ashtrayAI commited on
Commit
e56601e
·
1 Parent(s): b8186ba

Upload 1000 files

Browse files
This view is limited to 50 files because it contains too many changes.   See raw diff
Files changed (50) hide show
  1. Bangla_fin_news_articles/4001.csv +2 -0
  2. Bangla_fin_news_articles/4002.csv +2 -0
  3. Bangla_fin_news_articles/4003.csv +2 -0
  4. Bangla_fin_news_articles/4004.csv +2 -0
  5. Bangla_fin_news_articles/4005.csv +2 -0
  6. Bangla_fin_news_articles/4006.csv +2 -0
  7. Bangla_fin_news_articles/4007.csv +2 -0
  8. Bangla_fin_news_articles/4008.csv +2 -0
  9. Bangla_fin_news_articles/4009.csv +2 -0
  10. Bangla_fin_news_articles/4010.csv +2 -0
  11. Bangla_fin_news_articles/4011.csv +2 -0
  12. Bangla_fin_news_articles/4012.csv +2 -0
  13. Bangla_fin_news_articles/4013.csv +2 -0
  14. Bangla_fin_news_articles/4014.csv +2 -0
  15. Bangla_fin_news_articles/4015.csv +2 -0
  16. Bangla_fin_news_articles/4016.csv +2 -0
  17. Bangla_fin_news_articles/4017.csv +2 -0
  18. Bangla_fin_news_articles/4018.csv +2 -0
  19. Bangla_fin_news_articles/4019.csv +2 -0
  20. Bangla_fin_news_articles/4020.csv +2 -0
  21. Bangla_fin_news_articles/4021.csv +2 -0
  22. Bangla_fin_news_articles/4022.csv +2 -0
  23. Bangla_fin_news_articles/4023.csv +2 -0
  24. Bangla_fin_news_articles/4024.csv +2 -0
  25. Bangla_fin_news_articles/4025.csv +2 -0
  26. Bangla_fin_news_articles/4026.csv +2 -0
  27. Bangla_fin_news_articles/4027.csv +2 -0
  28. Bangla_fin_news_articles/4028.csv +2 -0
  29. Bangla_fin_news_articles/4029.csv +2 -0
  30. Bangla_fin_news_articles/4030.csv +2 -0
  31. Bangla_fin_news_articles/4031.csv +2 -0
  32. Bangla_fin_news_articles/4032.csv +2 -0
  33. Bangla_fin_news_articles/4033.csv +2 -0
  34. Bangla_fin_news_articles/4034.csv +2 -0
  35. Bangla_fin_news_articles/4035.csv +2 -0
  36. Bangla_fin_news_articles/4036.csv +2 -0
  37. Bangla_fin_news_articles/4037.csv +2 -0
  38. Bangla_fin_news_articles/4038.csv +2 -0
  39. Bangla_fin_news_articles/4039.csv +2 -0
  40. Bangla_fin_news_articles/4040.csv +2 -0
  41. Bangla_fin_news_articles/4041.csv +2 -0
  42. Bangla_fin_news_articles/4042.csv +2 -0
  43. Bangla_fin_news_articles/4043.csv +2 -0
  44. Bangla_fin_news_articles/4044.csv +2 -0
  45. Bangla_fin_news_articles/4045.csv +2 -0
  46. Bangla_fin_news_articles/4046.csv +2 -0
  47. Bangla_fin_news_articles/4047.csv +2 -0
  48. Bangla_fin_news_articles/4048.csv +2 -0
  49. Bangla_fin_news_articles/4049.csv +2 -0
  50. Bangla_fin_news_articles/4050.csv +2 -0
Bangla_fin_news_articles/4001.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4001,অশুল্ক বাঁধা সরিয়ে দেয়া গেলে ভারতবাংলাদেশ বাণিজ্য বহুগুণে বাড়ানো সম্ভব,2017-08-17,অনলাইন ডেস্ক,বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ভৌগলিক নৈকট্যের পাশাপাশি দুই দেশের মানুষের ভোগের ধরণে যে মিল রয়েছে সেগুলোর বিবেচনায় একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে এই দুটি দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের যে অপার সম্ভাবনা রয়েছে তা যথাযথভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে না। কাটস ইন্টারন্যাশনালের উদ্যোগে ভারতের দিল্লীতে আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক কর্মশালায় বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কাটস ইন্টারন্যাশনালের এসোসিয়েট ডাইরেক্টর পৃথ্বীরাজ নাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ইউএসএআইডির স্টিফেন ওয়াইড এবং ভারতের ন্যাশনাল এক্রেডিটেশন বোর্ড অফ সার্টিফিকেশন বডিজএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অনিল জহুরি। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের সরকার গবেষণা সংস্থা ব্যবসায়িদের সংগঠন ও এনজিও প্রতিনিধিরা এই কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন। ড. আতিউর তাঁর বক্তব্যে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ১.৭ বিলিয়ন ভোক্তার যে বাজার রয়েছে সে কথা মাথায় রেখে এ অঞ্চলের দেশগুলোর নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর ওপর বিশেষ জোর দেন। অবকাঠামোগত স্বল্পতার পাশাপাশি বেশ কিছু অশুল্ক বাঁধাও এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অন্তরায় বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। এসব অশুল্ক বাঁধার মধ্যে রয়েছে আইনি প্রতিবন্ধকতা সীমান্তের দুই পাশের দেশগুলোর মধ্যে পণ্যের সাধারণ মান বিষয়ে ঐক্যমত্য না থাকা এবং দক্ষতার অভাব সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ। বর্তমানে এ অঞ্চলে একটি অনুকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এর সুযোগ নিয়ে এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্য সহজ করতে সরকারগুলো যেন যথাযথ উদ্যোগ নেয় তা নিশ্চিত করতে সুশীল সমাজ এবং গবেষণা সংস্থাগুলোকে সুনির্দিষ্ট গবেষণা ও এডভোকেসি কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা বলেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন ইতোমধ্যে ভারতের স্থল বন্দরগুলোর ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে কার্যকর বাণিজ্য নিশ্চিত করতে হলে বাংলাদেশের স্থল বন্দরগুলোকেও একই মানে উন্নিত করতে হবে। ভারত থেকে পাওয়া ঋণ আমরা রেল আবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় করছি। পাশাপাশি এ অর্থ স্থল বন্দরগুলো উন্নয়নের জন্য�� বিনিয়োগ করা যেতে পারে। স্থল বন্দর উন্নয়নে ভারতের অভিজ্ঞতাও আমরা কাজে লাগাতে পারি। আন্তদেশীয় বাণিজ্যের জন্য সীমান্ত হাটের মতো আরও যেসব উদ্ভাবনি পদক্ষেপ ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে সেগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেয়ার জন্য ড. আতিউর নীতি নির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানান। পাশপাশি মাঠ পর্যায়ে আইনকানুন কার্যনীতি ইত্যাদি বিষয়ে যে বোঝাপড়ার অভাব রয়েছে সেদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এসব বিষয়ে পরিস্কার ধারণা থাকা জরুরি যাতে তারা রপ্তানি ও আমদানিকারকদের বিষয়গুলো সঠিকভাবে বোঝাতে পারেন। এজন্য সকল স্টেকহোল্ডারদের সচেতনতা বাড়ানোর নিয়মিত উদ্যোগ থাকা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। আন্তদেশীয় বাণিজ্য সহজিকরণের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সুফল পাওয়ার জন্য সকল পক্ষের অংশগ্রহণে নিয়মিত সংলাপ আয়োজনের প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। ইত্তেফাকরেজা
Bangla_fin_news_articles/4002.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4002,পেঁয়াজের দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ব্যাখ্যা চেয়ে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ,2017-08-17,ইত্তেফাক রিপোর্ট,পেঁয়াজের দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ব্যাখ্যা চেয়ে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনসাস কনজুমার্স সোসাইটিসচেতন ভোক্তা সমাজ সিসিএস। বৃহস্পতিবার সিসিএস এর পক্ষে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান এ নোটিশ পাঠিয়েছেন। বাণিজ্যসচিব ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশর টিসিবি চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনর চেয়ারম্যানকে নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। না হলে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে চলতি বছরের আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভোক্তা সাধারণের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পেঁয়াজের মূল্য অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ভোক্তা সাধারণ আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে এবং নিম্ব ও নিম্নধ্যবিত্ত ভোক্তাদের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটি ভোগ করা দুসাধ্য হয়ে পড়েছে। সরকারের বিপণন সংস্থা টিসিবির মূল্য তালিকা থেকে দেখা যায় ১৩ জুলাই দেশি পেঁয়াজের বিক্রয় মূল্য ছিল প্রতি কেজি ২৮ থেকে ৩২ টাকা আমদানিকৃত পেঁয়াজের মূল্য ২২ থেকে ২৫ টাকা। আর গত ১৩ আগস্ট প্রকাশিত মূল্য তালিকায় দেশি পেঁয়াজের মূল্য প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজের মূল্য ৬০ থেকে ৬৫ টাকা তুলে ধরা হয়। টিসিবির হিসাব অনুযায়ী গত এক মাসে দেশি পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে ১০৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ বিদেশি পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে ১২৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। এক মাসের পেঁয়াজের গড় মূল্য বেড়েছে ১১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ। নোটিশে বলা হয় পেঁয়াজের উৎপাদন এবং আমদানি পর্যাপ্ত রয়েছে। সে কারণে পেয়াজের দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। তাই আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি সিন্ডিকেটের কারসাজি বলেই সিসিএস এর কাছে প্রতীয়মান হয়। ইত্তেফাকসাব্বির
Bangla_fin_news_articles/4003.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4003,৪৬ বছরে সর্বোচ্চ বাণিজ্য ঘাটতি,2017-08-17,রেজাউল হক কৌশিক,দেশের বাণিজ্য ঘাটতি আশংকাজনক হারে বেড়েছে। আমদানি ব্যয় মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় এ ঘাটতি তৈরি হয়েছে। গত অর্থবছরে ২০১৬১৭ যে পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি হয়েছে স্বাধীনতার পর তা কখনো হয়নি। অপরদিকে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যেও বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। অর্থনীতির গতিধারাতে সাধারণত আমদানি ব্যয় বাড়লে রপ্তানি আয়ও বাড়ে। কারণ বিদেশ থেকে যেসব কাঁচামাল আমদানি করা হয় তার একটি অংশ প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে রপ্তানি হয়। অতীতে এমন হয়ে আসলেও এবার ব্যাতিক্রম। আশংকা করা হচ্ছে আমদানির নামে ওভার ইনভয়েসিং এর মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার হচ্ছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ইপিবি তথ্যে দেখা গেছে গত অর্থবছরে রপ্তানি আয়েও কাঙ্খিত গতি আসেনি। বাংলাদেশ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে আয় করেছে তিন হাজার ৮৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র এক দশমিক ৩৫ শতাংশ। গত দেড় দশকে এত কম প্রবৃদ্ধি হয়নি। একই সময়ে আমদানিতে বাংলাদেশের ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ৩৪৯ কোটি ডলার যা আগের অর্থবছরের ছিল তিন হাজার ৯৯০ কোটি ডলার। সে হিসেবে গত এক বছরে আমদানি ব্যয় বেড়েছে ৩৫৯ কোটি ডলার বা প্রায় ৯ শতাংশ। এদিকে বাণিজ্য ঘাটতির পাশাপাশি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ধারাবাহিক কমছে। ফলে বৈদেশিক বাণিজ্যের লেনদেন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। আবার আমদানিজনিত চাপে দেশের ভেতরে বেড়েছে ডলারের চাহিদা। ফলে চাহিদার তুলনায় ডলারের যোগান কমে গেছে। এ কারণে ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন ঘটছে। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে প্রতি ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে প্রায় এক টাকা। আর এক বছরের ব্যবধানে কমেছে প্রায় ২ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বর্তমানে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা ৭০ পয়সায়। মধ্যপ্রাচ্য সংকটে রেমিট্যান্স আরো কমলে ডলারের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টাকার অবমূল্যায়ন আরো বাড়বে। এতে রপ্তানি আয়ের ওপর চাপ পড়বে আরো বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাবেও দেখা গেছে ২০১৬১৭ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। যা আগের অর্থবছরে ছিল ৬২৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার। সে হিসেবে একবছরের ব্যবধানে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ৩১৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ৫০ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এদিকে চলতি হিসাবে গত অর্থবছর ১৪৮ কোটি ডলার ঘাটতি হয়েছে। অথচ আগের অর্থবছর শেষে ৩৭০ কোটি ৬০ লাখ ডলার উদ্বৃত্ত ছিল। এদিকে আমদানি ব্যয় দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় কারণে দেশের অর্থ পাঁচার হয়ে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। তারা বলছেন প্রকৃত আমদানি বাড়লে অর্থনীতিতে কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশংকা নেই। কিন্তু আমদানির নামে অর্থ যদি পাচার হয় তাহলে ফল নেতিবাচক হবে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান উত্স রেমিট্যান্স। কিন্তু গত অর্থবছর জুড়েই দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ নিম্নমুখী ধারায় ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে গত অর্থবছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে সাড়ে ১৪ শতাংশ। গত অর্থবছরে প্রবাসীরা এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন। যা গত পাঁচ অর্থবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সিপিডি গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন সাম্প্রতিক সময়ের রপ্তানি ও আমদানির ধারা দেখলে দেখা যায় এ দুটির মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই সামঞ্জস্য হচ্ছে না। আমদানির ক্ষেত্রে মূলধনী যন্ত্রপাতির বাইরে পেট্রোলিয়াম খাদ্য পণ্য প্রভৃতি অনেক বেশি আমদানি হচ্ছে। বিনিয়োগেও শ্লথ অবস্থা দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন রপ্তানির ক্ষেত্রে যেভাবে মূল্যপতন হচ্ছে আমদানির ক্ষেত্রে সেভাবে হচ্ছে না। এতে বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছে। আমদানিরপ্তানির নামে অর্থ পাচার হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন এক্ষেত্রে রপ্তানিতে আন্ডার ইনভয়েসিং এবং আমদানিতে ওভার ইনভয়েসিং হচ্ছে কিনা সে বিষয়টা খতিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে। উল্লেখ্য রপ্তানি আয়ের চেয়ে আমদানি ব্যয় যেটুকু বেশি তার পার্থক্যই বাণিজ্য ঘাটতি। আর চলতি হিসাবের মাধ্যমে দেশের নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেন পরিস্থিতি বোঝানো হয়। আমদানিরপ্তানিসহ অন্যান্য নিয়মিত আয়ব্যয় এতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে। এখানে উদ্বৃত্ত হলে চলতি লেনদেনের জন্য দেশকে কোনো ঋণ করতে হয় না। আর ঘাটতি থাকলে সরকারকে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়। ইত্তেফাকআনিসুর
Bangla_fin_news_articles/4004.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4004,প্রাণ ডেইরির চুক্তিবদ্ধ খামারিদের ঋণ দেবে সোনালী ব্যাংক,2017-08-16,অনলাইন ডেস্ক,উন্নতজাতের গাভি পালন ও দুগ্ধজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাণ ডেইরির চুক্তিবদ্ধ খামারিদের ঋণ প্রদান করবে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড। প্রাণআরএফএল গ্রুপের পরিচালক কর্পোরেট ফাইন্যান্স উজমা চৌধুরী এবং সোনালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন প্রাণের বিনিয়োগ ব্যবসাবাণিজ্যের বিভিন্নক্ষেত্রে দিশারীর ভূমিকা পালন করছে। কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে নতুন নতুন পণ্য সৃষ্টি করা যায় তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত প্রাণ। প্রাণ এর চুক্তিবদ্ধ খামারিদের ঋণ প্রদানে সোনালী ব্যাংকের এই উদ্যোগের প্রশংসা করনে তিনি। প্রাণআরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী বলেন প্রাণ এর চুক্তিবদ্ধ খামারিদের গাভি ক্রয় শেড স্থাপন মিল্কিং মেশিন চপার মেশিন দুধ বহনের অ্যালুমিনিয়াম ক্যানসহ খামার ব্যবস্থাপনার আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয় করার জন্যে এ ঋণ প্রদান করা হবে। তিনি আরো জানান নাটোরের গুরুদাসপুর পাবনার চাটমোহর সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও বাঘাবাড়ি এবং রংপুরে অবস্থিত প্রাণ এর পাঁচটি ডেইরি হাবএর অধীনে ১১ হাজারের অধিক রেজিস্ট্রার্ড দুগ্ধ খামারি রয়েছে। এসব খামারিদের কাছে প্রায় ৫৫ হাজার গবাদি পশু রয়েছে। প্রাণ ডেইরি এসব গবাদিপশুর লালনপালন ব্যবস্থা টিকা চিকিৎসা সেবা খামার স্থাপন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কৃত্রিম প্রজনন প্রভৃতি সেবা প্রদান করে থাকে। সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ জানান দেশের কৃষি শিল্প অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতগুলিতে সোনালী ব্যাংক ঋণ সহায়তা প্রদান করে থাকে। দেশের দুগ্ধ শিল্পের উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করছে প্রাণ ডেইরি তাদের মধ্যে অন্যতম। এ ঋণ প্রদানের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে দুগ্ধ শিল্পের বিকাশ ঘটিয়ে অপুষ্টি দূরীকরণসহ যুবক ও যুব মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব ইউনুসুর রহমান সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডের চে���ারম্যান আশরাফুল মকবুল প্রাণ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধাসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইত্তেফাকইউবি
Bangla_fin_news_articles/4005.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4005,অ্যাকর্ডঅ্যালায়েন্সের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে কারখানা মালিকরা,2017-08-16,রিয়াদ হোসেন,দেশে ইউরোপ ও আমেরিকার ক্রেতাদের কারখানা পরিদর্শন জোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে কারখানা মালিকদের সঙ্গে দূরত্ব ক্রমেই বাড়ছে। ইতিমধ্যে প্রায় আড়াইশ কারখানার সঙ্গে ব্যবসা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উভয় জোট। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়ে কারখানা মালিকদের ঘোরতর আপত্তি রয়েছে। ফলে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন অনেকে। ইতিমধ্যে কেউ কেউ আদালতে রিট দায়ের করে ব্যবসা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশও পেয়েছেন বলে জানা গেছে। কিছু কারখানা অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স উভয় জোটের ক্রেতাদের পোশাক তৈরি করে। এক্ষেত্রে যে কোন একটি পক্ষ ওই কারখানার সংস্কার কার্যক্রম দেখভাল করবে বলে ত্রিপক্ষীয় কমিটির সিদ্ধান্ত রয়েছে। সেক্ষেত্রে একপক্ষের মূল্যায়ন অন্যপক্ষ গ্রহণ করবে। কিন্তু এ বিষয়টি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি টঙ্গির বিএইচআইএফ অ্যাপারেলের সঙ্গে ব্যবসা ছিন্ন করে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে অ্যালায়েন্স। এটি চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করে কারখানাটি। সম্প্রতি আদালত ব্যবসা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দুই মাসের স্থগিতাদেশ দেন। এর পর অ্যালায়েন্সের ওয়েবসাইটে স্থগিতাদেশের তালিকা থেকে ওই কারখানার নাম সরিয়ে নেওয়া হয়। চট্টগ্রামের স্মার্ট গ্রুপের একাধিক পোশাক কারখানার সঙ্গেও এমন ঘটনায় রিট হয়েছে। সূত্র জানায় কারখানাটি অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের বায়ারদের পোশাক তৈরি করে। অ্যালায়েন্স কারখানাটিতে সংস্কার কাজ দেখভাল করলেও সংস্কারের অগ্রগতি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে ব্যবসা বাতিলের ঘোষণা দেয় অ্যাকর্ড। এর পর কারখানা মালিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। আজ এ বিষয়ে শুনানি হবে বলে রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট জাফরুল হাসান শরিফ ইত্তেফাককে জানিয়েছেন। আরো বেশ কয়েকজন কারখানা মালিক অ্যাকর্ড কিংবা অ্যালায়েন্সের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছেন বলে জানা গেছে। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর লিবার্টি ফ্যাশন নামে একটি কারখানার ইউরোপীয় ক্রেতারা কারখানা ভবনটি পাকিস্তানের একটি প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে পরীক্ষা করায়। তখনো অ্যাকর্ডের জন্ম হয় নি। পরীক্ষা করে কারখানাটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ফলে কাজ বন্ধ হয়ে যায় কারখানাটির। কিন্তু মালিকপক্ষ দাবি করে আসছিলেন কারখানাটি ঝুঁকিপূর্ণ নয়। কারখানাটি ফের পরীক্ষা করার জন্য অ্যাকর্ডকে অনুরোধ জানানোর পরও কাজ হয় নি। পরবর্তীতে আদালতে যায় লিবার্টি কর্তৃপক্ষ। আদালত অ্যাকর্ডকে কারখানাটি পরীক্ষার নির্দেশ দেন। গত কয়েক মাস আগে অ্যাকর্ড ওই কারখানা ভবনের কাঠামো পরীক্ষা করে। পরীক্ষায় কারখানাটি ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে প্রমাণ হয়। অথচ প্রথম প্রতিবেদনের কারণে বড় আকারের এ কারখানাটির সঙ্গে ব্যবসা করতে আসেনি কোন বায়ার। ফলে ক্ষতি গুণতে হয় কোটি কোটি টাকার। এখন কারখানা কর্তৃপক্ষ ব্র্যান্ড ও অ্যাকর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। আদালতে রিটের বিষয়টি স্বীকার করেছেন বাংলাদেশে অ্যাকর্ডের নির্বাহী পরিচালক রব ওয়েস। যোগাযোগ করা হলে ইত্তেফাককে তিনি বলেন কমপ্লায়েন্সের ঘাটতির কারণে অ্যাকর্ডভুক্ত ব্র্যান্ডের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণায় কিছু কারখানা মালিক আদালতে রিট দায়ের করেছেন। তবে আদালতের সিদ্ধান্তের আগে এ বিষয়ে আর বিস্তারিত কিছু বলতে চান নি তিনি। উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে যে সব কারখানায় অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের ব্র্যান্ড রয়েছে এমন কারখানার সংস্কার মূল্যায়নের ক্ষেত্রে মূলত সমস্যা হচ্ছে। এক্ষেত্রে একটি পক্ষ তদারক করে মূল্যায়ন প্রতিবেদন দিলে অন্য পক্ষ তা মানার কথা। কিন্তু এটি মানা হচ্ছে না। তবে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ইত্তেফাককে বলেন অ্যাকর্ড কিংবা অ্যালায়েন্সের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আদালতে যাওয়া কারখানা মালিকদের ব্যক্তিগত বিষয়। এটি বিজিএমইএর কোন সিদ্ধান্ত নয়। অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স প্রায় দুই হাজার দুইশ কারখানার সংস্কার দেখভাল করছে। এর মধ্যে অ্যাকর্ড এক হাজার ছয়শ ও অ্যালায়েন্সের অধীনে ছিল প্রায় ছয়শ কারখানা। ইতিমধ্যে উভয় জোট ২৪৮টি কারখানার সঙ্গে ব্যবসা বাতিল করেছে। অ্যালায়েন্স ছয়শ কারখানার মধ্যে ১৫৭টির সঙ্গে ব্যবসা বাতিল করেছে। আর অ্যকর্ড বাতিল করেছে ৯১টির সঙ্গে। যে সব অভিযোগে ব্যবসা বাতিল করা হয়েছে তার সঙ্গে একমত নন কারখানা মালিকরা। এ নিয়ে সম্প্রতি বিজিএমইএ আয়োজিত বিশেষ সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকজন কারখানা মালিক। ওই সভায় বক্তব্য প্রদানকালে হামীম গ্রুপের প্রধান এ কে আজাদ ব��েন অ্যাকর্ডঅ্যালায়েন্স সংস্কারের জন্য নতুন নতুন কাজ ও শর্ত দেয়। নইলে নন কমপ্লায়েন্স হিসেবে ব্যবসা ছিন্ন করে। ফলে অর্ডার বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষায় গঠিত হয় অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের। কারখানা ভবনের কাঠামো অগ্নি ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষা করে তা সংস্কারে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। এ দুটি জোট পাঁচ বছর বাংলাদেশের তাদের কার্যক্রম চালানোর কথা। আগামী বছর তাদের কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা। অবশ্য অ্যাকর্ড আরো তিন বছর কার্যক্রম বাড়ানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও কারখানা মালিকপক্ষ তা চান না। ইত্তেফাকএমআর
