগ্রস্ত হলে পরবর্তীতে বিমানের মাধ্যমে আলু সরবরাহের পরিকল্পনা করছে বিখ্যাত চেইনশপটি।
|
Subsets and Splits
No community queries yet
The top public SQL queries from the community will appear here once available.