Bangla_fin_news_articles/4006.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4006,বাজারে নতুন পাট দামে খুশি নয় কৃষক,2017-08-13,বিমল সাহা ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি,পশ্চিমের জেলাগুলোর হাটবাজারে প্রতি মন ৪০ কেজি পাট ১২শ টাকা থেকে ১৮শ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হচ্ছে। এ দামেও চাষি খুশি নন। চাষিরা বলছে এ দামে পাট বিক্রি করে উৎপাদন খরচ উঠছে না। হাটবাজার গুলোতে পাটের আমদানি বাড়ছে। ভরা মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর আঞ্চলিক অফিস সূত্রে জানা যায় এবার যশোর জেলায় ৩১ হাজার ৪শ হেক্টরে ঝিনাইদহ জেলায় ২৪ হাজার ১৭২ হেক্টরে মাগুরা জেলায় ৪০ হাজার ৪৪০ হেক্টরে চুয়াডাঙ্গা জেলায় ২২ হাজার ৭০ হেক্টরে মেহেরপুর জেলায় ২৫ হাজার ৮৪৫ হেক্টরে ও কুষ্টিয়া জেলায় ৪১ হাজার ৫৩৩ হেক্টরে পাট চাষ হয়েছে। এ অঞ্চল এক সময় পাট চাষের জন্য বিখ্যাত ছিল। গড়ে উঠেছিল পাটের মোকাম। এক সময়ের সোনালী আঁশ কৃষকের গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়ায়। চাষি পাট চাষ ছেড়ে অন্য ফসল চাষে ঝুঁকে। গত ৭৮ বছর পাটের দাম একটু একটু করে চড়ে। ফলে চাষি ফের পাট চাষে ঝুঁকেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে প্রতি বছর পাট চাষ বাড়ছে। জুলাই মাসের প্রথম থেকে বাজারে নতুন পাট উঠতে শুরু করে। ভাল মানের পাট প্রতি মন দু হাজার টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হয়। বর্তমানে দাম একটু কমেছে। চাষিদের কথা পাট চাষে খরচ অনেক বেড়েছে। এক বিঘা জমির পাট কাটা জাগ দেওয়া ও ধুতে ১০১১ হাজার টাকা কামলা খরচ লাগছে। কামলার দৈনিক মজুরি চড়ে তিন বার খোরকিসহ ৬শ টাকা পর্যন্ত হয়েছে। তার উপর পাটের ফলন ভাল হচ্ছে না। বিঘা প্রতি ১০১২ মন ফলন হচ্ছে ফলে কৃষকের লাভ থাকছে না। ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার বিজুলিয়া গ্রামের চাষি বাচ্চু মোল্লা জানান এবার পাট চাষে তার লাভ থাকবে না। যশোর সদর উপজেলার হৈবতপুর গ্রামের চাষি ইজাজুল ইসলাম বলেন তাদের এলাকার পাটের মান ভাল হয় না। প্রতিমণ ১২শ টাকা থেকে ১৪শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তিনি জানান এক বিঘাতে পাট চাষ কাটা জাগ দেওয়া ও ধোয়া মিলিয়ে ১১১২ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। তাতে লাভ থাকছে না। পাট ব্যবসায়ীরা জানান মাগুরা জেলার লাঙ্গলবাঁধ শ্রীপুর গাংনালীয়া খামারপাড়া নাকোল মগুরা সদর শত্রুজিত্পুর বিনোদপুর মহম্মদপুর শালিখা আড়পাড়া ও সীমাখালী ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা কাতলাগাড়ি ভাটই হাটফাজিলপুর রয়েড়া কাঁচেরকোল ঝিনাইদহ সদর হাটগোপালপুর ডাকবাংলা কালীগঞ্জ কোটচাঁদপুর খালিশপুর ও মহেশপুর যশোর জেলার বারিনগর চৌগাছা ঝিকরগাছা নাভারন কেশবপুর রূপদিয়া বসুনদিয়া নারিকেলবাড়িয়া খাজুরা ও মনিরামপুর কুষ্টিয়া জেলার বিত্তিপাড়া পোড়াদহ পান্টি চৌরঙ্গি কুমারখালি ডাশা খোকসা ভেড়ামারা মিরপুর দৌলতপুর ও গ্রাগপুর মেহেরপুর জেলার গাংনী বামুনদী মেহেরপুর সদর ও বারাদী চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা মুন্সিগঞ্জ চুয়াডাঙ্গা সদর জীবননগর দর্শনা ও জীবননগর মোকামে প্রচুর পাট উঠছে। প্রতি মন ১২শ টাকা থেকে শুরু করে ১৮শ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব পাট কিনে ব্যবসায়ীরা ফরিদপুর যশোর ঝিনাইদহ ও মাগুরার জেলায় গড়ে উঠা ছোট ছোট পাটকল গুলোর কাছে বিক্রি করছে। আবার কেউ কেউ খুলনার দৌলতপুরে চালান পাঠাচ্ছে। ইত্তেফাকএমআর
Bangla_fin_news_articles/4007.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4007,আবার বাড়ছে সোনার দাম,2017-08-12,ইত্তেফাক রিপোর্ট,১৬ দিনের ব্যবধানে আবার বাড়ছে সোনার দাম। রবিবার থেকে ভরিপ্রতি ৫৮৩ টাকা থেকে এক হাজার ৫১৬ টাকা পর্যন্ত বাড়ছে অলংকার তৈরিতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহূত এ ধাতুর দাম। শনিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বাজুস এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন এ মূল্য সম্পর্কে জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের বাজারে সোনার দাম নির্ধারণ করা হয় বলে দাবি বাজুসের। বাজুস নির্ধারিত নতুন মূল্য তালিকায় দেখা গেছে সবচেয়ে ভাল মানের অর্থাত্ ২২ ক্যারেটের সোনা প্রতি ভরি ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম বিক্রি হবে ৪৮ হাজার ৬৩৯ টাকা দরে। গত ২৮ জুলাই থেকে শনিবার পর্যন্ত এ মানের সোনার ভরিপ্রতি বিক্রিমূল্য ছিল ৪৭ হাজার ১২৩ টাকা। অর্থাত্ প্রতি ভরিতে এ মানের সোনার দাম এক হাজার ৫১৬ টাকা বাড়ছে। রবিবার থেকে পরবর্তী দাম নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত ২১ ক্যারেটের সোনা ভরিপ্রতি বিক্রি হবে ৪৬ হাজার ৪৮১ টাকা দরে। আজ পর্যন্ত এ মানের প্রতি ভরি সোনার বিক্রিমূল্য ছিল ৪৫ হাজার ১৯৮ টাকা। এ মানের সোনায় ভরিপ্রতি এক হাজার ২৮৩ টাকা বেড়েছে। আর ১৮ ক্যারেটের সোনা এক হাজার ১৬৬ টাকা বেড়ে ভরিপ্রতি বিক্রি দর দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৮২৪ টাকা। আজ পর্যন্ত এ মানের সোনার ভরিপ্রতি দাম ছিল ৩৯ হাজার ৬৫৮ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির সোনা ভরিপ্রতি ২৫ হাজার ৬৬১ টাকার বদলে আজ থেকে বিক্রি হবে ২৬ হাজার ২৪৪ টাকায়। অর্থাত্ ভরিতে ৫৮৩ টাকা বেড়েছে। এদিকে সোনার দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম। ২১ ক্যাডমিয়ামের প্রতি ভরি রুপার বিক্রিমূল্য এক হাজার ৫০ টাকা। ইত্তেফাকএএম।
Bangla_fin_news_articles/4008.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4008,ভিশনের নতুন ৮ মডেলের রেফ্রিজারেটর বাজারে,2017-08-12,অনলাইন ডেস্ক,কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্র্যান্ড ভিশন নিয়ে এলো আটটি নতুন মডেলের রেফ্রিজারেটর। রংয়ের বৈচিত্র্য আকর্ষনীয় ডিজাইন ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী করে তৈরি করা হয়েছে এই মডেলগুলো। আরএফএল ইলেকট্রনিক্সের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা নূর আলম জানান চাহিদা ও পছন্দের বিবেচনায় ভিশনের ৮০টি মডেলের ফ্রিজ ও রেফ্রিজারেটর বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। নতুন মডেলের ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটগুলো ক্রেতারা কিনতে পারবেন ২৮ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকায়। এর মধ্যে ২১২ লিটারের একটি ডিপ ফ্রিজ রয়েছে। তিনি জানান উন্নত কাঁচামাল ও অত্যাধুনিক জার্মান প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে ভিশন ফ্রিজ তৈরিতে। ফ্রিজের খাবার সতেজ ও টাটকা রাখতে ব্যবহার হচ্ছে শতভাগ ফুড গ্রেড প্লাস্টিক অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গ্যাসকেট ও লিক প্রুফ ডোর। শক্তিশালী কম্প্রেসার ও শতভাগ কপার কন্ডেনসার ব্যবহার করায় ভিশন ফ্রিজ অত্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। এতে ব্যবহার হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব আর৬০০এ রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস ও ফ্রিজের ঠাণ্ডা দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখতে ভেতরের কাঠামোয় সাইক্লোপেনটন ফোমিং। ভিশন ইলেকট্রনিক্সের মহাব্যবস্থাপক বিপণন মাহবুবুল ওয়াহিদ জানান আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিশন ফ্রিজে রয়েছে ৫ শতাংশ ছাড়। এ ছাড়া ক্রেতারা ভিশন এম্পোরিয়াম থেকে ফ্রিজ কিনে পাচ্ছেন আকর্ষনীয় সব পুরস্কার ও কুপন জিতে থাইল্যান্ড ও নেপালে ভ্রমণের সুযোগ। ভিশনের প্রতিটি ফ্রিজে কম্প্রেসারে রয়েছে ৮ বছরের ওয়ারেন্টি সহজলভ্য কিস্তিতে তিন মাস থেকে ১২ মাস পর্যন্ত ক্রয়ের সুযোগ। এ ছাড়া রয়েছে ১৫টি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কিস্তিতে ফ্রিজ ক্রয়ের সুবিধা। মাহবুবুল ওয়াহিদ জানান ভিশনের পছন্দের ফ্রিজটি যেন সহজেই কিনতে পারেন সেজন্য সারাদেশে রয়েছে ভিশন এম্পোরিয়াম আরএফএল বেস্ট বাই ও ভিশন এক্সক্লুসিভ এর দুই হাজারেরও বেশি শোরুম। এ সমস্ত শোরুম থেকে ফ্রিজে কিনলে রয়েছে ফ্রি হোম ডেলিভিারির ব্যবস্থা। ক্রয় পরবর্তী সেবা দিতে সারাদেশে ছড়িয়ে রয়েছে ভিশনের তিন শতাধিকেরও বেশি সার্ভিস টেকনিশিয়ান। ইত্তেফাকইউবি
Bangla_fin_news_articles/4009.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4009,অর্থনীতিতে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ,2017-08-12,রেজাউল করিম খোকন,খেলাপিদের কাছেই জিম্মি হয়ে পড়েছে দেশের ব্যাংকিং খাত। শীর্ষ ১০০ ঋণ খেলাপির কাছে বিভিন্ন ব্যাংকের পাওনা ১ লাখ ১১ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা আটকে রয়েছে। কিছুদিন আগে জাতীয় সংসদে এই তালিকা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তালিকার মধ্যে রয়েছেন দুই ব্যক্তি। বাকি সব প্রতিষ্ঠান। বিশ্লেষকদের অভিমত হলো খেলাপি ঋণের এই টাকা আর আদায় হবে না। যে কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোকে বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হবে। ব্যাংকের অন্যতম কাজ হলো দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা চাকা সচল রাখতে ঋণ দেওয়া এবং সময়মত সে ঋণ আদায় করা। ব্যাংকের প্রধান সম্পদই হলো এ ঋণ। যে কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শক্তিশালী ব্যাংকিং ব্যবস্থা অপরিহার্য। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে ব্যাংক ও আর্থিক খাতে অনিয়ম রেখে সুষম উন্নয়ন ও উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয়। কাজেই এ খাতে আমূল সংস্কার এখন সময়ের দাবি। শীর্ষ ১০০ ঋণ খেলাপির তালিকাটি নিয়ে নানা প্রশ্নের অবকাশ থাকলেও এ ধরনের তালিকা প্রকাশ ব্যাংকগুলোকে খেলাপি ঋণ আদায়ে এবং ঋণ গ্রহীতাদের খেলাপি না হতে উত্সাহিত করতে পারে। শীর্ষ ১০০ ঋণ খেলাপির যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তার বেশিরভাগই সরকারি ব্যাংকের গ্রাহক। বছরের পর বছর চলতে থাকা অনিয়ম ও দুর্নীতি ঋণ বিতরণে রাজনৈতিক প্রভাব সুশাসনের অভাব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ কম থাকাসহ নানা কারণে এসব ব্যাংক ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। ঋণ খেলাপিদের মধ্যে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা একাধিক সরকারি ব্যাংকে খেলাপি। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সরকারি ব্যাংকের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাংকেও খেলাপি। অর্থমন্ত্রী যে তালিকা দিয়েছেন তারা বর্তমানে কাগজে কলমে খেলাপি। কিন্তু আরো অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা ঋণ পুনতফসিল ও পুনর্গঠন এবং আদালতে রিট করে খেলাপির তালিকার বাইরে রয়েছেন। এছাড়া ব্যাংকগুলো অনেক প্রতিষ্ঠানের ঋণ অবলোপন করে হিসাবের খাতার বাইরে রেখেছে। এগুলোকে যদি হিসাবে ধরা হয় তাহলে খেলাপি ঋণের চিত্র আরও ভয়াবহ হবে। সরকারি ব্যাংকগুলো হাজার হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ে অসমর্থ হওয়ায় ক্ষোভঅসন্তোষ বাড়ছে ক্রমেই। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন মহল ব্যাংক ঋণ অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি খেলাপি ঋণ আদায়ে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ভবিষ্যতে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান মূল্যায়ন করার পরামর্শ দিয়েছেন। ব্যাংক খাতে আদায় হবে না এমন মন্দ ঋণের হার বাড়ছেই। অর্থনীতিবিদরা বলছেন রাজনৈতিক সুবিধায় ঋণ পুনর্গঠন ও বিশেষ সুবিধায় পুনঃতফসিল করার সুযোগ দেওয়ার পরও খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমছে না। প্রতিনিয়ত খেলাপির পরিমাণ বাড়ছে। রাজনৈতিক প্রভাব এবং যাচাইবাছাই ছাড়াই ঋণ বিতরণের কারণে এটি হচ্ছে। এর সঙ্গে ব্যাংক কর্মকর্তাদের অদক্ষতা ও দুর্নীতিও রয়েছে। ব্যাংকাররা যেমন দুর্নীতির মাধ্যমে ঋণ দিয়েছেন তেমনি প্রকল্প প্রস্তাব নিয়মমাফিক পরীক্ষা না করেও ঋণ দিয়েছেন। ফলে আদায় অযোগ্য ঋণের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। অর্থমন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ব্যাংক সংসদীয় কমিটি নানা দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন খেলাপি ঋণের অভিশাপ ঘোচাতে। রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা পরামর্শ অনুযায়ী তাদের ব্যাংকের খেলাপি ঋণ আদায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। নিয়মিত সভা আয়োজন করে মাঠ পর্যায়ে গৃহীত কার্যপদক্ষেপের ফলাফল মনিটর করছেন। শাখাগুলো খেলাপি ঋণ আদায়ে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। খেলাপি ঋণ আদায় না হওয়াটা ব্যাংক খাতের জন্য অশনি সংকেত। যাচাইবাছাই ছাড়াই ঋণ দেওয়ার কারণে এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ব্যাংক খাতের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে। সুদের হার ও বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ঋণ আদায় অযোগ্য হয়ে পড়ার পেছনে বড় কারণ রাজনৈতিক বিবেচনায় এবং ব্যাংকের চেয়ারম্যান পরিচালক ও এমডির যোগসাজশে ঋণ দেওয়া। যোগসাজশে যাচাইবাছাই ছাড়াই ঋণ দেওয়ার পথ বন্ধ করতে হবে। তা না হলে মন্দ ঋণের পরিমাণ আরো বেড়ে যেতে পারে। ব্যবসায়ী ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে ব্যবসাবাণিজ্যে অনেকটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বেসরকারি বিনিয়োগে অনেকটাই স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে যারা ব্যাংক ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন তাদের অনেকেই ঋণ নিয়মিত পরিশোধ করতে পারছেন না। নাম লেখাচ্ছেন ঋণখেলাপির তালিকায়। মাঝারি পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা সব থেকে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। কম পুঁজির এসব ব্যবসায়ীর অনেকে অর্থ অভাবে নতুন করে বিনিয়োগ করতে পারছেন না। ফলে ���্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের টাকাও নিয়মিত পরিশোধ করতে পারছেন না। যার প্রভাবে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে যাচ্ছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী খেলাপি ঋণ বেড়ে গেলে ব্যাংকের সরাসরি মুনাফায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কারণ খেলাপি ঋণের শ্রেণি ভেদে ব্যাংকগুলোর ২৫ শতাংশ থেকে শতভাগ প্রভিশন রাখতে হয়। এ প্রভিশন রাখতে হয় ব্যাংকের মুনাফা থেকে। এ ছাড়া মন্দ ঋণের বিপরীতে অর্জিত সুদ ব্যাংকগুলো আয় হিসেবে দেখাতে পারে না। এ সুদ স্থগিত করে রাখা হয়। বিগত কয়েক বছর ধরে ঋণ পুনর্গঠন ও পুনঃতফসিলসহ নানামুখী সুবিধা পেয়েছেন বড় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সুবিধা নেওয়া ব্যবসায়ীরা ঋণের টাকা সময়মত ফেরত দিচ্ছেন না। অথচ যেসব ছোট ব্যবসায়ী পুনর্গঠন ও ঋণ পুনঃতফসিল থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তারাই ঋণের টাকা পরিশোধে এগিয়ে রয়েছেন। জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী ঋণ খেলাপিদের যে একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন। সেটাকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখতে চাই। এখন আমরা চাই তালিকা অনুযায়ী এবং তালিকার বাইরে থাকা সব ঋণ খেলাপির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আর এ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাটি অবশ্যই হতে হবে খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে। রাজনৈতিক বিবেচনায় বা অনিয়ম দুর্নীতি করে ঋণ অবলোপন করার প্রক্রিয়া আমরা আর দেখতে চাই না। ব্যাংকিং কমিশন গঠন কেন্দ্রীয় ব্যাংককে শক্তিশালীকরণ ব্যাংকগুলোতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা প্রভৃতি প্রশ্নে সরকারকে জোরালো অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক সংগঠনকে দলমত নির্বিশেষে সাহসী পক্ষপাতহীন আন্তরিক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
Bangla_fin_news_articles/4010.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4010,মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে,2017-08-11,ইত্তেফাক রিপোর্ট,বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন ভারতে বৃষ্টি ও বন্যার কারণে সেখানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। সে কারণে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দামও কিছুটা বেড়েছে। বিকল্প স্থান হিসেবে মিসর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে এগুলো বাজারে আসবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মিসর থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ছাড়করণের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে পেঁয়াজ রসুন আদা গরম মসলাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করে এ সব কথা বলেন। মন্ত্রী আরো বলেন আসন্ন ঈদুল আজহায় চামড়ায় ব্যবহার এবং ভোজ্য লবণের চাহিদা মেটানোর জন্য পাঁচ লাখ মেট্রিক টন লবণ আমদানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। দেশের চলমান ২৩২টি লবণ মিলকে ২১৫০ মেট্রিক টন করে লবণ আমদানির অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজারের লবণ উৎপাদনকারী ও মিল মালিকরাও রয়েছেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে যাতে কোনো পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি না পায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। এ সময় তিনি দেশের গণমাধ্যমকে প্রকৃত চিত্র তুলে ধরার আহ্বান জানান। আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পেঁয়াজ লবণ আদা রসুনসহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত ও সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান। বৈঠকে জানানো হয় দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ মেট্রিক টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। বাকি চার লাখ মেট্রিক টন আমদানি করা হয়।মূলত এই আমদানিকৃত চার লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর প্রভাব ফেলে। চলতি বছর ভারতে ও বাংলাদেশে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। ফলে উভয় দেশেই পেঁয়াজ উৎপাদন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিকল্প হিসেবে মিসর ও পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে এলসি খোলা হয়েছে। সভায় উপস্থিত ব্যবসায়ীরা জানান মিসর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ সময়মত চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হলে ঈদের আগেই দাম কমে আসবে। মন্ত্রী বলেন পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানির গরুর সংকট হবে না। এখন দেশেই পর্যাপ্ত গরু উৎপাদন হচ্ছে। দেশের চাহিদা পূরণের জন্য বিদেশ থেকে আর গরু আমদানি করার প্রয়োজন হবে না। একইভাবে সরকা�� পেঁয়াজ ও লবণ উৎপাদনে স্বয়ং সম্পন্ন হবার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম লস্কর আমদানি ও রপ্তানি অধিদফতরের প্রধান নিয়ন্ত্রক আফরোজা খানসহ বাণিজ্য ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতরের প্রতিনিধি বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের মালিক ও প্রতিনিধি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিকারকরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। ইত্তেফাকএমআর
Bangla_fin_news_articles/4011.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4011,বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী ভিয়েতনাম,2017-08-10,অনলাইন ডেস্ক,ভিয়েতনামের শিল্প ও ট্রেড মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক ডু হু হুয়ে বলেছেন বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী ভিয়েতনাম। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সহজে ভিয়েতনাম থেকে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রক্রিয়াজাত খাবার কনস্ট্রাকশন উপকরণ আমদানি করতে পারবে। বুধবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশভিয়েতনাম চেম্বার অব কমার্স শিল্প মন্ত্রণালয় ভিয়েতনামের শিল্প ও ট্রেড মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিষয়ে তিনি এ কথা বলেন । বিজনেস টু বিজনেস মিটিংয়ের জন্য তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসে ভিয়েতনামের ২২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ত্রান ভান খোয়া ও ভিয়েতনামের শিল্প ও ট্রেড মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক ডু হু হুয়ে অংশ নেন। এসময় দুদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে বলে মত দেন তারা। বাংলাদেশ সহজে ভিয়েতনাম থেকে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রক্রিয়াজাত খাবার কনস্ট্রাকশন উপকরণ আমদানি করতে পারবে বলেও জানান তারা। বাংলাদেশে ভিয়েতনামের বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেন তারা। বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ দুদেশের যৌথ বাণিজ্য সর্ম্পক বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন বাংলাদেশে কৃষি যন্ত্রপাতি পর্যটন ও প্রযুক্তি খাতে ভিয়েতনাম বিনিয়োগ করতে পারে। বাংলাদেশ থেকে আমদানি বাড়লে দুদেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। বাংলাদেশ ভিয়েতনাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট এস এম রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রহিম আফরোজের গ্রুপ পরিচালক নিয়াজ রহিম রানার গ্রুপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান কারিগর ডেভেলপমেন্ট টেকনোলজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ট্রান্সমিট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আকসানুল আলম এফবিসিসিআইএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম মহিউদ্দিন ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও নাসিরউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ইত্তেফাকইউবি
Bangla_fin_news_articles/4012.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4012,থাইল্যান্ডে ৩৬টি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ,2017-08-10,ইত্তেফাক রিপোর্ট,থাইল্যান্ডে রফতানি বাড়াতে তৈরি পোশাক পাট ও পাটজাত পণ্যসহ ৩৬টি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশথাইল্যান্ড যৌথ বাণিজ্য কমিশনের জেটিসি বৈঠক শেষে বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু এ তথ্য জানান। বাণিজ্য সচিব বলেন থাইল্যান্ড জানিয়েছে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশকে যদি শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয় তা হলে সব দেশকে সুবিধা দিতে হবে। আমরা বলেছি আমাদের যে পণ্য অন্য দেশের নেই সেসব পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিতে। বাণিজ্য সচিব বলেন থাইল্যান্ডে পাট রফতানিতে আমদের ৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। তাই পাটসহ ৩৬টি পণ্যে আমরা শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছি।বৈঠকে থাইল্যান্ডের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মাধ্যমে সে দেশের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান জানানো হয়েছে। বৈঠকে থাইল্যান্ডের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ট্রেড নেগোসিয়েশনের মহাপরিচালক বনিয়ারিত কালায়ানামিথ থাইল্যান্ডের পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন। দুই দিনব্যাপী বৈঠকের শেষদিন আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। থাইল্যান্ডের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন সেদেশের বাণিজ্য মন্ত্রী আপিরাদি তানট্রাপর্ন। ইত্তেফাকএমআর
Bangla_fin_news_articles/4013.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4013,কারখানা সংস্কারে কঠোর হচ্ছে সরকার,2017-08-09,ইত্তেফাক রিপোর্ট,প্রায় দেড় হাজার তৈরি পোশাক কারখানার সংস্কার কার্যক্রম নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার। শ্রম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ডিআইএফই ইতিমধ্যে বিভিন্ন অঞ্চলের কারখানা মালিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় এ বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রায় একশ গার্মেন্টস মালিক প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে আগামী এপ্রিলের মধ্যে কারখানা সংস্কার সম্পন্ন করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় এসব কারখানার কাঁচামাল আমদানির প্রাপ্যতার অনুমতি ইউপি আটকে দেওয়া হবে। ফলে আটকে যেতে পারে রপ্তানি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সঙ্গেও আলোচনা শুরু করেছে। এছাড়া আজ বুধবার ঢাকা অঞ্চলের বেশকিছু কারখানার মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হবে। ডিআইএফইর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইত্তেফাককে বলেন অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের বাইরে সরকারি উদ্যোগে দেড় হাজারের বেশি কারখানার সংস্কারে কার্যত কাঙ্ক্ষিত গতি আসেনি। কিন্তু আগামী বছরের মধ্যে এ কার্যক্রম আমাদের সম্পন্ন করতে হবে। এসব কারখানায় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে সেটি দেশের অন্যান্য ভালো কারখানার উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এটি হতে পারে না। এ জন্য এসব কারখানা সংস্কারে এখন আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হচ্ছে। সঠিক সময়ে সংস্কার না হলে ডিআইএফই আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর ইউরোপ ও আমেরিকার ক্রেতাদের সমন্বয়ে বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখভালের লক্ষ্যে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স নামে দুটি জোট গঠিত হয়। এ দুটি জোটের সদস্যদের পোশাক সরবরাহকারী কারখানাগুলোর সংস্কার কার্যক্রমই কেবল তারা দেখভাল করছে। এমন কারখানার সংখ্যা প্রায় ২২শ। এর বাইরে রপ্তানির সঙ্গে জড়িত আরো দেড় হাজার কারখানার সংস্কার তদারকির উদ্যোগ নেয় সরকার। এতে এগিয়ে আসে আইএলও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা। প্রাথমিক পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য আর্থিক খরচ সংকুলান করতে একাধিক দেশ থেকে কিছু অর্থ সংগ্রহ করে দেয় সংস্থাটি। কিন্তু সংস্কারে বড় অঙ্কের অর্থ খরচ হওয়ায় অনেক কারখানা মালিকই সংস্কারে পিছিয়ে যান। এসব কারখানার উদ্যোক্ত���দের বেশিরভাগই অপেক্ষাকৃত ছোট পুঁজির। অন্যদিকে তাদের বড় একটি অংশ আবার শেয়ারড কিংবা ভাড়া ভবনে। ফলে কাঠামোগত কিংবা অগ্নি ও বৈদ্যুতিক সংস্কারে রাজি হচ্ছিলেন না ভবনের মালিক। অর্থায়নও বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। এসব কারণে গতি আসেনি সরকারি উদ্যোগে কারখানা সংস্কারের কার্যক্রমে। ইতোমধ্যে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সভুক্ত কারখানায় গড়ে প্রায় ৮০ শতাংশ ত্রুটির সংস্কার সম্পন্ন হলেও সরকারি উদ্যোগের দেড় হাজার কারখানার কোন কোনটিতে সংস্কার শুরুই হয় নি বলে জানা গেছে। ফলে অস্বস্তি শুরু হয়েছে ইস্যুটি নিয়ে। এদিকে বড় অঙ্কের বাড়তি ব্যয় ও কারখানা ভবনে মালিকানা জটিলতায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের মালিক কর্তৃপক্ষের মধ্যে সংস্কারে আগ্রহ কম বলে জানা গেছে। চট্টগ্রামে অবস্থিত বিজিএমইএ কার্যালয়ে ডিআইএফইএর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ অঞ্চলের ৯৮ পোশাক কারখানার মালিক নিজেরাই এ কথা তুলে ধরেছেন। তবে আগামী এপ্রিলের মধ্যে যে কোন মূল্যে সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে তাদের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ডিআইএফইর পক্ষ থেকে। ইত্তেফাকএমআর
Bangla_fin_news_articles/4014.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4014,মোবাইল প্যাকেজে ফাঁকি খতিয়ে দেখার নির্দেশ,2017-08-09,ইত্তেফাক রিপোর্ট,মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্যাকেজে গ্রাহকরা ফাঁকিতে পড়ছে কিনা এবং তাদের অভিযোগের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে সে বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছে টেলিযোগাযোগ বিভাগ। দুই বছর আগেও মোবাইল ফোন অপারেটরদের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ডেকে নিয়ে কলড্রপসহ গ্রাহক ভোগান্তির বিষয়গুলো তুলে ধরে অবিচার বন্ধের তাগিদ দিয়েছিলেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। গতকাল মঙ্গলবার টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপসচিব মাজেদা ইয়াসমীন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বিটিআরসি চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়। এতে মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিভিন্ন প্যাকেজের শর্ত যাচাই করে প্রতিবেদন দিতে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয় মোবাইল ফোন অপারেটররা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আকর্ষণীয় প্যাকেজ অফার দিয়ে থাকে এসব প্যাকেজ নিয়ে ভোক্তারা নানা অভিযোগ উত্থাপন করে থাকে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ এবং অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করাটা বাঞ্ছনীয়। মোবাইল অপারেটরদের বিভিন্ন প্যাকেজ মূল্যায়ন করে বিভিন্ন অফারে নির্ধারিত মূল্য যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে কি না ভোক্তা কোনোভাবে প্রতারিত হচ্ছে কি না বা অফারে কোনো শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে কি না তা জানাতে বলা হয়েছে বিটিআরসিকে। এছাড়া ভোক্তারা অভিযোগ করে থাকলে তার সমাধান হয়েছে কি না না হয়ে থাকলে বিটিআরসি কী ব্যবস্থা নিয়েছে তাও জানাতে হবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে। ইত্তেফাকআনিসুর
Bangla_fin_news_articles/4015.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4015,ব্যাংক এশিয়া কর্মকর্তাদের বুনিয়াদী প্রশিক্ষণার্থীদের সনদপত্র বিতরণ,2017-08-08,অনলাইন ডেস্ক,পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাংক এশিয়ার ৩৯ জন কর্মকর্তাদের মাসব্যাপী ৪২তম বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান জনাব আ.রউফ চৌধুরী আজ মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকার লালমাটিয়াস্থ ব্যাংকের নিজস্ব ট্রেনিং ইনস্টিটিউশন ব্যাংক এশিয়া ইনস্টিটিউট ফর ট্রেনিং এন্ড ডেভেলপমেন্টএ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন। ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মিঞা কামরুল হাসান চৌধুরী সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও অডিট বিভাগের প্রধান জনাব মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান জনাব কেএস নাজমুল হাসান এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রশিক্ষণ বিভাগের প্রধান জনাব মোঃ আজহারুল ইসলাম লালমাটিয়া শাখার প্রধান গোলাম গাফ্ফার ইমতিয়াজ চৌধুরী এবং জনাব সুজিত কুমার সেন এভিপি বিএআইটিডি অন্যান্যদের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত ব্যাংক এশিয়া সর্বদা কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে থাকে। ব্যাংকের মানব সম্পদ উন্নয়ন বিভাগ এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে। ইত্তেফাকরেজা
Bangla_fin_news_articles/4016.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4016,‘সামাজিক ব্যবসার অন্বেষণ’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উম্মোচন,2017-08-08,অনলাইন ডেস্ক,সামাজিক ব্যবসার উপর রচিত শীর্ষক বইয়ের মোড়ক মঙ্গলবার উন্মোচন করা হয়েছে। নোবেল বিজীয় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ইউনূস সেন্টারের প্রধান নির্বাহী জনাব লামিয়া মোর্শেদ কর্তৃক ইউনূস সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এসময় বইয়ের লেখক ইউনূস সেন্টারের মহাব্যবস্থাপক জনাব এম এফ এম আমির খসরু উপস্থিত ছিলেন। ইংরেজীতে লেখা বইটির প্রকাশ করেছে অনন্যা প্রকাশনী। বইটির বাংলা ভার্সন সামাজিক ব্যবসার অন্বেষণ এর মোড়ক উন্মোচিত হয়। ৬ মার্চ ইউনূস সেন্টারে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। লেখক আমির খসরু ২০১১ সাল থেকে প্রফেসর ইউনূসের সাথে ঘনিষ্টভাবে কাজ করে আসছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও লেখনীর মাধ্যমে তিনি দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক ব্যবসার ধারণা প্রচারে একনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন। বইয়ের প্রথম খন্ডে সামাজিক ব্যবসা নবীন উদ্যোক্তা এবং সামাজিক ব্যবসা ফান্ডের উপর ১৩৫টি প্রশ্ন ও সেগুলোর উত্তর সন্নিবেশিত হয়েছে। দ্বিতীয় খন্ডে রয়েছে সনাতনী ব্যবসায় মডেল ও সামাজিক ব্যবসা মডেলের উপর একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ সামাজিক ব্যবসায়ে অবদান সিএসআর ফান্ড প্রেক্ষাপট সামাজিক ব্যবসা ক্রাউড ফান্ড সামাজিক সমস্যা সমাধানে সামাজিক বিকল্প কৃষি ও পরিবেশের উন্নয়নে সামাজিক ব্যবসা এবং বিশ্ব প্রেক্ষাপটে সামাজিক ব্যবসা। সামাজিক ব্যবসার মৌলিক ধারণাগুলো এবং এই ব্যবসা পরিচালনার খুটিনাটি বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে আগ্রহী যেকারো জন্য বইটি খুবই সহায়ক হবে। সামাজিক ব্যবসার উপর গবেষক শিক্ষক ও পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনেচ্ছুদের জন্যও বইটি একটি চমৎকার রেফারেন্স বই। ইত্তেফাকরেজা
Bangla_fin_news_articles/4017.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4017,ব্যাংক এশিয়ার অর্ধবার্ষিক ব্যবসা পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত,2017-08-06,অনলাইন ডেস্ক,ব্যাংক এশিয়ার অর্ধ বার্ষিক ব্যবসা পর্যলোচনা সভা শনিবার চট্রগ্রামের ব্যাংক এশিয়া ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও অনুষ্ঠানের সভাপতি জনাব আ.রউফ চৌধুরী সভার উদ্বোধন করেন। ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান জনাব এ.এম. নুরুল ইসলাম রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান জনাব এম. ইরফান সাঈদ বোর্ড নির্বাহী কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান জনাব রুমি এ হোসেন ব্যাংকের পরিচালক জনাব এম শাহজাহান ভূইয়া এবং প্রেসিডেণ্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ আরফান আলী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের চট্রগ্রাম সিলেট কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলের শাখা প্রধান সিনিয়র নির্বাহী এবং বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট প্রধানদের উপস্থিতিতে ব্যবসা পর্র্যালোচনা সভা প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। সভায় চলতি বছর প্রথম ছয় মাসের ব্যবসায়ীক কার্যক্রম ও সাফল্য পর্যালোচনা করা হয় এবং আসন্ন মাসগুলোতে কাঙ্খিত সাফল্য অর্জনের কৌশল গ্রহণের উপর সভায় প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়। ইত্তেফাকরেজা
Bangla_fin_news_articles/4018.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4018,দাম বেড়েছে আদা পিঁয়াজের,2017-08-05,ইত্তেফাক রিপোর্ট,পিঁয়াজের ঝাঁজে নাকাল ক্রেতারা। হঠাত্ করেই নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম বাড়ছে লাগামহীনভাবে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পিঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের টিসিবি হিসেবেই গতকাল শুক্রবার দাম বাড়ার এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তবে কাওরানবাজার ও নিউমার্কেটসহ কয়েকটি বাজারে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায় দাম বেড়েছে আরো বেশি। ব্যবসায়ীরা বলেছেন সম্প্রতি জলাবদ্ধতায় চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের মজুদ কাঁচাপণ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে পিঁয়াজের বাজারে। এ ছাড়া সামনেই কোরবানির ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে চাহিদা বাড়ায় দাম বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির। গতকাল রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি দেশি পিঁয়াজ ৪২ থেকে ৪৮ টাকা ও আমদানিকৃত পিঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি দেশি পিঁয়াজ ৩২ থেকে ৪৪ টাকা ও আমদানিকৃত পিঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হয়। কাওরানবাজারের পিঁয়াজ ব্যবসায়ী করিমউল্লাহ বলেন হঠাত্ করেই পিঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। ঢাকার শ্যামবাজার ও চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে পিঁয়াজের দাম বেড়েছে। তিনি বলেন সারাদেশে টানা বৃষ্টি ও চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতায় খাতুনগঞ্জের মজুদ কাঁচাপণ্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানিতে পিঁয়াজসহ অনেক কাঁচামাল পচে গেছে। এ ছাড়া টানা বৃষ্টিতে উত্পাদক পর্যায়ের কৃষকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এজন্য পিঁয়াজের দাম বাড়েছে। এদিকে পিঁয়াজের পাশাপাশি দাম বেড়েছে আদার। প্রতি কেজি আদায় মানভেদে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১৪০ টাকায়। আগের বাড়তি দর ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের সবজির মধ্যে করলা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা আলু ২০ থেকে ২২ টাকা বেগুন ৫০ থেকে ৫০ টাকা শিম ১০০ থেকে ১২০ টাকা শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কচুর লতি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা চিচিঙ্গা পটল ও ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কাকরোল ৫০ টাকা পেঁপে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কচুরমুখী ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ইত্তেফাকআনিসুর
Bangla_fin_news_articles/4019.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4019,বিশ্ব অর্থনীতির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি,2017-08-05,ইসরাত জাহান,২০১৩ সালের পর থেকে বিনিয়োগের হার জিডিপির তুলনায় কমে যাচ্ছে। যদিও সরকার দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে বিডা গঠনসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া আরো কিছু সূচকে নিম্নমুখী প্রবণতা রয়েছে। তবে এ সময়ে বিশ্ব অর্থনীতির পরিস্থিতিও কিছুটা দেখা দরকার। বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এখানকার প্রধান অর্থনৈতিক সূচকগুলোর প্রবৃদ্ধিতে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ২০১৩ সালের পর থেকে বিনিয়োগের হার জিডিপির তুলনায় কমে যাচ্ছে। যদিও সরকার দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে বিডা গঠনসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া আরো কিছু সূচকে নিম্নমুখী প্রবণতা রয়েছে। তবে এ সময়ে বিশ্ব অর্থনীতির পরিস্থিতিও কিছুটা দেখা দরকার। ২০১৬ সালে কিছুটা শ্লথ হলেও ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে অর্থনৈতিক গতি কিছুটা বাড়ার প্রাক্কলন করা হয়েছে উদীয়মান বাজার এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলোতে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের নীতি নির্ধারণে অনিশ্চয়তার কারণে প্রাক্কলনে বিচ্যুতির আশঙ্কাও রয়েছে। ২০১৭১৮ সালের জন্য উন্নত অর্থনীতিতেও ভালো প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয়েছে। প্রত্যাশিত নীতি গ্রহণের কারণে চীনের অর্থনীতিতে ভালো প্রবৃদ্ধি হবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। আর ভারত ব্রাজিল এবং মেক্সিকোর অর্থনীতি প্রাক্কলনের তুলনায় কিছুটা কম প্রবৃদ্ধি হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে। এসব পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের নীতিগত ভিন্নতার প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে। এমনকি বিশ্ব অর্থনীতির আউটলুকের এসব পূর্বাভাসে ওপেক তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট মেম্বার এবং প্রধান তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে চুক্তির ফলে তেলের দাম কেমন হতে পারে সেটিও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। ২০১৬ সালের তেলের দাম অনেকটাই উঠে এসেছে। যা ২০১৫ সালে প্রতি ব্যারেল ১০০ ডলার ছিল। পরে তা কমে ৪০ ডলারে নেমে যায়। এরপর ওপেক ও তেল রপ্তানিকারক প্রধান দেশগুলো তেল উত্পাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তেলের দাম বাড়তে বাড়তে ৫০ ডলারে উঠে এসেছে। ২০১৬ সালের ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম প্রায় ৫২ শতাংশ বেড়েছে। এদিকে ২০১৬ সালে শ্রমিক রফতানি বাড়লেও প্রবাসী আয় কমেছে। ২০১৭ অর্থবছরের প্রথমার্ধে রেমিট্যান্স আয় ব্যাপকভাবে কমে গেছে। এ সময়ে রেমিট���যান্স আয় আগের চেয়ে ১৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ কমে ৬ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। ২০১৬ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আয় কমেছে আড়াই শতাংশ। অথচ এ সময়ে জনশক্তি রফতানি বেড়েছে ৩৬ শতাংশ। হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী জুলাইডিসেম্বর সময়ে উপসাগরীয় অঞ্চলগুলো থেকে রেমিট্যান্স কমেছে প্রায় ১৭ শতাংশ। অথচ এ দেশগুলো থেকেই দেশের মোট ৫৫ শতাংশ রেমিট্যান্স আসে। মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকেও যথাক্রমে সাড়ে ৯ সাড়ে ১৩ ২৩ এবং ৩৭ শতাংশ রেমিট্যান্স আয় কমেছে। তেলের দাম কমে যাওয়ায় উপসাগরীয় দেশগুলোর সরকার ব্যয় কাটছাঁট করছে। পাশাপাশি তারা বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচি নিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে এসব দেশের প্রবাসীদের আয়ে। তবে অপ্রাতিষ্ঠানিক মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর কারণেও রেমিট্যান্স কিছুটা কমেছে। আর রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। তাই প্রাতিষ্ঠানিক মাধ্যমে রেমিট্যান্স আনার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি রফতানির জন্য প্রাধান্য দিয়ে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা দরকার। ২০১৫ সালে যেখানে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ সেখানে ২০১৬ সালে তা কমে ৫ দশমিক ৫২ শতাংশে নেমে এসেছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতেও মূল্যস্ফীতির হার কমে ৫ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। যা আগের বছরে ছিল ৬ দশমিক ১০ শতাংশ। খাদ্য এবং খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি কমে আসা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে মূল্যস্ফীতি কমে গেছে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশে নেমে এসেছে। যা ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ছিল ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতির হার নেমে এসেছে ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশে। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশে। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে ব্যাংক ঋণে সুদের হার কমানোর দাবি করা হলেও এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ সংক্রান্ত যেসব ইন্সট্রুমেন্টকে রিপো ও রিভার্স রেপো কাজে লাগানো যেতে পারে তাও করা হয়নি। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়ানোর ব্যাপারে সহযোগী ছিল। বাংলাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনীতিতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ জন্য সরকারকে কিছু বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। নইলে অর্থনীতিকে কঠিন সময়ে পড়তে হতে পারে।
Bangla_fin_news_articles/4020.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4020,পোশাক রপ্তানি বাড়েনি নতুন বাজারে,2017-08-05,ইত্তেফাক রিপোর্টইত্তেফাক রিপোর্ট,ইউরোপ ও আমেরিকার বাইরে অন্যান্য বাজারে পোশাক রপ্তানিতে সরকার তিন শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দিয়ে থাকে। উদ্দেশ্য এ সব বাজারে পোশাক রপ্তানি বাড়ানো। এর সুফলও মিলেছিল গত কয়েক বছরে। তবে ধাক্কা খেয়েছে গত ২০১৬১৭ অর্থ বছরে। আলোচ্য সময়ে এ সব বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি না বেড়ে উল্টো কমেছে এক দশমিক ৫৯ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে এ সব বাজারে পোশাক রপ্তানি হয়েছিল ৪২৪ কোটি ৮৩ লাখ মার্কিন ডলারের। আর এর আগের অর্থ বছরে রপ্তানি ছিল ৪৩১ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। সব মিলিয়ে গত অর্থ বছরে এ সব বাজারে ৬ কোটি ৮৬ লাখ মার্কিন ডলার বা ৫৪৯ কোটি টাকার সমপরিমাণ পোশাক রপ্তানি কমেছে। এটি সরকারকেও কিছুটা চিন্তায় ফেলেছে। কেননা সরকার চাইছে ইউরোপ ও আমেরিকার উপর রপ্তানিতে অতিনির্ভরশীলতা কমিয়ে বাজার বহুমুখী করতে। অস্ট্রেলিয়া ব্রাজিল চিলি চীন ভারত জাপান দক্ষিণ কোরিয়া মেক্সিকো রাশিয়া দক্ষিণ আফ্রিকা তুরস্কসহ আরো কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের নতুন বাজার। তৈরি পোশাকের প্রায় ১৫ শতাংশ যায় এ সব বাজারে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ইপিবি একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইত্তেফাককে বলেন বাজার বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে নতুন বাজারে সরকার নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে। তবে গত বছর অন্যান্য বড় বাজারেও রপ্তানি কাঙ্ক্ষিত হারে বাড়েনি। সেটি নতুন বাজারেও প্রভাব ফেলেছে। ইপিবির পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা গেছে গত অর্থ বছরে সার্বিকভাবে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে মাত্র শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ ০.২০। আলোচ্য সময়ে ২ হাজার ৮১৫ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এর আগের অর্থ বছরে ২০১৫১৬ পোশাক রপ্তানি হয়েছিল ২ হাজার ৮০৯ কোটি ডলারের। উদ্যোক্তারা বলছেন নানামুখী কারণে রপ্তানিকারকদের সক্ষমতা কমে যাচ্ছে। গার্মেন্টস শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ নাসির মনে করেন নতুনপুরনো সব বাজারেই রপ্তানি কমছে। বিদ্যমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ খাতের জন্য সব বাজারেই ৫ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দিতে হবে। বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ইত্তেফাককে বলেন প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধরে রাখতে নগদ সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি কেবল রপ্তানির জন্য আলাদা মুদ্রানীতিও প্রয়োজন। আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলো রপ্তানি বাড়াতে বিভ��ন্ন ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন নতুন বাজারের রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও বড় রপ্তানি বাজারের উপর নির্ভর করে। সার্বিকভাকে সেসব বাজারেও চাহিদা কমেছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সিপিডি গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ইত্তেফাককে বলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের কারণে কিছু কিছু বাজারের চাহিদা কমেছে। তবে বাংলাদেশের পোশাকের নতুন বাজারে মিশ্র প্রবণতা রয়েছে। অর্থাত্ সব বাজারে রপ্তানি কমেনি। নতুন বাজারে রপ্তানি বাড়াতে বিদ্যমান নগদ সহায়তা আরো বাড়ানো যায় কিনা সেটি ভাবা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ইপিবি পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২০১৬১৭ অর্থ বছরে এ সব বাজারে মোট ৪২৪ কোটি ৮৩ লাখ মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। আর পূর্বের অর্থ বছরে ২০১৫১৬ রপ্তানি হয়েছিল ৪৩১ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের পোশাক। অর্থাত্ এ সব বাজারে রপ্তানি কমেছে এক দশমিক ৫৯ শতাংশ। অথচ পূর্বের অর্থ বছরে বেড়েছিল প্রায় সাড়ে ১০ শতাংশ। পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে চীন চিলি রাশিয়া ও আরো দুএকটি বাজার বাদে অন্যান্য সব নতুন বাজারে আলোচ্য সময়ে রপ্তানি কমেছে। অস্ট্রেলিয়ায় পূর্বের বছর ৬৩ কোটি ৬৩ লাখ মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি হলেও গত অর্থ বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৮ কোটি ২০ লাখ ডলারে। একইভাবে জাপানে ৭৭ কোটি ৪৫ লাখ ডলার থেকে কমে ৪৪ কোটি ৪৫ লাখ ডলার তুরস্কে ৪৬ কোটি থেকে ৩৮ কোটি কোরিয়ায় ১৮ কোটি ৬২ লাখ থেকে ১৬ কোটি ৪৮ লাখ ভারতে ১৩ কোটি ৬৪ লাখ থেকে কমে ১২ কোটি ৯৮ লাখে ব্রাজিলে ১২ কোটি থেকে ৯ কোটি ৯৮ লাখ। আর এই সময়ে চীনে ৩৪ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ৩৯ কোটি ডলারে চিলিতে চার কোটি ৫৮ লাখ ডলার থেকে বেড়ে ৫ কোটি ৮৯ লাখ ডলার ও রাশিয়ায় ২৪ কোটি ৯১ লাখ ডলার থেকে বেড়ে ৩৭ কোটি ৯৪ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ইত্তেফাকআনিসুর
Bangla_fin_news_articles/4021.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4021,ফিনান্সিয়াল স্টেবিলিটি কাউন্সিল গঠন করবে সরকার,2017-08-03,ইত্তেফাক রিপোর্ট,ব্যাংক আইনে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহার ব্যাংকের কাঠামোগত সংকটকালে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং ভবিষ্যতে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক সংকট প্রতিরোধ ও প্রতিকারের লক্ষে ফিনান্সিয়াল স্টেবিলিটি কাউন্সিল এফএসসি গঠন করবে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় অর্থ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ব্যাংক এনবিআর বিএসইসি আইডিআরএ এমআরএর প্রতিনিধিরা উপস্থি ছিলেন। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে বিদ্যমান পদ্ধতিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনেক ত্রুটি জালজালিয়াতি ধরা কঠিন। ফলে এ ধরণের কাউন্সিল বিশেষ ভূমিকা রাখবে। জানা গেছে এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি আর্থিক ব্যবস্থার সব নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে ভবিষ্যৎ আর্থিক সংকট মোকাবিলায় জোরালো ও সমম্বিত ভূমিকা পালনে সহায়তা করবে। ইত্তেফাককেকে
Bangla_fin_news_articles/4022.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4022,কারখানা পরিদর্শনের মেয়াদ বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই অ্যালায়েন্সের,2017-08-03,রিয়াদ হোসেন,দেশে আমেরিকার ক্রেতাদের সমন্বয়ে গঠিত কারখানা পরিদর্শন জোট অ্যালায়েন্স আগামী বছর তাদের কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর পরিদর্শনের মেয়াদ আর বাড়াতে চায় না। তারা চায় পরিদর্শনের চলমান ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ থাকুক। এ জন্য একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী পরিদর্শন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে ওই প্রতিষ্ঠানের কাছে কার্যক্রম হস্তান্তর করতে চায়। ঢাকায় অ্যালায়েন্সের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে এ তথ্য জানা গেছে। ইউরোপের ক্রেতাদের সমন্বয়ে গঠিত কারখানা পরিদর্শন জোট অ্যাকর্ড আগামী বছর শেষে আরো তিন বছর তাদের কার্যক্রমের মেয়াদ বাড়ানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে সরকার ও কারখানা মালিকদের কড়া প্রতিক্রিয়ার মধ্যেই সবার দৃষ্টি অ্যালায়েন্সের সিদ্ধান্তে। বাংলাদেশে অ্যালায়েন্সের কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন ঢাকায় দেশটির সাবেক রাষ্ট্রদূত জিম মরিয়ার্টি। তিনিও বিভিন্ন সময়ে তার বক্তব্যে ২০১৮ সালে অ্যালায়েন্সের কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে এমন পরিস্থিতিতে অ্যালায়েন্সের মনোভাব জানার চেষ্টা করেছে বিজিএমইএ। আগামী বছর মেয়াদ শেষে অ্যালায়েন্সের কার্যক্রমের মেয়াদ বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই বলে তারা অনানুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন। বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ইত্তেফাককে বলেন অ্যালায়েন্স নির্দিষ্ট সময়ের পর তাদের কার্যক্রম আর দীর্ঘায়িত করবে না বলে জেনেছি। আমরা আশা করছি তাদের সময়সীমার মধ্যেই কারখানাগুলো তাদের শতভাগ সংস্কার সম্পন্ন করতে পারবে। ২০১৩ সালে কার্যক্রম শুরু করার পর অ্যালায়েন্সভুক্ত ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের পোশাক প্রস্তুতকারী প্রায় ছয়শ কারখানা পরিদর্শন শেষে এখন সংস্কার কাজ দেখভাল করছে এ জোট। এর মধ্যে রয়েছে ভবনের কাঠামো অগ্নি ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অ্যালায়েন্সের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত ১১৮টি কারখানা সব ধরনের নিরাপত্তা ত্রুটি সংস্কার করতে পেরেছে। অর্থাৎ এসব কারখানা এখন থেকে ভবনের কাঠামো অগ্নি ও বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার বিষয়ে তুলনামূলক নিরাপদ। গতকাল অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া সময়মত সং���্কার করতে ব্যর্থ হওয়া কিংবা সহযোগিতা না করার অভিযোগে এ পর্যন্ত ১৫৭টি কারখানার সঙ্গে ব্যবসা বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এসব কারখানা অ্যালায়েন্সভুক্ত প্রায় ৩০টি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কোন ধরনের ব্যবসা করতে পারবে না। ২০১৩ সালের এপ্রিলে ভয়াবহ রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখভালের লক্ষ্যে কাছাকাছি সময়ে গঠিত হয় অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স। পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম চালানোর কথা। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় এক বছর আগে সম্প্রতি অ্যাকর্ড বাংলাদেশ সরকার বা পোশাক শিল্প মালিকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই আগামী বছরের পর আরো তিন বছর তাদের কার্যক্রম বাড়ানোর বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই সময়ে কারখানায় শ্রমিকের ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া কার্যক্রমটি ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডের আইনে চলবে বলেও জানা গেছে। এ নিয়ে সরকার ও পোশাক মালিকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে এ বিষয়ে সরকারের আপত্তির কথা জানিয়ে দিয়েছেন। গত রবিবার বিজিএমইএ ইস্যুটি নিয়ে জরুরি সভায় বসেন পোশাক শিল্প মালিকরা। সভায় অ্যাকর্ডের একতরফা মেয়াদ বাড়ানো কার্যক্রমের আওতায় ট্রেড ইউনিয়নকে যুক্ত করা এবং নেদারল্যান্ডের আইন অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভের কথা জানান। আগামী বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অ্যাকর্ড যাতে কোনভাবেই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে না পারে সে বিষয়ে সরকার ও বিজিএমইএকে একযোগে কাজ করার দাবি জানান তারা। অ্যাকর্ড ইতিমধ্যে প্রায় দেড় হাজার কারখানা পরিদর্শন শেষে সংস্কার কাজ তদারক করছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন অ্যাকর্ডঅ্যালায়েন্সের কার্যক্রমের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সংস্কার ও তদারক কার্যক্রম কীভাবে চলবে তা নিয়ে উভয় জোটের সংশয় রয়েছে। সংস্কার কার্যক্রম দেখভালের জন্য স্বাধীন ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান দেখতে চায় তারা। এ বিষয়টি নিশ্চিত করার বিষয়ে সরকারকে মনোযোগ দিতে হবে। ইত্তেফাকআনিসুর
Bangla_fin_news_articles/4023.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4023,চালের দাম কমেছে দ্রুত পেঁয়াজের দাম কমবে বাণিজ্যমন্ত্রী,2017-08-03,ইত্তেফাক রিপোর্ট,আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়বে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।কোরবানির ঈদে যাতে কোনোভাবে পণ্যের দাম না বাড়ে সেজন্য আমারা সচেষ্ট আছি। বরং পণ্যের দাম যাতে আরো কমানো যায় তার জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। চালের দাম কমে এসেছে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের নতুন রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন এটা সাময়িক। দ্রুত পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। বাণিজ্যসচিব সুভাশিষ বোস বলেন বাজারে চালের দাম কমেছে চার টাকা। তবে খুচরা বাজারে একেক ধরনের পণ্যের দাম একেক ধরনের। তারপরও বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ইত্তেফাকআনিসুর
Bangla_fin_news_articles/4024.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4024,ওয়ালটনের ফ্রিজ বিক্রির রেকর্ড,2017-08-02,অনলাইন ডেস্ক,চলতি আগস্ট মাসের প্রথমদিনে লক্ষাধিক ফ্রিজ বিক্রি করেছে ওয়ালটন। বাংলাদেশে একদিনে এত ফ্রিজ বিক্রির আর কোনো নজির নেই। এটাকে রেকর্ড দাবি করে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এবার কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে তাদের ৫ লাখ ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট রয়েছে। তাদের ধারণা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ফ্রিজ বিক্রি হতে পারে ওয়ালটনের। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানায় গত মঙ্গলবার পয়লা আগস্ট তাদের ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে এক লাখ চার হাজার ৪৬৯টি। এর আগে চলতি বছরের মে মাসে একদিনে সর্বোচ্চ বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৫০ হাজার। তাদের দাবি উচ্চ গুণগত মান সাশ্রয়ী মূল্য পণ্যের সর্বোচ্চ গ্যারান্টিওয়ারেন্টি এবং সেরা বিক্রয়োত্তর সেবার কারণে বাংলাদেশের মানুষের প্রথম পছন্দের ব্র্যান্ড ওয়ালটন। উল্লেখ্য গত কোরবানি ঈদের আগে সারা দেশে প্রায় ৪ লাখ ফ্রিজ বিক্রি হয়েছিল ওয়ালটনের। আর এবারের কোরবানির ঈদের আগে জুলাই ও আগস্ট মাসে গতবারের চেয়ে ২৭ শতাংশ বেশি অর্থাৎ ৫ লাখ ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রোজার পরপরই উৎপাদন ও বিপণনে প্রয়োজনীয় কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। গাজীপুরে নিজস্ব কারখানায় বাড়ানো হয়েছে উৎপাদন। বিপণন প্রক্রিয়ায়ও নেয়া হয়েছে আধুনিক ও কৌশলগত পরিকল্পনা। প্রোডাক্ট লাইনে যুক্ত হয়েছে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির ফ্রিজ টেম্পারড গ্লাস ডোরসহ লেটেস্ট সব প্রযুক্তি ও বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের অসংখ্য নতুন মডেলের ফ্রিজ। উল্লেখ্য আগামী সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতেই অনুষ্ঠিত হবে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। এই ঈদে দেশজুড়ে ব্যাপক পরিমাণে পশু কোরবানি দেয়া হয়। আর এই সময়ে কোরবানির গোসত সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজের চাহিদা ও বিক্রি বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তাই কোরবানির ঈদকেই ফ্রিজ বিক্রির প্রধান মৌসুম ধরা হয়। অন্য সময়ের তুলনায় কোরবানির ঈদে ডিপ ফ্রিজ বিক্রিও কযেকগুণ বেড়ে যায়। এই বাড়তি চাহিদার সিংহভাগ পূরণে বদ্ধ পরিকর ওয়ালটন। ওয়ালটন বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রিজওয়ানা বলেন দেশেই আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন উচ্চ প্রযুক্তির ফ্রিজ উৎপাদন এবং তা সাশ্রয়ী মূল্যে বাজারজাত করার মাধ্যমে স্থানীয় বাজারে দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষস্থান ধর�� রেখেছে ওয়ালটন। এককভাবে সবচেয়ে বেশি ফ্রিজ বিক্রি হয় ওয়ালটনের। ওয়ালটন ব্র্যান্ডের প্রতি গ্রাহকপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। তার প্রমাণ হলোচলতি মাসের প্রথমদিনেই এক লাখের বেশি ফ্রিজ বিক্রির রেকর্ড। ওয়ালটন বিপণন বিভাগের প্রধান এমদাদুল হক সরকার বলেন ফ্রিজ বিক্রির এই রেকর্ড স্থানীয় বাজারে ওয়ালটনের জন্য এক বিশাল মাইলফলক। এ ধরনের অর্জন ওয়ালটনকে গ্রাহকদের জন্য আরো নতুন নতুন প্রযুক্তি ও বৈচিত্র্যময় মডেলের পণ্য উদ্ভাবনে অনুপ্রেরণা দেবে। তার ধারণা ঈদে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি বিক্রি করতে পারবে ওয়ালটন। ইত্তেফাকইউবি
Bangla_fin_news_articles/4025.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4025,ছোটদের অ্যাকাউন্টে হাজার কোটি টাকা,2017-08-02,রেজাউল হক কৌশিক,শিক্ষার্থীদের মাঝে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম। গত ৭ বছরে এই হিসাব খোলার সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে আমানতের পরিমাণও। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাবে দেখা গেছে সারাদেশে বিভিন্ন ব্যাংকে ১৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৪৩টি স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খোলা হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে প্রায় এক হাজার ১০০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। শিশুকাল থেকেই সঞ্চয়ের মনোভাব গড়ে তুলতে ২০১০ সালে এই ব্যাংক হিসাব খোলার ব্যবস্থা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। শিক্ষার্থীদের পরবর্তী জীবনে আর্থিক স্বচ্ছলতা নিশ্চিত ও শিক্ষার ব্যয় নির্বাহ সহজ করাও এর অন্যতম লক্ষ্য। ছয় থেকে আঠার বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীরা এ হিসাব খুলতে পারে। আর হিসাব খুলতে কমপক্ষে ১০০ টাকা জমা দিতে হয়। ছাত্রছাত্রীর পক্ষে তার পিতামাতা অথবা আইনগত অভিভাবক এ হিসাব পরিচালনা করে থাকেন। এ হিসাব খুলতে অন্যান্য হিসাবের মত কেওয়াইসিসহ নির্দিষ্ট ফরম রয়েছে। এসব ফরম পূরণ করে ছাত্রছাত্রীর জন্ম নিবন্ধন সনদ ও স্কুলের পরিচয়পত্র জমা দিয়ে এ হিসাব খোলা যায়। এসব হিসাব সাধারণ চলতি হিসাবে রূপান্তরের সুযোগও আছে। কোনো কোনো ব্যাংক আলাদা কাউন্টার বা ডেস্ক খুলে ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে বলে জানা গেছে। স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরুর সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন ড. আতিউর রহমান। তিনি গতকাল ইত্তেফাককে এ বিষয়ে বলেন স্কুলের শিক্ষার্থীদের আর্থিক শিক্ষার সঙ্গে পরিচিত করানোর উদ্দেশ্যেই এটা শুরু করেছিলাম। কাগজেকলমে শিখলে অনেক ক্ষেত্রেই শিক্ষা পূর্ণ হয় না। ব্যবহারিকভাবে প্র্যাকটিক্যাল শেখা দরকার। এছাড়া মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য এ সময়ের সঞ্চয় কাজে লাগতে পারে। একইসঙ্গে এটার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গেও পরিচিত করিয়ে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এসব উদ্দেশ্য নিয়েই স্কুল ব্যাংকিং শুরু হয়। আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে স্কুল ব্যাংকিং ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন তিনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা গেছে এই হিসাব খোলায় শীর্ষে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এবং জমা টাকার পরিমাণের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে ডাচ্বাংলা ব্যাংক লিমিটেড। ইসলামী ব্যাংকে অ্যাকাউন্টের সংখ্য�� ২ লাখ ১৬ হাজার ৫৩৪টি। যা মোট অ্যাকাউন্টের প্রায় ১৬ ভাগ। এছাড়া অগ্রণী ব্যাংকে এক লাখ ৭৮ হাজার ৫১৪টি ডাচ্বাংলা ব্যাংকে এক লাখ ২৯ হাজার ৬৩১টি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ৯৯ হাজার ১৮৭টি এবং উত্তরা ব্যাংকে ৮০ হাজার ৫৫১টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অন্যদিকে জমানো টাকার দিক থেকে ডাচ্বাংলা ব্যাংকের স্কুল ব্যাংকিংয়ে জমা পড়েছে ৩৬০ কোটি টাকা। যা মোট জমার প্রায় ৩৩ শতাংশ। এর বাইরে ইসলামী ব্যাংকে ১০৭ কোটি টাকা ইস্টার্ন ব্যাংকে ৯৫ কোটি টাকা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে ৫৭ কোটি টাকা এবং রূপালী ব্যাংকে ৫০ কোটি টাকা জমা হয়েছে। ডাচ্বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মোঃ শিরিন বলেন সরকারের বিভিন্ন বৃত্তি ও উপবৃত্তির টাকা ডাচবাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। আর আকর্ষণীয় বিভিন্ন প্রকল্প থাকায় শিক্ষার্থীরা স্কুল ব্যাংকিংয়ে আগ্রহী হচ্ছে। স্কুল ব্যাংকিং এ সরকারি ব্যাংকের চেয়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলো ভাল করেছে। এসব ব্যাংকে আট লাখ ৪৬ হাজার ৫৫৬টি অ্যাকাউন্ট আছে। যা মোট অ্যাকাউন্টের ৬১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এসব অ্যাকাউন্টে সাড়ে ৯০০ কোটি টাকা আমানত রয়েছে। যা স্কুল ব্যাংকিংয়ের মোট আমানতের ৮৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। প্রসঙ্গত দেশের ৫৭টি তফসিলি ব্যাংকের মধ্যে ৫৬টি ব্যাংকে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম রয়েছে। স্কুল ব্যাংকিং এর হিসাবের মাধ্যমে শুধু টাকা সঞ্চয় হচ্ছে তাই নয় শিক্ষার্থীরা ব্যাংকিং কার্যক্রমের সঙ্গে অভ্যস্ত হচ্ছে। ব্যাংকিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত প্রযুক্তির সঙ্গেও পরিচিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা এটিএম কার্ডের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারছে। তাদের বেতনের টাকাও অ্যাকাউন্ট থেকে জমা দিতে পারছে। স্কুল ব্যাংকিং হিসাবের বিপরীতে ব্যাংকগুলো এটিএম কার্ড কেবল ডেবিট কার্ড ইস্যু করতে পারে। যার মাধ্যমে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা তোলা যায়। তবে অভিভাবকদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো যায়। স্কুল ব্যাংকিং হিসাব পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো সরকারি ফি ব্যতীত অন্যকোন প্রকার সার্ভিস চার্জ নিতে পারে না। এ কার্যক্রমের আওতায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে বেতনফি জমা দিতে পারে। বৃত্তি বা উপবৃত্তির অর্থ জমা রাখতে পারে। এদিকে স্কুল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হলেও গ্রামীণ এলাকায় তা বাড়ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে স্কুল ব্যাংকিং এর যেসব হিসাব খোলা হয়েছে তার মধ্যে শহরেই বেশি হিসাব খোলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে গ্রামীণ এলাকা পিছিয়ে রয়েছে। সর্বশেষ হিসাবে দেখা গেছে শহরের ব্যাংক শাখাগুলোতে আট লাখ ২৭ হাজার ৪০২টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আর পল্লী এলাকার শাখাগুলোতে অ্যাকাউন্ট রয়েছে পাঁচ লাখ ৪৭ হাজার ৪১টি। শহরের অ্যাকাউন্টগুলোতে টাকার পরিমাণও বেশি। অন্যদিকে ছাত্রীদের তুলনায় ছাত্রদের অ্যাকাউন্ট বেশি। ইত্তেফাকআনিসুর
Bangla_fin_news_articles/4026.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4026,ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে দোহা রুটে ইউএসবাংলা ফ্লাইট শুরু ১ অক্টোবর,2017-08-01,অনলাইন ডেস্ক,১ অক্টোবর থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে দোহা রুটে ফ্লাইট চালু করেছে ইউএসবাংলা এয়ারলাইন্স। প্রতিষ্ঠার মাত্র দুবছরের মধ্যে ঢাকাকাঠমান্ডু রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে যাত্রা শুরু করে ইউএসবাংলা। বর্তমানে কাঠমান্ডু ছাড়াও কলকাতা মাস্কাট কুয়ালালামপুর সিঙ্গাপুর ব্যাংকক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে সপ্তাহে চারদিন সোম বুধ শুক্র ও রবিবার বোয়িং ৭৩৭৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা থেকে সন্ধ্যা ৬.০০টায় এবং চট্টগ্রাম থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে কাতারের রাজধানী দোহার উদ্দেশ্যে ইউএসবাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ছেড়ে যাবে এবং দোহার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৩০ মিনিটে পৌঁছাবে এবং রাত ১১টা ৩০ মিনিটে দোহা থেকে চট্টগ্রাম ও ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে এবং পরদিন সকাল ৮.০০টায় চট্টগ্রামে এবং সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। ফ্লাইট উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকা থেকে দোহায় নূন্যতম ভাড়া ওয়ান ওয়ে ২৪ হাজার ৩৮৫ টাকা এবং রিটার্ন ৪০ হাজার ২৬৪ টাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে দোহায় নূন্যতম ভাড়া ওয়ান ওয়ে ২৫ হাজার ৩৫৩ টাকা এবং রিটার্ন ৪১হাজার ২৩৩ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। ভাড়ায় সকল প্রকার ট্যাক্স ও সারচার্জ অন্তর্ভূক্ত। এশিয়ার অন্যতম গন্তব্য দোহা রুটে ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিতে পেরে ইউএসবাংলা এয়ারলাইন্স পরিবার অত্যন্ত গর্বিত। খুব শীঘ্রই হংকং দিল্লী চেন্নাই আবুধাবী গুয়াংজুহসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই দুটি ড্যাশ৮কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করার পর বর্তমানে তিনটি ড্যাশ৮কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট এবং তিনটি বোয়িং ৭৩৭৮০০ এয়ারক্রাফটসহ মোট ছয়টি এয়ারক্রাফট রয়েছে ইউএসবাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বহরে। এছাড়া আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে আরো দুইটি বোয়িং ৭৩৭৮০০ এবং একটি ড্যাশ ৮কিউ৪০০ ইউএসবাংলার বিমান বহরে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী বছর বহরে বোয়িং ৭৭৭২০০ এর মতো বড় এয়ারক্রাফট সংযোজনের মাধ্যমে সৌদি আরবের দাম্মাম জেদ্দা রিয়াদে ফ্লাইট শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে ইউএসবাংলার। ইউএসবাংলা এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরু করার পর মাত্র তিন বছরে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সেক্টরে ইতিমধ্যে ত্রিশ হাজারের অধিক ফ্লাইট পরিচালনা করেছে যা বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরে একটি মাইল ফলক। প্রতি সপ্তাহে বর্তমানে ৩০০টির অধিক ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ইউএসবাংলাই একমাত্র বেসরকারী এয়ারলাইন্স যা বাংলাদেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে যাত্রী সাধারনের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন মাস্কাট এবং ঢাকা থেকে প্রতিদিন কলকাতা সপ্তাহে ছয়দিন কুয়ালালামপুর চারদিন সিঙ্গাপুর ও ব্যাংকক ও তিনদিন কাঠমুন্ড রুটে ফ্লাইট চলাচল করছে। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে সপ্তাহে দুদিন কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া প্রতিদিন ঢাকাচট্টগ্রাম রুটে ৬টি ঢাকাকক্সবাজার রুটে ২টি ঢাকাযশোর রুটে ২টি ঢাকাসৈয়দপুর রুটে ২টি ঢাকাসিলেট রুটে ১টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এছাড়া সপ্তাহে ঢাকাবরিশাল রুটে ৩টি ও ঢাকারাজশাহী রুটে ৪টি করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএসবাংলা। ইউএসবাংলা এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরুর মাত্র তিন বছরের মধ্যেই দেশের বেসরকারী এয়ারলাইন্স গুলোর মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে। বর্তমানে ইউএসবাংলা অভ্যন্তরীণ রুটের শতকরা ৫০ ভাগ যাত্রী এককভাবে পরিবহন করে দেশের আকাশ পথের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে করেছে সুদৃঢ়। যার স্বীকৃতিস্বরূপ দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে ইউএসবাংলা বেস্ট ডমেস্টিক এয়ারলাইন্সের মর্যাদা লাভ করেছে। ইউএসবাংলা এয়ারলাইন্স আন্তর্জাতিক গন্তব্যে এশিয়ার একটি অন্যতম বিমান সংস্থা হিসাবে পরিচিতি লাভ করার প্রত্যাশায় কাজ করে যাচ্ছে। ইউএসবাংলা এয়ারলাইন্স বর্তমানে ৯৮.৭ অনটাইম পারফরমেন্স নিয়ে বাংলাদেশের স্বীকৃত অন্যতম প্রিমিয়াম এয়ারলাইন্স। ইউএসবাংলা এয়ারলাইন্স ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক রুটের বিজনেস ক্লাসের যাত্রীদের জন্য বাসা থেকে পিকড্রপ সার্ভিস ১০ মিনিট ল্যাগেজ ডেলিভারী সিনিয়র সিটিজেনদের ২০ ডিসকাউন্ট সুবিধা চট্টগ্রাম ও যশোরে ওয়াইফাই যুক্ত শাটল বাস সার্ভিস রয়েছে। রয়েছে ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লাইয়ারদের জন্য স্কাইস্টার প্রোগ্রামসহ নানাবিধ আন্তর্জাতিক মানের সেবা। টিকেট রিজার্ভেশন সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭৭৭৭৭৭৮০০৯।
Bangla_fin_news_articles/4027.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4027,১০০ টাকার প্রাইজবন্ডের ড্র অনুষ্ঠিত,2017-07-31,ইত্তেফাক রিপোর্ট,১০০ টাকা মূল্যমানের বাংলাদেশ প্রাইজবন্ডের ৮৮তম ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার উন্নয়ন ও আইসিটি মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে এ ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এতে সকল সিরিজের মধ্য থেকে ০৫৪৭৩৬৬ নম্বরটি প্রথম পুরস্কারের জন্য বিজয়ী হয়েছে। আর ০৩৯৯৬৫০ নম্বরটি দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে। একইভাবে তৃতীয় পুরস্কারের দুটি নম্বর হচ্ছে ০৮২৭৬৫০ ও ০৯৫৬৬২৮। চতুর্থ পুরস্কারপ্রাপ্ত নম্বর দুটি হচ্ছে ০১৯৭৯৭৯ ও ০৭৫৬৯৪৮। একক সাধারণ পদ্ধতি তথা প্রত্যেক সিরিজের একই নম্বরে প্রাইজবন্ডের ড্র পরিচালিত হয়। প্রচলনযোগ্য ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের মোট ৪৮টি সিরিজের ৪৬টি সাধারণ সংখ্যা এবারও পুরস্কারের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। ড্রতে ০০০০০০১ থেকে ১০০০০০০ ক্রম সংখ্যার অন্তর্ভুক্ত বন্ডসমূহ থেকে মোট দুই হাজার ২০৮টি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। প্রথম পুরস্কার বিজয়ী ৬ লাখ ও দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা করে পাবেন। এছাড়া তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ী এক লাখ চতুর্থ পুরস্কার বিজয়ী ৫০ হাজার এবং পঞ্চম পুরস্কার বিজয়ীরা ১০ হাজার টাকা করে পাবেন। এছাড়া পঞ্চম পুরস্কার বিজয়ী প্রতিটি সিরিজের ৪০টি নম্বর হলো ০০০৪১৭০ ০২৪১৫৮৯ ০৪১৩২৩৫ ০৬১৭৬১০ ০৮০০৯১৪ ০১০৩৬৭০ ০২৫৭৫০৭ ০৪৯৬৫১৫ ০৬১৯৩৫০ ০৮১৫৯৯৩ ০১৩৬৮০৬ ০২৭১৩৭৮ ০৫১৩৯৯২ ০৬২১৫২৮ ০৮৪০৭৭৩ ০১৭৮১৬৯ ০২৯৩০৯৮ ০৫১৫১৭৭ ০৬২৮৫৫৭ ০৮৪৫০১৮ ০১৮১৭২০ ০৩০৩২৫৪ ০৫৮৪৫২১ ০৭৩২১১৭ ০৯০৭১০৩ ০১৮২১২৯ ০৩৩৬৭৫৭ ০৫৯১৪৪২ ০৭৪২৭০০ ০৯২০০৭৫ ০২১৩৫৫১ ০৩৫২৭১০ ০৫৯৬৯০০ ০৭৫২৪১৬ ০৯২৯৮৯৯ ০২৩১৩৯৮ ০৩৬১১২৫ ০৬১২৪৭২ ০৭৭৮৪১৫ এবং ০৯৭৭৯৭৭। উল্লেখ্য প্রতি তিন মাস অন্তর প্রতি মাসের শেষ কর্মদিবসে প্রাইজবন্ডের ড্র হয়ে থাকে। আর ১৯৯৯ সালের জুলাই থেকে প্রাইজবন্ডের পুরস্কারের অর্থের ওপর ২০ শতাংশ হারে উৎস আয়কর কাটার বিধান রয়েছে। ইত্তেফাকএএম।
Bangla_fin_news_articles/4028.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4028,‘এজেন্ট ব্যাংকিং কর্মকাণ্ড ও পরিচালনা পদ্ধতি’ শীর্ষক কর্মশালা,2017-07-31,অনলাইন ডেস্ক,ব্যাংক এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলী রাজধানী ঢাকার লালমাটিয়াস্থ ব্যাংক এশিয়ার প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে গত শনিবার এজেন্ট ব্যাংকিং কর্মকাণ্ড ও পরিচালনা পদ্ধতি শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে তিনি অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে ছবি তোলেন। এ সময় প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রধান আজহারুল ইসলাম লালমাটিয়া শাখা প্রধান গোলাম গাফ্ফার ইমতিয়াজ চৌধুরী এজেন্ট ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান আহসান উল আলম ইসলামী ব্যাংকিং বিভাগের মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং এজেন্ট ব্যাংকিং ডিভিশনের মাহবুবুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। ইত্তেফাকইউবি
Bangla_fin_news_articles/4029.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4029,ভবিষ্যতে দেশে বিড়ি থাকবে না অর্থমন্ত্রী,2017-07-31,ইত্তেফাক রিপোর্ট,অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন তামাক বাজারের ৮০ শতাংশ বিড়িসহ অন্যান্য কম দামি সিগারেটের দখলে। এসব তামাক পণ্য স্বাস্থ্যের জন্য খুব বেশি ক্ষতিকারক। এগুলো কীভাব নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়ে সরকার পলিসি গ্রহণ করবে। ভবিষ্যতে দেশে আর বিড়ি থাকবে না। গতকাল রবিবার অর্থমন্ত্রণালয়ে তামাক ও তামাকজাত পণ্যের কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। সিগারেটের মূল্যস্তর পুনর্বিন্যাসের উদ্যোগ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন এ বিষয়ে কারখানা মালিকরা তাদের প্রস্তাব দিয়েছেন। এখন আমরা নিজেরা বসে সিদ্ধান্ত নেবকোনটা কি করব। বিড়ি বন্ধ হয়ে গেলে ফলে রাজস্ব আদায়ে কোনো প্রভাব পড়বে কি না এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন রাজস্ব আয়ে এমন কিছু হবে না। তবে চাহিদা কমলে রাজস্ব আয় একটু কমতে পারে। বিড়ি শিল্প টিকিয়ে রাখতে সংসদ সদস্যদের চাপ রয়েছে বলে বিভিন্ন তামাক কোম্পানির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন এ বিষয়ে গতবার অসংখ্য চিঠি পেয়েছিলাম। বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। ইত্তেফাকআনিসুর
Bangla_fin_news_articles/4030.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4030,সাড়ে ৩৭ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ,2017-07-31,ইত্তেফাক রিপোর্ট,চলতি ২০১৭১৮ অর্থবছরের জন্য ৩৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ গতকাল রবিবার সচিবালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি জানান এই লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে দেশে উৎপাদিত পণ্য ও কম্পিউটার সার্ভিস থেকে রপ্তানি আয় রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সেবা খাত থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার। সর্বমোট রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছর পণ্য ও কম্পিউটার সার্ভিস থেকে রপ্তানি আয় ছিল প্রায় ৩৪ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার এবং ১১ মাসে সেবা খাত হতে রপ্তানি আয় ছিল ৩ দশমিক ৩৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মন্ত্রী বলেন বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৫৪ ভাগ আসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে। গত বছর ইউরো ও পাউন্ডের অবমূল্যায়নের কারণে রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও রপ্তানি আয় আশানুরূপ হয়নি। এ বছর রপ্তানি সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে আশা করছি। তোফায়েল আহমেদ বলেন সরকার দেশের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দেশের রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি ও বাজার সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কিছু পণ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তৈরি পোশাকের পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি ওষুধ চামড়াজাত পণ্য কৃষিজাত পণ্য জাহাজ ফার্নিচার রপ্তানিতে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ সকল পণ্য রপ্তানিতে বিভিন্ন হারে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পণ্যের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে সংশ্লিষ্ট সকলে আন্তরিক হলে ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোনো সমস্যা হবে না। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন গত বছর তৈরি পোশাক খাত মোট রপ্তানিতে ৮০.৮১ ভাগ চামড়া খাত ৩.৫৪ ভাগ পাট ও পাট পণ্য ২.৭৬ ভাগ হোম টেক্সটাইল ২.২৯ ভাগ অবদান রেখেছে। তৈরি পোশাক খাতে মাত্র .২০ ভাগ প্রবৃদ্ধি ঘটলেও ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোডাক্ট খাতে ৩৫.০৫ ভাগ এবং প্লাস্টিক প্রোডাক্ট খাতে ৩১.৪ ভাগ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। অন্যান্য খাতের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু শিল্প সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. নমিতা হালদার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইসচেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য্য এফবিসিসিআইএর প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। ইত্তেফাকআনিসুর
Bangla_fin_news_articles/4031.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4031,এয়ারটেলকে একীভূতের লাইসেন্স পেল রবি,2017-07-30,ইত্তেফাক রিপোর্ট,মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে একীভূত কোম্পানির লাইসেন্স তুলে দিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ। টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের উপস্থিতিতে শনিবার রাতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন আহমেদের হাতে লাইসেন্স তুলে দেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান। উচ্চ আদালতের অনুমোদনের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের ১৬ নভম্বর থেকে রবি আজিয়াটা লিমিটেড রবি ও এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড এয়ারটেল একীভূত কোম্পানি রবি হিসেবে এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। রবির একটি স্বাধীন ব্র্যান্ড হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এয়ারটেল। একীভূত হওয়ার এই ঘটনাকে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন এর মাধ্যমে রবির মূল কোম্পানির বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এতে নেটওয়ার্কের প্রসার ঘটার আশা প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীও যেন নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক থেকে বাদ না পড়ে। মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কোয়ালিটি অব সার্ভিস। আইটিইউ মান অনুযায়ী অপারেটররা কলড্রপের জন্য কল ফেরত দিচ্ছে এটা ইতিবাচক। মার্জারের সুফল যেন জনগণ পায় সেটি হবে সব থেকে বড় বিষয়। একীভূত হওয়ার পর এয়ারটেলের কর্মীদের রেখে দেওয়ায় রবি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তারানা। সেবার মান উন্নয়নের তাগিদ দিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন মার্জার পাওয়ার পর সেবার মান উন্নয়ন করবেন এটাই আশা করি। বড় কোম্পানি হিসেবে দায় দায়িত্ব বেড়ে যাবে। আপনারা বিটিআরসির নির্দেশনা মেনে চলবেন। কোয়ালিটি অব সার্ভিস বাড়াতে সচেষ্ট থাকতে হবে। এজন্য আমরা সহযোগিতা দিতে রাজি আছি। দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে প্রথম একীভূতকরণের সুযোগ দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে রবির সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন স্পেকট্রাম নিউট্রালিটি পেলে কোয়ালিটি অব সার্ভিস আরও উন্নত হবে। টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাইফুল ইসলাম এবং বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. আহসান হাবিব খানসহ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ইত্তেফাকএএম।
Bangla_fin_news_articles/4032.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4032,কর্মক্ষেত্রে আহত শ্রমিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ চায় আইএলও,2017-07-30,রিয়াদ হোসেন,দেশে কর্মক্ষেত্রে আহত শ্রমিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের পক্ষে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও। আইএলও মনে করছে সংস্থাটির নীতিমালা অনুযায়ী একটি মানদণ্ড তৈরি ও এর আলোকে আহত বা কর্মক্ষমতা হারানো শ্রমিকের ক্ষতিপূরণের লক্ষ্যে বীমার আওতায় আনা প্রয়োজন। এ জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে একটি তহবিল গঠন করে শুরুতে গার্মেন্টস খাতের শ্রমিকদের জন্য এটি বাস্তবায়ন করা যায়। এক্ষেত্রে কারিগরি সহায়তা দিতে প্রস্তুত সংস্থাটি। সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছে কর্মক্ষেত্রে আহত শ্রমিকদের ভবিষ্যত আয়ের ক্ষতি বা আহত হওয়ার ধরণ বিবেচনায় নিয়ে ক্ষতিপূরণের লক্ষ্যে একটি কর্মসূচী হাতে নিয়েছে আইএলও। এক্ষেত্রে আইএলও কনভেনশনের ১২১ ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের মানদণ্ডকে বিবেচনায় নেওয়া হবে। ক্ষতিপূরণের অর্থ সংশ্লিষ্ট কারখানা মালিককেই বহন করতে হবে। ইতিমধ্যে ইস্যুটি নিয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আইএলওর আলোচনা হয়েছে। এ জন্য শ্রম আইনের সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে এটি আইনগত বাধ্যবাধকতার মধ্যে আনার পক্ষে নন মালিকপক্ষ। কেননা শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে রপ্তানি মূল্যের এফওবি উপর শূন্য দশমিক শূন্য তিন ০.০৩ শতাংশ হারে অর্থ প্রদান করছেন তারা। আহত শ্রমিকদের জন্য বাড়তি অর্থ পরিশোধের প্রশ্নে রাজি হবেন না তারা। সেক্ষেত্রে এ জন্য অর্থের সংকুলান কোথা থেকে হবে তা নিয়ে চিন্তিত সরকারও। কেননা এটি যদি আইএলওর মানদণ্ড অনুযায়ী করতে হয় সেক্ষেত্রে অনেক টাকার প্রয়োজন হতে পারে। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু ইত্তেফাককে বলেন ইস্যুটি নিয়ে আইএলও আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে। কিন্তু টাকা আসবে কোথা থেকে ইতিমধ্যে মালিকপক্ষ রপ্তানিমূল্যের উপর একটি অর্থ পরিশোধ করছে। তাদের কাছ থেকে আবার কি চাওয়া যাবে দেশে বিদ্যমান শ্রম আইন অনুযায়ী কারখানায় নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ এক লাখ টাকা। আর আহতদের ক্ষেত্রে কর্মক্ষমতা হারালে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ সোয়া লাখ টাকা। এছাড়া সরকার গঠিত নতুন শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে নিহত ও কর্মক্ষমতা হারানোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু শ্রমিক নেতারা বলছেন এ অর্থ খুবই অপ্রতুল। একজন শ্রমিক সারা জীবন কত টাকা আয় করতেন আহত হওয়ার পর তার দুখযন্ত্রণা ভোগসহ অন্যান্য ক্ষতি হিসাব কলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের বিলস নির্বাহি পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ ইত্তেফাককে বলেন রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর সরকারের অঙ্গীকার ছিল নিহত বা আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের আইএলওর নীতিমালাকে সামনে রেখে ক্ষতিপূরণের একটি মানদণ্ড নির্ধারণের। কিন্তু তা আজো হয় নি। আমরা চাই আইএলওর নীতিমালা ও জাতীয় প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হোক। এ জন্য সামাজিক বীমা কর্মসূচী ঠিক করে গার্মেন্টসসহ সব খাতের শ্রমিকদের ওই তহবিলের আওতায় আনতে হবে। আইএলওর উদ্যোগটি নিয়ে সমপ্রতি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন সংস্থাটির আইন বিশেষজ্ঞ হিরোশি ইয়ামাবানা ও ডগলাস স্ট্যানলি। তারা জানান বাংলাদেশের বিদ্যমান শ্রম আইনে আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ পর্যাপ্ত নয়। আবার মালিকপক্ষ যদি অসমর্থ কিংবা দেউলিয়া হয়ে যায় সেক্ষেত্রেও শ্রমিকরা বঞ্চিত হন। এ জন্য আহতদের জন্য ক্ষতিপূরনের একটি মানদণ্ড নির্ধারণ করা এবং তা প্রদানের লক্ষ্যে একটি কেন্দ্রীয় তহবিল গঠন ও শ্রমিকদের বীমার আওতায় আনা যেতে পারে। এ জন্য আইএলও কারিগরি সহায়তা কর্মসূচী শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে আইএলওর এ কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিকভাবে আহতের সংখ্যা আহতের ধরণ কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হতে পারে কারা অর্থ দেবে বা কারা প্রাপ্য হবে এসব বিষয়ে কাজ করা হবে। শ্রম সচিব মিকাইল শিপার ইত্তেফাককে বলেন এ জন্য শ্রম আইনের সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। আমরা ভাবছি বিদ্যমান শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের অর্থে আহতদের বীমার বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করা যায় কিনা। এ বিষয়ে আইএলওকে কাজ করতে বলা হয়েছে।
Bangla_fin_news_articles/4033.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4033,নিরাপদ কারখানা নিশ্চিত করায় তৈরি পোশাকের মূল্য বৃদ্ধি করা প্রয়োজন,2017-07-28,ইত্তেফাক রিপোর্ট,বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন ক্রেতাদের পরামর্শ অনুযায়ী দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো আধুনিক ও নিরাপদ করা হয়েছে। শ্রমিকরা এখন নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করছে। এ জন্য কারখানার মালিকদের বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়েছে। কিন্তু তৈরি পোশাকের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়নি। বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যে ৩য় বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ এ সভাপতিত্ব কালে এ সব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন ইউরোর মূল্য পতনের ফলে তৈরি পোশাকের মূল্য কমেছে। ইইউর চাহিদা মোতাবেক বাংলাদেশে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৪০ ভাগ থেকে ৪৯ ভাগে বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিনিয়োগ বাড়বে। ক্রেতাগোষ্ঠির সংগঠন অ্যাকর্ড এর বাংলাদেশে কারখানা পরিদর্শনের মেয়াদ ২০১৮ সালের মে মাসে শেষ হবে এর পর পরিস্থিতি বিবেচনা করে আলাপ আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে। তোফায়েল আহমেদ বলেন যুক্তরাজ্য ব্রেক্সিট কার্যকরের পরও বাংলাদেশের সাথে চলমান বাণিজ্যনীতির কোনো পরিবর্তন হবে না। বাংলাদেশ মোট রপ্তানি বাণিজ্যের ৫৪ ভাগ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এগিয়ে আসবে বলে আশা করছি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশন প্রধান অ্যাম্বাসেডর পিয়েরি মায়াদুন বলেন বাংলাদেশের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ আরো বাড়বে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানার মান অনেক উন্নত হয়েছে। ইত্তেফাকএমআর
Bangla_fin_news_articles/4034.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4034,অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে শিপিং কর্পোরেশন,2017-07-28,সৈয়দ আবদুল ওয়াজেদ চট্টগ্রাম অফিস,আন্তর্জাতিক সমুদ্র পরিবহন বাণিজ্যে বাংলাদেশের পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন বিএসসি এখন অস্তিত্ব রক্ষার চূড়ান্ত লড়াইয়ে। চলছে ঘুরে দাঁড়ানোর আপ্রাণ প্রচেষ্টা। প্রতিষ্ঠানটির বিপর্যস্ত অবস্থায় ২০১১ সালে বহরে নতুন জাহাজ সংগ্রহের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত নতুন জাহাজ আসেনি। আশা করা হচ্ছে ২০১৮ সাল থেকে বিএসসির বহরে নতুন ৬টি জাহাজ পর্যায়ক্রমে আসতে শুরু করবে। তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায় চীনে নির্মিত নতুন জাহাজ বিএসসির বহরে ২০১৯ সালের প্রথমার্ধের আগে আসতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন বিএসসির টিকে থাকার লড়াইয়ে সময়ক্ষেপণ হয়েছে বিস্তর। বর্তমানে এই সংস্থার রয়েছে মাত্র ৩টি জাহাজ। এগুলো হচ্ছে সাধারণ পণ্যবাহী বাংলার শিখা এবং জ্বালানি তেল লাইটারেজ ট্যাংকার বাংলার জ্যোতি ও বাংলার সৌরভ। এগুলোর বয়স ৩০ বছর ছাড়িয়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক মেরিটাইম আইন অনুযায়ী এখন সমুদ্রপথে চলাচলের অনুপযুক্ত। তবে এ মুহূর্তে সরকার গৃহীত জাহাজ সংগ্রহের প্রক্রিয়া কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়িত হলে বিএসসির অস্তিত্বের সংকট কেটে যাবে। লাভজনক হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির ঘুরে দাঁড়ানোরও সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর সংস্থার ৩৮তম সাধারণ সভায় জানানো হয়েছিল সরকারের ভিশন ২০২১এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসসি ২০২১ সাল নাগাদ বিভিন্ন ধরনের ২১টি জাহাজ বহরে সংযোজনের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর ইয়াইয়া সৈয়দ ইত্তেফাককে বলেন সংস্থার জন্য চীনে ৬টি জাহাজ নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে জাহাজগুলোর নকশা প্রণয়ন ও অনুমোদনের কাজ চলছে। এ কাজের জন্য গত ১৭ এপ্রিল ডিএনভিজিএল নামের জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরু করেছে। এ ছাড়া দেশের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত্ প্রকল্পগুলোর কয়লা পরিবহনে যে ১২টি মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার সংগ্রহের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সেগুলোর জন্য অর্থ সংগ্রহে সরকারের বহিঃসম্পদ বিভাগ ইআরডি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে গত ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত বিএসসির ৩৯তম সাধারণ সভায় জানানো হয়েছিল শেয়ার বাজারের আইপিওর মাধ্যমে অর্জিত টাকা ও সংস্থার অর��থায়নে ৩৬ হাজার ডেডওয়েট ক্ষমতার একটি প্রোডাক্ট কেমিক্যাল ক্রুড অয়েল ট্যাংকার জাহাজ ক্রয়ের জন্য সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে অনুমোদন পাওয়া গেছে। জাহাজটি মে মাসের মধ্যে সংগ্রহের কথা থাকলেও এখনো তা সম্ভব হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বিএসসির সঙ্গে জয়েন্ট ভেঞ্চারে ক্রুড অয়েল পরিবহনের জন্য ট্যাংকার সংস্থানে এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট আহ্বান করা হয়। এ ব্যাপারে মূল্যায়ন কমিটি গত ২৪ জুলাই একটি সভাও করেছে। বিএসসির মহাব্যবস্থাপক মো. আহসান উল করিম ইত্তেফাককে বলেন এ ধরনের জাহাজ ভাড়ায় অথবা অন্য কি উপায়ে সংগ্রহ করা হবে তা বোঝা যাবে মূল্যায়ন কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর। বিএসসি সূত্র জানায় চীনের আর্থিক সহায়তায় যে ৬টি জাহাজ সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে সেগুলোর মধ্যে থাকবে ৩টি বাল্ক ক্যারিয়ার এবং ৩টি প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার। এগুলোর মূল্য পড়বে ১৪৪৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে এসব জাহাজের প্রথম কিস্তির অর্থ শোধ করা হয়েছে। বিএসসি সূত্রে আরো জানা যায় সমসাময়িক বাণিজ্যের চাহিদা বিবেচনায় ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার ডেডওয়েট ক্ষমতা সম্পন্ন ২টি ক্যারিয়ার ক্রুড অয়েল ট্যাংকার ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার ডেডওয়েট ক্ষমতার ২টি নতুন মাদার ট্যাংকার ৪টি নতুন সেলুলার কন্টেইনার জাহাজ বৈদেশিক ঋণে কেনার জন্য ইতোমধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সংস্থায় ৩৮টি জাহাজ ছিল। আশির দশকের প্রথম দিকে বিএসসির জাহাজের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ২৬টিতে। পুরনো হয়ে যাওয়ায় পরে বেশ কিছু জাহাজ বিক্রি হয়ে যায়। ২০১২১৩ অর্থবছরে বিএসসির বহরে জাহাজের সংখ্যা নেমে দাঁড়ায় ১৩টিতে। ২০১৩১৪ অর্থবছরে অলাভজনক আরো ৫টি জাহাজ বিক্রি করা হলে জাহাজ সংখ্যা আরো কমে দাঁড়ায় ৮টিতে। বর্তমানে রয়েছে মাত্র ৩টি জাহাজ। ইত্তেফাকনূহু
Bangla_fin_news_articles/4035.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4035,সোনার দাম ভরিতে ১৩৪১ টাকা পর্যন্ত বাড়ছে,2017-07-27,ইত্তেফাক রিপোর্ট,এক মাস ২০ দিনের ব্যবধানে এবার বাড়ছে সোনার দাম। আজ শুক্রবার থেকে ভরিপ্রতি ৮১৭ টাকা থেকে এক হাজার ৩৪১ টাকা পর্যন্ত বাড়ছে অলংকার তৈরিতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এ ধাতুর দাম। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বাজুস এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন এ মূল্য সম্পর্কে জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের বাজারে সোনার দাম নির্ধারণ করা হয় বলে দাবি বাজুসের। বাজুস নির্ধারিত নতুন মূল্য তালিকায় দেখা গেছে সবচেয়ে ভাল মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের সোনা প্রতি ভরি ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম বিক্রি হবে ৪৭ হাজার ১২৩ টাকা দরে। গত ৮ মে থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ মানের সোনার ভরিপ্রতি বিক্রিমূল্য ছিল ৪৫ হাজার ৮৯৮ টাকা। অর্থাৎ প্রতি ভরিতে এ মানের সোনার দাম এক হাজার ২২৫ টাকা বেড়েছে। আজ শুক্রবার থেকে পরবর্তী দাম নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত ২১ ক্যারেটের সোনা ভরিপ্রতি বিক্রি হবে ৪৫ হাজার ১৯৮ টাকা দরে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ মানের প্রতি ভরি সোনার বিক্রিমূল্য ছিল ৪৩ হাজার ৮৫৭ টাকা। এ মানের সোনায় ভরিপ্রতি এক হাজার ৩৪১ টাকা বেড়েছে। আর ১৮ ক্যারেটের সোনা ৯৯২ টাকা বেড়ে ভরিপ্রতি বিক্রি দর দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৬৫৮ টাকা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ মানের সোনার ভরিপ্রতি দাম ছিল ৩৮ হাজার ৬৬৬ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির সোনা ভরিপ্রতি ২৪ হাজার ৮৪৪ টাকার বদলে আজ থেকে বিক্রি হবে ২৫ হাজার ৬৬১ টাকায়। অর্থাৎ ভরিতে ৮১৭ টাকা বেড়েছে। এদিকে সোনার দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম। ২১ ক্যাডমিয়ামের প্রতি ভরি রুপার বিক্রিমূল্য এক হাজার ৫০ টাকা। ইত্তেফাকইউবি
Bangla_fin_news_articles/4036.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4036,কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে ১৬ শতাংশ,2017-07-27,রেজাউল হক কৌশিক,সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। বছর শেষে দেখা গেছে বিতরণ হয়েছে ২০ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা। চলতি ২০১৭১৮ অর্থবছরে এ খাতে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা আগের অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৬ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে। অর্থাত্ ব্যাংকগুলোর জন্য লক্ষমাত্রা ধরা হচ্ছে ২০ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা। আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় কৃষি ও পল্লীঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস.এম মনিরুজ্জামান এ নীতিমালা ঘোষণা করেন। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও সংশ্লিস্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ছাড়াও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীরা উপস্থিত থাকবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকের ক্ষেত্রে স্ব স্ব ব্যাংকের নিট ঋণ ও অগ্রিমের ন্যূনতম দুই শতাংশ কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের যে বিধান রয়েছে তা বহাল থাকছে। তবে এবার এ ক্ষেত্রে আরো কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। কোন ব্যাংক যাতে লক্ষ্যমাত্রা কমাতে না পারে সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে তদারকি করা হয়েছে। এদিকে সব তফসীলি ব্যাংককে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হলেও আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের দৈন্যদশার কারণে কৃষি ও পল্লী ঋণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে আগের বছরের মতই শস্য ও ফসল চাষের ক্ষেত্রে সিআইবি রিপোর্ট ছাড়াই একজন কৃষক সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা ঋণ নিতে পারবেন। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বাধ্যতামূলকভাবে নির্ধারিত কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ৩০ শতাংশ বিতরণ করার যে বিধান ছিল তাই থাকছে। আর নেটওয়ার্ক অপতুলতার কারণে বিদেশী ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে এ নিয়ম কার্যকর না হওয়ার যে বিধান ছিল তা বহাল থাকবে। এর বাইরে অন্যান্য মূল নীতিমালায় খুব বেশি পরিবর্তন আসছে না। সেগুলো আগের মতই থাকছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে দেশে প্রচলিত ফসলের পাশাপাশি বিদেশি ফল ও ফসল চাষে কৃষকদের উত্সাহিত করার জন্য নতুন কৃষি ঋণ নীতিমালায় নির্দেশনা থাকবে। ওইসব বিদেশি সব্জি ফল ও ফসল��� মধ্যে কোন কোনটায় ঋণ দেওয়া যাবে সে বিষয়ে বলা থাকবে। যেমন স্কোয়াশ ও কাসাভা চাষের ক্ষেত্রে কৃষকদের উত্সাহিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগের কথা বলা থাকবে এবারের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালায়। গেল অর্থবছরে কৃষি খাতে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রাষ্ট্রীয় ৮টি ব্যাংকের জন্য নির্ধারিত ছিল নয় হাজার ২৯০ কোটি টাকা। বছর শেষে রাষ্ট্রীয় মালিকানার এসব ব্যাংক নয় হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা বিতরণ কয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার ১০৪ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর জন্য আট হাজার ২৬০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা ছিল।
Bangla_fin_news_articles/4037.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4037,উচ্চ সুদের ভার তবু সঞ্চয়পত্র নির্ভর,2017-07-27,আহসান হাবীব রাসেল,বাজেট ঘাটতি মেটাতে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে সরকার ঋণ নিলে উচ্চ হারে সুদ দিতে হয়। অথচ এর চেয়ে অনেক কমে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া যায়। এরপরও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের জন্য সুবিধা দেওয়ার যুক্তিতে সরকার সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমায়নি। কিন্তু অর্থনীতিবিদদের কেউ কেউ বলছেন নির্দিষ্ট আয়ের মানুষেকে সুবিধা দেওয়ার মাধ্যম সঞ্চয়পত্র নয়। বরং তাদেরকে অন্যভাবে সুবিধা দেওয়া যতে পারে। এরপরও সরকার সহজে ঋণ নেওয়ার মাধ্যম হিসেবে সঞ্চয়পত্রের দিকেই ঝুঁকছে। তাই দিন দিন সঞ্চয়পত্র বিক্রি বাড়ছে। সরকারের সুদের ব্যয় বাবদ চাপও বেড়ে যাচ্ছে। জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে সদ্য সমাপ্ত ২০১৬১৭ অর্থবছর শেষে ৫২ হাজার ৩২৭ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। গেল জুন মাসেই বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র। অথচ ২০১৬১৭ অর্থবছরের শুরুতে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ১৯ হাজার ৬১০ কোটি টাকা গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল সরকার। পরে সংশোধিত বাজেটে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ৪৫ হাজার কোটি টাকা গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে গেছে মে মাসে। উচ্চ সুদের সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ঋণ করায় সুদের চাপও বাড়ছে সরকারের উপর। চলতি ২০১৭১৮ অর্থবছরের বাজেটে সুদ পরিশোধ বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। অর্থাত্ বাজেটের সাড়ে দশ শতাংশই চলে যাবে সুদ পরিশোধ করতে। এসব ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. বিরূপাক্ষ পাল বলেন সঞ্চয়পত্র থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে ঋণ করায় সরকারের বাজেট ব্যবস্থাপনায় সুদের খরচ বাড়ছে। পাশাপাশি ব্যাংকিং সিস্টেমেও সমস্যা তৈরি করছে। তিনি বলেন সরকার গেল অর্থবছরে ব্যাংকিং খাত থেকে বড় অংকের ঋণ করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা নেয়নি বরং সঞ্চয়পত্র বিক্রির মাধ্যমে ঋণ করেছে। এতে ব্যাংকগুলোতে তারল্য অব্যবহূত অবস্থায় পড়ে আছে। আর সরকারকেও উচ্চ সুদের বোঝা বহন করতে হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদে এভাবে চলা ঠিক হবে না। সুদের হার বাজারের উপর ছেড়ে দেওয়া দরকার। ভারতের মতো এটি বন্ডের হারের চেয়ে ১ শতাংশ বেশি থাকতে পারে। এদিকে সরকারের উপর সুদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় অর্থমন্ত্রী সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কিছুটা কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। এরপর থেকে মানুষ সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে। তাই সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ বেড়ে গেছে। কারণ সুদের হার কমানোর আগে সঞ্চয়পত্র কিনলে তারা সুদ পাবেন পূর্বতন উচ্চ হারেই। তাই সুদের হার কমানোর আগে সবাই সঞ্চয়পত্র কিনে রাখতে চাইছেন। বাজেট বিশ্লেষণে দেখা গেছে চলতি অর্থবছরে ৪১ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকার যে সুদ বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ সুদ বাবদ ব্যয় করা হবে ৩৯ হাজার ৫১১ কোটি টাকা। আর বিদেশি ঋণের সুদ বাবদ ১ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ সুদ বেশি হওয়ার কারণ হলো সঞ্চয়পত্রের অতিরিক্ত সুদ। গেল অর্থবছরের বাজেটে সুদ পরিশোধ বাবদ খরচ ধরা হয়েছিল ৩৯ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ সুদ বাবদ ৩৮ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা ও বিদেশি ঋণের সুদ বাবদ ১ হাজার ৭১১ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। তবে সংশোধিত বাজেটে দেখানো হয়েছে সুদ পরিশোধ বাবদ ব্যয় হয়েছে ৩৫ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ সুদ বাবদ ৩৩ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা ও বিদেশি ঋণের সুদ বাবদ ১ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। ২০১৫১৬ অর্থবছরে সুদ পরিশোধে খরচ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ৩৫ হাজার ১০৯ কোটি টাকা। ২০১৪১৫ অর্থবছরের মূল বাজেটে সুদ পরিশোধ বাবদ বরাদ্দ ছিল ৩১ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা। সুদ বাবদ সরকারের ব্যয় বাড়ার পরও সরকার সঞ্চয়পত্রের উপরই বেশি নির্ভর করছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি অর্থায়নে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ৩০ হাজার ১৫০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। গেল অর্থবছরে এ খাত থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ছিল ১৯ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। অর্থাত্ সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য বাড়ানো হয়েছে ৫৪ শতাংশ।
Bangla_fin_news_articles/4038.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4038,ঋণপ্রবাহ ক‌মি‌য়ে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা,2017-07-26,ইত্তেফাক রিপোর্ট,চলতি ২০১৭১৮ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ কিছুটা কমিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ ছিল ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ। নতুন মুদ্রানীতিতে এ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ। বুধবার বেলা সোয়া ১২টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির এ মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন। এ সময় ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান ও এস কে সুর চৌধুরী বাংলাদেশ ব্যাংকের চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট উপদেষ্টা আল্লাহ মালিক কাজেমি প্রধান অর্থনীতিবিদ ফয়সাল আহমেদ প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মো. আখতারুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সরকারের নির্ধারিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকে সামনে রেখে মুদ্রানীতিতে বিভিন্ন প্রাক্কলন করা হয়। চলতি ২০১৭১৮ অর্থবছরের বাজেটে মোট দেশজ উত্পাদন জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৪ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। এদিকে গত অর্থবছরের বাজেটে ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হলেও চূড়ান্ত হিসাবে তা ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ হবে বলে আশা করছে সরকার। তবে মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়ে গত জুনে ৫ দশমিক ৯২ শতাংশে ওঠেছে। বিশেষ করে চালের দাম বাড়ার কারণে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়েছে। প্রসঙ্গত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাঙি্ক্ষত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি বছর দুইবার মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও প্রকাশ করে থাকে। ছয় মাস অন্তর এই মুদ্রানীতি একটি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থাত্ জুলাই মাসে এবং অন্যটি জানুয়ারি মাসে। দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় মুদ্রানীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে পরবর্তী ছয় মাসে অভ্যন্তরীণ ঋণ মুদ্রা সরবরাহ অভ্যন্তরীণ সম্পদ বৈদেশিক সম্পদ কতটুকু বাড়বে বা কমবে এর একটি পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। ইত্তেফাকএএম।
Bangla_fin_news_articles/4039.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4039,মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দৈনিক লেনদেন হাজার কোটি টাকা,2017-07-26,রেজাউল হক কৌশিক,হাতের মুঠোয় মোবাইল থাকায় দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মোবাইল ব্যাংকিং। ব্যাংকের লাইনে দাঁড়ানোর বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পেতে এবং ইচ্ছেমত সময়ে টাকা লেনদেনের সুবিধা লুফে নিচ্ছে মানুষ। আবার অন্যদিকে জনপ্রিয়তার সুযোগ নিয়ে এ মাধ্যমের অপব্যবহারও করছে হুন্ডি ব্যবসায়ীরা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গত জুন মাসে ৩০ হাজার কোটি টাকার উপরে লেনদেন হয়েছে। সে হিসাবে দৈনিক গড়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার কোটি কোটি টাকার উপরে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায় সুবিধাবঞ্চিতদের ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং চালুর অনুমতি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো বিভিন্ন মোবাইল ফোন অপারেটরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এ সেবা দিচ্ছে। ডাচ্বাংলা ব্যাংক প্রথম এ সেবা চালু করলেও এখন সবচেয়ে এগিয়ে আছে ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিকাশ। এখন পর্যন্ত ২৮টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অনুমতি নিলেও চালু করেছে ২০টি ব্যাংক। এসব ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা থাকলেও মোট লেনদেনের ৫৫ শতাংশ হয় বিকাশের মাধ্যমে। আর ডাচ্বাংলা ব্যাংকের রকেটের ৩৮ শতাংশ এবং অন্যান্য ব্যাংকের সর্বমোট সাত শতাংশ মার্কেট শেয়ার রয়েছে। ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং চালুর অনুমতি দিলেও পরের বছর এ বিষয়ে একটি নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিয়ম অনুযায়ী শুধু মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট রয়েছে এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ মাধ্যমে লেনদেন করার কথা। তবে অনেক এজেন্ট নিয়ম না মানায় তাদের এজেন্টশীপ বাতিল করা হয়েছে। সঠিক পরিচিতি না থাকায় বেশ কিছু অ্যাকাউন্টও বন্ধ করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোবাইল ফোন অপারেটরের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালিত হলেও বাংলাদেশে পরিচালিত হয় ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকগুলো মোবাইল ফোন অপারেটরদের মাধ্যমে চুক্তি করে এজেন্টের মাধ্যমে এ সেবা দিয়ে থাকে। সেবার বিপরীতে ব্যাংক মোবাইল অপারেটর ও এজেন্ট এই তিন স্থরে কমিশন ভাগ হয়ে যায়। ফলে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং এ সেবা গ্রহণকারীর খরচ বেশি। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আফ্রিকা ও এশিয়া অগ্রগামী। কেনিয়া নাইজেরিয়া তানজানিয়া উগান্ডা বাংলাদেশ ভারত ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তান মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সবচেয়ে ���গিয়ে আছে। ইত্তেফাকএমআর
Bangla_fin_news_articles/4040.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4040,খেলাপি ঋণের ঝুঁকিতে ব্যাংকিং খাত,2017-07-26,আহসান হাবীব রাসেল,খেলাপি ঋণের ঝুঁকিতে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত। সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা সরকারি ব্যাংকগুলোর। দেশের মোট খেলাপি ঋণের প্রায় অর্ধেকই সরকারি আট ব্যাংকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় এক লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা। যা জিডিপির মোট দেশজ আয় ১২ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন খেলাপি ঋণের পরিমাণ জিডিপির ১২ শতাংশ হয়ে যাওয়া রীতিমত ভয়ানক বিষয়। এ ধরনের প্রবণতা ব্যাংকিং খাতসহ গোটা অর্থনীতিকেই চরম সমস্যার মধ্যে ফেলে দিতে পারে। তাই খেলাপি ঋণের রাশ টেনে ধরতে শিগগির কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। তা না করে খেলাপি ঋণের ভার সইতে না পারা সরকারি ব্যাংকগুলোকে পুনঃমূলধনের নামে বছর বছর করদাতাদের টাকা দিয়ে যাওয়া কোনোভাবেই ঠিক হবে না। এসব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন খেলাপি ঋণ দিন দিন যেভাবে বাড়ছে এটা উদ্বেগজনক বিষয়। খেলাপি ঋণ এতো পরিমাণে বেড়ে গেলে ব্যাংকের অনেক টাকা আটকে যায়। এতে ব্যাংকগুলোর ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। মূলধন ঘাটতি হতে পারে। তাছাড়া খেলাপি ঋণ বেশি হলে অনেক টাকা প্রভিশন রাখতে হয়। ফলে ব্যাংকগুলো এ খরচ সামাল দিতে ঋণের সুদ কমাতে পারে না। এতে নতুন উদ্যোক্তাদের উপর চাপ পড়ে। কারণ নতুন উদ্যোক্তারা উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে গেলে সমস্যায় পড়ে। এছাড়াও খেলাপি ঋণের বহুমুখী নেতিবাচক প্রভাব পড়ে ব্যাংকিং খাতে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে বিভিন্ন সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অল্প অর্থ জমা দিয়েই ঋণ পুনঃতফসিল করা যাচ্ছে। ঋণ পুনর্গঠনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এরপরও দিন দিন ঋণ খেলাপির পরিমাণ বাড়ছে। এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন রাজনৈতিক প্রভাবে দেওয়া ঋণগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খেলাপি হয়ে যায়। তাছাড়া দেশে গ্যাসবিদ্যুতের সংকটেও অনেক শিল্প উদ্যোক্তা ঠিকভাবে ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী মার্চশেষে দেশের ব্যাংকিং খাতে মোট ঋণের পরিমাণ প্রায় সাত লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭৩ হাজার ৪০৯ কোটি টাকা। অর্থাত্ মোট ঋণের প্রায় ১১ শতাংশই খেলাপি। এর সঙ্গে অবলোপনকৃত খেলাপি ঋণের প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা যোগ করলে প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় এক লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা। মোট ঋণের তুলনায় খেলাপি ঋণের পরিমাণের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম সারিতে। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন অল্প কিছু ঋণ খেলাপি গোটা ব্যাংকিং খাতকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। বর্তমানে মোট খেলাপি ঋণের ৩৫ শতাংশই নিয়েছে ১২০ জন। এবারই প্রথম জাতীয় সংসদে শীর্ষ একশ ঋণ খেলাপির নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এ ধরনের প্রবণতাকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে তারা বলছেন নাম প্রকাশ করা হলেও তাদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপের কথা বলা হয়নি এটি হতাশার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে একাধিক প্রভাবশালী ঋণ খেলাপির টাকা পরিশোধ না করেই সিআইবি ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো থেকে তাদের নাম প্রত্যাহারের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চাপ দিচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের কঠোর হতে হবে। নইলে ব্যাংকিং খাতে খারাপ নজির সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশের মোট দেশজ উত্পাদন জিডিপি স্থির মূল্যে ৯ লাখ ৪৭ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা। এ হিসাবে প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ জিডিপির ১২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে এ হার অনেক কম। ভারতের জিডিপির পরিমাণ দুই দশমিক ০৭৪ ট্রিলিয়ন ডলার প্রায় ২ লাখ ৭ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। আর তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৫৪ বিলিয়ন ডলার ১৫ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। অর্থাত্ ভারতের জিডিপির ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ খেলাপি ঋণ। যা বাংলাদেশ থেকে অনেক কম। এরপরও ভারত সরকার খেলাপি ঋণ নিয়ে বেশ চিন্তিত। তারা খেলাপি ঋণ আদায়ে কঠোর নীতি গ্রহণ করেছে। এমনকি ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ খেলাপিকে বিদেশ থেকে কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় তুলে আনার নজিরও স্থাপন করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ২০১১ সাল শেষেও দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা যা ওই সময় পর্যন্ত বিতরণকৃত ঋণের ৬ দশমিক ১২ শতাংশ। এরপর থেকেই বেশি হারে বাড়ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। খেলাপি ঋণ বাড়তে থাকায় সরকারি ব্যাংকগুলো মূলধন ঘাটতিতে পড়ছে। তাই পুনঃ মূলধনের নামে এ ব্যাংকগুলোকে টাকার যোগান দিতে হচ্ছে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের সিপিডি গবেষণা বলছে ২০০৮০৯ থেকে ২০১৫১৬ পর্যন্ত এই আট বছরের মধ্যে সা��� বছরই পুনঃ মূলধনের নামে ব্যাংকগুলোকে দেওয়া হয়েছে ১১ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা। আর ২০১৬১৭ অর্থ বছরে দিয়েছে দুই হাজার কোটি টাকা। অর্থাত্ ৯ অর্থ বছরে সরকার প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা যোগান দিয়েছে সরকারি ব্যাংকগুলোকে। করের টাকায় খেলাপি ঋণের এ অর্থের যোগান দেওয়াকে নৈতিকভাবে সমর্থন করেন না অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন এভাবে সরকারি ব্যাংকগুলোকে টাকা দেওয়া হলে করদাতারা নিরুত্সাহিত হবেন। তা ছাড়া সরকারি ব্যাংকগুলোও খেলাপি ঋণ বন্ধে কঠোর হবে না। আর এখানে টাকা দিতে না হলে এই টাকা সরকার শিক্ষা স্বাস্থ্য তথা সামাজিক খাতে ব্যয় করতে পারতো। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন এক সময় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতেই খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি সীমাবদ্ধ ছিল। এখন বেসরকারি ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যেও তা ছড়িয়ে যাচ্ছে। ফলে ব্যাংকগুলো দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে যেতে ভয় পাচ্ছে। এতে দেশের ব্যাংকিং খাতে লক্ষ কোটি টাকার অতিরিক্ত তারল্য সৃষ্টি হয়েছে। খেলাপি ঋণ কমানোর উপায় হিসেবে ড. সালেহউদ্দিন বলেন এ ব্যাপারে সরকারের সমন্বিত এবং কঠোর উদ্যোগ নিতে হবে। দায়সারা পদক্ষেপ নিলে হবে না। প্রয়োজনে ঋণ খেলাপিদের জামানত নিয়ে নিতে হবে। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থায় যাওয়া যেতে পারে। আইনের দ্বারস্থ হলে ব্যাংককে সেখানেও মনোযোগী হতে হবে। যেনতেনভাবে আইনজীবী নিয়োগ করলে টাকা আদায় হবে না। ইত্তেফাকআনিসুর
Bangla_fin_news_articles/4041.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4041,ব্যাংকিং সেক্টর এগিয়ে এলে প্রচুর তরুণ উদ্যোক্তা তৈরি হবে ড আতিউর রহমান,2017-07-26,রিয়াদ খন্দকার,একজন দরিদ্র কৃষকের সন্তান রাখাল বালক থেকে দেশের সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীর পদ অলংকৃত করা তো রূপকথাকেও হার মানায় তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। সততা মেধা নিষ্ঠা ও পরিশ্রম দিয়ে গড়া তার জীবন বর্তমান তারুণ্যকে বরাবরই অনুপ্রাণিত করে। ড. আতিউর রহমান তরুণদের নিয়ে তার নানা কার্যক্রম ও ভাবনার কথা জানিয়েছেন আমাদের এবারের তরুণকণ্ঠে। সাক্ষাত্কারটি নিয়েছেন রিয়াদ খন্দকার আমি গ্রামের মানুষ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছি। কিন্তু আমার পরম সৌভাগ্য যে তখনকার দিনে স্কুলে হয়তো ভালো অবকাঠামো ছিল না এখনকার মতো সুন্দর ভবন ছিল না কিন্তু ভালো শিক্ষক ছিলেন। সে কারণেই আমরা গ্রাম থেকে লেখাপড়া করেও ভালো ইংরেজি শিখতে পেরেছি অঙ্ক শিখেছি এবং জাতীয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হতে পেরেছিলাম। সেখানে দেশের বিভিন্ন পর্যায় থেকে আসা বাছাই করা মেধাবীদের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছিলাম। এই মেধাবীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নেতৃত্ব দেওয়ার জায়গা অর্জন করাটাও বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল। মানুষ তখনই গড়ে ওঠে যখন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। আমার সেই চ্যালেঞ্জটা ছোটবেলা থেকেই ছিল। আমাদের সময়ে লেখাপড়া নিয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ ছিল না। আমরা যখন এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছি তখন ফলাফলে সেরা দশজনের নাম আসত। দুবারই আমার নাম ছিল। আমি বলব যে ভালো করার অনুপ্রেরণা সমাজই দিত মেধাবীদের মূল্যায়ন করত। ইন্টারমিডিয়েট পড়া শেষ করে বের হওয়ার পর আরও একটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলাম। আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার কিছু পরেই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলো। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমরা একটা অভূতপূর্ব সময় পেলাম। শিল্পসাহিত্য চর্চা শুরু হলো পুরোদমে। আমার মনে আছে ১৩৮০ বঙ্গাব্দে ডাকসুর সাহিত্য প্রতিযোগিতায় আমি চ্যাম্পিয়ন হয়ে গোল্ড মেডেল পেয়েছিলাম। আমি গ্রাম থেকে উঠে আসা ছেলে এই অর্জন আমার জন্য অনুপ্রেরণা ছিল। তখন একটা চমত্কার সময় চলছিল। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম তখন ভিপি মাহবুব জামান সাধারণ সম্পাদক ম হামিদ ছিলেন সাংস্কৃতিক সম্পাদক। বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকে বৈচিত্রপূর্ণ কর্মকাণ্ডে আমরা জড়িত থাক��াম। তখনকার তারুণ্য ছিল চ্যালেঞ্জিং। আজকাল পড়াশোনার পাশাপাশি ওরকম কর্মকাণ্ড আমরা তেমনটা দেখি না। আমি পড়াই দেখি ছেলেমেয়েরা ক্লাসে যায়আসে কিন্তু আগেকার সময়ের মতো তেমন সাহিত্য প্রতিযোগিতা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তারা সেভাবে যুক্ত থাকে না। আমাদের শিক্ষকেরা আমাদেরকে উত্সাহ দিতেন। নতুন বই পড়তে বলতেন। এখনকার ছেলেমেয়েরা ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক বেশি ভাবে চাকরিবাকরি নিয়ে ভাবে। কিন্তু আগে আমরা কেবল ভাবতাম উত্সাহউদ্দীপনা নিয়ে সুন্দর সমাজ গড়ে তুলব। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবো। আগেকার ও এখনার তারুণ্যের মধ্যে এই পার্থক্যটাই চোখে পড়ে। তবে এটাও বলতে হয় এখনকার তরুণরা অনেক প্রযুক্তিমনা বৈশ্বিক। প্রযুক্তি ও বিশ্বকে জানার নতুন নতুন সুযোগও তাদের আছে। এখনকার মেধাবীরা বিশ্বমানেরও বটে। তবে এখনকার দুর্বলতা হলো মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্তের ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষা অর্জনে কিছু সমস্যা তৈরি হচ্ছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংকট রয়েছে সবাই সেখানে পড়ার সুযোগ পায় না। আর্থিক সমস্যার কারণে সবাই ভালো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়তে পারে না। বিভিন্ন জায়গায় পড়াশোনা করে সবাই ডিগ্রি পাচ্ছে হয়তো কিন্তু মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত হচ্ছে না। এখন শিক্ষার্থীরা বেশি শিখছে সামাজিকমাধ্যম ও অন্যান্য সুযোগ ব্যবহার করে। অনেকের উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ আছে নতুন কিছু করার আগ্রহ আছে। এটা আগেকার সময়ে ছিল না। এই ছেলেমেয়েদের নেতৃত্ব দিয়ে উত্সাহ দিয়ে গড়ে তোলাও এখন একটা চ্যালেঞ্জ। উদ্যোক্তা তৈরির উপায়গুলো শিক্ষামাধ্যমেও আসতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। নতুন নতুন কাজে অংশ নিতে উত্সাহ দিতে পারে। আমরা দেখি আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ফেসবুকগুগলের মতো প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা তৈরি করে দিয়েছে। আমি বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকার সময় উদ্যোক্তা তৈরির জন্য ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গে একটা চুক্তি স্বাক্ষর করে এসেছিলাম এসএমই থেকে ঋণ দেওয়ার কথা ভেবেছিলাম এবং একশো কোটি টাকার একটা ফান্ড তৈরি করেছিলাম। তবে পরে ঢাকা চেম্বার সেভাবে এগোতে পারেনি কিন্তু সুযোগটা এখনো আছে। নারীদের জন্যও কাজ করেছি। এসএমইয়ের মাধ্যমে অনেক নারী উদ্যোক্তা তৈরির চেষ্টা করেছি। অন্যান্য অনেক উদ্যোগের পাশাপাশি সব ব্যাংককে একটা শর্ত দিয়েছিলাম যে তাদের প্রত্যেক শাখা থেকে প্রতিবছর অন্তত একজন নারী উদ্যোক্তাকে টাকা দিতে হবে। এভাবে একধাক্কায় প্রতিবছর দশহাজার নতুন নতুন নারী উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছিল। আমাদের কর্মকর্তাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। দেশে উদ্যোক্তা তৈরি ব্যাপারে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নেতৃত্ব দিচ্ছিল এটা অনেক দেশের কাছে চমকপ্রদ বিষয় ছিল। এসএমইতে যেভাবে জোর দিচ্ছিলাম তার সঙ্গে তরুণদের দারুণ সম্পর্ক ছিল। তরুণ উদ্যোক্তারা কেবল নিজেরাই উদ্যোক্তা হয় তা নয় তারা অনেকের কর্মসংস্থানও তৈরি করে দেয়। আগে তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের বিদেশে কোনো লাইসেন্স নিতে চাইলে আউটসোর্সিং করতে চাইলে কিংবা অনলাইনে কোনোকিছু অর্ডার করতে চাইলে ক্রেডিট আদানপ্রদানের সে সুযোগটা ছিল না। আমরা সেটা তৈরি করলাম যাতে সহজেই অর্থ লেনদেন করা যায়। তৃণমূল পর্যায়ে অনেকেরই ক্রেডিট কার্ড নেই। ব্যাংকগুলোকে ভার্চুয়াল ক্রেডিট কার্ড করার নির্দেশ দিলাম। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা আছে এখন। এক এটিএমে সব ব্যাংকের টাকা তোলা যাচ্ছে। বড় বিপ্লব ঘটে গেছে ব্যাংকিংয়ে ইকমার্সে। ব্যাংকে চাকরির জন্য এখন যারা আবেদন করেন তাদের কাছ থেকে কোনো পয়সা নেওয়া হয় না। আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে একটা সার্কুলার জারি করে বলেছিলাম যারা ব্যাংকিং সেক্টরে চাকরির আবেদন করবেন তাদের কাছ থেকে কোনো টাকা নেওয়া যাবে না। নিম্নবিত্ত পরিবারের অনেকেই আছেন যারা পড়াশোনা শেষ করে চাকরি খোঁজেন এসময়টায় অর্থকষ্টে ভোগেন কিন্তু চাকরির আবেদন করতেও তাদেরকে হাজার হাজার টাকা জোগাড় করতে হয়। আমি বললাম না ব্যাংকিং সেক্টরে এটা করা যাবে না। এখন সরকারিবেসরকারি সব ব্যাংকে বিনা পয়সায় আবেদন করা যায়। দেশের পাবলিক ব্যাংকগুলো যে পরীক্ষা নিচ্ছিল তার অনেক জায়গায় তদবিরদুর্নীতির খবর ও অভিযোগ শুনেছিলাম। আমি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করলাম। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনে সব ব্যাংকের নিয়োগ তদারকির কমিটি করা হলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে পরীক্ষা নেওয়া শুরু হলো। শুরুতে এর বিরোধিতা থাকলেও পরবর্তীতে তরুণেরা উপকৃত হয়েছে। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকে দেশের প্রান্তিক জায়গা থেকেও অনেকে চাকরিতে আসছে মেধার জোরে কোনো তদবির লাগছে না। তরুণরা এখন আশ্বস্ত বোধ করছেন এটা বলতে পারি। ব্যাংকগুলোকে নীতিমালার মাধ্যমে বলা হয়েছে শিক্ষাখাতে ব্যয় করার জন্য কর্পোরেট সোশ্যাল রেস্পনসি��িলিটিসিএসআর ফান্ডের একতৃতীয়াংশ অর্থ বরাদ্দ রাখতে হবে। বৃত্তি দিতে হবে। হাজার হাজার বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। খুব সাধারণ ও দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েরা এই টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। আমি যখন শুরু করি তখন সিএসআর ফান্ডে প্রথম বছরে ছিল পঞ্চাশ কোটি টাকা। আমি যখন বেরিয়ে আসি তখন তা ছিল ছয়শো কোটি টাকা। তরুণ প্রজন্মের জন্য এটা একটা সহায়ক কর্মকাণ্ড হয়েছে বলে আমি মনে করি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ল্যাবরেটরি স্থাপনে কনফারেন্স রুম বা অডিটোরিয়াম তৈরিতে ব্যাংকগুলো সহযোগিতা করছে। আমরা মেয়েদেরকে ব্যাংকিং সেক্টরে আসার জন্য আগ্রহী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকগুলোতে জেন্ডার পলিসি দিয়েছি। কোনো নারী যেন নির্যাতিত না হন সে ব্যাপারে কড়া নির্দেশনা দেওয়া ছিল এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হেল্পলাইন ছিল। আমরা নির্দেশনা দিয়েছিলাম সন্ধ্যা ৬টার আগেই নারী কর্মকর্তাদের ছুটি দিতে হবে। এর বাইরেও নিশ্চিতভাবে ছয়মাসের ম্যাটারনিটি লিভ দেওয়াসহ নারী কর্মকর্তাদের ছোট ছোট বাচ্চাদের জন্য বিশ্বমানের ডেকেয়ার সেন্টার করা হয়েছে। আমাদের তরুণদের যারা বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করছেন তাদেরকে মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার জন্য আমরা ছয়মাসের ফাউন্ডেশন ট্রেনিংয়ের মধ্যে পনেরো দিন থেকে একমাসের জন্য গ্রামে পাঠাতাম। তারা গ্রামাঞ্চলে কৃষি ঋণ এসএমই ও অন্যান্য ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা দিয়ে আসতেন। শহরের ছেলেমেয়েরা গ্রামে গিয়ে থেকে এসে ইতিবাচকভাবেই কাজ শুরু করত। ফাউন্ডেশন ট্রেনিং শেষে সপ্তাহখানেকের জন্য বিদেশে পাঠানো হতো অন্যান্য দেশের ব্যাংকিং সম্পর্কে সম্যক ধারণা নেওয়ার জন্য। এরকম অনেক উদ্যোগ আছে। উচ্চশিক্ষারও অনেক সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। যারা বিদেশে পড়ার সুযোগ পেত তাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা করে দেওয়া হতো। এআইটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজসহ বিভিন্ন বিষয়ে মাস্টার্সের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবছরই বিদেশে ছোট ছোট নানা প্রশিক্ষণে যাওয়ার সুযোগ থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন অনেক অগ্রসর এজন্য এমনও হয়েছে যে আমাদের নবীন কর্মকর্তাদের অনেকে বিসিএস উত্তীর্ণ হয়েও বাংলাদেশ ব্যাংক ছেড়ে যাননি। অনেকে বিসিএস বা অন্য চাকরিতে যাওয়া��� জন্য দোটানায় ভুগতেন তখন তাদেরকে একবছরের ছুটি দেওয়া হতো। অন্য চাকরি ভালো না লাগলে পুনরায় বাংলাদেশ ব্যাংকে ফেরত আসার সুযোগ পেয়েছেন তারা। এখন সেন্ট্রাল ব্যাংকিংকে একটা মর্যাদাপূর্ণ পেশা হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে। তরুণ প্রজন্মকে উত্সাহিত করার জন্য আরও অনেক কাজ করেছি। আমাদের ছেলেমেয়েরা শিক্ষার শুরু থেকেই যদি আর্থিক শিক্ষা না পায় তবে তো বড় হলে ভালো উদ্যোক্তা কেমন করে হবে আমরা স্কুল পর্যায়েও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। এমনকি ছয় থেকে আঠারো বছর বয়সের শিশুশিক্ষার্থীরাও অ্যাকাউন্ট করেছে। একটি পত্রিকার প্রতিবেদনে এসেছে এরইমধ্যে এমন বারো লক্ষ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এক হাজার একুশ কোটি টাকা তারা ব্যাংকে জমিয়েছে। এই জমানো টাকা তারা ভবিষ্যতে বড় হয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার কাজে ব্যয় করতে পারবে। আমি বর্তমান গভর্নরের সঙ্গে এসব প্রসঙ্গে আলাপ করলাম। তিনি শিক্ষাসচিবের কাছে চিঠি লিখেছেন যেন পাঠ্যক্রমে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত আর্থিক শিক্ষা সংযোজন করা হয়। এরকমভাবেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানা ইতিবাচক কাজ করছে। যাদের কথা কেউ ভাবে না সেই পথশিশুদের জন্যও আমরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করেছি। শুরুতে অনেকে সায় দেননি কারণ অনেকেই বললেন এই শিশুদের অভিভাবক নেই বাবামা নেই তাদের হয়ে কে দাঁড়াবে। আইনজীবীর কাছে পাঠাতে বলায় একজন আইনজীবীও শুরুতে সম্মতি দিলেন না। আমি নিজে অন্য একজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে বললাম আমি যদি অভিভাবক হই তাদের লিখে দিন যে কেউ তাদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করলে তাদের অ্যাকাউন্ট করা যাবে। সেভ দ্য চিল্ড্রেন বা এরকম কিছু প্রতিষ্ঠানকে বললাম আপনারা পথশিশুদের নিয়ে কাজ করছেন যেহেতু তাই তাদের অভিভাবকত্বের দায়িত্ব নিন। আমাদের তরুণরা আউটসোর্সিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে বলে জানলাম। আমরা পেপল সেবা দেশে চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি। যেখানে ব্যাংক নেই সেখানে এজেন্ট ব্যাংকিং আছে মোবাইল ব্যাংকিং আছে। অর্থনৈতিক উন্নতিতে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দারুণ মানবিক উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে যার সুফল আমরা পাচ্ছি এবং তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। লেখক সাবেক গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংক অনুলিখন সৈয়দ তাওসিফ মোনাওয়ার ইত্তেফাকনূহু
Bangla_fin_news_articles/4042.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4042,এক বছরে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৫০ শতাংশ,2017-07-25,ইত্তেফাক রিপোর্ট,মানিলন্ডারিং ও জঙ্গি এবং সন্ত্রাসের অর্থায়নে এক বছরে এক হাজার ৬৮৭টি সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সি ইউনিট বিএফআইইউ। আগের অর্থবছরে এক হাজার ৯৪টি সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। এক বছরে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৫৪ শতাংশ। মঙ্গলবার প্রকাশিত বিএফআইইউয়ের ২০১৫১৬ অর্থবছরের বার্ষিক রিপোর্টে এসব তথ্য জানা গেছে। জঙ্গি বা সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঘুষদুর্নীতি বা বেআইনি কোনো লেনদেনের বিষয়ে সন্দেহ হলে ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা অন্য রিপোর্ট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে রিপোর্ট করে। যা সন্দেহজনক লেনদেন প্রতিবেদন এসটিআর হিসেবে বিবেচিত। একই ভাবে সাত লাখ টাকার ওপরে যে কোনো ধরনের লেনদেন হলে তা নগদ লেনদেন প্রতিবেদন সিটিআর হিসেবে রিপোর্ট করতে হয়। বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয় গত ২০১৫১৬ অর্থবছরে ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিমা ক্যাপিটাল মার্কেট সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও অর্থপ্রেরণ ও আনয়ণকারী প্রতিষ্ঠান এক হাজার ৬৮৭টি এসটিআর করেছে। প্রতিমাসে গড়ে ১৪১টি করে এসটিআর পেয়েছে। আগের অর্থবছর প্রতিমাসে এসটিআর আসে ৯১টি করে। ওই রিপোর্টে দেখা যায় অর্থপাচার জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অর্থায়ন চোরাচালানসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে ব্যাংকের মাধ্যমে নগদ টাকার লেনদেন বাড়ছে। গত ২০১৫১৬ অর্থবছরে নগদ লেনদেনের সিটিআর এক কোটি ২৭ লাখ রিপোর্ট পাঠিয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এর সঙ্গে অর্থের পরিমান ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা। তার আগের অর্থবছরের তুলনায় সিটিআর বেড়েছে ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ। ইত্তেফাকএএম।
Bangla_fin_news_articles/4043.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4043,দুরন্ত বাইকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন তাসকিন,2017-07-24,অনলাইন ডেস্ক,দুরন্ত বাইকএর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। সম্প্রতি রাজধানীর বাড্ডায় আরএফএফের প্রধান কার্যালয়ে তাসকিন আহমেদ ও দুরন্ত বাইক এর জেনারেল ম্যানেজার বিপণন চৌধুরী ফজলে আকবর এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। দুরন্ত বাইকদেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান আরএফএল গ্রুপের বাইসাইকেল ব্র্যান্ড। এ চুক্তি অনুযায়ী তাসকিন আহমেদ আগামী এক বছর ব্র্যান্ডটির বিভিন্ন প্রমোশনাল কাজে অংশ নেবেন। এ বিষয়ে চৌধুরী ফজলে আকবর জানান তাসকিন বাংলাদেশের জনপ্রিয় ক্রিকেটার। তাকে দুরন্ত বাইকএর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে পাওয়ায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। তরুণ এ পেসার তার কার্যক্রমের মাধ্যমে দুরন্ত বাইক এর জনপ্রিয়তা আরো বাড়িয়ে দেবেন। তাসকিন বলেন দুরন্ত বাইক দেশের জনপ্রিয় একটি ব্র্যন্ড। এই ব্র্যান্ডের জন্যে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দুরন্ত বাইক এর ব্র্যান্ড ম্যানেজার রকিবুল আহসানসহ প্রতিষ্ঠানটির উধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইত্তেফাকইউবি
Bangla_fin_news_articles/4044.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4044,পদ্মা সেতু ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে বদলে যাবে দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল,2017-07-23,অনলাইন ডেস্ক,পদ্মা সেতু ও পায়রা সমুদ্র বন্দর নির্মাণ সম্পন্ন হলে বদলে যাবে বরিশাল অঞ্চল। সরকারের বৃহৎ এই দুই প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে গতি বাড়বে এখানকার ব্যবসাবাণিজ্য ও শিল্পায়নের। ইতোমধ্যে অনেক শিল্পপতি জমি কিনতে শুরু করেছেন এখানে। গড়ে উঠতে শুরু করেছে নিত্য নতুন শিল্পকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এতে করে সুযোগ হবে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির। জানা যায় পায়রা বন্দরে জমি কিনতে শুরু করেছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা বড় বড় শিল্পপতিরা। শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্য এখানকার জমির দামও বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। গাজী পারটেক্স মদিনা আজমত নাভানা গ্রুপের মত প্রায় অর্ধশত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পায়রা বন্দর কুয়াকাটাসহ আশপাশের এলাকায় জমি কিনছে। আসছে বিদেশি বিনিয়োগ। বিশাল সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে পায়রা বন্দরকে ঘিরে দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে। অন্যদিকে পদ্মা সেতুর ২পাশের বিশাল এলাকা জুড়ে বিভিন্ন স্থানে নির্মিত হচ্ছে শিল্প কারখানা। অনেক ব্যবসায়ী পদ্মা সেতু নির্মাণের পর এখানকার চাহিদার কথা মাথায় রেখে জমি কিনে রাখছেন। গড়ে উঠছে বিভিন্ন স্থাপনা। পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের ভাঙ্গার দিকে বিপুল শিল্পায়নের সম্ভাবনা রয়েছে। সব মিলিয়ে পদ্মা সেতুর সুফল কাজে লাগিয়ে পুরোদমে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হলে এই অঞ্চলে বাণিজ্যিক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ১৯ জেলার কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজ এগিয়ে চলছে। নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর কল্যাণে সরাসরি রেলপথ যাবে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা হয়ে বরিশাল দিয়ে পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দরে। এর মাধ্যমে এখানে উচ্চমাত্রায় অর্থনৈতিক গতি সঞ্চার হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বিশিষ্ট শিল্পপতি ও বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু জানান পায়রা বন্দর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর বরিশাল তথা এই অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা উৎসব মুখর অবস্থায় রয়েছে। কারণ পদ্মা সেতুরও নির্মাণ কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এ দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ব্যাপক শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক কেন্দ্রবিন্দুতে রূপ নেবে বরিশাল অঞ্চল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা আসবেন এখানে বিনিয়োগ করতে। বা���স ইত্তেফাকএমআর
Bangla_fin_news_articles/4045.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4045,‘ইভাঙ্কা ট্রাম্প’ ব্র্যান্ডের পোশাক যাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে,2017-07-23,ইত্তেফাক রিপোর্ট,মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্পের তার নিজের নামে একটি পোশাকের ব্র্যান্ড রয়েছে। আর এ ব্র্যান্ডের কাপড় তৈরি হয় বাংলাদেশ চীন ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশে। ৯৭ শতাংশ কাপড়ই এ দেশগুলো থেকে আমদানি করা হয়। বাংলাদেশ থেকে জিন্স জ্যাকেটই বেশি আমদানি করা হয়। গত ১৭ জুলাই ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে ইভাঙ্কা ট্রাম্পের বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। রাজনৈতিক কারণ ছাড়াও তার ফ্যাশনকে অনেকে অনুকরণ করেন। তাই ইভাঙ্কা ট্রাম্প ব্র্যান্ডের প্রচলনও বেশ। ২০১৬ সালে পোশাক বিক্রির তালিকায় এ ব্র্যান্ড ছিল এগিয়ে। এ ব্র্যান্ডটি তাদের পোশাক তৈরিতে বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি করে। বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের মান অনেক ভালো হওয়ায় এখানকার কাপড়ের অনেক চাহিদা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় শ্রমিক ইস্যু নিয়ে নানা কথা থাকলেও এখানকার কাপড় অনেক উন্নত মানের। তাই ইভাঙ্কা ট্রাম্পের ব্র্যান্ড ছাড়া অন্য নামিদামি ব্র্যান্ডগুলোও বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি করে। এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন হায়ার অ্যামেরিকান ও মেইড ইন অ্যামেরিকা নামের ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বিদেশ থেকে পণ্য উত্পাদন করে দেশে বিক্রি করার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এর মধ্যেও ইভাঙ্কা ট্রাম্প ব্র্যান্ডের পোশাক বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা হয়। পোশাকের মান ধরে রাখার জন্য তারা বাংলাদেশ থেকে পোশাক নিচ্ছে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। বাংলাদেশের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ইপিবি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৬১৭ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে ৫২০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। আগের অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৫৬২ কোটি ডলার। অর্থাত্ গেল অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে প্রায় সাড়ে ৭ শতাংশ। এর আগে ২০১৪১৫ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ৫২৯ কোটি ডলার।
Bangla_fin_news_articles/4046.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4046,বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করার দিকনির্দেশনা থাকবে,2017-07-23,রেজাউল হক কৌশিক,দেশের রাজনৈতিক অঙ্গণে নেই কোন হাঙ্গামা। তবে এ শান্ত পরিস্থিতিতেও বিনিয়োগের মন্দা কাটছে না। বিনিয়োগ না বাড়ার কারণে ব্যাংকগুলোতে প্রচুর উদ্বৃত্ত বা অলস অর্থ পড়ে আছে। উদ্বৃত্ত এসব অর্থ কাজে লাগাতে পারলে তা অর্থনীতির জন্য সুফল বয়ে আনবে। বেসরকারি খাতই এ অর্থ কাজে লাগানোর জন্য উত্তম জায়গা। তাই বেসরকারি খাততে উত্সাহ দেওয়ার দিকনির্দেশনা থাকবে চলতি ২০১৭১৮ অর্থবছরের প্রথমার্ধের জুলাইডিসেম্বর মুদ্রানীতিতে। প্রয়োজনে বেসরকারি খাততে প্রণোদনা দেওয়ার কথাও কথাও ভাবছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাজেটে ঘোষিত জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য সহায়ক বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্ব থাকবে। অন্যদিকে বাজারে বেশি অর্থ চলে যেয়ে যাতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রেখে নতুন মুদ্রানীতি বুধবার ঘোষিত হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে টেকশই উন্নয়ন অভীষ্ট এসডিজি অর্জনের জন্য এবারের মুদ্রানীতিতে প্রথমবাবেরমত দিকনির্দেশনা থাকবে। প্রসঙ্গত এসডিজি অর্জনের জন্য সরকার প্রথম থেকেই কর্মসূচি নিয়েছে। পরিকল্পনা থেকে শুরু করে অর্থায়ন মন্ত্রণালয়ভিত্তিক বাস্তবায়ন কর্মপরিকল্পনাসহ সংশ্লিষ্ট সকল তথ্য সংগ্রহ করছে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যর এমডিজি পর ২০১৬ সাল থেকে এসডিজি শুরু হয়েছে। সম্প্রতি জাতিসংঘের এক বিশেষ অধিবেশনে বাংলাদেশের এসডিজি অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের ২০১৭১৮ প্রথমার্ধের জুলাইডিসেম্বর মুদ্রানীতি ঘোষণা হবে আগামী বুধবার। সকাল সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ফজলে কবির আগামী ৬ মাসের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন। গভর্নর হিসাবে গত বছরের মার্চে দায়িত্ব নেওয়ার পর ফজলে কবির তৃতীয়বারের মত মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছেন। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে গত কয়েকটি মুদ্রানীতির ধারা ঠিক রেখে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. বিরূপাক্ষ পাল বলেন ব্যাংকিং খাতের উদ্বৃত্ত তারল্য বিনিয়োগে নিয়ে আসার জন্য একটি কাঠামো গঠন করতে হবে। একইসঙ্গে ব্যাংকিং খাতের শৃংখলা ও সুশাসন ফিরিয়ে আনতে হবে। গত দেড় বছরে দেশের ব্যাংকিং খাতে এমন কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি যে খেলাপি ঋণ বাড়বে। কিন্ত খেলাপি ঋণ বাড়ছে। তিনি বলেন বেসরকারি খাতে ঋণ বাড়ছে অন্যদিকে খেলাপি ঋণও যদি বাড়ে তাহলে ওই ঋণের কার্যকারিতা থাকে না। সঠিকভাবে ঋণ কম বিতরণ হলেও ভাল প্রবৃদ্ধি পাওয়া যায়। সুদের হারের ক্ষেত্রে নৈরাজ্য চলছে বলে মনে করেন বিরূপাক্ষ পাল। তিনি বলেন সঞ্চয়পত্রে যেভাবে সুদ দেওয়া হচ্ছে তাতে মুদ্রানীতির কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকের আমানতে সুদের হারের চেয়ে অনেক বেশি সুদ পাওয়া যায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে। তাই এ ব্যাপারে মুদ্রানীতিতে সঠিক দিকনির্দেশনা থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন এ অর্থনীতির অধ্যাপক। বাংলাদেশ ব্যাংকের রেপোরিভার্স রেপো সঠিকভাবে কাজ করছে না বলেও তিনি মনে করেন। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য রাখার লক্ষ্য নিয়ে প্রতি ৬ মাস অন্তর আগাম মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাকে অগ্রাধিকার দিয়ে মুদ্রানীতিতে ঋণ ও মুদ্রাযোগান বাড়ানো বা কমানোর লক্ষ্যস্থির করা হয়। এবারের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি সাড়ে পাঁচ শতাংশ সীমিত রাখার কথা বলা হয়েছে। গত জুনে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ। যা গত মুদ্রানীতিতে ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা বেশি। সূত্র জানিয়েছে বেসরকারি খাতে এবারে ঋণ যোগানের প্রাক্কলন সামান্য বাড়িয়ে ১৭ শতাংশ করা হতে পারে। আবার নির্বাচনের আগে উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কাজ করতে গিয়ে সঞ্চয়পত্রের পাশাপাশি ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। গত কয়েকটি মুদ্রানীতিতে ব্যাংক থেকে সরকারের যে ঋণ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে তা নেওয়া হচ্ছে না। উল্টো ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করছে সরকার। তাই বেসারকারি খাতের পাশাপাশি সরকারি ক্ষেত্রেও যেন প্রয়োজনীয় যোগান দেওয়া যায় সে দিকে নজর দেওয়া হবে। গত জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে সাড়ে ১৬ শতাংশ ঋণ বাড়ানোর প্রাক্কলন করা হয়। গত মে পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে ১৬ দশমিক শুন্য ৩ শতাংশ। আর সরকার ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার পরিবর্তে ১৮ হাজার ২৯ কোটি টাকা বেশি পরিশোধ করেছে। ফলে বেসরকারি খাতে ঋণ যোগানে বাড়তি কোনো চাপ ছিল না। জানা গেছে নতুন মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ যোগানের প্রাক্কলন বাড়ানো হলেও ব্যা���ক মুদ্রা যোগানের লক্ষ্যমাত্রা একই রকম থাকছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং জিডিপির প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা বা এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যেই মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি ৬ মাস অন্তর আগাম মুদ্রানীতি ঘোষণা করে থাকে। দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় মুদ্রানীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে পরবর্তী ছয় মাসে অভ্যান্তরীণ ঋণ মুদ্রা সরবরাহ অভ্যন্তরীণ সম্পদ বৈদেশিক সম্পদ কতটুকু বাড়বে বা কমবে তার একটি পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। মুদ্রানীতি চুড়ান্ত করতে অন্যান্য বছরের মত এবারও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ বিশিষ্ট ব্যাংকার প্রাক্তন গভর্নর প্রাক্তন মন্ত্রী সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে পরামর্শ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
Bangla_fin_news_articles/4047.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4047,‘‌বন্দর সার্বক্ষণিক চালু থাকায় আমদানিরফতানি গতিশীল হবে’,2017-07-22,অনলাইন ডেস্ক,জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেছেন আগামী ১ আগস্ট থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে সাতদিন চালু থাকবে। একই সময় থেকে বেনাপোল স্থল বন্দরের কার্যক্রমও ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। এতে আমদানিরফতানি আরো গতিশীল হবে। আজ শনিবার চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ও চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানিরফতানি কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি। সার্বক্ষণিক কাস্টমস হাউসে আমদানিরফতানি কার্যক্রম চালু থাকার ফলে বন্দর ব্যবহারকারীরা তিনটি সুবিধা পাবে উল্লেখ করে নজিবুর রহমান বলেন বন্দর ব্যবহারকারীসহ সবাই তিন দিক থেকে উপকৃত হবেন। এর মধ্যে প্রথমত বন্দর ব্যবহারকারীরা সার্বক্ষণিক সেবা পাবেন। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সবসময় সংযুক্ত থাকতে পারবেন। দ্বিতীয়ত ১২ ঘণ্টার পরিবর্তে ২৪ ঘণ্টা বন্দর চালু থাকলে পণ্য শুল্কায়নসহ সব ক্ষেত্রেই চাপ কমবে দক্ষতা বাড়বে। তৃতীয়ত সারা দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। যেহেতু রাতে পণ্য খালাস হবে তাতে জনগণের চলাচলে বাধা সৃষ্টি হবে না। বন্দর সার্বক্ষণিক চালু রাখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অংশীদার বন্দর কর্তৃপক্ষ একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন আমদানিরফতানি পণ্য দ্রুত খালাসের স্বার্থে আমরা দ্বিপাক্ষিকভিত্তিতে সমন্বিতভাবে কাজ করছি। এর পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য বিভাগ যেমনলেনদেনের জন্য ব্যাংক ব্যবস্থা পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য বিএসটিআই আনবিক শক্তি কমিশনের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি প্রয়োজন। এসব অংশীদারদের নিয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। প্রসঙ্গত ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস পরীক্ষামূলকভাবে সার্বক্ষণিক পণ্য শুল্কায়ন পণ্য চালানের পরীক্ষণ ও খালাস কার্যক্রম শুরু করেছে। ১ আগস্ট থেকে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওইদিন চট্টগ্রাম ও বেনাপোল বন্দরের ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান কার্যক্রম উদ্ধোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এনবিআর পিএসসি থেকে সম্প্রতি যে ৬০০ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পেয়েছে এর অনেককেই এই দুই বন্দরে পদায়ন করা হবে বলে তিনি জানান। বাসস ইত্তেফাককেকে
Bangla_fin_news_articles/4048.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4048,নতুন মুদ্রানীতিতে নতুনত্ব থাকবে কতটা,2017-07-22,রেজাউল করিম খোকন,বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থবছরের সঙ্গে মিল রেখে বছরে দুবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রেখে কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য থাকে মুদ্রানীতিতে। উত্পাদনমুখী বিনিয়োগের পাশাপাশি আর্থিক খাত শৃঙ্খলিত রাখার ঘোষণা থাকে মুদ্রানীতিতে। সরকারের বাজেটের সঙ্গে মিল রেখেই ঘোষিত হয় মুদ্রানীতি। এবারের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৫ শতাংশ। এ সপ্তাহেই ২০১৭১৮ অর্থবছরের প্রথম এবং ২০১৭ সালের দ্বিতীয় মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ফজলে কবির। মুদ্রানীতি তৈরির অংশ হিসেবে এবারও বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ব্যবসায়ী কেন্দ্রীয় ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিশিষ্টজনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে আসা পরামর্শের আলোকে তৈরি করা এই নতুন মুদ্রানীতিতে কি থাকছে তা দেশের অর্থনীতি ব্যবসাবাণিজ্য সংশ্লিষ্ট সবার মনোযোগ ও কৌতূহলের বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। গত অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় এবারও সতর্ক মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে বলে ধারণা করা যায়। বিশেষ করে মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকায় তা নিয়ন্ত্রণের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। মূল্যস্ফীতি টানা তিন প্রান্তিক ধরে বাড়ছে। সর্বশেষ এপ্রিলজুন প্রান্তিকের হিসাবে এই তিন মাসের গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ হয়েছে। এর আগের প্রান্তিকে এই হার ছিল ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। অক্টোবরডিসেম্বর প্রান্তিকে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৩২ শতাংশ। তবে অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে জুলাইসেপ্টেম্বরে ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। পুরো অর্থবছরের মধ্যে গত তিন মাসেই সাধারণ সীমিত আয়ের মানুষকে বেশি চাপে ফেলেছে। শেষ প্রান্তিকে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কারণ হিসেবে আগাম বন্যার কথা বলা যায়। যার কারণে চালের দাম বেড়েছে। আবার এই প্রান্তিকে বাজেট পাস হয়েছে। তাই বাজেট উপলক্ষেও কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। মূলত এসব কারণে শেষ প্রান্তিকে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। সার্বিকভাবে বিদায়ী অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। যা আগের বছরের চেয়ে কম। ২০১৫১৬ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় ���ূল্যস্ফীতি বাড়ছে। খাদ্য আমদানিতে খরচও বাড়ছে। তবে প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয়ে মন্দাবস্থায় কমেছে বৈদেশিক মুদ্রা আয়। নতুন বিনিয়োগ না হলেও বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহে কিছুটা চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে। এতে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের সুযোগ এসেছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যে কারণে নতুন মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবাহ কিছুটা বাড়ছে। এসব বিষয়কে সামনে রেখেই চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের জুলাইডিসেম্বর মুদ্রানীতি ঠিক করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সামনে যে মুদ্রানীতি আসবে তা বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জই হবে। কারণ বর্তমানে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। এর মধ্যে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা খুবই কঠিন হবে। অর্থবছরের প্রথমার্ধ্বের মুদ্রানীতিতে বিনিয়োগের ওপর বেশি জোর দিতে হবে। বিশেষ করে বেসরকারি খাতে। এছাড়া যেহারে বাজারে কাজের জন্য লোক আসছে সে হারে কর্মসংস্থান হচ্ছে না। তাই কর্মসংস্থান বাড়ানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানির নেতিবাচক ধারার এক বিশেষ কারণ এক্সচেঞ্জ রেট খুবই শক্তিশালী। এ বিষয়ে চিন্তা করতে হবে। অর্থাত্ এক্সচেঞ্জ রেট বা মুদ্রা বিনিময় হার সহনীয় পর্যায়ে আনতে হবে। খেলাপি ঋণ কমানোর বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। এছাড়া সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমানোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে মনোযোগী হতে হবে। গত অর্থবছরে মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি বেড়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত উত্পাদন দৃশ্যমান হয়নি। তাই উত্পাদনশীল খাতের ওপর জোর দিতে হবে। বিশেষ করে বেসরকারি বিনিয়োগের প্রতি বেশি জোর দিতে হবে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে গৃহীত কার্যক্রমের ঘোষণা থাকতে হবে মুদ্রানীতিতে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের ওপর গুরুত্ব দিয়ে ঋণ প্রবাহ বাড়ানোর দিক নির্দেশনা থাকতে হবে নতুন মুদ্রানীতিতে। অনেক উন্নত ও উচ্চ আয়ের দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই মূল্যস্ফীতি ও প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে। এ কারণে তাদের মুদ্রানীতিতে নতুনত্ব আনার সুযোগ থাকে। সরকারের লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে মিল রেখেই বাংলাদেশ মুদ্রানীতি দিতে হয়। এ কারণে মুদ্রানীতির সঙ্গে সম্পর্ক না হলেও আর্থিক শৃঙ্খলা আনা মুদ্রানীতির অন্যতম লক্ষ্য হওয়া উচিত। ব্যাংকগুলো কেন খারাপ হয়ে পড়েছে খেলাপি ঋণ কিভাবে কমানো যায় তার উদ্যোগ থাকতে হব�� মুদ্রানীতিতে। তবে সরকারের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ও মূল্যস্ফীতির সঙ্গে মিল রেখে ১৬ শতাংশ ব্রড মানি ব্যাপক মুদ্রার প্রক্ষেপণ করা যেতে পারে। নতুন মূল্য সংযোজন কর মূসক বা ভ্যাট আইন কার্যকর না হওয়ায় চলতি ২০১৭১৮ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়ন কঠিন হবে বলে মনে করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি আগেভাগেই বাজেটের সংশোধনও করবেন বলে জানিয়েছেন। নতুন আইনের আওতায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট হার ধরে চলতি অর্থবছরের বাজেটটি তৈরি করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই আইন কার্যকরের সময় দুই বছর পিছিয়ে গেছে। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী বলেছেন নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হওয়া পিছিয়ে গেলেও বাজেটের আকারে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। সেজন্য এবারের সংশোধিত বাজেট অন্যবারের তুলনায় আগেই দেওয়া হবে। নতুন ভ্যাট আইনের আওতায় ভ্যাট থেকে বাড়তি ২০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের চিন্তা ছিল সরকারের। চলতি অর্থবছরের নতুন মুদ্রানীতিতে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নতুন প্রাণ সঞ্চারে বিশেষ দিক নির্দেশনা থাকবেএমনটাই প্রত্যাশা সবার।
Bangla_fin_news_articles/4049.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4049,চট্টগ্রামবেনাপোল বন্দর সপ্তাহের ৭দিনে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে,2017-07-20,অনলাইন ডেস্ক,চট্টগ্রাম সমুদ্র ও বেনাপোল স্থল বন্দর সপ্তাহের ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে।দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও আমদানিরপ্তানি কার্যক্রম সহজ ও উন্নত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১ আগস্ট বন্দর দুটির ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বেনাপোলপেট্টাপোল স্থল বন্দর ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা এবং পশ্চিমবঙ্গবাংলাদেশের সীমান্তে অবস্থিত অন্যান্য স্থলবন্দরের মাধ্যমে আরো বেশী আমদানিরফতানির সুযোগ সৃষ্টি সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব কথা জানান। বৈঠকে জানানো হয় বেনাপোল বন্দরে এ ব্যবস্থা কার্যক্রম করার জন্য কাস্টমস বিভাগের পাশাপাশি ইমিগ্রেশন ব্যাংক বিজিবি এবং ভারতের পেট্টাপোলের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কার্যক্রম সপ্তাহের সাত দিন ২৪ ঘণ্টা চালু রাখা প্রয়োজন। পেট্টাপোল স্থল বন্দর ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানাবে। উল্লেখ্য ব্যবসাবাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ২০০১ সালের ১৪ জুন বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্যায়ে বেনাপোলসহ মোট ১২টি শুল্ক স্টেশনকে স্থল বন্দর হিসাবে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে দেশে ২৩টি স্থল বন্দর রয়েছে। ইত্তেফাকএমআর
Bangla_fin_news_articles/4050.csv ADDED
@@ -0,0 +1,2 @@
 
 
 
1
+ Serial,Title,Date,Author,News
2
+ 4050,আয়নাইজার প্রযুক্তির এসি আনলো ওয়ালটন,2017-07-19,অনলাইন ডেস্ক,ওয়ালটন এসিতে নতুন সংযোজন হচ্ছে আয়নাইজার প্রযুক্তি। এটি ব্যবহারের ফলে রুমের বাতাস হবে ধূলাময়লা ও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত। নিশ্চিত করবে স্বাস্থ্যকর শীতল বাতাস। জানা গেছে চলতি মাসেই বিশ্বের লেটেস্ট আয়নাইজার প্রযুক্তির এসি বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। প্রথম ধাপে এই প্রযুক্তির ২৪ হাজার বিটিইিউর এসি বাজারে ছাড়া হয়েছে। যার দাম ধরা হয়েছে ৫৬ হাজার ৯শ টাকা। এই প্রযুক্তির ১৮ হাজার বিটিইউর এসি শীঘ্রই বাজারে আসছে। এছাড়া চলতি মাসেই ক্রেতারা পাচ্ছেন ২৪ হাজার বিটিইউর ইন্টিলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি। আয়নাইজার সম্পর্কে ওয়ালটন এসি সোসিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান মো. ইসহাক রনি বলেন এটি একটি উচ্চ প্রযুক্তির ডিভাইস। যা নেগেটিভ আয়ন সৃষ্টি করে রুমের বাতাস থেকে ধূলা ব্যাকটেরিয়া ও বাজে গন্ধ ফিল্টারিং করে নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যকর ও বিশুদ্ধ বাতাস। এই প্রযুক্তিকে তিনি লাং ডাক্তার নামে অভিহিত করেছেন। ইত্তেফাকজামান